কাগজ আবিষ্কারের ইতি কথা।


জীবনের প্রতি ক্ষেত্রেই আমরা কাগজের ব্যবহার দেখতে পাই। লেখা ছাড়াও কাগজের ওপরে লেখা ছাপানো হয় এবং কোনো দ্রব্যের মোড়ক হিসেবেও কাগজ ব্যবহৃত হয়। যদিও কাগজের ইংরেজি শব্দটি প্যাপিরাস শব্দ থেকে এসেছে। এদের উৎপাদন পদ্ধতি সম্পূর্ণ ভিন্ন এবং বর্তমান কাগজে উন্নয়ন ও প্যাপিরাসের উন্নয়ন থেকে পৃথক। প্রধানত কাঠ, বাঁশ, ছেঁড়া কাপড়, ঘাস, পুরনো কাগজ ইত্যাদি কাগজ তৈরির প্রধান উপাদান। মনে করা হয় দ্বিতীয় শতাব্দীতে চীনে আধুনিক কাগজের প্রচলন শুরু হয়। যদিও এর আগে কাগজ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেছে। কাগজের উদ্ভাবনকে প্রাচীন চীনের চারটি বিশাল উদ্ভাবনের অন্যতম একটি বিবেচনা করা হয়। প্রাচীন চীনে মণ্ড দ্বারা তৈরি কাগজ দ্বিতীয় শতাব্দীর গোড়ার দিকে হান জাতির চাই লুন নামের একজন আবিষ্কার করেন।

চীনে সিল্কের সাশ্রয়ী ও কার্যকর বিকল্প হিসেবে কাগজ ব্যবহার শুরু হয়। কাগজের প্রচলন চীন থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে মুসলিম বিশ্বের মাধ্যমে এবং ত্রয়োদশ শতাব্দীতে মধ্যযুগের ইউরোপে কাগজের উৎপাদন শুরু হয়। যেখানে সর্বপ্রথম পানিচালিত কাগজ উৎপাদনের কাগজকল ও কলকব্জা বা মেশিন আবিষ্কার ও নির্মাণ করা হয়। চিঠি, সংবাদপত্র ও বইয়ের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী পরিবর্তন আসে এবং এর সাশ্রয়ী উপাদান হিসেবে কাগজ তৈরি করা ঊনবিংশ শতাব্দীতে নতুন শিল্প রূপে আবিভর্ূত হয়।

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »