শ্বশুর বাড়ির লোকদের সহিত আচার-ব্যবহার (৩য় খণ্ড)

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালই আছেন? আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভাল আছি। তাহলে কাজের কথায় আসি।

প্রথম পর্ব যারা পড়েন নি, তারা  দ্বিতীয় খণ্ড এখানে থেকে পড়তে পারেন।

দ্বিতীয় পর্বের পরে।
শ্বশুর বাড়ির কোন মহিলা যদি বয়সে তোমার চেয়ে বড় হয় যেমন, স্বামীর বড় ভাইয়ের বিবি; তাঁহার সহতি কথাবার্তা, উঠা-বসায় তাঁহার মর্তবার প্রতি লক্ষ্য রাখিও এবং তাঁহার সহিত দুধ-মিশ্রির মত এমন ভাবে মিলিয়া মিশিয়া থাকিও যেন উভয়ে সহোদরা ভগ্নিদ্বয় একজন বড় ও একজন ছোট। যদি তুমি এমন ব্যবহার কর, তবে অপর পক্ষও তোমার সাথে এরূপ ব্যবহার করিবে। আর যদি সে বয়সে ও মর্তবায় তোমার চেয়ে ছোট হয়, তবে তাহার সাথে স্নেহ মহব্বত সুলভ ব্যবহার কর এবং তাহাকে অতি নম্র ও শান্তভাবে ভাল ভাল কথা শিক্ষা দিতে থাক। সে কোন কাজ করিতে আরম্ভ করিলে তুমি নিজে উদ্যোগী হইয়া তাহার সহায়ক হইয়া ঐ কাজ সমাধা কর। অনুরূপ স্বামীর ভগ্নি, ভাগিনী ইত্যাদি সহিত যার যার মর্তবা অনুযায়ী সম্ভ্রম ও নম্র ব্যবহার কর, কিন্তু ইহাতেও মধ্যপন্থার প্রতি অবশ্য দৃষ্টি রাখিও। কেননা মধ্য পন্থায় অতীব নম্রতা ও সম্ভ্রম ব্যবহার সদা সর্বদা রক্ষা করিয়া চলা সু-কঠিন। নিজের বাড়িতে বিশেষ কোন উৎসব উপলক্ষে যখন মেয়েদের সহিত একত্রিত হও, তখন কাহারও সম্পর্কে তাহার আগোচরা এমন কোন কথা বলিও না যে, এই কথা তাহার কর্নগোচর হইলে সে ইহা খারাপ মনে করিবে’ ইহাকেই ‘গীবত’ বলে। গীবত করার গুনাহ্ অতি কঠোর, ইহা সম্পর্কে আগেও আমি বর্ননা করিয়াছি, এখান এই কথাটা শুদু উল্লেখযোগ্য যে, কেহ কেহ বলিয়া থাকে যে, আমি তো কোন মিছা কথা বলিতেছি না; যাহা বলিতেছি তাহাতো অমুকের মধ্যে বিদ্যমান আছে।
দেখতে পারেন। 

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »