বেশি বাঁচতে চান? তবে বেশি করে পানি ফোটানো বন্ধ করুন আজই।


বেশিদিন বাঁচতে চান? পানি

অতিরিক্ত ফোটানো বন্ধ করুন আজই পানি বিশুদ্ধ করার সবচেয়ে আদি
পদ্ধতি হল আগুনে ফুটিয়ে নেয়া।

অনেকেই পানিকে ফিলটারিং বা অন্য
কোন উপায়ে বিশুদ্ধ করার চেয়ে পানি
ফোটানোকে বেশি নিরাপদ মনে করে
থাকে।

পানি ফোটানো নিরাপদ হলেও দুই/তিনবার পানি ফোটানো বা দীর্ঘ
সময় যাবত ফোটানো কখনই নিরাপদ নয়। প্রথমবার পানি ফুটানো হলে এর মধ্যে
থাকা ক্ষতিকর উপাদান সব নষ্ট হয়ে
যায়। কিন্তু যখন এটি দুইবার ফোটানো
হয় বা ফোটানো পানি আবারও গরম করা
হয় বা পানি বেশি সময় যাবত ফোটানো
হয়, তখন এর মধ্যে থাকা বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানের পরিবর্তন ঘটে।
এর মধ্যে থাকা স্বাস্থ্যকর
উপাদানগুলো ক্ষতিকর হয়ে উঠে।
দীর্ঘক্ষণ পানি ফোটানোর কারণে
পানি গরম করার পাত্র থেকে কিছু
উপাদান পানিতে মিশিয়ে যায়, যার কারণে কিডনিতে পাথর হতে পারে।

পানি অতিরিক্ত ফোটানোর কারণে
যেসকল স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে আপনি
পড়তে পারেন সেগুলো এক নজরে দেখে
নিন। 


১। নাইট্রেট
মাটি, পানি, বায়ুসহ পৃথিবীর সব
স্থানে নাইট্রেটের দেখা পাওয়া
যায়। পানি অধিক ফোটানোর ফলে এই
নাইট্রেটের রাসায়নিক পরিবর্তন
ঘটে। উচ্চতাপে নাইট্রেট/Nitrate পরিণত হয় nitrosamines-এ , যা
থেকে ক্যান্সার রোগ সৃষ্টি হতে পারে।
জরায়ু, কোলন, অগ্ন্যাশয়, খাদ্যনালী ও
পাকস্থলীর ক্যানসার মত রোগও সৃষ্টি
হতে পারে এর কারণে। 

২। ফ্লোরাইড
গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘ সময়
উত্তপ্ত পানির মধ্যে ফ্লোরাইড পাওয়া
যায়। যা মানবদেহের মারাত্মক ক্ষতি
করে থাকে। এটি শিশুদের মস্তিষ্কের
গঠন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে থাকে। শিশুদের আইকিউ কম হওয়ার
কারণ হিসেবে পানির ফ্লোরাইডকে
দায়ী করেছে এনভায়রনমেন্ট হেলথ
সায়েন্সেস’ সাময়িকী। ২০১৩ সালে এর
আরেক গবেষণায় পানির ফ্লোরাইডকে
সন্তান জন্মদান ক্ষমতা হ্রাসের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। 

৩। আর্সেনিক
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে পানি
অধিক ফোটানোর কারণে পানিতে
আর্সেনিকের প্রভাব দেখা দিতে
পারে। আর আর্সেনিক থেকে হতে পারে
ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগ ও ফুসফুসের নানা রোগে। আর্সেনিকের বিষক্রিয়া
পরিপাক অঙ্গ এর ওপর ক্ষতিকারক
প্রভাব ফেলে।

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »