একটি এলাকায় নারীদের তালিম করার
বর্নণা, ঠিক এমনটাই-
একটি আলাদা ঘরে পূর্ণ পর্দার
সাথে সপ্তাহে দুই দিন শুক্রবার ও সোমবার
বাদ যোহর দ্বীনি বিষয় ও
মাসআলা মাসায়েল আলোচনা করা হয়।
একজন মহিলা মজলিসটি পরিচালনা করেন।
এতে আশপাশের মহিলারাই অংশগ্রহণ
করেন। তবে পাঁচ-ছয় মাইল
দূরবর্তী এলাকার স্বল্প সংখ্যক মহিলাও
অভিভাবকের অনুমতিক্রমে মাহরাম
ছাড়া এসে থাকেন। পাঁচ-ছয় মাইল দূর
থেকে মাহরাম ছাড়া আসাকে কেন্দ্র
করে কিছু মানুষ প্রশ্ন তুলেছে।
এখানে জানার বিষয় হলো তিনটি- ক)
পার্শ্ববর্তী ও পাঁচ-ছয় মাইল দূর
থেকে পর্দার সাথে মহিলাদের মাহরাম
ছাড়া আসাটা কেমন? খ)
পর্দা রক্ষা করে কোনো মহিলা নিজ
বাড়িতে তালীমের
ব্যবস্থা করতে পারবে কি না?
ক) মহিলাদের শিক্ষার ব্যবস্থা প্রধানত
নিজ ঘরেই হওয়া চাই। তারা মাহরাম পুরুষ
যথা বাপ, দাদা, আপন ভাই, চাচা, মামার
কাছে দ্বীন শিক্ষা করবে। হ্যাঁ,
মাহরামদের মধ্যে যোগ্য আলেম
না পাওয়া গেলে নিজ মহল্লার
কোনো দ্বীনী শিক্ষায় শিক্ষিত
দ্বীনদার মহিলার নিকট গিয়ে দ্বীন
শিক্ষা করবে। তবে শর্ত হল,
স্বামী বা অভিভাবকের
অনুমতি নিয়ে পূর্ণ শরয়ী পর্দার
সাথে আসা যাওয়া করবে এবং সন্ধ্যার
পূর্বেই ঘরে পৌঁছে যাবে। তাই
কোনো মহল্লায় মহিলারা কর্তৃক
আয়োজিত তালীমের মজলিসে অন্য
নারীরা আসতে পারেন। তবে পাঁচ-ছয়
মাইল দূর
থেকে এভাবে তালীমে আসা সমীচীন
নয়; তারা নিজেদের মহল্লায় তালীমের
ব্যবস্থা করবেন
এবং ঘরে বসে দ্বীনী কিতাবপত্র পাঠ
করবেন। [সূরা আহযাব : ৩৩; আহকামুল কুরআন,
জাসসাস ৩/৩৬০]
খ) প্রত্যেক নর-নারীর প্রয়োজনীয় দ্বীন
শিক্ষা করা ফরজ। আর পূর্ণ পর্দার
সাথে অভিজ্ঞ
শিক্ষিকা দ্বারা দ্বীনী শিক্ষার
ব্যবস্থা করা প্রশংসণীয় ও ছওয়াবের কাজ।
মহিলাদের জন্য দ্বীনী তালীমের
ব্যবস্থা করেছেন স্বয়ং রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
হাদীস শরীফে আছে, একদিন
মহিলা সাহাবীগণ নবী করীম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর
কাছে আরয করলেন, পুরুষদের
কারণে আমরা আপনার
নিকটবর্তী হতে পারি না। তাই
আপনি আমাদের জন্য আলাদা একটি দিন
নির্ধারণ করুন। তিনি তাদের জন্য
বিশেষভাবে এক দিনের ওয়াদা করলেন
এবং বললেন, তোমরা অমুক দিন অমুকের
বাড়িতে একত্র হও। এরপর তিনি সেদিন
তাদের কাছে গিয়ে ওয়াজ করলেন।
[সহীহ বুখারী ১/২০; উমদাতুল কারী ২/১২৩ ]
