১৪৩৬ হিজরি সনের সাদকাতুল ফিতর’র হার সর্বনিম্ন ৬০ থেকে সর্বোচ্চ ১৬৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বধুবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে ফিতরা নির্ধারণী সভায় এর হার নির্ধারণ করা হয়। সভা শুরু হয় সকাল ১০টায়।
বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দেয়া হয়। ফিতরা নির্ধারণী কমিটির সদস্য ও বিশেষজ্ঞরা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত হয়, ইসলামি শরিয়াহ মতে গম/আটা, খেজুর, কিসমিস, পনির ও যব ইত্যাদি পণ্যগুলোর যে কোনো একটি দিয়ে ফিতরা প্রদান করা যায়। গম বা আটা দিয়ে ফিতরা আদায় করলে এক কেজি ৬৫০ গ্রাম অথবা এর বর্তমান বাজার মূল্য ৬০ টাকা আদায় করতে হবে।
খেজুর দিয়ে আদায় করলে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম কিংবা এর বাজার মূল্য ১ হাজার ৬৫০ টাকা, কিসমিস দিয়ে আদায় করলে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম কিংবা এর বাজার মূল্য ১ হাজার ২০০ টাকা। পনির দিয়ে আদায় করলে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম কিংবা এর বাজার মূল্য ১ হাজার ৬০০ টাকা এবং যব দিয়ে আদায় করলে তিন কেজি ৩০০ গ্রাম অথবা বাজার মূল্য ২০০ টাকা ফিতরা আদায় করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত বছর ১৪৩৫ হিজরি সনের ফিতরা ছিল মাথাপিছু সর্বনিম্ন ৬৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা। এর আগের বছর সর্বনিম্ন ফিতরা ধরা হয়েছিল জনপ্রতি ৫৫ টাকা, তার আগের বছর ৫৩ টাকা।
ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী, প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। নাবালক ছেলে-মেয়ের পক্ষ থেকে বাবাকে এ ফিতরা দিতে হয়। আর তা দিতে হয় ঈদ-উল ফিতরের নামাজের আগেই।
এদিকে ইসালামিক ফাউন্ডেশনের দ্বীনি দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক ও জাতীয় ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা এ এম এম সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সরকারি মাদরাসা-ই আলিয়ার অধ্যক্ষ প্রফেসর সিরাজুদ্দীন আহমেদ, গোপালগঞ্জের গহরডাঙ্গা মাদরাসার মোহতামিম মুফতি মাওলানা রুহুল আমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাইয়েত আবদুল্লাহ আল মারুপ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের প্রেস ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. মিজানুর রহমান, প্রেস-ইমাম মুফতী মহিবুল্লাহ বাটি নদভী, প্রেস ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানসানুল হক, জামিয়া আরাবিয়া ফরিদাবাদের ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা মতিউর রহমান, জামিয়া আরাবিয়া ফরিদাবাদের সিনিয়র মুহাদ্দিস মুফতি মো. নূরুল আমিন প্রমুখ।