সুপ্রাচীনকাল থেকে মানুষ কাটাছেড়া বা ক্ষত নিরাময়ের জন্য বিভিন্ন ভেষজ উদ্ভিদ ব্যবহার করে আসছে।কিন্তু আধুনিক যুগে আমরা সামান্য কাটা ছেড়ার জন্য বস্তায় বস্তায় ঔষধ কিনে খাই।সামান্য সমস্যার জন্য এই গাদায় গাদায় ঔষধে উপকারের চেয়ে ক্ষতির পরিমানি বেশি।
আজ আমরা পাঠকদের জন্য তুলে ধরবো কিভাবে ঘরোয়া উপকরণ ব্যবহার করে সাধারণ কাটাছেঁড়ার প্রাথমিক চিকিৎসা করতে পারেন।
১. হলুদের গুঁড়া
হলুদের রয়েছে কিছু প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপ্টিক গুণাগুণ, তাই কেটে যাওয়া স্থানে হলুদের গুঁড়া লাগালে দ্রুত কার্যকর একটি ফলাফল পাওয়া যায়। এতে করে কেটে যাওয়া স্থানের রক্তক্ষরণ বন্ধ হয় এবং কোন ধরনের ইনফেকশন হতে দেয় না।
২. আপেল সিডার ভিনেগার
ভিনেগার এমনিতেই জীবাণুনাশক হয়ে থাকে। আর ক্ষত নিরাময়ে আপেল সিডার ভিনেগার বেশ কার্যকর। যেকোনও কাটাছেঁড়ায় আপনি নির্ভয়ে ব্যবহার করতে পারেন আপেল সিডার ভিনেগার।
৩. চিনি
অতিরিক্ত চিনি সেবন শরীরের জন্য ক্ষতিকর হলেও, কাটাছেড়া নিরাময়ে চিনির ভূমিকা অসাধারণ। চিনি ক্ষত অংশের পানি শোষণ করে নেয় এবং অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই এর ক্ষত স্থানটিকে পরিষ্কার করে ফেলে।
৪. মধু
মধু কোন ক্ষত স্থানের জন্য অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এজেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকে। এটি ক্ষত স্থান্টিকে দ্রুত শুকিয়ে নিতে সাহায্য করে এবং কোন ধরনের ইনফেকশন হতে দেয় না। কাটাছেঁড়া ছাড়াও মধু পুড়ে যাওয়া অংশের নিরাময়ে বেশ ভালো ভূমিকা রাখে।
৫. অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরা প্রাকৃতিক ভেষজ গুনাগুণসমৃদ্ধ একটি উদ্ভিদ। অ্যালোভেরার রয়েছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। তাই ক্ষত, পুড়ে যাওয়া এবং কেটে যাওয়া অংশের নিরাময়ে অ্যালোভেরা অনেক কাজ করে।
এছাড়া চায়ের গুঁড়া যা চা হওয়ার পর রয়ে যায় এর রয়েছে ক্ষত নিরাময়ের ভালোগুণ। তাই ক্ষত নিরাময়ে ব্যবহার করতে পারেন চায়ের গুঁড়া, আরো আছে কিছু বনজ লতাপাতার ক্ষত নিরাময়ের ভালো গুণাগুণ।