বর্নণা, ঠিক এমনটাই-
একটি আলাদা ঘরে পূর্ণ পর্দার
সাথে সপ্তাহে দুই দিন শুক্রবার ও সোমবার
বাদ যোহর দ্বীনি বিষয় ও
মাসআলা মাসায়েল আলোচনা করা হয়।
একজন মহিলা মজলিসটি পরিচালনা করেন।
এতে আশপাশের মহিলারাই অংশগ্রহণ
করেন। তবে পাঁচ-ছয় মাইল
দূরবর্তী এলাকার স্বল্প সংখ্যক মহিলাও
অভিভাবকের অনুমতিক্রমে মাহরাম
ছাড়া এসে থাকেন। পাঁচ-ছয় মাইল দূর
থেকে মাহরাম ছাড়া আসাকে কেন্দ্র
করে কিছু মানুষ প্রশ্ন তুলেছে।
এখানে জানার বিষয় হলো তিনটি- ক)
পার্শ্ববর্তী ও পাঁচ-ছয় মাইল দূর
থেকে পর্দার সাথে মহিলাদের মাহরাম
ছাড়া আসাটা কেমন? খ)
পর্দা রক্ষা করে কোনো মহিলা নিজ
বাড়িতে তালীমের
ব্যবস্থা করতে পারবে কি না?
ক) মহিলাদের শিক্ষার ব্যবস্থা প্রধানত
নিজ ঘরেই হওয়া চাই। তারা মাহরাম পুরুষ
যথা বাপ, দাদা, আপন ভাই, চাচা, মামার
কাছে দ্বীন শিক্ষা করবে। হ্যাঁ,
মাহরামদের মধ্যে যোগ্য আলেম
না পাওয়া গেলে নিজ মহল্লার
কোনো দ্বীনী শিক্ষায় শিক্ষিত
দ্বীনদার মহিলার নিকট গিয়ে দ্বীন
শিক্ষা করবে। তবে শর্ত হল,
স্বামী বা অভিভাবকের
অনুমতি নিয়ে পূর্ণ শরয়ী পর্দার
সাথে আসা যাওয়া করবে এবং সন্ধ্যার
পূর্বেই ঘরে পৌঁছে যাবে। তাই
কোনো মহল্লায় মহিলারা কর্তৃক
আয়োজিত তালীমের মজলিসে অন্য
নারীরা আসতে পারেন। তবে পাঁচ-ছয়
মাইল দূর
থেকে এভাবে তালীমে আসা সমীচীন
নয়; তারা নিজেদের মহল্লায় তালীমের
ব্যবস্থা করবেন
এবং ঘরে বসে দ্বীনী কিতাবপত্র পাঠ
করবেন। [সূরা আহযাব : ৩৩; আহকামুল কুরআন,
জাসসাস ৩/৩৬০]
খ) প্রত্যেক নর-নারীর প্রয়োজনীয় দ্বীন
শিক্ষা করা ফরজ। আর পূর্ণ পর্দার
সাথে অভিজ্ঞ
শিক্ষিকা দ্বারা দ্বীনী শিক্ষার
ব্যবস্থা করা প্রশংসণীয় ও ছওয়াবের কাজ।
মহিলাদের জন্য দ্বীনী তালীমের
ব্যবস্থা করেছেন স্বয়ং রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
হাদীস শরীফে আছে, একদিন
মহিলা সাহাবীগণ নবী করীম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর
কাছে আরয করলেন, পুরুষদের
কারণে আমরা আপনার
নিকটবর্তী হতে পারি না। তাই
আপনি আমাদের জন্য আলাদা একটি দিন
নির্ধারণ করুন। তিনি তাদের জন্য
বিশেষভাবে এক দিনের ওয়াদা করলেন
এবং বললেন, তোমরা অমুক দিন অমুকের
বাড়িতে একত্র হও। এরপর তিনি সেদিন
তাদের কাছে গিয়ে ওয়াজ করলেন।
[সহীহ বুখারী ১/২০; উমদাতুল কারী ২/১২৩ ]