আশ্চর্য্য সেই ঝুলন্ত বাগান

আসলে আমাদের পৃথিবীটাই পরতে পরতে লুকানো একটা রহস্য ভান্ডার । বর্তমানে বাস্তবে নেই এর অস্তিত । তবে এটা এখনো দখল করে রয়েছে প্রাচীন সপ্তাশ্চার্য ও মিথ এর পাতায় ।

আসুন জানি সেই প্রাচীন আশ্চর্য সম্বন্ধে ।


1) ঝুলন্ত উদ্যানের কোন অস্তিত্ব নেই কিন্তু এটি পৃথিবীর প্রধান সপ্তাশ্চার্যের একটি।

2) ব্যবিলনের শুন্যদ্যানের আজ পর্যন্ত কোন অস্তিত্ত্ব পাওয়া যায়নি কিন্তু এটি থাকার কিছু পৌরানিক প্রমান পাওয়া যায়।


3) বিভিন্ন রোমক এবং গ্রিক সাহিত্যিকগণ বাগান সম্পর্কে প্রচুর লেখা লিখেছেন। এবং ইহা কে, কেন, কার জন্য, আকৃতি এবং কোথায় তৈরি করা হয়েছিলো এসব তথ্যও তাদের লিখা হতেই জানা যায়।

4) তবে রাজা ২য় নেবুচাঁদনেজার তার স্ত্রীকে খুশী করতে এটি তৈরি করেন এ সম্পর্কে সবচাইতে বেশি ইতিহাসবীদ ও কবি সাহিত্যিক একমত হয়েছেন।

5) রাজা ২য় নেবুচাঁদনেজার খ্রিস্টপুর্ব ৬০সালে (সময়কাল ৪৩ বছর) এটি তৈরি করেন।

6) ব্যাবিলনের শূন্য উদ্যান বা ঝুলন্ত বাগান ইরাকের ইউফ্রেটিস নদীর তীরে খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ অব্দে নির্মিত হয়।

7) জানা যায় প্রায় ৪০০০ শ্রমিক রাতদিন পরিশ্রম করে তৈরি করেছিল এই বাগান। বাগান পরিচর্যার কাজে নিয়োজিত ছিল ১০৫০ জন মালী।

8) ৫ থেকে ৬ হাজার প্রকার যুলের চারা রোপণ করা হয়েছিল এই ঝুলন্ত বাগানে।

9) বাগানে প্রতিদিন ৮২,০০০ গ্যলন পানি প্রয়োজন ছিল যা একটি পাইপের সাহায্যে জলাশয় হতে তোলা হতো।

10) ৫১৪ খ্রিস্টাব্দে পার্শ্ববর্তী পারস্য রাজ্যের সাথে এক ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে এই সুন্দর উদ্যানটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যায়।

ইতিহাস থেকে জানা যায় , সম্রাট নেবুচাডনেজার ছিলেন বিলাস প্রবন এবং অনেক সৌখিন । তার রানীর জন্য এটি তৈরি করেছিলেন বলে মনে করা হয় । ব্যাবিলন বা বর্তমান ইরাক মরুভূমি , আর তার রানীর জন্মস্থান ছিলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক দেশে । ফলে তিনি এটি রানীর পরিবেশের উপযুক্ত স্থান তৈরি করতে এটি নির্মান করেন বলে মনে করা হয় ।

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »