যুগ প্রবাহে , কালের গর্ভে বিলীন হয় অনেক সভ্যতা । বদলে যায় সম্পূর্ণ প্রকৃতির চেহারা । ভাঙা গড়ার খেলা বোধহয় প্রকৃতিতে এমনভাবে চলে ।
সুন্দরবন বরাবরই রহস্যময়।আর রহস্যের আড়ালেই এবার সুন্দরবনের ভিতরে মিলেছে প্রাচীন বৌদ্ধবিহারের খোজ।
ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার রায়দিঘির কঙ্কনদিঘিতে মিলল ষষ্ঠ ও সপ্তম শতকের বৌদ্ধ বিহারের নিদর্শন | কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের সহযোগিতায় শুরু হয়েছে খননকার্য |
খননে সাহায্য করছে ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব সর্বেক্ষণ ও রাজ্য প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। গতবছর ঢিবিরবাড়িতে খননে মিলেছিল ষষ্ঠ ও সপ্তম শতকের বৌদ্বদের ধনদেবতা জম্ভলের পোড়া মূর্তি সহ গণমূর্তি, শামুকের চিহ্নযুক্ত ইট, পোড়া মাটির প্রদীপ, লোহার টুকরো, পাথরের নকশা ও পাথরে পায়ের ছাপ। এবারের খননে মিলেছে শামুকের খোল, নানান আকৃতির ইট, লোহার টুকরো, হাড়ের টুকরো, প্রচুর পোড়া কাঠ, একাধিক ধূসর ও কালো রঙের মাটির পাত্র ও খ্রিষ্টজন্মের কয়েকশো বছরের পুরনো লাল-কালো রঙের মাটির পাত্র। এ ছাড়া ষষ্ঠ-সপ্তম ও অষ্টম-নবম শতকের ইটের তৈরি বিশাল মেঝে।
এই নিদর্শন দেখে মনে হয়, সেই সময় এখানে মানুষের বসবাস ছিল।গবেষকদের অনুমান, এই অঞ্চলে বৌদ্ধ বিহারের অবস্থান ছিল এবং এখানে প্রাচীন কালে মানুষের বসতি ছিল |২০০ বছর পূর্বে সুন্দরবনের প্রকৃত আয়তন ছিলো প্রায় ১৬,৭০০ বর্গ কিলোমিটার যা কমে এখন ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটারে এসে ঠেকেছে এই সুন্দরবনের ৬,০১৭ হাজার বর্গকিলোমিটার পড়েছে বাংলাদেশ সীমানায় ।