সাঁতাড়ুর কানে পানি যাওয়া


লক্ষণ ও উপসর্গ

১. কানে ব্যথা এবং থ্যালথ্যালে অনুভব, বিশেষত মাথা এদিক ওদিক ঘোরাবার সময় এবং কানের লতি টানার সময়।
২. কানের ভেতর অস্বস্তিকর বদ্ধতার অনুভব এবং চুলকানি।
৩. কান থেকে তরল, বাজে গন্ধযুক্ত হলুদ পদার্থের নি:স্বরণ|
৪. কানের ফুটোর কাছে নষ্ট ত্বক|
৫. শ্রবণক্ষমতার সাময়িক হন্সাস, কিংবা ভাঙ্গা ভাঙ্গা শ্রবণানুভব।
 কী করা উচিত
এই সমস্যা প্রায়ই আপনা থেকেই সেরে যায়। যদি সেটা নাও হয়, তবুও চিকিৎসা করলে দ্রুত এই সমস্যা সেরে ওঠে এবং সাধারণত দুই চারদিনের মধ্যেই এটা ঠিক হয়ে যায়। সেরে ওঠাকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে আপনি নিম্নোক্ত কাজগুলো করতে পারেন:
১. আক্রান্ত কানটিকে শুষ্ক রাখার চেষ্টা করুন। গোসলের সময় এবং চুল ধোয়ার সময় আপনার কানকে পানি থেকে ঢেকে রাখুন। সাঁতাড় থেকে বিরত থাকুন।
২. ডিসপেন্সারি থেকে এন্টিসেপটিক এয়ারড্রপ কিনে ব্যবহার করতে পারেন। আপনার কানে এই ড্রপ প্রবেশ করিয়ে কয়েক মিনিট ওভাবে থাকুন, এবং তারপর মাথা ঝুকিয়ে সেটাকে বেরিয়ে যেতে দিন|
৩. ব্যথা নিরোধে একটুকরো উষä কাপড় কানে জড়িয়ে ধরে রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে ডিসপেন্সারির কম্পাউন্ডারের কাছ থেকে এ্যাসপিরিণ বা এসিটামিনোফেন ওষুধ সেবন করলেও লাভবান হতে পারবেন। (তবে ১২ বছর বয়সের নিচে কোন শিশুর যদি চিকেন পক্স, ইনফ্লুয়েঞ্জা, কিংবা অন্যান্য কোন রোগ রয়েছে, এবং সেটা ভাইরাস বাহিত বলে আপনি মনে করেন সেক্ষেত্রে তাকে কোনভাবেই এ্যাসপিরিন দেবেন না।)কখন ডাক্তার দেখাবেন

১. যদি চার-পাঁচ দিনেরও বেশি সময় যাবৎ নিজস্ব যত্ন এবং চিকিৎসা স্বত্তেও লক্ষণগুলো বজায় থাকে সেক্ষেত্রে, যদিও সচরাচর ঘটে না, কিন্তু এই ক্ষত সংক্রামিত হতে পারে।
২. যদি লক্ষণগুলো দেখা যায়, এবং অতীতে কখনও আপনার কানের পর্দায় আঘাত লেগে থাকে, বা ক্ষত থেকে থাকে, কিংবা কানে যদি অতিতে সার্জারি করা হয়ে থাকে।
৩. প্রায়ই যদি আপনার কানে পানি ঢোকার এই সমস্যা ঘটে, কিংবা ইতিমধ্যেই কানে ঘা সংক্রান্ত কোন রোগ আপনার হয়ে থাকে।
৪. যদি আপনার ডায়াবেটিকস হয়ে থাকে, কিংবা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়ে থাকে।

কিভাবে প্রতিরোধ করবেন

১. আপনার কানদুটোতে যেন পানি জমতে না পারে সেদিকে যত্ন নিন। সাঁতাড় কাটার সময় এয়ারপ্লাগ পড়ে নিন। এবং সাঁতাড় কাটা শেশ হলে সেটা খুলে ফেলতে ভুলবেন না। স্নানের সময়ও শাওয়ার ক্যাপ পড়ে নিতে পারেন। আপনার কানের চারপাশ এবং ভেতরটা শুকনো নরম কাপড় দিয়ে শুষ্ক করে তুলুন, এবং সমস্যা হলে বাফারড এ্যালকোহল এয়ারড্রপ প্রয়োগ করে কানের ভেতর জমে থাকা অবশিষ্ট পানিটুকুও বাস্পায়িত করুন। এই ওষুধ ডিসপেন্সারিতে পাওয়া যায়।
২. সাতাঁর কাটার আগে আপনার কানে ল্যানোলিন এয়ারড্রপ প্রয়োগ করুন যাতে করে কানে পানি ঢুকে পড়তে না পারে। মাথা ঝুকিয়ে কানের তলদেশ পর্যন্ত এই ড্রপটিকে যেতে দিন, এবং তারপর আবার অন্যদিকে মাথা ঝুকিয়ে পানি সহ তরলটিকে বেড়িয়ে যেতে দিন।
৩. এই রোগের লক্ষণগুলো অপসারিত হবার অর্থাৎ রোগ সারার তিন সপ্তাহের মধ্যে আপনার কানে যেন পূনরায় পানি ঢুকতে না পারে সেদিকে যত্নবান হন, এর ফলে সমস্যাটা দ্বিতীয়বার ঘটা থেকে রেহাই পাবেন।
৪. এই রোগে আক্রান্ত হবার প্রবণতা আপনার মধ্যে থাকলে, কিংবা কানে পানি ঢুকে যাবার সমস্যা যদি আপনার প্রায়শই ঘটে সেক্ষেত্রে এন্টিসেপটিক এয়ারড্রপ ব্যবহার করুন।
৫. কানের ময়লা পরিস্কার করার সময় সাবধান থাকবেন। এমন কোন বস্তু দিয়ে কান পরিস্কার করবেন না, যেটা কানের নলকে ক্ষতিগ্রþহ করতে পারে।

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »