স্বাস্থ্য পরিচর্যা সম্পর্কে ইসলামের দিক- নির্দেশনা


কোরান-সুন্নাহর আলোকে স্বাস্থ্য
সুরক্ষার বিষয়টি অধিক গুরুত্ব পেয়েছে।
সুস্থতাই সবার কাম্য। রাসুল (সা.)
হাদিসে ইরশাদ করেছেন, ‘যে ঈমানদার
ব্যক্তির শারীরিক শক্তি আছে,
তিনি শ্রেষ্ঠ ও আল্লাহর নিকট প্রিয়। কারণ
ইবাদত করার জন্য শারীরিক
শক্তি প্রয়োজন। তার পথে সংগ্রাম করার
জন্য শক্তি প্রয়োজন। শারীরিক
শক্তি আল্লাহ তায়ালার অন্যতম শ্রেষ্ঠ
নেয়ামত। হাদিস শরিফে রাসুল (সা.)
পাঁচটি অমূল্য সম্পদ হারানোর
পূর্বে এগুলোর গুরুত্ব প্রদানের
কথা বলেছেন। এর অন্যতম হচ্ছে স্বাস্থ্য ও
সুস্থতা। স্বাস্থ্য ও
চিকিৎসা সম্পর্কে ইসলামে রয়েছে বিশদ
আলোচনা। স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও রোগ
প্রতিরোধের বিষয়ে ইসলাম সর্বোচ্চ
গুরুত্ব দিয়েছে। সতর্কতা সত্ত্বেও
কোনো রোগ-বালাইয়ে আক্রান্ত
হয়ে গেলে এর সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার
প্রতিও রয়েছে জোরালো তাগিদ।
স্বাস্থ্য রক্ষার পরপরই ইসলাম রোগ
প্রতিরোধের প্রতি জোর তাগিদ
দিয়েছে। রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ
করতে উৎসাহিত করেছে। আধুনিক
চিকিৎসা বিজ্ঞানের সে¬াগান হচ্ছে-
চিকিৎসার চেয়ে রোগ প্রতিরোধ উত্তম।
এজন্য আমরা দেখতে পাই, যে বিষয়গুলোর
কারণে মানুষের রোগ হয় ইসলাম আগেই
সেগুলোকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে।
রাসুল (সা.) রোগের প্রতিষেধক
হিসেবে মধুর কথা বিশেষভাবে উল্লেখ
করেছেন। গবেষণা করে দেখা গেছে,
একমাত্র মধুর ব্যবহারেই হাজারো রকমের
কঠিন-জটিল রোগ থেকে অতি অল্প
সময়েই আরোগ্য লাভ করা সম্ভব।
মানবদেহের সুস্থতার জন্য যত প্রকার
ভিটামিন আবশ্যক তার শতকরা ৭৫ ভাগই মধুর
মধ্যে বিদ্যমান। চিকিৎসা শাস্ত্র মতে মধু
অপেক্ষা শক্তিশালী ভিটামিনযুক্ত পদার্থ
পৃথিবীতে সৃষ্টি হয়নি। ইসলাম
মানবপ্রকৃতির সহায়ক ও উপযোগী একটি ধর্ম।
মানবজীবনের সামগ্রিক দিক পূর্ণাঙ্গ ও
যথাযথ আলোচিত হয়েছে ইসলামে।
মানুষের জীবনের সব প্রয়োজনের কথাই
উল্লেখ রয়েছে। একান্ত ব্যক্তিগত
বিষয়গুলো সম্পর্কেও ইসলামের সুস্পষ্ট
নির্দেশনা পাওয়া যায়। রাসুল (সা.)
বলেছেন, ‘নিশ্চয় তোমার ওপর তোমার
শরীরের হক আছে।’ স্বাস্থ্য
রক্ষা করা শরিয়াতের তাগিদ। এর যথেচ্ছ
ব্যবহার করা যাবে না। কোরান-সুন্নাহ
এবং ইসলামি শরিয়াত স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য
যেমন গুরুত্ব
দিয়েছে তেমনি তা কার্যকরের ফলপ্রসূ
উপায় বাতলে দিয়েছে। যেমন,
নেশা জাতীয় দ্রব্য হারাম করা, পরিমিত
আহার, সময়ানুগ খাবার গ্রহণ ইত্যাদি।
কাজেই স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সচেষ্ট
হওয়া প্রত্যেক মুসলমানের ঈমান ও
বিশ্বাসের দাবি।
মাওলানা মিরাজ রহমান

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »