প্রতিটি মানুষেরি বিশেষ কেউ থাকে যাকে সে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসে।সে হতেপারে তার মা,বাবা,প্রেমিক,প্রেমিকা অথবা যে কেউ। তবে এমন কিছু মানুষ আছে যারা শুধু নিজেকেই ভালোবাসে।মজার ব্যাপার হলো এরকম লোকদের আপনি গরীব অথবা মধ্যবৃত্ত ভাবে খুঁজে পাবেন না।
আপনিওকি শুধু নিজেকেই ভালোবাসেন?দেখে নিন নিচের লক্ষনগুলো আপনার ভেতর খুঁজে পান কিনা।
১) সমালোচনা এবং হার অপছন্দ করা
কোনো খেলায় বা প্রতিযোগিতায় হেরে যাওয়াটা মোটেই পছন্দ করে না এসব মানুষ। তারা হেরে গেলেও হার মানতে চায় না। আবার জিতলেও সেটা নিয়ে এতো বেশি সময় দম্ভ দেখাতে থাকে যে আশেপাশের সবাই বিরক্ত হয়ে যায়। সমালোচনার ক্ষেত্রেও একই কথা। আমরা কেউই সমালোচনা পছন্দ করি না। কিন্তু এসব মানুষ সমালোচনাকে একেবারেই দেখতে পারে না।
২) ভাবেন তারা কম সুবিধা পাচ্ছেন
তিনি মনে করেন তাকে কেউ কদর দিচ্ছে না। তার যে পরিমাণ কদর পাওয়ার কথা তা পাচ্ছেন না বলে অন্যদের ওপর অসন্তুষ্ট হয়ে যান সহজেই।
৩) দুই ধরণের মানুষ আছেন এদের মাঝে
Narcissist দুই ধরণের হয়ে থাকেন। এক ধরণের মানুষ হয়ে থাকেন খুব জোরালো ব্যক্তিত্বের। বহির্মুখী এবং নিজেকে জাহির করার একটা প্রবণতা থাকে তার মাঝে। ওপর ধরণের মানুষটি হয়ে থাকেন একটু চাপা স্বভাবের। তবে তাদের দুজনের মাঝেই যে বৈশিষ্ট্য দেখা যায় তা হলো অহংকার এবং আত্মকেন্দ্রিকতা।
৪) তিনি অন্যদের বোকা মনে করেন
তারা নিজেদেরকেই সবচাইতে বুদ্ধিমান মনে করেন এবং ভাবেন অন্যরা একেবারেই বোকাসোকা। এ কারণে তারা বন্ধু এবং সহকর্মীদের সাথেও ভালো করে মিশতে পারেন না। এ কারণে সব পরিস্থিতিতে অন্যদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে দেন না তিনি। তার মতটাই সবচাইতে ভালো- এটাই বিশ্বাস করেন এই মানুষেরা। তার এই মত বা সিদ্ধান্তের প্রশংসা হোক, সেটাও চান তিনি মনেপ্রাণে।
৫) তিনি খারাপ ব্যবহার করতে পিছ-পা হন না
কোনো কারণে আপনার ওপর রেগে গেলে তিনি খারাপ ব্যবহার করতে পিছ পা হবেন না। মূলত তারা নিজেদের সুবিধাটাই আগে দেখে বলে এমনটা হয়, বলেন বার্গো। শুধু তাই নয়, অন্যদের খারাপ আচরণ আবার তারা মোটেই সহ্য করতে পারে না! কারও ভালো কথাটাকেও তারা ঘুরিয়ে খারাপ একটা অর্থ তৈরি করতে পারে।
৬) তারা নেতৃত্ব দিতে পছন্দ করে
নিজেদেরকে যেহেতু তারা ভালোবাসে, সুতরাং নিজেকে অন্যদের ওপরের অবস্থানে দেখতে চায় তারা। এ কারণে নেতা তথা লিডার অবস্থানে তারা থাকতে চায়। লিডার অবস্থানে থাকতে চায় ঠিকই, কিন্তু তারমানে এই নয় যে তারা ভালো নেতৃত্ব দেয়।
৭) বিনোদনের পেশায় তাদেরকে বেশি দেখা যায়
ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্টার্ন সিডনির সাইকোলজিস্ট পিটার জোনাসন সঙ্গীতশিল্পী কেনি ওয়েস্টের কথা উল্লেখ করে বলেন, সন্ন্যাসী হিসেবে এসব মানুষ তেমন ভালো নয়। বরং বিনোদনের পেশায় থাকাটাই এসব মানুষের ব্যক্তিত্বের জন্য সবচাইতে ভালো মনে হয়।
৮) তারা আবেগ অনুভব করতে অপছন্দ করেন
Narcissist ধরণের মানুষেরা মনে করে, আবেগ অনুভব করলে নিজের ওপর থেকে এটার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাবে। অন্য কোনো মানুষের কারণে তিনি নিজের আবেগের ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছেন, এটাই তারা মনে করেন।এ কারণে তারা আবেগ সংক্রান্ত আলোচনা করতে চায় না একদমই।
৯) পুরুষদের মাঝে এই বৈশিষ্ট্য বেশি দেখা যায়
সাইকোলজিস্ট ফ্রেড স্টিনসন ৩৪ হাজার ৬৫৩ জন মানুষের ইন্টারভিউ নিয়ে দেখেন, নারীদের তুলনায় পুরুষেরা বেশি Narcissist হয়ে থাকেন। বয়ঃসন্ধিকালে তাদের ব্যক্তিত্বে এই ব্যাপারটা প্রকট থাকে এবং বয়স বাড়ার সাথে সাথে কমে যেতে থাকে।
১০) তারা অন্যদের চোখে নিজেকে আকর্ষণীয় হিসেবে উপস্থাপন করতে ভালোবাসেন
একটি গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, তারা অন্যদের চাইতে বেশি স্টাইলিশ হয়ে থাকেন। প্রথম দেখায় তাদেরকে দারুণ একটা মানুষ বলে মনে হয়। গবেষণায় দেখা যায়, এ কারণে ইন্টারভিউতে তাদের ফলাফল ভালো হয়। কিন্তু পরবর্তীতে তার ব্যক্তিত্ব এবং কার্যকলাপ দেখে তার বসের আক্ষেপই হতে পারে।
১১) অন্যদের কথায় মনোযোগ দেন না তারা
আলাপচারিতার সময়ে অন্যদের কথায় বেশি মনোযোগ দেন না তারা। বরং আলাপটা যেন তাকে কেন্দ্র করেই হয়, তার চেষ্টা করেন তিনি। তারা হাত-পা নেড়ে কথা বলেন, উঁচু কণ্ঠস্বর ব্যবহার করেন এবং অন্যদের কথায় মোটেই পাত্তা দেন না।
১২) প্রেমিক-প্রেমিকা হিসেবে তারা অদ্ভুত হয়ে থাকেন
এরা খুবই সহজে কারও প্রেমে পড়ে যেতে সক্ষম। সে সময়ে নিজের সঙ্গীটিকে তারা একেবারে নিখুঁত বলে ভাবেন। কিন্তু একটা সময়ে সঙ্গীর খুঁতগুলো তার চোখে পড়ে এবং তখনই সব আকর্ষণ হারিয়ে ফেলেন। সঙ্গীর সাথে প্রতারণা করতেও পারেন তিনি। বিশেষ করে সঙ্গীটি যদি তার প্রতি বিশ্বস্ত হন, তখনই অন্য কারও সাথে জড়িয়ে পড়ার ইচ্ছে হয় তার।
অন্যদেরকে প্রতারণায় উৎসাহ দিতেও দেখা যায় তাদেরকে। সম্পর্কে থাকা অবস্থায় সঙ্গীর অনুভূতিকে তারা মূল্য দেন না মোটেই। এসব কারণে সাধারণত চার মাসের মাথায় তাদের সম্পর্