ইদুর প্রজাতির একটি আশ্চর্য প্রাণী লেমিং , যারা দলবেঁধে আত্মহত্যা করে ৷ কারণ এরা নিজ থেকে বা
বুঝে শুনে সিদ্ধান্ত নিয়ে আত্মহত্যা করে৷ ইঁদুর প্রজাতির এই প্রাণী যখন দলবেঁধে যখন আত্মহত্যা করতে যায়,তখন পৃথিবীরকোনো শক্তি এদের আটকে রাখতে পারে না।এদের আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায়,যখনই লেমিং জগতে হঠাৎ করে খাবারের অভাব দেখা দেয় বা বসবাসের জায়গা পছন্দ হয়না বা জনসংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়, তখন নিজেদের
অবস্থার ভারসাম্য বজায় রাখতে গিয়ে এরা
দলবেঁধে আত্মহত্যা করে ৷ দল বেঁধে আত্মহত্যা করতে যাচ্ছে লেমিং আত্মহত্যার সময় কিন্তু সব লেমিংরাই মরতে যায় না ৷ কেবল যে পরিমাণে আত্মহত্যা করলে বাসস্থানের অভাব দূর হবে বা খাবারের ঘাটতি পড়বে না, কেবল সেই পরিমাণ লেমিং আত্মহত্যা করতে যায়৷ কারা আত্মহত্যা করবে সে বিষয়টিও তারা সুন্দরভাবে সিদ্ধান্ত নেয়৷ প্রথমে মরতে রাজি হয় বুড়োরা ৷ স্ত্রী-পুরুষ সব বুড়োকেই প্রয়োজনে মরতে যেতে হবে৷ এটা যেন ওদের নিয়ম ৷ তারপরও যদি অধিকসংখ্যক লেমিং মরার প্রয়োজন হলে অপেক্ষাকৃত বয়সীদের হিসেব করা হয় । প্রথমে পুরুষদের এবং পরে নারীদের৷ কারণ একটি স্ত্রী লেমিং অনেকদিন পর্যন্ত বাচ্চা দিতে সক্ষম ৷
তবে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এই আত্বহত্যাকারী প্রানীর মিথটি সম্বন্ধে অন্য যুক্তি ও আছে । মূলত দলবেধে পাহাড়ের উপর থেকে এদের যখন এক অভিযাত্রী প্রথম ঝাপ দিতে দেখেছিলেন , তখন থেকে প্রচলন হয় এরা সেচ্ছা আত্বহত্যা করে । কিন্তু বৈজ্ঞানিক অন্য এক গবেষনায় দেখা যায় মূলত এদের প্রজনন বা সন্তান জন্মদান ক্ষমতা বেশি । সে কারনে এদের জনসংখ্যা ও বৃদ্ধি হয় দ্রুত । এদের তখন খাদ্য ও বাসস্থানের জন্য অনত্র নতুন আশ্রয়ের জন্য ছুটতে হয় । এরা তখন দলবেধে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে ছুটতে থাকে । ছুটতে ছুটতে পাহাড় এর কিনারে এসে নদীতে না পড়া পর্য্যন্ত হুশ থাকেনা । তবে নদীতে পড়লেও এরা সাতরে অন্য কিনারে এসে ওঠে ঠিকই । ঠিক এই অবস্থাকে সম্ভবত অভিযাত্রী আত্বহত্যা ভেবে ভূল করেছিলেন ।
মূলত দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা আত্বহত্যাকারী ইদুরের চলে আসা মিথের কারন এটি ।
সূত্র --
https://en.wikipedia.org/wiki/Lemming