রোজা কবুলের পূর্ব শর্তাবলী



পবিত্র রমজান মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে মুমিনদের জন্য এক বিশাল নেয়ামত,যার গুণাবলী বর্ণনা করে কখনো শেষ করা যায় না ।মানুষের জীবন একদিন না একদিন শেষ হয়ে যাবে মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে দেয়া যৌবন জীবন কেউ স্থায়ী ভাবে ধরে রাখতে পারে নাই তা এক দিন না একদিন শেষ হয়ে যায় যেমন শিশু তার শিশু কাল হারিয়ে যৌবনে পদার্পন করে আবার এ যৌবন হারিয়ে বৃদ্ধ হয়ে যায় এটাই প্রকৃতির নিয়ম এ নিয়ম যিনি বেধে দিয়েছেন তিনি হলেন মহা শক্তিধর আল্লাহ তিনি মানুষের জীবন কে অর্থবহ করা,দুনিয়ার জীবন এবং পরকালের সীমাহীন জীবন কে কিভাবে সফল করা যায় তার জন্য মহান আল্লাহ তায়ালা পাঁচটি মহান স্তম্ভ দান করেছেন তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পবিত্র রমজানের রোজা ।রোজা কবুল হওয়ার যেমন শর্ত রয়েছে তেমনি সু-নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন মহান আল্লাহ মানুষের জন্য ঠিক করে দিয়েছেন যেমন :
১ঃ রোজা ফরজ হওয়া সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন : হে ঈমানদার গন ।তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেভাবে তা ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ।যাতে তোমরা মোত্তাকি হতে পার ।[সুরা বাকারা- ১৮৩] ২্ঃ রোজা কাদের উপর ফরজ নিম্ন লিখিত ব্যক্তিদের উপর রোজা ফরজ ।(ক)মুসলমান হওয়া । ( খ)সুস্থ মস্তিস্ক সম্পন্ন হওয়া। (গ )বালেগ হওয়া। ( ঘ )দারুল ইসলামে থাকা ।ঊপরোক্ত লোকদের মধ্য থেকে মহান আল্লাহ কিছু কিছু লোককে রোজা রাখা থেকে বিরত থাকার অনুমতি প্রদান করেছেন ।তন্মধ্যে যেমন ঃ (ক) মুসাফির কেউ যদি ভ্রমন রত অবস্থায় থাকে এবং থাকা খাওয়ার ব্যাপারে অনিশ্চয়তা থাকে তাহলে আললাহ পাক তাকে রোজা না রাখার অনুমতি দিয়েছেন ।তবে সে রোজা গুলো পরবর্তীতে কাযা আদায় করতে হবে।(খ) অসুস্থ ব্যাক্তি যদি রোজা রাখা থেকে বিরত থাকতে পারেন যদি মুসলিম ডাক্তার তাকে রোজা রাখতে বারন করে অথবা যদি এমন হয় রোজা রাখার কারনে জীবন নিয়ে আশংকা থাকে তাহল সুস্থ হওয়া পর্যন্ত রোজা থেকে বিরত থাকতে পারে তবে সুস্থ হওয়ার পর রোজা আদায় করে দিতে হবে।(গ)হায়েছ নেফাছ -মহিলারা হায়েয নেফাছের সময় রোজা রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে।তাছাড়া গর্ভবতী স্ত্রীলোক অথবা শিশু সন্তান কে দুধ পান করার কারনে যদি নিজের জীবনের আশংকা থাকে ,তাহলে তাকে রোজা না রাখার অনুমতি দেয়া হয়েছে।তবে সেই রোজা গুলো পরবর্তীতে আদায় করে দিতে হবে।

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »