১৬ কোটি মানুষের দেশে ১৮ কোটি আওয়ামীলীগ

লেখাটা শুরু করার আগে শিরোনাম নিয়ে ভাবছিলাম – ভাবছিলাম বাংলাদেশের চলমান রাজনীতি নিয়ে যখন লিখবো তখন শিরোনাম দিই " বাংলাদেশের রাজনীতির প্যারাডাইম শিফট" – কিন্তু ছোট ভাই এর সাথে কথা বলার সময় ওর মুখে শুনলাম – ১৬ কোটি মানুষের দেশে ১৮ কোটি আওয়ামীলীগ হয়ে গেছে – শুনে বেশ মজা লাগলো – তাই শিরোনামটা এই ভাবেই দিলাম। 
আসলে কিছু দিন ধরে পর্যবেক্ষন করে এইটা্ই মনে হচ্ছে – বাংলাদেশে আওয়ামীলীগ ছাড়া আর কোন দলই তেমন জনসমর্থন পাচ্ছে না। বিশেষ  করে আমেরিকান এক সংস্থার জরিপ রিপোর্টে বলা হচ্ছে আওয়ামীলীগ আগে চেয়ে বেশী জনসমর্থন ভোগ করছে। আসলে মানুষ ঝামেলা পছন্দ করে না – কারন কাজ মানেই টাকা – টাকার স্বপ্নে বিভোর বাংলাদেশের মানুষ। অন্যদিকে দেখছি – ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা ব্যাপক ভাবে বিজয়ী হচ্ছে – বিএনপির দলী প্রার্থীর চেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীরা বেশী জিতেছে – কিন্তু তাদের সর্বমোট সংখ্যা অনেক কম। এই প্রেক্ষিতেই ছোটভাইএর মন্তব্য – বাংলাদেশে এখন মানুষের চেয়ে আওয়ামীলীগ বেশী – ব্যাঙ্গত্ব এই উক্তির আড়ালে লুকিয়ে আছে আরেক চিত্র। আমার গ্রামের বাড়ীর এলাকা ছিলো দীর্ঘদিনের বিএনপির ঘাটি – সেখানে আওয়ামীলীগ কোন ভাবেই সুবিধা করতে পারতো না। কিন্তু এবারই প্রথম বিএনপির এক ধনাঢ্য নেতা দল বদল করে আওয়ামীলীগে যোগ দিলেও নৌকা প্রতীক পায়নি – সেই স্থানীয় আওয়ামীলীগ আর বিএনপির একটা অংশের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছে – মুল লড়াইটা হচ্ছে আওয়ামীলীগ বনাম আওয়ামীলীগ – বিএনপি দৃশ্যপটের আড়ালে চলে গেছে। এইটাই আসলে বাংলাদেশের চলমান হালচাল। বিএনপি – জামাত থেকে আওয়ামীলীগে যোগদান ঠেকাতে  প্রধানমন্ত্রীকে পর্যণ্ত মুখ খুলতে হয়েছে। 
আসলে হচ্ছেটা কি – গত কয়েক মাস আগে ইসলামী ঐক্যজোটের বিশদল ত্যাগের পর থেকে সরকারের সুর বদলে গেছে – প্রধানমন্ত্রী সুষ্পষ্ট ঘোষনা দিয়ে নাস্তিকতার নামে ইসলাম বিরোধী লেখালেখির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ফলাফল হিসাবে দেখছি বাম-নাস্তিকগ্রুপ প্রচন্ড ক্ষেপে আছে – বিশেষ করে যারা এতোদিন যুদ্ধাপরধী বিচারের দাবীর আড়ালে ইসলাম বিরোধী প্রপাগান্ডা চালাতো – তারা এক কথায় এতিম হয়ে গেছে। অনেক নাস্তিক দেশ ত্যাগ করছে – অনেকে লেখালেখি ছেড়ে দিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সরকারের সুষ্পষ্ট এই অবস্থানের প্রভাব পড়েছে পুরো রাজনীতিতেই। 
অন্যদিকে দেখছি – হেফাযতের নেতারা সুর নরম করে কথা বলছে – সরকারের কাজের প্রশংসা করছে। বিএনপি এতোদিন যাদের নেচারাল সাপোর্ট পেতো – তারা বিএনপির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে সরকারের – মানে আওয়ামীলীগের দিকে ঝুঁকছে। এইটা বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিরাট একটা পরিবর্তন বটে। বামরা এতোদিন আওয়ামীলীগের ন্যাচারাল এলাই হিসাবে ভুমিকা রেখে আসছিলো – তারা এখন প্রকাশ্যে আওয়ামী বিরোধী ভুমিকায় আর এতোদিন যারা আওয়ামীলীগের রিরোধীতা করতো তারা নানান ভাবে আওয়ামীলীগের মিত্রে পরিনত হচ্ছে। 
এই অবস্থায় সবচেয়ে বড় ক্ষতিগ্রস্থ দল হলো বিএনপি – যার প্রভাব আমরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফলে দেখছি। যদিও এই ক্ষেত্রে নির্বাচনে কারচূপীর অভিযোগ তুলে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন – কিন্তু স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে স্থানীয় নেতাদের শক্তিই বেশী ভুমিকা রাখে – সেখানে স্থানীয় নেতারা সরকারমুখী হয়ে পড়ায় বিএনপি অনেক জায়গায় প্রার্থী দিতেও ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে এই দুরবস্থার মাঝেও বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন বাণিজ্যের খবরটা বেশ কৌতুহলপ্রদ বটে। 
প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নীতিহীনতা আর সুবিধাবাদে এই চিত্রটা আর আড়ালে থাকলো না। রাজনৈতিকদলগুলো গনতন্ত্রহীনতা এবং আভ্যন্তরীন গনতন্ত্রচর্চাকে বাদ দিয়ে এককেন্দ্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহন তৃণমুলকে কেন্দ্র থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। অন্যদিকে বিএনপির ভুল এবং আত্নঘাতি রাজনীতি – বিশেষ করে জামায়াতের এজেন্ডার সাথে তাল মিলাতে গিয়ে আন্দোলনের নামে জনবিচ্ছিন্ন কর্মসূচীতে ্ধারাবাহিক ব্যর্থতা দলের কর্মীদের হতাশ করে ফেলেছে – ফলে ওরা দ্রুত ক্ষমতার স্বাদ পাওয়ার লক্ষ্যে সরকারী দলের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। 
রাজনৈতিক দলগুলো সমর্থন  ক্ষনস্থায়ী বিষয় – নীতী-আদর্শহীন রাজনৈতিক কর্মীরা সময় সুযোগ বুঝে আবারো দল বদলাবে সন্দেহ নেই – সেখানে সুবিধা সেখানেই জিন্দাবাদ। তবে বর্তমান রাজনৈতিক যে পরিবর্তনটা একটা দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে – তা হলো ধর্মভিত্তিক ইস্যুগুলোতে এবার আওয়ামীলীগ অনেকবেশী সুবিধা পেয়ে যাবার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। একদিএক ভু-রাজনৈতিক পরিবর্তন – বিশেষ করে সৌদি-বলয়ের ব্রাদারহুডের বিষয়ে নেতিবাচক অবস্থানের প্রভাবপড়েছে বাংলাদেশের জামায়াতের রাজনীতিতে – প্রকৃতপক্ষে জামায়াত অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়েছে – ফলে ধর্ম বিষয়ক ইস্যুতে আওয়ামীলীগের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তিহীন হয়ে পড়ায় ইসলামী ঐক্যজোটের মতো দলগুলো বিকল্প সন্ধান করছে এবং ইতোমধ্যে আওয়ামীলীগের সাথে সখ্যতার বিষয়টি দৃশ্যমান হচ্ছে। এতে বিএনপির নেতৃত্বের দূর্বলতা এবং অপরানীতির যেমন ভূমিকা আছে – তেমনি আওয়ামীলীগের সুচতুর রাজনৈতিক কৌশলগুলোও কার্যকরী ভূমিকা রাখছে। ফলাফল – মুসলিম লীগ থেকে বের হয়ে আওয়ামীমীল যে একটা ধর্মনিপপেক্ষ (অনেকের ভাষায় ধর্মহীন) চেহারা তৈরী হয়েছিলো – তা বদলে যাচ্ছে এবং মুসলিমলীগে উত্তরসুরী বিএনপি তাদের ন্যাচারাল এলাই হারাচ্ছে। অবশ্য এই পোলারাইজেশন বিষয়টা সম্পর্কে সম্পূর্ন নিশ্চিত হওয়ার জন্যে আগামী সংসদ নির্বাচন পর্যণ্ত অপেক্ষা করতে হবে। 
তবে একটা বিষয় পরিষ্কার – দীর্ঘদিনে পর্যবেক্ষন থেকে বলা যায় আওয়ামীলীগে ঐতিহাসিক মিত্র সিবিপি এখন আওয়ামীলীগ থেকে হাজার ্মাইল দুরে অবস্থান করছে – বিশেষ করে সংবিধানের ১৫তম সংশোধনীতে "বিসমিল্লাহ" এবং ইসলাম রাষ্ট্র ধর্ম হিসাবে বহাল রাখার জন্যে শেখ হাসিনার একক সিদ্ধান্তের পর বামদলগুলো যারা প্রকৃতপক্ষে ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীন রাষ্ট্র চায় তারা আওয়ামীলীগের মিত্রশক্তি হিসাবে ইস্তফা দিয়েছে এবং সে জায়গা আসন পেয়েছে ইসলামপন্থী রাজনৈতিক কয়েকটি গোষ্ঠী এবং দল। তাদের পরামর্শ এবং প্রভাবে আওয়ামীলীগ ইসলামপন্থী দলগুলোর সাথে দুরত্ব কমিয়ে আনার প্রেক্ষিতে আজকের এই রাজনৈতিক পোলারাইজেন।এই পোলারাইজেনশন বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা আনতে কতটা ভুমিকা রাখবে – তা সময়ের উপর ছেড়ে দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। কারন ইসলাম এবং আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার সাথে যে মৌলিকদন্দ্ব আছে – সেইগুলো কিভাবে মোকাবেলা করা হয় – তার উপরই এই সমঝোতার বিষয়ের সাফল্য নির্ভর করছে। তবে এক সময় না এক সময় এই দ্বন্ধ সামনে আসবেই – তখন আবার নতুন করে অস্থিরতা আর পোলারাইজেন হবে।  
ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

মোবাইলের নেশা কাটানোর ৫ উপায়

কিছুতেই চোখ সরাতে পারছেন না নিজের মোবাইলের স্ক্রিন থেকে? কীভাবে মুক্তি পাবেন এই নেশা থেকে? রইল হদিশ।
আপনি কি মোবাইলে আসক্ত? রাস্তা পার হন বা টয়লেটে থাকুন— কিছুতেই কি চোখ সরাতে পারেন না মোবাইলের স্ক্রিন থেকে? রাতে বিছানায় শোওয়ার পরেও ফেসবুক বা হোয়াটস অ্যাপের মেসেজ চেক না করলে কি ঘুম আসে না চোখে? জেনে নিন এই নেশা কাটানোর কয়েকটি উপায়—

১. কাজ থেকে বাড়িতে ফেরার পরে মোবাইলটিকে সাইলেন্ট করে দিন। খুব প্রয়োজন না থাকলে ফোনটিকে কোনো ড্রয়ার বা আলমারিতে রেখে দিন। আধ ঘন্টা বা এক ঘন্টা পরে ফোন বার করে দেখুন ইতিমধ্যে কোনো জরুরি ফোন বা মেসেজ এসেছে কি না। এই নিয়ে অযথা দুশ্চিন্তা না করে কল ব্যাক করুন বা মেসেজের রিপ্লাই দিন।
২. অফিসে থাকাকালীন টয়লেট যেতে হলে মোবাইলটিকে রেখে যান নিজের ডেস্কে।
৩. আপনি যখন রাস্তায়, তখন নিজের চারপাশের পরিবেশের দিকে মনোযোগ দিন। আশপাশের মানুষজনের দিকে তাকান, তাদের পোশাক-আশাক লক্ষ করুন। রাস্তা ষদি ফাঁকা থাকে তাহলে দেখুন আকাশের অবস্থা, বা তাকান গাছপালার দিকে। আর রাস্তা পেরনোর সময়ে অবশ্যই তাকান ট্র্যাফিক সিগনালের দিকে। মোট কথা মোবাইল থেকে মন সরান।
৪. গাড়ি চালানোর সময়ে মোবাইলটিকে সাইলেন্ট করে নিজের নজরের বাইরে রেখে দিন। বাসে-ট্রামে থাকাকালীন মোবাইলে গান শোনা, গেম খেলা বা ভিডিও দেখার অভ্যেস ছাড়তে হবে। দরকার হলে সাময়িক ভাবে নেট-অফ করে দিন। বাস-ট্রামের জানলা দিয়ে বাইরের দৃশ্য উপভোগ করার অভ্যেস গড়ে তুলুন।
৫. দিনে অন্তত ১০-১৫ মিনিট মেডিটেশন বা অন্য কোনো মেন্টাল রিল্যাক্সেশন এক্সারসাইজের জন্য নির্ধারিত রাখুন। শুধু মোবাইল-নেশা নয়, যেকোনো ক্ষেত্রেই নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করার এটি একটি কার্যকর উপায়।
ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে টাকা আয়ের সুযোগ

ফেসবুকে আপনি জনপ্রিয়? জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে ফেসবুক থেকে অর্থ আয়ের সুযোগ পাবেন আপনি। সফল ফেসবুক পোস্টের জন্য শিগগিরই অর্থ আয়ের সুযোগ করে দিতে যাচ্ছে ফেসবুক। শিগগিরই এ নিয়ে একটি ফিচার ফেসবুকে দেখা যাবে।
সম্প্রতি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ একটি জরিপ চালিয়েছে, যাতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে ফেসবুকে ভেরিফায়েড ব্যবহারকারীদের জন্য অর্থ আয়ের একটি ফিচার চালু করতে পারে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
আইএএনএসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফেসবুকের নতুন ফিচার ব্যবহার করে ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে যে পোস্ট দেওয়া হবে, এতে ‘টিপ জার’ যুক্ত করতে পারবেন ব্যবহারকারী। ওই টিপ জারে পাঠকদের অর্থ দান করার জন্য অনুরোধ করা যাবে।
এখনই সাধারণ ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে অর্থ আয়ের কোনো সুযোগ রাখছে না ফেসবুক। তাদের এই ফিচারটি অনেকটাই ইউটিউবে ভিডিও পোস্টের মতো, যেখানে সফল ভিডিও নির্মাতারা বিজ্ঞাপন বাবদ প্রচুর অর্থ আয় করার সুযোগ পান।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, ফেসবুক পোস্ট থেকে অর্থ আয় করার সুযোগ সৃষ্টির বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, কিন্তু ফেসবুকের সহযোগীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই অর্থ আয়ের মডেল দাঁড় করানোর বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ। বর্তমানে তাদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করছি।

ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

ফেসবুকে খবর পড়ার নতুন সুবিধা

ফেসবুকে যাঁরা খবর পড়তে পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য বিশেষ সুবিধা আনছে ফেসবুক। ফেসবুক মোবাইল অ্যাপে ‘নিউজ সেকশন’ নামের একটি ফিচার যুক্ত করছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
ফেসবুকের নতুন এই ফিচার অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস দুই প্ল্যাটফর্মেই ব্যবহার করা যাবে। এটি হবে আইওএস প্ল্যাটফর্মের জন্য ফেসবুকের তৈরি ‘ফেসবুক পেপার’ অ্যাপটির মতো।

প্রযুক্তি-বিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবল টেককে নিশ্চিত ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফেসবুকের নিউজ ফিড পরিবর্তন আনার বিষয়টি পরীক্ষা চালাচ্ছে তারা। গত শুক্রবার ফেসবুকের নতুন এই বিভাগের স্ক্রিনশট টুইটারে উঠে আসে। এই ফিচারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট শিরোনামভিত্তিক একাধিক খবরের উৎস থেকে খবর জানার সুযোগ পাবেন ব্যবহারকারী।
ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

ফেসবুক গ্লোবাল ডেভেলপার কনফারেন্সে ফিচার হয়েছে ‘গো-বিডি’

ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রনাসিস্কোতে অনুষ্ঠিত ফেসবুকের ডেভেলপমেন্ট কনফারেন্স এফএইটে ফিচার হয়েছে বাংলাদেশি টেক কোম্পানি গো-বিডির রিয়েল টাইম ট্রাফিক আপডেট অ্যাপ গো-ট্রাফিক।
সাড়া পৃথিবী থেকে নির্বাচিত ২০টি পার্টনার ব্যবহার করছে ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট কিট ফিচার, যার মধ্যে গোবিডিও রয়েছে।অ্যাকাউন্ট কিট ফিচারটির মাধ্যমে মোবাইল এবং ওয়েবের ইউজার অথেনটিকেশন সার্ভিসটি পাওয়া যাবে। অন্যান্য টেক কোম্পানির মধ্যে ছিল পিন্টারেস্ট, ফ্লিপকার্ট এবং ভারতের মিউজিক স্ট্রিমিং সার্ভিস সাভান।
গোবিডির কো-ফাউন্ডার এবং সিটিও শাগতা প্রতিক জানান, ‘এটা আমাদের জন্য বেশ সম্মান জনক এক ব্যাপার। ইউজার এক্সপেরিয়েন্স সেবা এবং স্ট্রিমলাইনের মাধ্যমে এখন আমরা আগের চেয়ে ভালভাবে ব্যবসা চালিয়ে নিতে পারব।ফেসবুক ইঞ্জিনিয়াররা এসব ব্যাপারে অনেক বেশী সাহায্য করছে। ভবিষ্যতেও আমরা ফেসবুক ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে কাজ করে যাব।’

এসডি এশিয়া আয়োজিত ফেসবুকের এফএইট মিটআপ ঢাকা রাউন্ডেও তাদের অর্জনের কথা জানিয়েছেন গো-বিডির কো-ফাউন্ডার এবং সিওও ফারহান রাহমান।বিশ্বজুড়ে ডেভেলপার কমিউনিটিকে এক ছাদের নিচে নিয়ে এসেছে এই ইভেন্ট। মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ওপেন সোর্স টেকনোলজির সব কিছুকেই নিয়েই এই এফএইট।
এই বছর এসডি এশিয়া ‘এফএইট মিট-আপ’-এর জন্য এসডি এশিয়া ১৩০ জনের বেশি স্টার্টআপ সিইও, মার্কেটিং এক্সপার্ট, উদ্যোক্তা, ডেভেলপার, ছাত্র এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের মাধ্যমে গোবিডির প্রথম ফিচার গো! ট্রাফিক যাত্রা শুরু করে। এখন তাদের দুই লাখেরও বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে। সম্প্রতি তারা ‘গোফেচ’ নামে নতুন একটি লজিস্টিক সার্ভিস শুরু করেছে।
ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

আইনস্টাইনের চেয়েও বুদ্ধিমান

লন্ডনের কিশোর এগারো বছরের অওম আমিন বুদ্ধিমত্তার সূচক নির্ধারণকারী আইকিউ পরীক্ষায় কিংবদন্তী বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন আর স্টিফেন হকিং-এর থেকে দুই পয়েন্ট বেশি নম্বর পেয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছে।
যারা প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন তাদের আইকিউ পরীক্ষা করে বিশ্বের বহু পুরনো সংগঠন মেনসা। মেনসার এই পরীক্ষার ফলাফল জানিয়ে আমিনকে যে চিঠি দিয়েছে তাতে তারা জানিয়েছে, অওম আমিন  এখন বিশ্বের সবচেয়ে বুদ্ধিমান এক শতাংশ মানুষের মধ্যে একজন। আর পাঁচটা কিশোরের মত অওম আমিনও স্টার ওয়ারস্ ছবির পোকা। কিন্তু বুদ্ধির দিক দিয়ে সে অবশ্যই আর পাঁচজন সাধারণ কিশোরের থেকে অনেক আলাদা। মেনসার পরীক্ষায় তার স্কোর ছিল ১৬২, যা পদার্থবিদ আইনস্টাইন ও হকিংয়ের স্কোরের চেয়ে দুই পয়েন্ট বেশি। তবে অওম আমিন বলেন,
আমি মোটেই বলব না এই দুইজন বিজ্ঞানীর থেকে আমার বুদ্ধি বেশি – যদিও আইকিউ পরীক্ষায় আমি তাঁদের থেকে বেশি নম্বর পেয়েছি। তাঁদের প্রতিভা অসাধারণ। তাঁরা আমার হিরো। আমি তাঁদের মত হতে চাই। – বিবিসি

ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

ইন্টারনেট ছাড়াই চলবে হোয়াটস অ্যাপ!!

সকালে অফিসে ঢুকতে না ঢুকতেই হোয়াটস অ্যপ বসের মেসেজটা পেলাম। বিনা ইন্টারনেটেই নাকি হোয়াট্‌সঅ্যাপ করা যাবে। সত্যি! তা হলে তো আমার-আপনার মতো সকলের পোয়াবারো। ভাবুন, এই অ্যাপ দিয়ে প্রতি দিন অজস্র ছবি বা মেসেজ চালাচালি তো রয়েইছে। অফিস কলিগদের কাছ থেকে কত অসংখ্য গান যে নিজের মুঠোফোনে পুরেছেন, সে খেয়াল আছে। এখন সেই হোয়াটস অ্যাপ যদি ফ্রি অব কস্টে আপনার মোবাইল জীবনের সঙ্গী হয় তবে কী কাণ্ডই না হবে। সুত্র-আনন্দবাজার
হোয়াটস আ্যাপ মেসেজ, ছবি বা গান চালাচালি করতে গ্যাঁটের কড়ি খরচ করতে হয় না ঠিকই। কিন্তু, ইন্টারনেটের কানেকশন না থাকলে যেমন আপনার মোবাইলে ওয়েবসাইট ব্রাউজ করা যায় না তেমন ভাবেই হোয়াটস অ্যাপও করা যায় না। ফলে, এই অ্যাপের ব্যবহারে ঘুরিয়ে নাক ধরার মতো সামান্য হলেও আপনার পকেট ফাঁকা হয়।
Sources: itworld

ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

গাড়িও যেভাবে হ্যাক হতে পারে

গাড়িও হ্যাক হতে পারে। কারণ আধুনিক যুগের গাড়িতে যে প্রযুক্তি সুবিধা রয়েছে, তা হ্যাক হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে গাড়ি নির্মাতা ও মালিকদের সতর্ক করল যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) ও ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনএইচটিএসএ)। গত বৃহস্পতিবার মোটরযান হ্যাকিং সম্পর্কে এ সতর্কবার্তা প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের ওই দুটি সংস্থা। খবর রয়টার্সের।
সাধারণ মানুষ ও গাড়ি নির্মাতাদের সতর্ক করে এফবিআই ও এনএইচটিএসএ বলেছে, গাড়ি, গাড়ির যন্ত্রাংশ ও গাড়িতে যুক্ত বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সম্পর্কে সচেতন ও সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে ইন্টারনেট সংযোগ সুবিধার আধুনিক গাড়ির যন্ত্রাংশ সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি।
অটোমোবাইল শিল্পে বেশ আগে থেকেই হ্যাকিং ঝুঁকির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এর আগে গত বছরে একটি ম্যাগাজিনে গাড়ির হ্যাকিং ঝুঁকি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের পর যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ লাখ গাড়িতে একটি সফটওয়্যার ইনস্টল করে ফিয়াট। গত বছরে জেনারেল মোটরও তাঁদের স্মার্টফোন অ্যাপে একটি নিরাপত্তা প্যাঁচ হালনাগাদ করে। কারণ গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ করা ও দরজা আটকে চালককে ভেতরে আটকে ফেলার মতো ঝুঁকিতে ছিল জেনারেল মটরের হাইব্রিড গাড়ি শেভ্রোলে ভোল্ট।

২০১৫ সালে বিএমডব্লিউ এজি ঘোষণা দিয়েছিল, তাঁরা গাড়ির একটি নিরাপত্তা সমস্যা দূর করেছে, যা কাজে লাগিয়ে ২২ লাখ গাড়িতে হামলা চালাতে পারত হ্যাকাররা। এ গাড়ির দরজা দূর থেকে বন্ধ করে দিতে পারত হ্যাকাররা।
এফবিআইয়ে বুলেটিনে বলা হয়েছে, সব হ্যাকিং ঘটনা অবশ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করে না। তবে হ্যাকার যদি গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে, তবে ঝুঁকি হয়ে দাঁড়ায়। এ ঝুঁকি কমাতে গ্রাহকদের যথোপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
২০১৫ সালের জুলাই মাসে এনএইচটিএসএয়ের কর্মকর্তা মার্ক রোজকাইন্ড বলেছিলেন গাড়ি নির্মাতাদের দ্রুত হ্যাকিং ঝুঁকির বিষয়টি ভেবে দেখতে হবে। এরপর ওয়্যার্ড সাময়িকীর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফিয়াটের চেরোকি জিপে দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে হ্যাকাররা। অবশ্য বাস্তবে এখনো কোনো গাড়ি হ্যাক করার কোনো উদাহরণ নেই বলে জানিয়েছে এনএইচটিএসএ।
যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি বিক্রির সংস্থা অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যালায়েন্স ও গ্লোবাল অটোমেকারস অ্যাসোসিয়েশন মিলে গত বছরে তথ্য বিনিময় ও অ্যানালাইসিস সেন্টার খুলেছে। সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক হুমকি ও গাড়িতে সম্ভাব্য হ্যাকিং আক্রমণ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছে এ জোট।
এফবিআই সতর্ক করে বলেছে, সাইবার দুর্বৃত্তরা গাড়ির মালিকদের কাছে গাড়ির সফটওয়্যার হালানাগাদ সম্পর্কিত ভুয়া মেইল পাঠাতে পারে। আসল সফটওয়্যার আপডেটের মতো এ মেইলগুলো হতে পারে। এ ধরনের মেইলে ক্লিক করলে ক্ষতিকর ওয়েবসাইটে নিয়ে যায়। এ ছাড়া ক্ষতিকর সফটওয়্যারযুক্ত অ্যাটাচমেন্ট ক্লিক করতে প্রলুব্ধ করে।

ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

ফেইসবুকে আছে লুকানো ইনবক্স

কিন্তু ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান-এর কিছু কর্মী সম্প্রতি লক্ষ্য করেছেন, তাদের ‘ফিল্টারড’ ইনবক্সটি, যেখানে কিনা অপ্রয়োজনীয় বার্তা থাকার কথা, সেখানে প্রয়োজনীয় বার্তায় ভর্তি এবং এই মেসেজগুলো কখনো তাদের প্রধান ইনবক্সে আসেনি। কম্পিউটারের ক্ষেত্রে, গোপন ইনবক্সটি খুঁজে পাওয়ার সহজ উপায় হচ্ছে facebook.com/messages/other এই ঠিকানায় যাওয়া। আর স্মার্টফোনের মেসেঞ্জার অ্যাপে ইনবক্সটি চারটি মেনুর ভেতরে লুকানো। মেসেঞ্জারে ইনবক্সটি পাওয়ার জন্য সেটিংস>পিপল>মেসেজ রিকোয়েস্টস>সি ফিল্টারড রিকোয়েস্টস এ যেতে হবে।
বাছাইকৃত বার্তাগুলোর মধ্যে যে কোনো কিছুই থাকতে পারে। ব্যবহারকারীর নিজের দ্বারা বাছাই করা বার্তা থেকে শুরু করে ব্যবহারকারীর সাথে যুক্ত নয় এমন কারো বার্তা, সবই চলে যায় লুকানো ইনবক্সটিতে।

ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

অ্যাপলের নতুন গাড়ি!

অ্যাপল যে গাড়ি বানাচ্ছে তা এত দিন স্রেফ গুজব বলেই উড়িয়ে দেওয়া যেত। তবে জার্মান এক পত্রিকা ১৮ এপ্রিলে এক প্রতিবেদনে লেখে, জার্মানির রাজধানী বার্লিনে গাড়ি তৈরির জন্য গোপন এক গবেষণাগার তৈরি করেছে অ্যাপল। সেখানে নিয়োগ দেওয়া জনা বিশেক কর্মী দিনরাত প্রকৌশল, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার এবং বিপণন নিয়ে কাজ করছেন।

এদিকে গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান টেসলা মোটরসের গাড়ি প্রকৌশল বিভাগের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ক্রিস পরিটকে অ্যাপলের এক বিশেষ প্রকল্পের দলে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। আর গাড়ি তৈরিতে অভিজ্ঞ একজন অ্যাপলে গিয়ে যে স্মার্টফোন বানাবেন না তা মোটামুটি নিশ্চিত করেই বলা যায়। জার্মানির পত্রিকাটি আরও লেখে, অস্ট্রিয়ার গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ম্যাগনা স্টেয়ার তৈরি করবে এই অ্যাপল কার। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের ২৯টি দেশে মূলত ছোট কুপার গাড়ি তৈরি করে থাকে। আরও কয়েকটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি এবং গাড়ি নির্মাতাদের জগৎ থেকে অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের নিয়োগ দিয়েছে অ্যাপল। এ সম্পর্কে টেসলা মোটরসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এলন মাস্ক মজা করে বলেছেন, ‘টেসলায় কাজ না পেলে বরং অ্যাপলে চেষ্টা করে দেখুন!’

শুধু টেসলা থেকেই যে অভিজ্ঞদের টেনে নিচ্ছে অ্যাপল, তা কিন্তু না। ফোর্ড, জেনারেল মোটরস এবং মার্সিডিজ-বেঞ্জ থেকেও নাকি কর্মী টেনে নিয়ে নিয়োগ দিচ্ছে অ্যাপল। এমনকি ব্যাটারি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এ১২৩ সিস্টেমস থেকেও কর্মী ভাগিয়ে নিতে অ্যাপল এক ‘আক্রমণাত্মক’ কার্যক্রম চালিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে গাড়ি চালিয়ে যাচাই করে দেখার জন্য সেখানকার মোটর ভেহিক্যাল ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে গত বছর সেপ্টেম্বরে জানিয়েছিল দ্য গার্ডিয়ান। আবার অ্যাপল ইনসাইডার জানিয়েছে, সিক্সটিএইট রিসার্চ নামের এক প্রতিষ্ঠানের আড়ালে চুপি চুপি গাড়ি নির্মাণের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে অ্যাপল। এই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাও অ্যাপলের কর্মীদের মতো পোশাক পরে কাজ করেন বলে জানা গেছে। সেপ্টেম্বরে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, ২০১৯ সাল নাগাদ বাজারে আসবে অ্যাপলের গাড়ি।
সূত্র: ইয়াহু টেক
ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে
পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ব্লক ঠেকানোর উপায়

আপনি যদি নিয়মিত ফেসবুক ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে সাইটটির ‘ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ব্লক’ ব্যাপারটির সাথে নিশ্চয়ই পরিচিত হবেন। আমি বলছিনা যে আপনি নিজেই কখনও ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ব্লকের শিকার হয়েছেন, তবে ফেসবুকে ‘এড মি’ পার্টিদের কমেন্ট থেকে অন্তত দেখে থাকবেন যে ‘আমাকে অ্যাড করুন, আমি ব্লকড আছি, ৫ সেকেন্ডের মধ্যে অ্যাকসেপ্ট করব’… ইত্যাদি ইত্যাদি।

ফেসবুকের উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনার পরিচিত লোকজন ও বন্ধুবান্ধবের সাথে আপনাকে সবসময় কাছাকাছি রাখা। এজন্য তাদেরকে ‘ফ্রেন্ড’ হিসেবে অ্যাড করতে হয়। কিন্তু কেউ যদি পাইকারি দরে চেনা-অচেনা সবাইকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে থাকে, তাহলে এটি ফেসবুকের টার্মস এন্ড কন্ডিশনের ভায়োলেশন বলে গণ্য হবে এবং কোম্পানিটি বিভিন্ন মেয়াদে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানো থেকে উক্ত আইডিকে ব্যান করে দেবে।

তবে একটু কৌশল অবলম্বন করলেই ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ব্লকড হওয়া এড়াতে পারেন। চলুন দেখি সেরকমই কিছু উপায়।

ফেসবুকে আইডি দেখলেই ‘পাইকারি দরে’ সেগুলো অ্যাড করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার সাথে কোনও ‘মিউচুয়াল ফ্রেন্ড’ নেই এমন লোকজন বেশি বেশি অ্যাড করলে ব্যান হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আর আপনার অ্যাড করা কেউ যদি আপনাকে চেনেনা বলে রিপোর্ট করেন তাহলেও আপনি ব্যানড হতে পারেন।অচেনা লোকজনকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারেন, কিন্তু একসাথে অনেকগুলো না পাঠিয়ে কমপক্ষে এক দিন সময় নিন যাতে পূর্বে সেন্ডকৃত রিকোয়েস্টগুলো অ্যাকসেপ্ট হতে পারে এবং পেডিং রিকোয়েস্টের সংখ্যা কম থাকে।যাদেরকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছেন সেই তালিকায় নিয়মিত চোখ রাখুন। যেসব আইডি রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করতে বেশি সময় নিচ্ছে সেগুলোর রিকোয়েস্ট ক্যানসেল করে দিন। ফেসবুকে আপনার পাঠানো ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টের তালিকা দেখতে চাইলে আমাদের এই পোস্টটিতে দেয়া নিয়ম অনুসরণ করুন।ফেসবুকে মেসেজ পাঠানোর ক্ষেত্রেও সাবধান হোন। আপনার ‘ফ্রেন্ড’ নয় এমন আইডিসমূহে খুব বেশি পরিমাণ মেসেজ পাঠালে সেগুলো স্প্যাম বলে গণ্য হবে যার ফলস্বরূপ ফ্রেন্ড অ্যাড করার প্রতি নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে ফেসবুক।ব্যান থাকা অবস্থায় ফ্রেন্ড অ্যাড করার বৃথা চেষ্টা থেকে বিরত থাকুন। উদাহরণস্বরূপ, আপনাকে যদি এক সপ্তাহের জন্য ব্লক করা হয়, তাহলে ঐ ৭ দিন পরেই ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠানোর চেষ্টা করুন। কে জানে, হয়ত এর মধ্যে ফেসবুকের উপর দাদাগিরি করতে গেলে সাইটটির প্রোগ্রাম মাইন্ড করেও বসতে পারে! (অনেক সময় মোবাইলে বা কোনও কোনও অনলাইন সেবায় বারবার ভুল লগইনের চেষ্টা করলে ব্যান পিরিয়ড বর্ধিত হয়ে যায়)একবার ব্যানড হলে সকল পেন্ডিং ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ক্যানসেল করাই বুদ্ধিমানের কাজ। অবশ্য, পেন্ডিং লিস্টে পরিচিত (যারা অ্যাকসেপ্ট করবে এমন বিশ্বস্ত) কেউ থাকলে তাদেরকে রেখে শুধুমাত্র বাকীগুলোও ক্যানসেল করে দিতে পারেন।অটোম্যাটিক ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট সেন্ডিং বা এই টাইপের স্ক্রিপ্ট ব্যবহার থেকে বিরত হোন।ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

যে ‘হোটেল’ থেকে পরিচালিত হয় ইন্টারনেট

গুগলে কোনো বিষয় সার্চ করলে আপনার সামনে অসংখ্য ফলাফল চলে আসে, যা থেকে আপনি তথ্যের চাহিদা মেটানো, বিনোদন, সংবাদ কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বন্ধুর খবর সংগ্রহ করেন।
মুহূর্তেই এ কাজটি সম্পন্ন হওয়ায় আপনি বুঝতেও পারবেন না, কতো হাজার মাইল ঘুরে আপনার চোখের সামনে এল তথ্যগুলো। এসব তথ্যই চোখের পলকে সরাবরাহ করার জন্য নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে ইন্টারনেটের অবকাঠামো।

সম্প্রতি নিউ ইয়র্কের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ‘ক্যারিয়ার হোটেল’-এর ভেতর প্রবেশ করেছিলেন পিটার গ্যারিট্যানো। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ওইয়ার্ড। ‘ক্যারিয়ার হোটেল’গুলো মূলত ডেটা সেন্টার, যা ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে ইন্টারনেট সচল রাখে। পরিদর্শন শেষে তিনি জানিয়েছেন সেখানকার ভেতরের অবস্থা সম্পর্কে।

সারা বিশ্বের ইন্টারনেট ব্যবস্থা চালানোর জন্য প্রয়োজন হয় বড় বড় সার্ভারের। এছাড়া রয়েছে নানা নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম। এ ধরনের বহু সরঞ্জাম একত্রে রাখা হয় কোলোকেশন সেন্টারে।
এগুলো এক ধরনের ডেটা সেন্টার, যাকে কখনো কখনো ক্যারিয়ার হোটেলও বলা হয়। এসব অবকাঠামোর বিস্তারিত নিরাপত্তার জন্য সাধারণত প্রকাশ করা হয় না। এগুলোর মধ্যে অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ একটি নিউ ইয়র্কে অবস্থিত।
ক্যারিয়ার হোটেল নামে নিউ ইয়র্কের ইন্টারনেট ডেটা সেন্টারের অভ্যন্তরে রয়েছে বিশাল সব সার্ভার, বহু নেটওয়ার্ক হাব ও অসংখ্য তারের জঙ্গল। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য সার্বক্ষণিক প্রস্তুত জেনারেটর রয়েছে এখানে। এছাড়া ডেটা সেন্টার ঠাণ্ডা করার জন্য রয়েছে বিশাল কুলিং সিস্টেম


নিউ ইয়র্কের এ ডেটা সেন্টার বা ক্যারিয়ার হোটেলে এটিঅ্যান্ডটি নেটওয়ার্কের সঙ্গে ভ্যারাইজন নেটওয়ার্কের সংযোগ সাধিত হয়েছে।
এছাড়া গুগলের সঙ্গেও তাদের সংযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে বিভিন্ন ইন্টারনেট সার্ভির প্রোভাইডারের আওতায় থাকা গ্রাহকরা যখন গুগলে কোনো বিষয় সার্চ করে তখন তা এ ডেটা সেন্টারের মাধ্যমে গুগলের সার্ভার থেকে তথ্যগুলো পেয়ে যায় চোখের নিমিষে।
বিভিন্ন ইন্টারনেটনির্ভর প্রতিষ্ঠান এ ডেটা সেন্টারে তাদের সার্ভার স্থাপন করতে পারে। আর এতে তারা ওয়েবসাইট ও তথ্য ইন্টারনেটে প্রদর্শন করতে পারে।
নিউ ইয়র্কে মোট পাঁচটি ক্যারিয়ার হোটেল বা ইন্টারনেট ডেটা সেন্টার রয়েছে। এগুলোর কার্যক্রম এতটাই গোপন যে তাদের অধিকাংশ নিজেদের নামও প্রকাশ করতে চায় না।
তাদের মধ্যে দুটির নাম টেলএক্স ও জ্যায়ো। এদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়।ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

অ্যান্ড্রয়েডে বিজ্ঞাপন ব্লক করার ৫টি অসাধারণ অ্যাপ

আপনি যদি একজন অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তবে নিশ্চয়ই ইন্টারনেট ব্রাউজ করা থেকে শুরু করে, ভিডিও দেখা বা গেম খেলার মাঝখানে পপ-আপ অ্যাড খেয়াল করেছেন। কাজের মাঝে বিজ্ঞাপন খুবই বিরক্তিকর, তাই না? এই বিরক্তি থেকেও বাঁচার কিছু ‘অ্যাড ব্লকার’ ক্যাটাগরির অ্যাপলিকেশন রয়েছে। আজ সংক্ষেপে সেই অ্যাপগুলো নিয়ে লেখাটি সাজাতে চেষ্টা করছি।
তাহলে চলুন, ভূমিকায় বসে না থেকে অ্যাপগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

Adblock Plus

এই অ্যাপ্লিকেশনটি ব্যান হয়ে যাওয়ার কারণে আপনি গুগল প্লে স্টোরে খুঁজে পাবেন না। তবে প্লে স্টোর থেকে ব্যান হয়ে গেলেও অ্যাডব্লক প্লাসের নির্মাতারা এখনও তাদের ওয়েবসাইটে অ্যান্ড্রয়েড ভার্সনের জন্য অ্যাডব্লক প্লাস রেখেছে। আপনি তাদের সাইটে গেলেই অ্যান্ড্রয়েডে অ্যাডব্লক প্লাস অ্যাপলিকেশনটি ইনস্টলের জন্য পদ্ধতিগুলো জানতে পারবেন। অনেকেই মনে করে থাকেন অ্যাড ব্লকারগুলো ইনস্টল করার প্রক্রিয়া কিছুটা ঝামেলার তবে অ্যাডব্লক প্লাসের ক্ষেত্রে পদ্ধতিটি খুবই সহজ এবং এটি শুধু অ্যান্ড্রয়েডের জন্যেই নয় বরং ক্রোম, ফায়ার ফক্সের জন্যেও অনেক বিশ্বস্ত এবং ভালো একটি অ্যাড ব্লকিং অ্যাপলিকেশন। এখনই ডাউনলোড করে ইনস্টল করুন। আমি নিশ্চিত আপনি মুগ্ধ হবেন।
ডাউনলোড লিংক: Adblock Plus


NoRoot Ad-Remover Lite

আমার তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবে NoRoot Ad-Remover অ্যাপলিকেশনটি। নাম দেখেই বুঝতে পারছেন যে এই অ্যাপটি ইনস্টল করার জন্য আপনার ডিভাইসটি রুটেড হতে হবেনা। আপনি রুট এক্সেস ছাড়াই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু এটি যেহেতু ‘লাইট’ ভার্সন তাই এটি শুধুমাত্র দুটি অ্যাপলিকেশন পর্যন্ত অ্যাপ ব্লক করবে কিন্তু যদি আপনি এরও বেশি অ্যাপ অ্যাড মুক্ত করতে চান তবে আপনাকে এর প্রো ভার্সনের জন্য খরচ করতে হবে মাত্র ৩.৯৯ ডলার। আসলে প্রো ভার্সনটি যখন গুগল প্লে স্টোরে ছিল তখন ৩.৯৯ ডলার ছিল কিন্তু কোন কারণে এই অ্যাপটিকেও প্লে স্টোর থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে তাই আমি লিংক দিতে পারছি না।
ডাউনলোড লিংক: NoRoot Ad-Remover (Free)


Ad-Vanish Lite

প্রথম দুটি অ্যাপলিকেশনের মতই এই অ্যাপলিকেশনটিও আপনি প্লে-স্টোরে খুঁজে পাবেন না। তবে যে কোন অ্যাপে অ্যাড ব্লকের ক্ষেত্রে এই অ্যাপলিকেশনটিও ভালো কাজ করে। নো রুট অ্যাড রিমোভার লাইটের মতই এই অ্যাপটিও কয়েকটি অ্যাপলিকেশনের জন্য অ্যাড ব্লক করে থাকে।
ডাউনলোড লিংক: Ad-Vanish Lite

