রমজানে যেভাবে আল-কুরআন তেলাওয়াত করতে পারেন।




 রমজান হলো পবিত্র কোরআন নাজিলের মাস। আর কোরআন নাজিলের কারণে রমজান মাসের এতো মর্যাদা। এ মাসে অবশ্যই অন্য সব সময়ের চেয়ে বেশি করে কোরআন তিলাওয়াত করা উচিৎ।
হাদিসে এসেছে-
عن عبد الله بن عمرو أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: (الصيام والقرآن يشفعان للعبد يوم القيامة، يقول الصيام أي رب: منعته الطعاموالشهوات بالنهار، فشفعني فيه. ويقول القرآن : منعته النوم بالليل، فشفعني فيه. قال فيشفعان. رواه أحمد.
আব্দুল্লাহ বিন আমর থেকে বর্ণিত যে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- সিয়াম ও কোরআন কেয়ামতের দিন মানুষের জন্য এভাবে সুপারিশ করবে যে, সিয়াম বলবে হে প্রতিপালক! আমি দিনের বেলা তাকে পানাহার ও যৌনতা থেকে বিরত রেখেছি। তাই তার ব্যাপারে তুমি আমার সুপারিশ কবুল করো। আর কোরআন বলবে হে প্রতিপালক! আমি তাকে রাতে নিদ্রা থেকে বিরত রেখেছি তাই তার ব্যাপারে তুমি আমার সুপারিশ কবুল করো। তিনি (রাসূলুল্লাহ স.) বলেন, অতঃপর উভয়ের সুপারিশই কবুল করা হবে। -বর্ণনায়: আহমদ
আর তাই যারা এই পবিত্র মাস রামাজানে আল-কোরআন খতম ও তিলাওয়াত করতে চান তারা প্রতিদিন কিভাবে এবং কতটুকু করে পড়লে তা শেষ করতে পারবেন, সেই বিষয়ে একটি সুন্দর কৌশল দেয়া হলো।
কিভাবে করবেন:
প্রতিদিন ৪ পৃষ্ঠা করে প্রত্যেক নামাজের পর পড়ুন। অবশ্যই চেষ্টা করবেন বুঝে পড়ার।
৫ ওয়াক্ত নামাজ x ৪ পৃষ্ঠা = ২০ পৃষ্ঠা।
২০ পৃষ্ঠা = ১ পারা।
১ পারা x ৩০ দিন = পুরা কোরআন শরিফ খতম।
অনেকেই আবার প্রতিদিন এক পারা করে তিলাওয়াত করে রমাজান মাসে আল-কোরআন খতম ও তিলাওয়াত করে থাকেন। তাই নিম্নে কোরআনের প্রতিটি পারা ভাগ করে দেয়া হয়েছে-
পারা-১: সূরা ফাতিহা ১ থেকে সূরা বাকারাহ ১৪১।
পারা-২: সূরা বাকারাহ ১৪২ থেকে সূরা বাকারাহ ২৫২।
পারা-৩: সূরা বাকারাহ ২৫৩ থেকে সূরা আল ইমরান ৯২।
পারা-৪: সূরা আল ইমরান ৯৩ থেখে সূরা আন নিসা ২৩।
পারা-৫: সূরা আন নিসা ২৪ থেকে সূরা আন নিসা ১৪৭।
পারা-৬: সূরা আন নিসা ১৪৮ থেকে সূরা আল মায়েদা ৮১।
পারা-৭: সূরা আল মায়েদা ৮২ থেকে সূরা আল আনাম ১১০।
পারা-৮: সূরা আল আনাম ১১১ থেকে সূরা আল আরাফ ৮৭।
পারা-৯: সূরা আল আরাফ ৮৮ থেকে সূরা আল আনফাল ৪০।
পারা-১০: সূরা আল আনফাল ৪১ থেকে সূরা আত তাওবা ৯২।
পারা-১১: সূরা আত তাওবা ৯৩ থেকে সূরা আল হুদ ৫।
পারা-১২: সূরা আল হুদ ৬ থেকে সূরা ইউসুফ ৫২।
পারা-১৩: সূরা ইউসুফ ৫৩ থেকে সূরা ইব্রাহীম ৫২।
পারা-১৪: সূরা আল হিজর ১ থেকে সূরা আন নাহল ১২৮।
পারা-১৫: সূরা বানি ইসরাইল ১ থেকে সুরা আল কাহফ ৭৪।
পারা-১৬: সুরা আল কাহফ ৭৫ থেকে সূরা তাহা ১৩৫।
পারা-১৭: সূরা আল আনবিয়া ১ থেকে সূরা আল হাজ্জ ৭৮।
পারা-১৮: সুরা আল মুমিনুন ১ থেকে সূরা আলা ফুরকান ২০।
পারা-১৯: সূরা ফুরকান ২১ থেকে সূরা আন নামল ৫৫।
পারা-২০: সূরা আন নামল ৫৬ থেকে সূরা আল আঙ্কাবুত ৪৫।
পারা-২১: সূরা আল আঙ্কাবুত ৪৬ থেকে সূরা আল আযহাব ৩০।
পারা-২২: সূরা আল আযহাব ৩১ থেকে সূরা ইয়াসীন ২৭।
পারা-২৩: সূরা ইয়াসীন ২৮ থেকে সূরা আয যুমার ৩১।
পারা-২৪: সূরা আয যুমার ৩২ থেকে সূরা ফুসিলাত ৪৬।
পারা-২৫: সূরা ফুসিলাত ৪৭ থেকে সূরা আল জাথিয়া ৩৭।
পারা-২৬: সূরা আল আহকাফ ১ থেকে সূরা আয যারিয়াত ৩০।
পারা-২৭: সূরা আয যারিয়াত ৩০ থেকে সূরা আল হাদিদ ২৯।
পারা-২৮: সূরা আল মুজাদিলা ১ থেকে সূরা আত তাহ্রিম ১২।
পারা-২৯: সূরা আল মুল্ক ১ থেকে সূরা আল মুরসালাত ৫০।
পারা-৩০: সূরা আন নাবা ১ থেকে সূরা আন নাস ৬।

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »