শ্বশুর বাড়ির লোকদের সহিত আচার-ব্যবহার (৫ম খণ্ড)

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালই আছেন? আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভাল আছি। তাহলে কাজের কথায় আসি।
৪র্থ  পর্ব যারা পড়েন নি, তারা ৪র্থ খণ্ড এখানে থেকে পড়তে পারেন।
৪র্থ পর্বের পরে।
চাকর-চাকরানীর সহিত ব্যবহারঃ বাড়িতে যদি কোন চাকরানী থাকে, তবে তাহার দ্বারা তাহার সাধ্যাতীত কাজ লউও না; কোন কাজ তাহার কষ্টসাধ্য হইলে ঐ কাজে নিজের সহায়তা করা কর্তব্য। তাহার সহিত কঠোর ব্যবহার ও কঠোর বাক্য প্রয়োগ করিও না।
 সে রোগাক্রান্ত হইলে কিংবা কোন কষ্টে পতিত হইলে তাহাকে সমবেদনা জ্ঞাপন করিও। চাকরানীদের সাথে তোমার মাতার ব্যবহার তুমি দেখিয়াছ। কোন চাকরানীর মাথায় একটু ব্যথা অনুভব হইলে কাজের ফরশাইশ তাহাকে না দিয়া তোমার মা নিজেই সেই কাজ করিয়াছেন অবশ্য এরূপও করা চই না যাহাতে চাকর চাকরানীরা একেবারে আরামপ্রিয় ও কামচোরা হইয়া যায়।

চাকরানীদেরকে নিক্মর্মা করিয়া রাখা বাস্তবে ইহা তাহাদের সহিত শত্রুতা করা। কেননা, সে অন্যত্র যেখানেই যাইবে, সর্বদা গৃহকর্ত্রীর গাল-মন্দ শুনিবে। খাওয়া-দাওয়ার কোন উৎকৃষ্ট বস্তু তোহফা স্বরূপ কোথাও হইতে আসিলে, উহা হইতে চাকরানীদের কিছু কিছু দেওয়া উচিৎ। তোমার মাতার ব্যবহার তুমি নিজ চক্ষেই দেখিয়াছ, যে, জিনিস যত অল্পই হউক না কেন তবুও চাকরানীদের একটা অংশ রাখা হইত-মোতার মাতার এই আচরণ দেখিয়া মনে মনে ভারী আনন্দিত হইতাম যে, সৃষ্টিগত ভাবে তোমাদের মধ্যে অন্যকে প্রধান্য দেওয়ার গুণ বিদ্যমান আছে। 

আল্লাহ্ তা’আলা তোমাকে এই সৎ গুণে আরো উন্নতি দিন। নিজ স্বামী এবং বাড়ির অন্যান্য মেয়ে লোকদের সহিত এই ব্যবহার করিতে থাকিও।

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »