ইসলাম আত্মিক শক্তির উন্নয়ন করিতে শিক্ষা দিয়াছে। ইসলাম শিক্ষা দিয়াছে প্রত্যেকের লুপ্ত শক্তিকে জাগরিত করিতে এবং অন্তর্নিহিত ঐশী গুণাবলীকে প্রকাশ্যমান করিতে। কোর-আনের শিক্ষা- আদমজাত খোদারই প্রতিনিধি এবং প্রাকৃতিক শক্তির প্রয়োজক, খোদা মানুষেরই সেবকত্বে সূর্য্য, চন্দ্র, গ্রহ, নক্ষত্র নিয়োজিত করিয়াছে।
পৃথিবীর সকল উপাদানই মানুষের ব্যবহার্য্য বিনা উদ্দেশ্যে কোন বস্তু সৃষ্ট হয় নাই। সৃষ্টির সেরা মানুষেরই উপভোগের জন্য প্রাণী জগৎ, মৎস জগৎ, পক্ষী জগৎ, উদ্ভিদ জগতের সৃষ্টি। প্রকৃতির সকল নিয়ম-কানুন অনুধাবন করাই, প্রত্যেক বস্তুর উপকারিতা উপলব্ধি করাই, এবং প্রেমময় খোদার প্রেমে বিমুগ্ধ হইয়া তাঁহার স্তুতি ও প্রশংসায় নিরত থাকাই কোর-আনের আদেশ।
পৃথিবীর সকল উপাদানই মানুষের ব্যবহার্য্য বিনা উদ্দেশ্যে কোন বস্তু সৃষ্ট হয় নাই। সৃষ্টির সেরা মানুষেরই উপভোগের জন্য প্রাণী জগৎ, মৎস জগৎ, পক্ষী জগৎ, উদ্ভিদ জগতের সৃষ্টি। প্রকৃতির সকল নিয়ম-কানুন অনুধাবন করাই, প্রত্যেক বস্তুর উপকারিতা উপলব্ধি করাই, এবং প্রেমময় খোদার প্রেমে বিমুগ্ধ হইয়া তাঁহার স্তুতি ও প্রশংসায় নিরত থাকাই কোর-আনের আদেশ।
"খোদা মানুষকে সুন্দরতম গঠনে গঠন করিয়াছেন"- ছুরা-৯৫ আয়াত ৪। পৃথিবীতে প্রতিনিধিত্ব করিবার জন্য খোদা স্বীয় গুণাবলীর কিয়দংশ আদমের মধ্যে ফুৎকার করিয়া দিয়াছিলেন, এই হেতু যেন মানুষ সর্ব্বগুণে বিভূষিত হইয়া প্রাকৃতিক রহস্য উদঘাটিত করিতে পারিবে এবং স্বয়ং খোদার সহিত যোগাযোগ সাধন করিতে পারিবে।
মানুষ খোদার প্রতিনিধি আর ফেরেশতা তাঁহার দূত বা আজ্ঞাবাহক। মানুষের মত মানুষ হইলে ফেরশতাও তাহার সেবা করে।
মানুষ খোদার প্রতিনিধি হইলেও খোদার অসীম গুণাবলীর প্রতিভাস মাত্র। খোদা নিরাকার, মানুষ সাকার, খোদা স্রষ্টা, মানুষ সৃষ্ট, খোদা গুণময়, মানুষ গুণী, খোদা দয়াময়, মানুষ দয়াল, খোদা শক্তিময়, মানুষ শাক্ত, খোদা জ্যোতির্ম্ময়, মানুষ জ্যোতিষ্মান, খোদা অক্ষয়, মানুষ ক্ষয়শীল, খোদা প্রেমময়, মানুষ প্রেমিক, খোদা চিরস্থায়ী, মানুষ গুণস্থায়ী, খোদা চিরঞ্জীব, মানুষ ক্ষণজীবী, খোদা প্রতিপালক, মানুষ প্রতিপালিত, খোদা অনন্ত, মানুষ সান্ত, খোদা অসীম, মানুষ সসীম, খোদা স্বপূর্ণ, মানুষ অপূর্ণ, খোদা মহিমাময়, বান্দা হীনাতিহীন।
বি.দ্র. : লেখাটিতে লেখকের বানান হুবহু রাখা হলো।