আজ আদালতে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া


বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। পুরোনো ছবি
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করতে আজ বৃহস্পতিবার আদালতে যাচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

গতকাল বুধবার খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।

সানাউল্লাহ মিয়া জানান, খালেদা জিয়া আইন ও আদালতের প্রতি সব সময় শ্রদ্ধাশীল। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে এবং সবকিছু ঠিক থাকলে বৃহস্পতিবার সকালে তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করতে আদালতে যাবেন।

গত ১৯ মে এ মামলায় খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার আবেদন করেন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। অন্যদিকে শারীরিক অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে যেতে না পারায় তাঁর পক্ষে সময়ের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত ২ জুন খালেদা জিয়ার পক্ষে আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য করে তাঁকে আদালতে হাজির থাকতে নির্দেশ দেন। এর আগে পঞ্চম দফায় তাঁর পক্ষে আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানি পেছানো হয়।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেওয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি।

জমির মালিককে দেওয়া ওই অর্থ ছাড়াও ট্রাস্টের নামে মোট তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা অবৈধ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ।

ওই মামলার অপর আসামিরা হলেন খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

এর আগে ২০১৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ায় জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে ৫ এপ্রিল আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন তিনি।

গত বছরের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ নয়জনের বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ও অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

ঢাকার বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম চলছে।
সুত্রঃ bd express

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »