আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালই আছেন? আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভাল আছি। তাহলে কাজের কথায় আসি।
৫ম পর্ব যারা পড়েন নি, তার এখানে, ৫ম খণ্ড থেকে পড়তে পারেন।
৫ম খণ্ড পর্বের পরে।
মেহমানদারীঃ যেসব মহিলা অন্দর মহলে এবং পুরুষ বহির্বাটিতে মেহমান হইয়া আসে, স্বামীর মর্জি অনুযায়ী উদার মনে তাহাদের মেহমানদারী করা কর্তব্য। মেহমানদের খাতিরে নিজেদের স্বাভাবিক খাদ্যের চেয়ে একটু জাঁকজমকপূর্ণ খানার ব্যবস্থা করা জয়েজ আছে; কিন্তু অপব্যয়ের সীমায় যেন না পৌঁছে। আর যদি কোন মেহমান মোত্তাকী, আল্লাহর নেক বান্দা হয়; তবে তাহার মেহমানদারীকে বরকতের কারণ এবং সৌভাগ্য মনে করা চাই। যে কোন মেহমানই হউক না কেন, কখনও সংকীর্ণমনা হওয়া উচিৎ নহে। আমাদের রসূলে (সঃ) কাফেরকেও মেহমানরূপে গ্রহণ করিয়াছেন। মেহমানের খাতিরদারী এবং তাহাকে আরো মেহমান রাখিবার জন্য আর্জু বা অনুরোধ করায় কোন ক্ষতি নাই। কিন্তু মেহমানের ক্ষতি হয় এরূপ পীড়াপীড়ি ভাল নয়। অতিথি মেহমান যদি কোন দরকারী কাজের জন্য বিদায় হইতে চায়, তবে গৃহস্বামী মেজবান তাঁহাকে আল্লাহ্ ও রসূলের দোহাই দেওয়া অতি অন্যায়, বস্তুত, ইহা কিছুতেই ভাল কাজ নহে যে, বাড়িওয়ালার আবদার ও পীড়াপীড়িতে মেহমান অসন্তুষ্ট হয়, তাঁহার ক্ষতি হয়। হযরত মাওলানা রশিদ আহমাদ ছাহেব গাঙ্গুলী (কুদ্দিসা ছিররুহু) এমন পীড়পীড়ি কখনও পছন্দ করিতেন না।
মেহমানের খাতিরদারী, খেদমত গোযারী যাহাকিছু করা হয়, তজ্জন্য অর্থাৎ মেহমানদারী করিয়া মেহমানের প্রতি এহছান করিতেনে, কখনও একথা মনে করিও না, বরং মেহমানই তোমার উপর অনুগ্রহ করিয়াছে যে, আতার নিজের নির্ধারিত খাদ্য তোমার এখঅনে আসিয়া খাইয়অছে এবং তোমাকে ছওয়াবের ভাগি করিয়াছে।
কবির ভাষায়ঃ-
“শুক্রেবাজা-আরকে মেহমানে তুরুঝিয়েখোদ মি খোরদ বর খা-নেতু।
অর্থঃ শুকর গুযারী কর যে, তোমার মেহমান তোমার দস্তরখানায় বসিয়া তাহার নিজের জীবিকাই খায়।
দেখতে পারেন। শ্বশুর বাড়ির লোকদের সহিত আচার-ব্যবহার (৭ম খণ্ড)