শ্বশুর বাড়ির লোকদের সহিত আচার-ব্যবহার (প্রথম খণ্ড)

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালই আছেন? আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভাল আছি। তাহলে কাজের কথায় আসি।

বড়দের সহিত ব্যবহারঃ নিজের স্নেহময়ী মাতার ন্যায় প্রত্যেক কাজে শাশুড়ির আদব করিও এবং সর্বাবস্থায় তাঁহার সন্তুষ্টি অগ্রহণ্য মনে করিও তোমার যতই কষ্ট বা আরাম হউক না কেন, কিন্তু তাঁহার মর্জির বিপরীত এক পা-ও আগে বাড়াইও না। মুখে এমন কোন কথা উচ্চারণ করিও না, যাহাতে তাঁহার কষ্ট হয়। তাহার সাথে যখন কথা বল কিংবা তাঁহাকে যখন সম্বোধন কর তখন নিজের সমকক্ষদের সাথে যেইরূপ সম্বোধন কর সেইরূপ করিও না। বরং মুরব্বীদের জন্য যে শব্দ প্রয়োগ করা উচিৎ তাহাই ব্যবহার কর। তোমার শাশুড়ি যদি কোন কাজে তোমাকে তাম্বীহ্ করেন, তবে উহা নীরবে শুন; যদিও মনে বিপরীত এবং কটু কথাও বলেন, যাহা আশা করা যায় না তবুও সু-স্বাদু শরবতের ন্যায় অনায়াসে পান কর-সহ্য কর। খবরদার! কস্নিন কালেও কঠোরভাবে প্রতি উত্তর করিও না। নিজের মায়ের সমতুল্য তাঁহার খেদমত কর। তিনি যদি অন্য কাহাকেও কোনকাজের আদেশ করেন, তৎক্ষণ সে কাজ তুমি নিজেই করিয়া ফেল। মেহেরবান পিতার ন্যায় শ্বশুরের তা’যীম ও শ্রদ্ধা কর। শাশুড়ির সহিত কথাবার্তা বলার যে আদব কায়দা লিখিয়াছি, শ্বশুরের বেলায়ও সে দিকে লক্ষ্য রাখ।
দেখতে পারেন।

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »