১৬ কোটি মানুষের দেশে ১৮ কোটি আওয়ামীলীগ

লেখাটা শুরু করার আগে শিরোনাম নিয়ে ভাবছিলাম – ভাবছিলাম বাংলাদেশের চলমান রাজনীতি নিয়ে যখন লিখবো তখন শিরোনাম দিই " বাংলাদেশের রাজনীতির প্যারাডাইম শিফট" – কিন্তু ছোট ভাই এর সাথে কথা বলার সময় ওর মুখে শুনলাম – ১৬ কোটি মানুষের দেশে ১৮ কোটি আওয়ামীলীগ হয়ে গেছে – শুনে বেশ মজা লাগলো – তাই শিরোনামটা এই ভাবেই দিলাম। 
আসলে কিছু দিন ধরে পর্যবেক্ষন করে এইটা্ই মনে হচ্ছে – বাংলাদেশে আওয়ামীলীগ ছাড়া আর কোন দলই তেমন জনসমর্থন পাচ্ছে না। বিশেষ  করে আমেরিকান এক সংস্থার জরিপ রিপোর্টে বলা হচ্ছে আওয়ামীলীগ আগে চেয়ে বেশী জনসমর্থন ভোগ করছে। আসলে মানুষ ঝামেলা পছন্দ করে না – কারন কাজ মানেই টাকা – টাকার স্বপ্নে বিভোর বাংলাদেশের মানুষ। অন্যদিকে দেখছি – ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা ব্যাপক ভাবে বিজয়ী হচ্ছে – বিএনপির দলী প্রার্থীর চেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীরা বেশী জিতেছে – কিন্তু তাদের সর্বমোট সংখ্যা অনেক কম। এই প্রেক্ষিতেই ছোটভাইএর মন্তব্য – বাংলাদেশে এখন মানুষের চেয়ে আওয়ামীলীগ বেশী – ব্যাঙ্গত্ব এই উক্তির আড়ালে লুকিয়ে আছে আরেক চিত্র। আমার গ্রামের বাড়ীর এলাকা ছিলো দীর্ঘদিনের বিএনপির ঘাটি – সেখানে আওয়ামীলীগ কোন ভাবেই সুবিধা করতে পারতো না। কিন্তু এবারই প্রথম বিএনপির এক ধনাঢ্য নেতা দল বদল করে আওয়ামীলীগে যোগ দিলেও নৌকা প্রতীক পায়নি – সেই স্থানীয় আওয়ামীলীগ আর বিএনপির একটা অংশের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছে – মুল লড়াইটা হচ্ছে আওয়ামীলীগ বনাম আওয়ামীলীগ – বিএনপি দৃশ্যপটের আড়ালে চলে গেছে। এইটাই আসলে বাংলাদেশের চলমান হালচাল। বিএনপি – জামাত থেকে আওয়ামীলীগে যোগদান ঠেকাতে  প্রধানমন্ত্রীকে পর্যণ্ত মুখ খুলতে হয়েছে। 
আসলে হচ্ছেটা কি – গত কয়েক মাস আগে ইসলামী ঐক্যজোটের বিশদল ত্যাগের পর থেকে সরকারের সুর বদলে গেছে – প্রধানমন্ত্রী সুষ্পষ্ট ঘোষনা দিয়ে নাস্তিকতার নামে ইসলাম বিরোধী লেখালেখির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ফলাফল হিসাবে দেখছি বাম-নাস্তিকগ্রুপ প্রচন্ড ক্ষেপে আছে – বিশেষ করে যারা এতোদিন যুদ্ধাপরধী বিচারের দাবীর আড়ালে ইসলাম বিরোধী প্রপাগান্ডা চালাতো – তারা এক কথায় এতিম হয়ে গেছে। অনেক নাস্তিক দেশ ত্যাগ করছে – অনেকে লেখালেখি ছেড়ে দিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সরকারের সুষ্পষ্ট এই অবস্থানের প্রভাব পড়েছে পুরো রাজনীতিতেই। 
অন্যদিকে দেখছি – হেফাযতের নেতারা সুর নরম করে কথা বলছে – সরকারের কাজের প্রশংসা করছে। বিএনপি এতোদিন যাদের নেচারাল সাপোর্ট পেতো – তারা বিএনপির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে সরকারের – মানে আওয়ামীলীগের দিকে ঝুঁকছে। এইটা বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিরাট একটা পরিবর্তন বটে। বামরা এতোদিন আওয়ামীলীগের ন্যাচারাল এলাই হিসাবে ভুমিকা রেখে আসছিলো – তারা এখন প্রকাশ্যে আওয়ামী বিরোধী ভুমিকায় আর এতোদিন যারা আওয়ামীলীগের রিরোধীতা করতো তারা নানান ভাবে আওয়ামীলীগের মিত্রে পরিনত হচ্ছে। 
এই অবস্থায় সবচেয়ে বড় ক্ষতিগ্রস্থ দল হলো বিএনপি – যার প্রভাব আমরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফলে দেখছি। যদিও এই ক্ষেত্রে নির্বাচনে কারচূপীর অভিযোগ তুলে নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন – কিন্তু স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে স্থানীয় নেতাদের শক্তিই বেশী ভুমিকা রাখে – সেখানে স্থানীয় নেতারা সরকারমুখী হয়ে পড়ায় বিএনপি অনেক জায়গায় প্রার্থী দিতেও ব্যর্থ হয়েছে। অন্যদিকে এই দুরবস্থার মাঝেও বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন বাণিজ্যের খবরটা বেশ কৌতুহলপ্রদ বটে। 
প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের রাজনীতিতে নীতিহীনতা আর সুবিধাবাদে এই চিত্রটা আর আড়ালে থাকলো না। রাজনৈতিকদলগুলো গনতন্ত্রহীনতা এবং আভ্যন্তরীন গনতন্ত্রচর্চাকে বাদ দিয়ে এককেন্দ্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহন তৃণমুলকে কেন্দ্র থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। অন্যদিকে বিএনপির ভুল এবং আত্নঘাতি রাজনীতি – বিশেষ করে জামায়াতের এজেন্ডার সাথে তাল মিলাতে গিয়ে আন্দোলনের নামে জনবিচ্ছিন্ন কর্মসূচীতে ্ধারাবাহিক ব্যর্থতা দলের কর্মীদের হতাশ করে ফেলেছে – ফলে ওরা দ্রুত ক্ষমতার স্বাদ পাওয়ার লক্ষ্যে সরকারী দলের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। 
রাজনৈতিক দলগুলো সমর্থন  ক্ষনস্থায়ী বিষয় – নীতী-আদর্শহীন রাজনৈতিক কর্মীরা সময় সুযোগ বুঝে আবারো দল বদলাবে সন্দেহ নেই – সেখানে সুবিধা সেখানেই জিন্দাবাদ। তবে বর্তমান রাজনৈতিক যে পরিবর্তনটা একটা দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে – তা হলো ধর্মভিত্তিক ইস্যুগুলোতে এবার আওয়ামীলীগ অনেকবেশী সুবিধা পেয়ে যাবার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে। একদিএক ভু-রাজনৈতিক পরিবর্তন – বিশেষ করে সৌদি-বলয়ের ব্রাদারহুডের বিষয়ে নেতিবাচক অবস্থানের প্রভাবপড়েছে বাংলাদেশের জামায়াতের রাজনীতিতে – প্রকৃতপক্ষে জামায়াত অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়েছে – ফলে ধর্ম বিষয়ক ইস্যুতে আওয়ামীলীগের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তিহীন হয়ে পড়ায় ইসলামী ঐক্যজোটের মতো দলগুলো বিকল্প সন্ধান করছে এবং ইতোমধ্যে আওয়ামীলীগের সাথে সখ্যতার বিষয়টি দৃশ্যমান হচ্ছে। এতে বিএনপির নেতৃত্বের দূর্বলতা এবং অপরানীতির যেমন ভূমিকা আছে – তেমনি আওয়ামীলীগের সুচতুর রাজনৈতিক কৌশলগুলোও কার্যকরী ভূমিকা রাখছে। ফলাফল – মুসলিম লীগ থেকে বের হয়ে আওয়ামীমীল যে একটা ধর্মনিপপেক্ষ (অনেকের ভাষায় ধর্মহীন) চেহারা তৈরী হয়েছিলো – তা বদলে যাচ্ছে এবং মুসলিমলীগে উত্তরসুরী বিএনপি তাদের ন্যাচারাল এলাই হারাচ্ছে। অবশ্য এই পোলারাইজেশন বিষয়টা সম্পর্কে সম্পূর্ন নিশ্চিত হওয়ার জন্যে আগামী সংসদ নির্বাচন পর্যণ্ত অপেক্ষা করতে হবে। 
তবে একটা বিষয় পরিষ্কার – দীর্ঘদিনে পর্যবেক্ষন থেকে বলা যায় আওয়ামীলীগে ঐতিহাসিক মিত্র সিবিপি এখন আওয়ামীলীগ থেকে হাজার ্মাইল দুরে অবস্থান করছে – বিশেষ করে সংবিধানের ১৫তম সংশোধনীতে "বিসমিল্লাহ" এবং ইসলাম রাষ্ট্র ধর্ম হিসাবে বহাল রাখার জন্যে শেখ হাসিনার একক সিদ্ধান্তের পর বামদলগুলো যারা প্রকৃতপক্ষে ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীন রাষ্ট্র চায় তারা আওয়ামীলীগের মিত্রশক্তি হিসাবে ইস্তফা দিয়েছে এবং সে জায়গা আসন পেয়েছে ইসলামপন্থী রাজনৈতিক কয়েকটি গোষ্ঠী এবং দল। তাদের পরামর্শ এবং প্রভাবে আওয়ামীলীগ ইসলামপন্থী দলগুলোর সাথে দুরত্ব কমিয়ে আনার প্রেক্ষিতে আজকের এই রাজনৈতিক পোলারাইজেন।এই পোলারাইজেনশন বাংলাদেশের রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা আনতে কতটা ভুমিকা রাখবে – তা সময়ের উপর ছেড়ে দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। কারন ইসলাম এবং আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার সাথে যে মৌলিকদন্দ্ব আছে – সেইগুলো কিভাবে মোকাবেলা করা হয় – তার উপরই এই সমঝোতার বিষয়ের সাফল্য নির্ভর করছে। তবে এক সময় না এক সময় এই দ্বন্ধ সামনে আসবেই – তখন আবার নতুন করে অস্থিরতা আর পোলারাইজেন হবে।  
ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

মোবাইলের নেশা কাটানোর ৫ উপায়

কিছুতেই চোখ সরাতে পারছেন না নিজের মোবাইলের স্ক্রিন থেকে? কীভাবে মুক্তি পাবেন এই নেশা থেকে? রইল হদিশ।
আপনি কি মোবাইলে আসক্ত? রাস্তা পার হন বা টয়লেটে থাকুন— কিছুতেই কি চোখ সরাতে পারেন না মোবাইলের স্ক্রিন থেকে? রাতে বিছানায় শোওয়ার পরেও ফেসবুক বা হোয়াটস অ্যাপের মেসেজ চেক না করলে কি ঘুম আসে না চোখে? জেনে নিন এই নেশা কাটানোর কয়েকটি উপায়—

১. কাজ থেকে বাড়িতে ফেরার পরে মোবাইলটিকে সাইলেন্ট করে দিন। খুব প্রয়োজন না থাকলে ফোনটিকে কোনো ড্রয়ার বা আলমারিতে রেখে দিন। আধ ঘন্টা বা এক ঘন্টা পরে ফোন বার করে দেখুন ইতিমধ্যে কোনো জরুরি ফোন বা মেসেজ এসেছে কি না। এই নিয়ে অযথা দুশ্চিন্তা না করে কল ব্যাক করুন বা মেসেজের রিপ্লাই দিন।
২. অফিসে থাকাকালীন টয়লেট যেতে হলে মোবাইলটিকে রেখে যান নিজের ডেস্কে।
৩. আপনি যখন রাস্তায়, তখন নিজের চারপাশের পরিবেশের দিকে মনোযোগ দিন। আশপাশের মানুষজনের দিকে তাকান, তাদের পোশাক-আশাক লক্ষ করুন। রাস্তা ষদি ফাঁকা থাকে তাহলে দেখুন আকাশের অবস্থা, বা তাকান গাছপালার দিকে। আর রাস্তা পেরনোর সময়ে অবশ্যই তাকান ট্র্যাফিক সিগনালের দিকে। মোট কথা মোবাইল থেকে মন সরান।
৪. গাড়ি চালানোর সময়ে মোবাইলটিকে সাইলেন্ট করে নিজের নজরের বাইরে রেখে দিন। বাসে-ট্রামে থাকাকালীন মোবাইলে গান শোনা, গেম খেলা বা ভিডিও দেখার অভ্যেস ছাড়তে হবে। দরকার হলে সাময়িক ভাবে নেট-অফ করে দিন। বাস-ট্রামের জানলা দিয়ে বাইরের দৃশ্য উপভোগ করার অভ্যেস গড়ে তুলুন।
৫. দিনে অন্তত ১০-১৫ মিনিট মেডিটেশন বা অন্য কোনো মেন্টাল রিল্যাক্সেশন এক্সারসাইজের জন্য নির্ধারিত রাখুন। শুধু মোবাইল-নেশা নয়, যেকোনো ক্ষেত্রেই নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করার এটি একটি কার্যকর উপায়।
ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে টাকা আয়ের সুযোগ

ফেসবুকে আপনি জনপ্রিয়? জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে ফেসবুক থেকে অর্থ আয়ের সুযোগ পাবেন আপনি। সফল ফেসবুক পোস্টের জন্য শিগগিরই অর্থ আয়ের সুযোগ করে দিতে যাচ্ছে ফেসবুক। শিগগিরই এ নিয়ে একটি ফিচার ফেসবুকে দেখা যাবে।
সম্প্রতি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ একটি জরিপ চালিয়েছে, যাতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে ফেসবুকে ভেরিফায়েড ব্যবহারকারীদের জন্য অর্থ আয়ের একটি ফিচার চালু করতে পারে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
আইএএনএসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফেসবুকের নতুন ফিচার ব্যবহার করে ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে যে পোস্ট দেওয়া হবে, এতে ‘টিপ জার’ যুক্ত করতে পারবেন ব্যবহারকারী। ওই টিপ জারে পাঠকদের অর্থ দান করার জন্য অনুরোধ করা যাবে।
এখনই সাধারণ ফেসবুক ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে অর্থ আয়ের কোনো সুযোগ রাখছে না ফেসবুক। তাদের এই ফিচারটি অনেকটাই ইউটিউবে ভিডিও পোস্টের মতো, যেখানে সফল ভিডিও নির্মাতারা বিজ্ঞাপন বাবদ প্রচুর অর্থ আয় করার সুযোগ পান।
ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, ফেসবুক পোস্ট থেকে অর্থ আয় করার সুযোগ সৃষ্টির বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, কিন্তু ফেসবুকের সহযোগীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই অর্থ আয়ের মডেল দাঁড় করানোর বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ। বর্তমানে তাদের কাছ থেকে প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করছি।

ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

ফেসবুকে খবর পড়ার নতুন সুবিধা

ফেসবুকে যাঁরা খবর পড়তে পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য বিশেষ সুবিধা আনছে ফেসবুক। ফেসবুক মোবাইল অ্যাপে ‘নিউজ সেকশন’ নামের একটি ফিচার যুক্ত করছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
ফেসবুকের নতুন এই ফিচার অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস দুই প্ল্যাটফর্মেই ব্যবহার করা যাবে। এটি হবে আইওএস প্ল্যাটফর্মের জন্য ফেসবুকের তৈরি ‘ফেসবুক পেপার’ অ্যাপটির মতো।

প্রযুক্তি-বিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবল টেককে নিশ্চিত ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফেসবুকের নিউজ ফিড পরিবর্তন আনার বিষয়টি পরীক্ষা চালাচ্ছে তারা। গত শুক্রবার ফেসবুকের নতুন এই বিভাগের স্ক্রিনশট টুইটারে উঠে আসে। এই ফিচারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট শিরোনামভিত্তিক একাধিক খবরের উৎস থেকে খবর জানার সুযোগ পাবেন ব্যবহারকারী।
ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

ফেসবুক গ্লোবাল ডেভেলপার কনফারেন্সে ফিচার হয়েছে ‘গো-বিডি’

ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রনাসিস্কোতে অনুষ্ঠিত ফেসবুকের ডেভেলপমেন্ট কনফারেন্স এফএইটে ফিচার হয়েছে বাংলাদেশি টেক কোম্পানি গো-বিডির রিয়েল টাইম ট্রাফিক আপডেট অ্যাপ গো-ট্রাফিক।
সাড়া পৃথিবী থেকে নির্বাচিত ২০টি পার্টনার ব্যবহার করছে ফেসবুকের অ্যাকাউন্ট কিট ফিচার, যার মধ্যে গোবিডিও রয়েছে।অ্যাকাউন্ট কিট ফিচারটির মাধ্যমে মোবাইল এবং ওয়েবের ইউজার অথেনটিকেশন সার্ভিসটি পাওয়া যাবে। অন্যান্য টেক কোম্পানির মধ্যে ছিল পিন্টারেস্ট, ফ্লিপকার্ট এবং ভারতের মিউজিক স্ট্রিমিং সার্ভিস সাভান।
গোবিডির কো-ফাউন্ডার এবং সিটিও শাগতা প্রতিক জানান, ‘এটা আমাদের জন্য বেশ সম্মান জনক এক ব্যাপার। ইউজার এক্সপেরিয়েন্স সেবা এবং স্ট্রিমলাইনের মাধ্যমে এখন আমরা আগের চেয়ে ভালভাবে ব্যবসা চালিয়ে নিতে পারব।ফেসবুক ইঞ্জিনিয়াররা এসব ব্যাপারে অনেক বেশী সাহায্য করছে। ভবিষ্যতেও আমরা ফেসবুক ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে কাজ করে যাব।’

এসডি এশিয়া আয়োজিত ফেসবুকের এফএইট মিটআপ ঢাকা রাউন্ডেও তাদের অর্জনের কথা জানিয়েছেন গো-বিডির কো-ফাউন্ডার এবং সিওও ফারহান রাহমান।বিশ্বজুড়ে ডেভেলপার কমিউনিটিকে এক ছাদের নিচে নিয়ে এসেছে এই ইভেন্ট। মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ওপেন সোর্স টেকনোলজির সব কিছুকেই নিয়েই এই এফএইট।
এই বছর এসডি এশিয়া ‘এফএইট মিট-আপ’-এর জন্য এসডি এশিয়া ১৩০ জনের বেশি স্টার্টআপ সিইও, মার্কেটিং এক্সপার্ট, উদ্যোক্তা, ডেভেলপার, ছাত্র এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের মাধ্যমে গোবিডির প্রথম ফিচার গো! ট্রাফিক যাত্রা শুরু করে। এখন তাদের দুই লাখেরও বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে। সম্প্রতি তারা ‘গোফেচ’ নামে নতুন একটি লজিস্টিক সার্ভিস শুরু করেছে।
ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

আইনস্টাইনের চেয়েও বুদ্ধিমান

লন্ডনের কিশোর এগারো বছরের অওম আমিন বুদ্ধিমত্তার সূচক নির্ধারণকারী আইকিউ পরীক্ষায় কিংবদন্তী বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন আর স্টিফেন হকিং-এর থেকে দুই পয়েন্ট বেশি নম্বর পেয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছে।
যারা প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন তাদের আইকিউ পরীক্ষা করে বিশ্বের বহু পুরনো সংগঠন মেনসা। মেনসার এই পরীক্ষার ফলাফল জানিয়ে আমিনকে যে চিঠি দিয়েছে তাতে তারা জানিয়েছে, অওম আমিন  এখন বিশ্বের সবচেয়ে বুদ্ধিমান এক শতাংশ মানুষের মধ্যে একজন। আর পাঁচটা কিশোরের মত অওম আমিনও স্টার ওয়ারস্ ছবির পোকা। কিন্তু বুদ্ধির দিক দিয়ে সে অবশ্যই আর পাঁচজন সাধারণ কিশোরের থেকে অনেক আলাদা। মেনসার পরীক্ষায় তার স্কোর ছিল ১৬২, যা পদার্থবিদ আইনস্টাইন ও হকিংয়ের স্কোরের চেয়ে দুই পয়েন্ট বেশি। তবে অওম আমিন বলেন,
আমি মোটেই বলব না এই দুইজন বিজ্ঞানীর থেকে আমার বুদ্ধি বেশি – যদিও আইকিউ পরীক্ষায় আমি তাঁদের থেকে বেশি নম্বর পেয়েছি। তাঁদের প্রতিভা অসাধারণ। তাঁরা আমার হিরো। আমি তাঁদের মত হতে চাই। – বিবিসি

ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

ইন্টারনেট ছাড়াই চলবে হোয়াটস অ্যাপ!!

সকালে অফিসে ঢুকতে না ঢুকতেই হোয়াটস অ্যপ বসের মেসেজটা পেলাম। বিনা ইন্টারনেটেই নাকি হোয়াট্‌সঅ্যাপ করা যাবে। সত্যি! তা হলে তো আমার-আপনার মতো সকলের পোয়াবারো। ভাবুন, এই অ্যাপ দিয়ে প্রতি দিন অজস্র ছবি বা মেসেজ চালাচালি তো রয়েইছে। অফিস কলিগদের কাছ থেকে কত অসংখ্য গান যে নিজের মুঠোফোনে পুরেছেন, সে খেয়াল আছে। এখন সেই হোয়াটস অ্যাপ যদি ফ্রি অব কস্টে আপনার মোবাইল জীবনের সঙ্গী হয় তবে কী কাণ্ডই না হবে। সুত্র-আনন্দবাজার
হোয়াটস আ্যাপ মেসেজ, ছবি বা গান চালাচালি করতে গ্যাঁটের কড়ি খরচ করতে হয় না ঠিকই। কিন্তু, ইন্টারনেটের কানেকশন না থাকলে যেমন আপনার মোবাইলে ওয়েবসাইট ব্রাউজ করা যায় না তেমন ভাবেই হোয়াটস অ্যাপও করা যায় না। ফলে, এই অ্যাপের ব্যবহারে ঘুরিয়ে নাক ধরার মতো সামান্য হলেও আপনার পকেট ফাঁকা হয়।
Sources: itworld

ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24