TrustGo Ad Detector

মোবাইলের অ্যাডও কিন্তু ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করার ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে। আর এই ব্যাপারটি থেকে যদি আপনি নিজেকে মুক্ত রাখতে চান তবে আপনি ব্যবহার করতে পারেন ট্রাস্ট গো অ্যাড ডিটেক্টর অ্যাপলিকেশনটি। এই অ্যাপলিকেশনটি মূলত প্রতিটি অ্যাডকে স্ক্যান করে এবং আপনার প্রিয় অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসটিকে সুরক্ষিত রাখে। হ্যাঁ, এই অ্যাপলিকেশনটি আপনাকে অ্যাড থেকে মুক্ত করবে না সত্যিই তবে আপনি থাকতে পারবেন নিশ্চিন্তে।
ডাউনলোড লিংক: TrustGo ad Detector (Google Play Store)


AppBrain ad Detector

AppBrain ad Detector অ্যাপলিকেশনটি ট্রাস্ট গো অ্যাড ডিটেক্টরের মতই একটি অ্যাপ যা অপ্রয়োজনীয় পুশ নোটিফিকেশন থেকে, বিভিন্ন স্প্যাম থেকে এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করবে এমন ক্ষতিকর ম্যালওয়ার থেকে আপনাকে সুরক্ষিত রাখে, পাশাপাশি অ্যাড স্ক্যানও করে থাকে অ্যাপটি।
ডাউনলোড লিংক: AppBrain ad Detector (Google Play Store)

শেষ কথা
মজার বিষয় হলেও সত্যি, কোন এক কারণে কার্যকরী মূল অ্যাপ ব্লকারগুলোকে প্লে স্টোর থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তবে আপনি নিশ্চিন্তে উপরের অ্যাপগুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আমি আমার ডিভাইসে অ্যাডব্লক প্লাস ব্যবহার করে আসছি অনেকদিন ধরেই এবং আমার মতে আপনি যদি একবার ইন্সটল করেন তবে এটিই হবে আপনার পছন্দের তালিকায় থাকা অ্যাপগুলোর একটি। অন্যদিকে আমি অন্য অ্যাপগুলো ব্যবহার না করলেও ইনস্টল করে দেখেছি এবং কয়েকটি অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে চেক করেছি নিরাপত্তাজনিত কারণে। কোন সমস্যা পাইনি, আশা করি আপনারাও কোন সমস্যার সম্মুখীন হবেন না।
ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

ফেসবুকে আপনাকে কে ডিলিট বা আনফ্রেন্ড করল তা জেনে নিন

ফেসবুকে প্রতিদিনই আমাদের কত নতুন নতুন ‘ফ্রেন্ড’ হচ্ছে। কিন্তু এরকম হতেই পারে যে, আপনি আপনার ফ্রেন্ডলিস্টের কোনো কোনো বন্ধুকে আর খুঁজে পাচ্ছেন না। বেশ কয়েকটি কারণে এমনটি হতে পারে। ফ্রেন্ডলিস্টের কোনো ফেসবুক বন্ধু যদি তার নিজের একাউন্ট ডিএক্টিভেট করে দেয় তাহলে সাইটটিতে তার বন্ধুরা তাকে আর দেখতে পাবেন না। আপনার কোনো ফেসবুক বন্ধু যদি আপনাকে আনফ্রেন্ড করে দেয় অর্থাৎ ফ্রেন্ডলিস্ট থেকে আপনাকে মুছে ফেলে তাহলে আপনি সেই ‘ফ্রেন্ড’কে আপনার বন্ধুতালিকায় দেখবেন না। কিন্তু ফেসবুকে যাদের ফ্রেন্ডলিস্ট বিশাল, তাদের পক্ষে সব বন্ধুর হিসেব রাখা কঠিন। কে কখন অ্যাড করল কিংবা কে কখন ডিলিট করে দিল তা টের পাওয়া সহজ কাজ নয়। তবে একটি অ্যাপ কিংবা ব্রাউজার এক্সটেনশনের সাহায্যে আপনি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই আপনার ফ্রেন্ডলিস্টে নজর রাখতে পারবেন।

‘হু ডিলিটেড মি অন ফেসবুক’ নামক একটি সার্ভিসের মাধ্যমে আপনি সহজেই জানতে পারবেন ফেসবুকে আপনার কোন ফ্রেন্ড আপনাকে রিমুভ/আনফ্রেন্ড করেছে। এজন্য আপনার কম্পিউটারের ব্রাউজারে ছোট্ট একটি এক্সটেনশন “হু ডিলিটেড মি” ইনস্টল করতে হবে। এরপর ওই ব্রাউজারে আপনার ফেসবুক একাউন্টে ভিজিট করলে কয়েক ঘন্টা পর থেকে নিয়মিতভাবে আপনি আপনার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টের নতুন কিংবা হারানো সদস্যদের সংখ্যা জানতে পারবেন।
কে আপনাকে বন্ধু তালিকা থেকে বাদ দিল কিংবা কোন বন্ধুর একাউন্ট বন্ধ হয়ে গেল সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাবে এই অ্যাপটি। এই লিংক থেকে আপনার গুগল ক্রোম ব্রাউজারে অ্যাপটি ইনস্টল করে নিন। এছাড়া এন্ড্রয়েডের জন্যও অ্যাপটি পাওয়া যাচ্ছে।

ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

একই সাথে একই ব্রাউজারে দুইটি ফেসবুক একাউন্টে যেভাবে লগইন করবেন

সমাজে ফেসবুক এখন গ্রহণযোগ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এরই কল্যাণে অতি সম্প্রতি সিলেটের কিশোর রাজন হত্যাকারীদের সনাক্ত ও ধৃত করতে সহায়তা করেছে। বিচারের দাবীও তীব্রতা পেয়েছে এরই কল্যাণে। আমাদের অনেক সময় একাধিক ফেসবুক একাউন্টে প্রবেশ করতে হয়। বিশেষ করে যারা তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করেন তাদের তো করতেই হয়। এই জন্য বার বার লগ আউট করে আবার অন্য একাউন্টে লগ ইন করা এক মহা ঝামেলা। সেই জন্য অনেকে ভিন্ন ভিন্ন ব্রাউজার ব্যবহার করে থাকেন। চাইলেই এখন মজিলা ফায়ারফক্স বা গুগল ক্রোম থেকে একাধিক আলাদা অ্যাকাউন্টে লগইন করতে পারবেন।

বর্তমানে প্রায় সব ব্রাউজারে ‘প্রাইভেট ব্রাউজিং’ নামে একটা বিশেষ বৈশিষ্ট্য যুক্ত থাকে। এটি ব্যবহারের মাধ্যমে একাধিক আলাদা ই-মেইল বা ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লগইন করতে পারবেন একই সময়ে। সে ক্ষেত্রে ব্রাউজার তার মুড পরিবর্তন করে এবং কোনো ঠিকানা, কুকি, হিস্ট্রি বা ক্যাশ সংরক্ষণ করে না।

গুগল ক্রোমের জন্য টিপসঃ-
ব্রাউজার চালু করে প্রথমে যেকোনো ই-মেইল অ্যাকাউন্ট লগইন করুন। এরপর দ্বিতীয় অ্যাকাউন্ট লগইন করার জন্য Ctrl + Shift + N একসঙ্গে চেপে ইনকগনিটো মুড খুলুন। অথবা ক্রোম ব্রাউজারের ওপরের ডান পাশে মেনু থেকে New incognito Window-তে ক্লিক করলেই হবে। এখানে পরের অ্যাকাউন্টটি লগইন করে নিতে পারবেন। তাহলে এক ব্রাউজার থেকে একসঙ্গে দুটি অ্যাকাউন্টেই ঢোকা যাবে।

ফায়ারফক্সের জন্য -
মজিলা ফায়ারফক্স চালু করে প্রথমে যেকোনো ই-মেইল বা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগইন করুন। এবার File মেনু থেকে New Private Window খুলুন অথবা CTRL + SHIFT + P চেপেও খুলতে পারেন। এটি সক্রিয় হয়ে গেলে এখানের অ্যাড্রেস বারে ঠিকানা লিখে অন্য যেকোনো ই-মেইল বা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট লগইন করতে পারবেন। তবে আপনার ব্রাউজার কখনও কখনও এমনটি সাপোর্ট না-ও করতে পারে।ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

আপনার মোবাইলের নম্বর গোপন রেখে যেভাবে ফোন করবেন

মোবাইলের যুগ আসার পর নম্বর গোপন করা যায় না। আবার এখন ডিজিটাল টিএণ্ডটি ফোন আসার পরেও কলার আইডি সিস্টেমের কারণে নম্বর গোপন থাকে না। তাই নম্বর গোপন রেখে ফোন করার অ্যাপ সম্পর্কে জানুন।

নানা ধরনের অ্যাপ অবশ্য আগে থেকেই রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করা যায় কিন্ত তারজন্য আবার একটি ভুয়া নম্বর ব্যবহার করতে হয়। এজন্য অবশ্য বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। এসব অ্যাপের সাহায্যে কাওকে ফোন করার সময় বদলে ফেলা যায় নিজের মোবাইল নম্বর। এক্ষেত্রে অ্যাপটি ব্যবহারকারীর আসল নম্বর লুকিয়ে রাখে এবং ব্যবহারকারীর দেওয়া অন্য একটি ভুয়া নম্বর প্রদর্শন করে থাকে।

অনেকেই পরিচয় বদলের এই জাতীয় অ্যাপ হিসেবে ব্যবহার করছেন যেমন Voxox, Lifehacker, Spoofcard, Tracebust, CallerIDFaker ইত্যাদি।

এসব অ্যাপের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে Tracebustঅ্যাপটি।

প্রাথমিকভাবে এর ট্রায়াল ভারসন ব্যবহার করা যাবে, কিন্তু পরবর্তীতে ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীকে মূল্য পরিশোধ করতে হবে।

সংবাদ মাধ্যমের এক খবরে বলা হয়েছে, এসব অ্যাপ হতে ফোন করলে বদলে যাবে আপনার ফোন নম্বর। তারপর যদি কন্ঠ পাল্টে দেন, তাহলে তো ফোনের অপর প্রান্তের পরিচিত মানুষটিও আপনাকে চিনতে পারবে না। প্রযুক্তি বিশ্বের এইসব সুযোগগুলো ব্যবহারের সুযোগ নিচ্ছে অনেকেই। তারা এসব অ্যাপ ইনস্টল করে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে মজা করছেন। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিরক্ত এবং উত্যক্ত করার মতো নানা অসামাজিক কাজেরও অভিযোগ উঠেছে। তবে পাওয়ানাদারের কাছ থেকে পাওয়া উদ্ধারে এমন অ্যাপ আপনি ব্যবহার করতেই পারেন।

প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষের সুযোগ-সুবিধা যেমন বৃদ্ধি করেছে, তেমনি মানুষের নানা ধরনের বিরক্তির কারণও হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এসব অ্যাপ ব্যবহারে সকলকেই সজাগ থাকা উচিত। কারণ সামান্য একটি ভুলের জন্য মানুষের জীবনে নেমে আসতে পারে অনেক বড় কোনো বিপর্যয়।

ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

ভ্রমণ বিষয়ক তথ্য জানাবে গুগল

গ্রাহকদের জন্য সেবার পরিধি আরো বিস্তৃত করতে ‘ডেসটিনেশন অন গুগল’ নামে নতুন  ফিচার চালু করেছে গুগল। ফিচারটির মাধ্যমে এখন থেকে গ্রাহকরা ভ্রমণের জন্য গুগলের কাছ থেকেই যাবতীয় সেবা গ্রহণ করতে পারবে বলে এক ব্লগ পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

নতুন যুক্ত হওয়া এই ফিচারে আওতায় গুগল সার্চ ইঞ্জিনে যে কোনো মহাদেশ, দেশ বা অঙ্গরাজ্যের নাম লিখে তার পাশে ‘ডেসটিনেশন’ বা ‘ভ্যাকেশন’ লিখলেই উল্লেখিত দেশ বা অঞ্চলের প্লেনের ভাড়া ও হোটেল ভাড়ার তালিকা একত্রে সামনে চলে আসবে।

এছাড়াও ভ্রমণের দিন পরিবর্তন করার পাশাপাশি সময়ের তারতম্যও বিষয়েও এই ফিচারটি সহায়তা দিয়ে থাকবে। ব্যবহারকারীরা তাদের ভ্রমণের বাজেট, পছন্দ ও ভ্রমণকারীর সংখ্যা অনুযায়ী যে কোন বিষয়ের তথ্য চাইরে গুগল থেকেই জানতে পারবেন ভ্রমণপিপাসুরা।

বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ ভ্রমণ বিষয়ে জানার জন্য অনলাইনের উপরই নির্ভর করে থাকেন। বিষয়টি বিবেচনায় এনেই নতুন এই ফিচার যুক্ত করলো সার্চ জায়ান্ট গুগল।
ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক ৬ কোটি ছাড়িয়েছে

বর্তমানে বাংলাদেশে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ৬ কোটি ১২ লাখ ৮৮ হাজার। ফেব্রুয়ারিতে এই সংখ্যা ছিলো ৫ কোটি ৮৩ লাখ এবং জানুয়ারিতে ছিলো ৫ কোটি ৬১ লাখ।
চলতি বছর মার্চ শেষের তথ্য হিসেবে করে এসব তথ্য জানিয়েছে টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা কিনতেন ৪ কোটি ৪৬ লাখ ২৫ হাজার মানুষ। এই হিসেবে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক প্রায় ৩৮ শতাংশ বেড়েছে।
বিটিআরসির তথ্যে প্রকাশ, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বেশিরভাগই মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা নিচ্ছেন। সম্প্রতি বিভিন্ন ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (আইএসপি) ও পাবলিক সুইচড টেলিফোন নেটওয়ার্কের (পিএসটিএন) ইন্টারনেট গ্রাহক বেড়েছে। তবে ওয়াইম্যাক্স ইন্টারনেটের গ্রাহক কমেছে।

ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

ঘরে ঘরে ইন্টারনেট পৌঁছে দেবে গুগল

পাঁচ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের নির্দিষ্ট কিছু শহরে ফাইবার অপটিক কেব্লের মাধ্যমে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দিচ্ছে গুগল। এবার ঘরে ঘরে দ্রুতগতির তারহীন ইন্টারনেট সংযোগ দিতে চাইছে এই বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। ফাইবার অপটিক কেব্লের মাধ্যমে দূর-দূরান্তে ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার প্রতিষ্ঠান গুগল অ্যাক্সেসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রেইগ ব্যারেট ঘোষণা দিয়েছেন, তাঁরা এমন এক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছেন, যা তারহীন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পৌঁছে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের ঘরে ঘরে।
গবেষণার কাজটি কীভাবে এগোচ্ছে সে সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ব্যারেট জানিয়েছেন, বর্তমানে ব্যবহৃত হচ্ছে এমন ফাইবার অপটিক কেব্লের সংযোগগুলোকে তারহীন প্রযুক্তির টাওয়ারের সঙ্গে যুক্ত করে একটা বড়সড় তারহীন নেটওয়ার্ক তৈরির কাজ চলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা আসলে আমাদের আগের কাজকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছি। যেটা বাণিজ্যিক আকারে আসবে।’
প্রযুক্তিভিত্তিক ওয়েব পোর্টাল আর্সটেকনিকার প্রতিবেদনে জন ব্রডকিন লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের গ্রামাঞ্চলের অনেক স্থানেই অপটিক্যাল ফাইবারের সংযোগ-সুবিধা নেই। সেসব জায়গায় তারহীন ইন্টারনেট সুবিধা চালু আছে। তবে গতি ধীর। গুগল যদি এই গতিকে বাড়িয়ে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে পারে, তবে দারুণ হবে।
প্রজেক্ট ডেসিবল নামের এক প্রতিষ্ঠান তারহীন নেটওয়ার্ক নিয়ে কাজ করছে। এই নেটওয়ার্ক উচ্চকম্পাঙ্কের বর্ণালি (স্পেকট্রাম) ব্যবহার করে গিগাবাইট গতি দিতে পারবে বলে প্রতিষ্ঠানটি ব্রডকিনকে জানিয়েছে। এই বর্ণালিতে থাকবে মিলিমিটার তরঙ্গ, যার কম্পাঙ্ক ৩০ গিগাহার্টজ থেকে শুরু। ব্যবহারকারী তার জানালায় একটি রিসিভার (গ্রাহক যন্ত্র) বসিয়ে এই তারহীন ইন্টারনেটের সংকেত গ্রহণ করতে পারবে। অন্যদিকে, যুক্তরাজ্যের সারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইভ-জি ইনোভেশন সেন্টারের (৫ জিআইসি) একদল গবেষক তাদের গবেষণাগারে ১০০ মিটার দূরত্বে ১ টেরাবাইট ফাইভ-জি গতি অর্জনে সক্ষম হয়েছে বলে এ বছরের শুরুতে ঘোষণা দিয়েছে। এটাই এখন পর্যন্ত অর্জিত সর্বোচ্চ গতি বলে জানা গেছে। সেন্টারের পরিচালক রহিম তাফাজল্লি জানিয়েছেন, ‘এই গতি অপটিক্যাল ফাইবারের সমান।’
গুগল যদি এই গবেষণায় সফল হয়, তবে ইন্টারনেট সুবিধা পৌঁছে দিতে যখন-তখন রাস্তা খুঁড়ে ফাইবার কেব্ল বসানোর ঝামেলায় আর পড়তে হবে না। আবার কমকাস্ট, এটিঅ্যান্ডটি এবং ভেরাইজনের মতো বড় যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কাছেও জিম্মি হয়ে থাকতে হবে না গ্রাহকদের। মোদ্দাকথা, এই গবেষণা সফল হলে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে একটা বড় পরিবর্তন ঘটে যাবে।

ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

আসছে ৫৭ জিবিপিএস গতির ইন্টারনেট

গবেষকরা এই প্রথম ফাইবার অপটিক কেবলের মাধ্যমে ৫৭ জিবিপিএস গতিতে ইন্টারনেট ডাটা প্রেরণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এটি একটি মাইল ফলক।

কেননা, ফাইবার অপটিক কেবলের মাধ্যমে এর আগে এত বিপুল পরিমাণ ডাটা প্রেরণ করা সম্ভবপর হয়নি। এই গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন ইউনিভার্সিটি ইল্লিনয়েস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক।

তারা জানিয়েছেন, কোনো ধরনের ত্রুটি ছাড়াই এই প্রথম ৫৭ জিবিপিএস ডাটা ফাইবার অপটিক কেবলের মাধ্যমে প্রেরণ করা গেলো। এটি একটি রেকর্ড।

গবেষকরা জানিয়েছে, কক্ষ তাপমাত্রায় তারা এই বিপুল পরিমাণ ডাটা প্রেরণ করতে সক্ষম হয়েছেন। এজন্য কেনো শীতলীকরণ যন্ত্র ব্যবহার করা হয়নি। এমনকি তাপমাত্রা যখন ১৮৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছিল তখনও ফাইবার অপটিক্যাল কেবলের মাধ্যমে ৫০ জিবিপিএস গতিতে ডাটা প্রেরণ করা গেছে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, তাদের এই সফলতার ফলে টনকে টন তথ্য ডাটা সেন্টার, এয়ারক্র্যাফট এবং অন্য স্থানে প্রেরণ করা যাবে। ফলে ফোরজি মানের ভিডিও স্ট্রিমিং হবে চোখের পলকেই।

ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

হ্যাকিং থেকে বাঁচাবে গুগল ক্রোম

এ রকম ঘটনা প্রায় সবার সঙ্গেই কমবেশি ঘটে থাকে। আপনি হয়তো কোনো ফ্রিওয়্যার অ্যাপ কিংবা কোনো কিছু ডাউনলোড করতে কোনো সাইটে ঢুকলেন। ঢুকে দেখলেন বড় বড় করে তিন-চার জায়গায় লেখা ‘ডাউনলোড,’ যার বেশির ভাগই আসলে ভুয়া বাটন।

কিন্তু ভুয়া বাটনে ক্লিক করে আপনি যে শুধু বোকা হলেন তা নয়, সঙ্গে সঙ্গে এই একটি ক্লিকেই আপনার কম্পিউটারে ঢুকে যেতে পারে ভয়ংকর কোনো ম্যালওয়্যার, যার মাধ্যমে আপনার কম্পিউটারের সব তথ্য চলে যাবে হ্যাকারদের কাছে।

গুগল এই ধরনের নিরাপত্তা-সংক্রান্ত সমস্যা দূর করার জন্য তাদের ক্রোম ব্রাউজারে নতুন একটি ফিচার যোগ করেছে, যার মাধ্যমে এখন থেকে আপনি এই ধরনের ভয়ংকর সাইটে ঢুকতে চাইলে গুগল আগেই আপনাকে সতর্ক করে দেবে। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবলের একটি প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

নতুন এই আপডেটটি আসলে গুগলের ‘সেফ ব্রাউজিং ফিচার’-এর একটি নতুন সংযোজন, যেটি হয়তো আপনাআপনি পৌঁছে গেছে আপনার ক্রোম ব্রাউজারে। বেশ কয়েকদিন ধরেই গুগল চেষ্টা করছে তাদের ব্রাউজারের ব্যবহারকারীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।

আপনি এই সেবাটি পাচ্ছেন কি না তা নিশ্চিত করতে প্রথমে যান আপনার গুগল ক্রমের প্রেফারেন্সে, সেখানে সেটিংসে গিয়ে ক্লিক করুন অ্যাডভান্সে, অ্যাডভান্স সেটিংসের প্রাইভেসি অপশনে দেখবেন ‘প্রটেক্ট ইউ অ্যান্ড ইওর ডিভাইস ফ্রম ড্যাঞ্জারাস সাইট’ লেখার পাশে একটি ছোট বক্স আছে। ওই খানে ‘টিক’ দিয়ে নিশ্চিত করুন আপনার ব্রাউজিংয়ের নিরাপত্তা।

যদি আপনি এই সেবাটি নিশ্চিত করে থাকেন, তাহলে এর পর থেকে আপনি ভুয়া ডাউনলোড বাটনের কোনো বিপজ্জনক সাইটে প্রবেশ করতে গেলে ক্রোম এই ব্যাপারে একটি লাল রঙের ‘ওয়ার্নিং পেজ’ প্রদর্শন করবে।

সেই পেজেই প্রতারক সাইটের ব্যাপারে আপনাকে সতর্ক করা হবে। সাধারণত এই পেজগুলোতে আপনাকে টোপ ফেলে এমন কোনো ম্যালওয়্যার প্রবেশ করানো হবে, যার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনার পাসওয়ার্ড, ফোন নম্বর কিংবা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য চলে যাবে হ্যাকারদের হাতে।

ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

স্মার্টফোন হারিয়েছেন? গুগলে সার্চ করুন, গুগল খুজে দিবে আপনার মোবাইলটি

অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন হারিয়েছেন? কিছুতেই খুঁজে পাচ্ছেন না? বাসে, ট্রেনে বা রাস্তায় পড়ে গিয়েছে, অথবা বাড়িতেই কোথায় রেখেছেন, কিছুতেই মনে পড়ছে না কোথায় রেখেছেন। এমন তো অহরহ হয়ই। এবার আর চিন্তা নেই। দুশ্চিন্তাগ্রস্ত না হয়ে Google-এর দ্বারস্থ হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। হ্যাঁ, Google-এ সার্চ করলেই পেয়ে যাবেন আপনার হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোনের হদিশ। কী ভাবে? জেনে নিন:- ১. Google সার্চে গিয়ে নিজের জি-মেল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করুন।

২. তারপর Google সার্চ-এ লিখুন, ‘Where is my phone’।

৩. একটি ম্যাপ আসবে। ম্যাপের ওপরে বাঁ দিকে আপনার ফোনের মডেল নম্বর লেখা থাকবে।

৪. Google আপনার ফোনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলে দেবে লোকেশন।

৫. তারপর দুটি অপশন আসবে। একটি অপশন রিং করার জন্য, অপরটি লক করার জন্য। রিং করার অপশনে ক্লিক করলে আপনার ফোনে টানা ৫ মিনিট রিংটোন বাজবে। লক অপশনে ক্লিক করলে মুহূর্তে আপনার ফোন লকড হয়ে যাবে। এরপরেও ফোনটি খুঁজে না পেলে থানায় রিপোর্ট করাই শ্রেয়। মনে রাখবেন, Google-এর এই পরিষেবা শুধুমাত্র অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরাই পাবেন। আইফোন বা মাইক্রোসফট ব্যবহারকারীদের জন্য নয়।

ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

গরিবদের বিনামূল্যে ইন্টারনেট দেবে গুগল

যাদের গিগাবিট ব্রডব্যান্ড ব্যবহারের সামর্থ নেই এমন নিম্ন আয়ের মানুষদের বিনামূল্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দেবে গুগলের ইন্টারনেট সেবা ‘গুগল ফাইবার’। এই কার্যক্রমে আপাতভাবে ১ হাজার ৩০০ বাড়িতে ১০০০ এমবিপিএস এর ইন্টারনেট সেবা দেওয়া হবে।

গুগল ফাইবার জানিয়েছে, বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারকারীরা ৭ সেকেন্ডে একটি এইচডি মুভির সমমানের ফাইল ডাউনলোড করতে পারবে। আর এই বিনামূল্যের ইন্টারনেট সেবায় শুধুমাত্র একটি শহরেই প্রতিবছর গুগলের খরচ হবে প্রায় ১ মিলিয়ন ডলার।

মঙ্গলবার একটি ঘোষনায় গুগলের এই প্রতিষ্ঠান জানায়, আপাতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস সিটি মার্কেটে বিনামূল্যের এই সেবা দেওয়া শুরু হবে। এরপর ধারাবাহিকভাবে যেসব শহরে গুগল ফাইবারের কার্যক্রম আছে সেখানেও এই সেবা চালু হবে।

যদিও এটিই প্রথম নয়। এর আগে অস্টিন, টেক্সাসেস নিম্ন আয়ের মানুষদের বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা দিয়ে আসছে গুগল ফাইবার। তবে সেক্ষেত্রে গিগাবিট গতি দেওয়া হতো না, উচ্চগতি পেতে হলে টাকা পরিশোধ করতে হয়।

বর্তমানে বেশিরভাই আমেরিকান ইন্টারনেট ব্যবহারকারী গড়ে ১২ এমবিপিএস গতি পান, যেখানে সর্বোচ্চ গতি পাওয়া যায় ৫৭ এমবিপিএস।

তবে গুগলের এই কার্যক্রম দেশটির প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার চালু করা কানেক্টহোম প্রকল্পের অধীনে করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। কানেক্টহোম প্রকল্পে ২ লাখ ৭৫ হাজার নিম্ন আয়ের মানুষকে ইন্টারনেটের আওতায় আনা হবে।

তবে গুগলের এই সেবার মাধ্যমে মূল কোম্পানি অ্যালফাবেট লাভবানই হবে। ওয়েবে যত বেশি মানুষ যুক্ত হবে ততোই গুগলের বিভিন্ন অনলাইন ব্যবহারকারী বাড়বে। যা গুগলের প্রধান ব্যবসা সার্চ ও বিজ্ঞাপনের জন্য সুফল বয়ে আনবে।

ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

আপনার জিমেইল আইডি ভুলে গেলে যেভাবে পুনরুদ্ধার করবেন !

অনেক সময় দীর্ঘদিন জিমেইল আইডি ব্যবহার না করায় মেইলের আইডি ভুলে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। অনেকে প্রায়ই এমন বিপাকে পড়েন। তখন পাসওয়ার্ড জানা থাকলেও মেইলে প্রবেশ করা যায় না আসল আইডিটি ঠিকভাবে দিতে না পারায়।
কিছু কৌশল জানা থাকলে অবশ্য এমন বিপত্তি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। এ জন্য খুব বেশি মাথা খাটাতে হবে না, মাত্র কয়েক ক্লিকেই ভুলে যাওয়া জিমেইল আইডি ফিরে পাওয়া যাবে।
এ জন্য প্রথমে এ ঠিকানায় যেতে। এটি জিমেইলের একটি ফিচার। হারিয়ে যাওয়া আইডি খুঁজে পেতে এটি তৈরি করা হয়েছে।
লিংকে প্রবেশ করার পর ‘Forgot your username?’ দেখা যাবে। এখানে দুটি অপশন রয়েছে। এর একটি হলো ‘Enter your recovery email address’ । এখানে আপনার মেইল আইডি চালুর সময় যে রিকভারি মেইল দিয়েছিলেন তা দিতে হবে।

অনেকের আবার রিকভাবি মেইল আইডিও মনে থাকে না। সেক্ষেত্রে টেনশনের কিছু নেই। এমন ক্ষেত্রে ‘Enter your recovery phone number’ অপশনটি কাজে লাগাতে হবে। এতে জিমেইল আইডি খোলার সময় ব্যবহৃত ফোন নম্বরটি দিতে হবে।
এরপর জিমেইল আইডি খোলার সময় দেওয়া প্রথম ও শেষ নাম দিয়ে ‘I am not a robot’ অপশনটি টিক দিয়ে সবমিটে ক্লিক করতে হবে।

তাহলে রিকভারি মেইল অথবা ফোনে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চলে যাবে জিমেইল আইডি সম্পর্কে। ফিরে পাওয়া যাবে ভুলে যাওয়া আইডিটি।

ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

এমন ১০টা শব্দ যা শুধুমাত্র ফেসবুক কর্মচারীরাই বোঝেন

প্রত্যেক কোম্পানিরই নিজস্ব কিছু ভাষা আছে। যা একমাত্র কোম্পানির কর্মচারীরাই বোঝেন। বাইরের কোনও মানুষের পক্ষেই তাদের ওই কোড কথা বোঝার সম্ভব হয় না। ‘ফেসবুক’ও এমন একটি কোম্পানি, যেখানে প্রায় ১২ হাজার কর্মচারী কাজ করেন। তাঁদের কোম্পানিরও নিজস্ব কিছু কোড কথা আছে। যা ফেসবুক ইউজাররা বোঝেন না। এবার ফেসবুকের এমনই ১০টি কোড কথা যেনে নিন
১. টিএনআর ২৫০ (TNR 250)
টিএনআর-এর পুরো কথা হল “The Nouveau Riche 250″। অর্থাৎ হঠাৎ নবাব। ফেসবুক কোম্পানির যে কর্মচারি কোম্পানির ঘরে দশ লক্ষ্য টাকা আয় করাতে পেরেছেন তাঁকেই এই আখ্যা দেওয়া হয়।
২. বুটক্যাম্প (Bootcamp)
এই কোম্পানিতে চাকরি পাওয়ার ৬ সপ্তাহ বাদে নতুন কর্মচারিদের গ্রুপ ঠিক করা হয়। ৬ সপ্তাহ কাটানোর পর তাদের গ্রাজুয়েট বলা হয়। এই গ্রাজুয়েটদের বুটক্যাম্পের মাধ্যমে গ্রুপ নির্ধারণ করা হয়।
৩. ফেসভারসারি (Faceversary)
প্রতি বছর কোম্পানিতে এই অ্যানিভারসারি পালন করা হয়। কোম্পানির প্রতিটি কর্মচারির কাজের দিনের পরিধি অনুসারে এই দিন পালন করা হয়। এর থেকে বোঝা যায় কে কত বছর ধরে কোম্পানিতে কাজ করছেন।
৪. গেম ডে (Game Day)
প্রতি বছর বসন্তকালে এই দিন পালন করা হয়ে থাকে। কোম্পানির কাছাকাছি একটি পার্কে সমস্ত টিমের মেম্বাররা এসে জমায়েত হন। ওই দিন প্রত্যেকেই উজ্জ্বল রঙের জামা পড়েন।
৫. এপিক (Epic)
এটা কোনও বিশেষণ নয়। কোম্পানির প্রধান ক্যাফেটেরিয়াকে এপিক বলা হয়।
৬. লিভিন দ্য ড্রিম (Livin’ The Dream)
স্লোগান নয়, এটাও ক্যাম্পাসের মধ্যে থাকা একটা ক্যাফেটেরিয়া। কোম্পানির প্রথম রাঁধুনির স্বরণে এই ক্যাফেটেরিয়া বানানো হয়েছিল। ২০১৩ সালে একটি বাইক দুর্ঘটনায় মারা যান এই রাঁধুনি।
৭. লিটিল রেড বুক (Little Red Book)
২০১২ সালে এই বই তৈরি করা হয়। সেই বছরই প্রথমবার ফেসবুকের ব্যবহারকারির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১ লক্ষ কোটিতে। এছাড়া এই বইতে ফেসবুকের লক্ষ্যের কথা উল্লেখ করা আছে।
৮. ২০ (20)
কোম্পানির নতুন ক্যাম্পাসের নাম দেওয়া হয়েছে ২০। যেখানে অবসর সময় কর্মচারিরা সাইকেলে ঘুরতে পারবেন। এমনকি ক্যাফেটেরিয়া, রান্নাঘর এবং কনফারেন্স রুমও রয়েছে নতুন ক্যাম্পাসের মধ্যে।
৯. গ্র্যাভিটি রুম (Gravity Room)
অবসর যাপন এবং শুধুমাত্র মজার ছলেই এই গ্র্যাভিটি রুম বানানো হয়েছে। যেই ঘরে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই।
১০. হ্যাকার স্কোয়ার (Hacker Square)
হ্যাকার স্কোয়ার নাম শুনলেই যেন মনে হয় হ্যাক করা হচ্ছে। তবে একেবারেই তা নয়। কারণ এই হ্যাকার স্কোয়ারের মধ্যেই মূলত অনুষ্ঠানগুলি হয়ে থাকে। যেখানে প্রত্যেকজন কর্মচারি একে ওপরের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পান।
ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

জি-মেইল ব্যবহার করুন ইন্টারনেট ছাড়াই।

অনলাইনের এ যুগে তথ্য আদান প্রদানের অন্যতম মাধ্যম ই-মেইল। অফিস আদালত থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত কাজেও মেইলের ব্যবহার বাড়ছে। ধরুণ আপনি একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন। সে সময় কোনো মেইল ওপেন করতে হবে। কিন্তু দেখা গেল ইন্টারনেট নেই। তাহলে উপায়?
ইন্টারনেটের সংযোগ আবার চালুর জন্য অপেক্ষা করার মতো সময়ও নেই। তখন কি হবে? উপায় অবশ্য একটি আছে। জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগলের জিমেইলে রয়েছে অফলাইন সুবিধা।
অফলাইন সুবিধা ব্যবহার করে ইন্টারনেট না থাকলেও জিমেইল ব্যবহার করা সম্ভব। বেশিরভাগেরই জানা নেই এ ফিচারের কথা। তাদের জন্য এ টিউটোরিয়ালে তুলে ধরা হলো অফলাইনে জিমেইল ব্যবহারের টিপসটি। এ ঠিকানাথেকে ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিতে হবে।
প্রথমে ক্রোম ব্রাউজার ইন্সটল করতে হবে। যদি ইন্সটল না থাকে
এরপর  এ ঠিকানায় যেতে হবে। তারপর  Add to Chrome-এ ক্লিক করতে হবে।
এরপর  ওপরে ডান পাশ থেকে Visit Website-এ ক্লিক করতে হবে।
তারপর নতুন পেইজ এলে Allow offline mail নির্বাচন করে Continue-এ ক্লিক করতে হবে।
তাহলে অফলাইন মোডে জিমেইলের ইনবক্স দেখা যাবে। এ পেজই হলো অফলাইন মোডে জিমেইল।
সম্পূর্ণ জিমেইল অর্থাৎ ইনবক্স, আউটবক্স, সেন্ট মেইল, ড্রাফ্টস, ক্যালেন্ডার, ডকস, স্প্রেডশিট ইত্যাদি দেখতে চাইলে বা সম্পাদনা করতে চাইলে ওপরে বাম পাশে Menu ক্লিক করতে হবে।
তাহলে ইন্টারনেট ছাড়াও কোনো সমস্যা ছাড়াই ব্যবহার করুন অফলাইনে জিমেইল সেবা।
ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

৭২ ঘণ্টা আগেই জানা যায় ভূমিকম্প আসছে

ভূমিকম্পেরও পূর্বাভাস হতে পারে। আর তা ভূমিকম্পের ৭২ ঘণ্টা আগেই সম্ভব। নিখুঁতভাবেই সম্ভব। ভূমিকম্প কখনো বলে-কয়ে আসে না। আর এর কথা আগাম জানাও সম্ভব না এমনটাই এতদিন ভাবা হয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা, বিশেষজ্ঞরা এখন বলছেন এই ভূমিকম্পের পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব। 

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সংবাদপত্র আনন্দবাজার এ নিয়ে বিস্তারিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত এক সপ্তাহের মধ্যে পৃথিবীর এ প্রান্ত ও প্রান্ত ধরে চার বার বড় বড় ভূকম্পন হয়ে যাওয়ার পর এ প্রতিবেদনটি সময়োপযোগী ও গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় দেশে বিদেশের পাঠকের কাছে তুলে ধরা হলো- এক সপ্তাহের মধ্যে চার বার বড় বড় ভূকম্পন। 

কখনও কাঁপল ভারতীয় উপমহাদেশ, কখনও কেঁপে উঠল পৃথিবীর পূর্বতম সেই প্রান্ত, যেখানে সূর্যোদয় হয় সবার আগে। কখনও কাঁপল সুদূর লাতিন  আমেরিকা। উপর্যুপরি এত কম্পন কি অশনিসঙ্কেত? বিজ্ঞান বলছে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। পৃথিবীর প্লেটগুলো খুব অল্প সময়ে পর পর কয়েক বার নড়াচড়া করে ফেলেছে বটে, কিন্তু নীল গ্রহের গর্ভে অস্বাভাবিক কিছু ঘটার লক্ষণ এখনও দেখা যায়নি। বরং অনেক আগে থেকেই আজকাল বুঝে নেওয়া যাচ্ছে, পৃথিবীর ঠিক কোন অংশ কখন কাঁপতে চলেছে। আয়নোস্ফেরিক সায়েন্স হল সেই বিজ্ঞান, যা প্রায় নির্ভুল ভাবে বলে দিতে পারে, কোন অঞ্চলে ভূকম্পন হতে চলেছে। কম্পনের অন্তত ৭২ ঘণ্টা আগে সেই আভাস দিতে পারেন 

আয়নোস্ফেরিক সায়েন্সের বিশেষজ্ঞরা। ঠিক কী ভাবে পাওয়া যায় এই আভাস? সত্যেন্দ্রনাথ বসু জাতীয় মৌল বিজ্ঞান কেন্দ্রের সিনিয়র প্রফেসর সন্দীপ চক্রবর্তী বললেন, ‘‘বায়ুমণ্ডলের আয়নোস্ফিয়ারে একটা বিশেষ অস্বাভাবিকতা থেকে বোঝা যায়, ভূমিকম্প আসতে চলেছে।’’ কী সেই অস্বাভাবিকতা? অধ্যাপক চক্রবর্তী জানালেন, আয়নোস্ফিয়ারের সবচেয়ে নীচের স্তরে মুক্ত ইলেকট্রনের সংখ্যা অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে গেলেই বোঝা যায়, কম্পন হবে। উপযুক্ত পরিকাঠামো ব্যবহার করলে এটও বোঝা যায় যে পৃথিবীর ঠিক কোন অঞ্চল কাঁপতে চলেছে। আয়নোস্ফেরিক সায়েন্সের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বায়ুমণ্ডলের আয়ন স্তরে যে সব গ্যাস রয়েছে, সেগুলি আয়নীয় অবস্থায় থাকে, কারণ প্রচণ্ড তাপের কারণে অণুগুলি থেকে ইলেকট্রন ছিটকে বেরিয়ে যায়। সূর্যরশ্মিতে যে অতিবেগুনি রশ্মি এবং অবলোহিত রশ্মি থাকে, তা আয়নোস্ফিয়ারের তাপ অনেক বাড়িয়ে দেয়।

 তার জেরেই গ্যাসের অণু থেকে ইলেকট্রন ছিটকে বেরিয়ে প্রচুর আয়ন তৈরি হয় তার পাশাপাশি প্রচুর ইলেকট্রন সেখানে মুক্ত অবস্থায় ঘুরতে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই পৃথিবীর যে অংশে যখন দিন, সেই অংশের উপরের আয়নোস্ফিয়ারে তখন মুক্ত ইলেকট্রনের সংখ্যা বেশি হয়। যে অংশে রাত, সেখানে মুক্ত ইলেকট্রনের সংখ্যা কম হয়। শুধু তাই নয়, আয়নোস্ফিয়ারের উপরের অংশ বেশি তপ্ত হওয়ায় সেখানে মুক্ত ইলেকট্রন যে সংখ্যায় থাকে, তলার দিকের স্তরে তার চেয়ে ওই সংখ্যা অনেক কম থাকে। 

আয়নোস্ফেরিক সায়েন্স বায়ুমণ্ডলের এই তলার স্তর বা ডি রিজিয়নের ইলেকট্রন সংখ্যা দেখেই বলে দিতে পারে, ভূকম্পের সম্ভাবনা রয়েছে কি না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি দেখা যায় রাতেও আয়নোস্ফিয়ারের ডি রিজিয়নে মুক্ত ইলেকট্রনের সংখ্যা অস্বাভাবিক বেশি, তা হলে বুঝতে হবে সূর্যরশ্মির কারণে নয়, ভূগর্ভ থেকে নির্গত র‌্যাডন গ্যাসের কারণে সেটা হয়েছে। এই র‌্যাডন গ্যাস ভূগর্ভের বিভিন্ন খাঁজে জমে থাকে। 

টেকটনিক প্লেট নড়াচড়া করলে ওই গ্যাস বাইরে বেরিয়ে আসে। তা সোজা আয়নোস্ফিয়ারে পৌঁছে ডি রিজিয়নে আটকায়। সেই গ্যাসের অণু থেকেও ইলেকট্রন মুক্ত হতে থাকে এবং ডি রিজিয়নে মুক্ত ইলেকট্রনের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। 

আয়নোস্ফিয়ারের যে অংশে এই অস্বাভাবিকতা দেখা যায়, সেই অংশের নীচে পৃথিবীর কোন দেশ রয়েছে তা খতিয়ে দেখেন বিজ্ঞানীরা। সেই দেশে বা তার আশেপাশে অবস্থিত টেকটনিক প্লেটেই যে নড়াচড়া হচ্ছে, তা স্পষ্ট ভাবে বোঝা যায় এবং বিজ্ঞানীরা বলে দেন, কোথায় কম্পন হবে। কম্পনের ৭২ ঘণ্টা আগেই এই আভাস দেওয়া যায়।
ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24