শ্বশুর বাড়ির লোকদের সহিত আচার-ব্যবহার (৪র্থ খণ্ড)

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালই আছেন? আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভাল আছি। তাহলে কাজের কথায় আসি।
প্রথম পর্ব যারা পড়েন নি, তারা ৩য় খণ্ড এখানে থেকে পড়তে পারেন।
৩য় পর্বের পরে।
স্মরণ রাখিও। ইহা নফছের একটি ধোঁকা। কাহারো কোন দোষ বর্ননা করিলে যদি সে দোষ তাহার মধ্যে বিদ্যমান থাকে, তবেই তো উহাকে গীবত বলে’ বাস্তব দোষ বর্ণনার নামই গীবত, আর যদি তাহার মেধ্য ঐ দোষ না থাকে, তবে তো দ্বিগুন গোনা হয়, এই প্রকার গীবতের নাম তোহমত।
ছোটদের প্রতি ব্যবহারঃ বাড়িতে যে সব ছোট ছোট ছেলেমেয়ে আছে তোমার শ্বশুরেরই হউক বা বাড়িতে অবস্থানকারী অন্য কোন আত্মীয়রই হউক তাহদের সাথে অতিশয় স্নেহ মমতা সুলভ ব্যবহার কর।
হাদীছ শরীফে আছেঃ “আন্, ইবনে আব্বা-ছীন (রা.) ক’লা, ক-লা রছুলোল্লাহি (সঃ)  লাইছা মিন্ন-মাল্লা রাহিম ছগী-রনা আলাম য়ুআক্কির্ কাবি রনা’ (র অ-হু তির্মিজী, মিশ্কাত্) অর্থাৎ-যে ব্যক্তি বড়দের আদব করে না ও ছোটদের প্রতি স্নেহ করে না সে আমাদের দলভুক্ত নহে।” আমাদের রসূলে মক্বুল (সঃ) শিশুদিগকে বড় ভালবাসিতেন এমনকি একবার একটি ছোট শিশু তাঁহার কোলে পেশাবও করিয়াছিল-মিস্কত কোন কোন স্ত্রীলোক, যাহারা শিশুদিগকে স্নেহ করে, তাহারা ছেলেপিলেকে কাছে আসিবার জন্য এই বাহানা করিয়া ডাকে যে, আসো আমি তোমাকে একটি বস্তু দিব অথচ দেওয়ার ইচ্ছা নাই, শুদু ডাকিয়া আনারই উদ্দেশ্য; কিন্তু এরূফ বলা এক প্রকার মিথ্যা-কখনও এরূপ করিও না।
একদা রাসূলে-মক্বুল (সঃ) সম্মুখে একজন স্ত্রী লোক শিশুকে কিছু দিবে বলিয়া ডাকিল কিন্তু সে মিছামিছি প্ররোচনা দেয় নাই: বরং শিশুকে কোন কিছু দিয়াছিল। রসূলে মকবুল (সঃ) বলিলেন, যদি তুমি ইহাকে কিছু না দিতে, তবে মিথ্যা হইত। (আবু দাউদ, বায়হাকী)
দেখতে পারেন। 

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »