হজরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন- তিন ব্যক্তির দুআ ফিরিয়ে দেয়া হয় না:
১. রোজাদারের দুআ ইফতার করা পর্যন্ত
২. ন্যায়পরায়ণ বাদশাহর দুআ এবং
৩. মাজলুমের দুআ।
আল্লাহ তাআলা তাদের দুআ মেঘমালার ওপর উঠিয় নেন এবং এর জন্য আসমানের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়। তাই আল্লাহ তাআলা বলেন- আমার ইজ্জতের কসম! বিলম্বে হলেও আমি অবশ্যই তোমাকে সাহায্য করবো। (মুসনাদে আহমাদ হাদিস: ৯৭৪৩, জামে তিরমিযি হাদিস ৩৪২৮, ইবনে মাজাহ হাদিস: ১৭৫২)
‘রোজাদারের জন্য ইফতারের সময় একটি কবুলযোগ্য দুআর সুযোগ রয়েছে। এ দুআটি কখন করতে হবে- ইফতারের আগে নাকি ইফতারের মাঝে নাকি ইফতারের পরে? এ সময়ে পড়া যায় এমন কোনো দুআ যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত হয়ে থাকে সেটা যদি উল্লেখ করতেন।’
এ প্রশ্নটি শাইখ উছাইমীন (রহ.) এর কাছে উত্থাপন করা হলে তিনি বলেন- ইফতারের পূর্বে সূর্যাস্তের সময় এ দুআটি করা যেতে পারে। কারণ এ সময় মানুষের অন্তর বিগলিত হওয়ার সাথে মানুষ নতো হয়; উপরন্তু সে তো রোজাদার। এ অবস্থাগুলো দুআ কবুলের উপকরণ। আর ইফতার করার পরে তো আত্মা প্রশান্ত হয়, মন খুশি হয়; তাই এ সময়ে গাফলতি পেয়ে বসা স্বাভাবিক। তবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে ইফতারের পরে উচ্চারণ করার জন্য একটি দুআ বর্ণিত হয়েছে যদি সে হাদিসটি সহিহ সাব্যস্ত হয়। সে দুআটি হচ্ছে-
ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ، وَثَبَتَ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ
অর্থ- তৃষ্ণা দূর হয়েছে; শিরাগুলো সিক্ত হয়েছে এবং প্রতিদান সাব্যস্ত হয়েছে; ইনশাআল্লাহ। [সুনানে আবু দাউদ, আলবানী হাদিসটিকে সহিহ আবু দাউদ গ্রন্থ (২০৬৬) ‘হাসান’ বলেছেন] এ দুআটি অবশ্যই ইফতারের পরে পাঠযোগ্য।
অনুরূপভাবে কোনো কোনো সাহাবি থেকে বর্ণিত আছে যে,
اللهم لك صمت وعلى رزقك أفطرت
অর্থ- হে আল্লাহ! আমি তোমার জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমার রিযিক দিয়ে ইফতার করছি।
অতএব, আপনি যে দুআকে উপযুক্ত মনে করেন সেটা পাঠ করতে পারেন।