যা দিয়ে ইফতার করা মোস্তাহাব


সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতার আয়োজনে ঘরে-বাইরে হরেক রকম খাবারের পসরা বসে। ইফতার আয়োজনের সেই সব রকমারি খাবারের মধ্যে কিছু খাবার রয়েছে যা গ্রহণ করা মুস্তাহাব। এ বিষয়ে হাদিসে বলা হয়েছে-
عن أنس بن مالك رضي الله عنه قال :كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يفطر على رطبات قبل أن يصلي، فإن لم يكن رطبات فتمرات،فإن لم يكن تمرات، حسا حسوات من ماء. رواه أحمد
আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সালাতের পূর্বে তাজা খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। যদি তাজা খেজুর না পাওয়া যেতো তবে শুকনো খেজুর দিয়ে ইফতার করতেন। যদি শুকনো খেজুর না পাওয়া যেতো তাহলে কয়েক ঢোক পানি দিয়ে ইফতার করতেন। -বর্ণনায়: আহমদ
এ হাদিস আমাদের শিক্ষা দেয় যে, ইফতারের আদব হলো- মাগরিবের নামাজের পূর্বে ইফতার করা। তাজা খেজুর বা শুকনো খেজুর দিয়ে ইফতার করা। খেজুর দিয়ে ইফতার করার উপকারিতা হলো- খেজুর সহজপাচ্য। দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকায় খাওয়ার পর যে সমস্যা হওয়ার কথা খেজুর খেলে তা হয় না। এছাড়াও খেজুর হালকা খাবারের একটি। পানি, খেজুর এগুলো দিয়ে ইফতার করলে অলসতা সৃষ্টি হয় না। দ্বিতীয়ত পেট পুরে পানাহার ইসলাম সমর্থন করে না।
রাসূলুল্লাহ (স.) বলেছেন- ما ملأ ابن آدم وعاء بطنه، بحسب ابن آدم لقيمات يقمن صلبه، فإن كان لا محالة فاعلا فثلث لطعامه، وثلث لشرابه، وثلث لنفسه. رواهالترمذي
মানুষ সেসব পাত্র পূর্ণ করে তার মাঝে মানুষের পেট অপেক্ষা আর কোনো খারাপ পাত্র নেই। মানুষের কোমর সোজা রাখার জন্য কয়েকটি লোকমাই যথেষ্ট। এর থেকেও বেশি যদি প্রয়োজন হয়, তবে পেটের এক তৃতীয়াংশ খাদ্যের জন্য, এক তৃতীয়াংশ পানীয়ের জন্য এবং অবশিষ্ট এক তৃতীয়াংশ শ্বাস-প্রশ্বাস চলাচলের জন্য রেখে দেয়া উচিৎ। -বর্ণনায়: তিরমিজি

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »