ভারতের দশ ভৌতিক যায়গা


ভারতের বাছাই দশ ভৌতিক জায়গা

-----------------------------------

ভৌতিক জায়গা হিসেবে ভারতে এক নম্বর

 জায়গায় আছে রাজস্থানের ভানগড় কেল্লা |

 সেখানে নাকি রানি রূপমতীর প্রেতাত্মা

 সবাইকে ভয় দেখায় | তাই সূর্যাস্তের পরে

সেখানে প্রবেশ নিষেধ | কিন্তু সব প্রচার

 ভানগড় কেড়ে নিলে চলবে কী করে ? অন্য জায়গার ভূতরা কি

ঘাসে মুখ দিয়ে চলে | ভারতে আরও ভৌতিক

জায়গা আছে | তাই‚ এই লেখায় ভানগড় বাদে ভারতের অন্য


 ভৌতিক জায়গা নিয়ে বলা হল |



 ব্রিজ রাজ ভবন:
রাজস্থানের কোটায় এই ব্রিজরাজ ভবন ১৭৮ বছরের পুরনো |

 কোটার রাজ পরিবারের এই বাসস্থান ১৯৮০-তে রূপান্তরিত হয়

 হেরিটেজ হোটেলে | ব্রিটিশ আমলে এখানে থাকতেন সাহেবরা |
 
 সেরকমই একজন ছিলেন ব্রিটিশ কর্মচারী মেজর বার্টন | সিপাই

 বিদ্রোহের সময় দুই ছেলে -সহ তাঁর হত্যা হয় এই প্রাসাদে | শোনা

 যায়‚ এখনও তাঁর পুরনো বাড়ির মায়া কাটিয়ে উঠতে পারেননি

বার্টন সাহেব | তবে তিনি কারওর ক্ষতি করেন না | এখানকার

অধিবাসীদের মতে ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের ঘটনার পর

থেকে এই যায়গাটি ভৌতিক হবার শুরু ।

 http://seeksghosts.blogspot.com.tr/2014/04/haunted-brij-raj-bhavan-palace.html

ডাউ হিল:




কার্সিয়াং-এর এই মনোরম জায়গার ভূতের বদনাম আছে | বোর্ডিং

স্কুলের জন্য বিখ্যাত হলেও এখানে পাহাড়ের আঁকে বাঁকে পাক


 খায় রহস্য | ঘন জঙ্গলে ঢাকা এই পাহাড়ে অনেক মৃত্যু হয়েছে |

 পথের এধারে ওধারে পড়ে থাকে হাড়গোড় | স্থানীয় কাঠুরেরা

বলেন‚ বনের মধ্যে সন্ধেবেলা স্কন্ধকাটা একটা ছায়া নিজের থেকেই

আসে আবার চলে যায় | পর্যটকদের আনাগোনা দিন দিন এখানে

বেড়ে চলেছে এর রহস্যময় কাহিনীর কারন থেকে । দার্জিলিং থেকে

৩০ কি.মি দুরত্বে যায়গাটি অবস্থিত ।


 http://www.indiatvnews.com/news/india/dow-hill-of-kurseong-one-of-india-s-most-haunted-places-20062.html

ফিরোজ শাহ কোটলা :

ফিরোজ শাহ তুঘলকের সাধের কেল্লা এখন ভূতুড়ে জায়গা | এখানে

ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে মৌর্য সাম্রাজ্যের বেশ কিছু নিদর্শনও |

বেলেপাথরের তৈরি এই সৌধে এখন সেভাবে পা পড়ে না

পর্যটকদের | বেশ কিছু আত্মহত্যার ঘটনাও এখানে ঘটেছে | বলা

হয়‚ এখানে ঘুরে বেড়ায় অশরীরী আত্মা এবং জিন | সত্যাসত্য

জানা

না গেলেও এর চারপাশের সব বিল্ডিং-এর মুখ কিন্তু অন্যদিকে |

ফিরোজ শাহ কোটলার দিকে নয় |

শনিওয়ারওয়াড়া ফোর্ট :


 ১৭৪৬ সালে তৈরি এই পুণের দুর্গ ছিল পেশবাদের অধীন | ১৮১৮

সালে ব্রিটিশদের কাছে আত্ম সমর্পণ করে মারাঠা পেশবারা | কথিত‚
 এই দুর্গে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছিল ১৩ বছরের এক

রাজকুমারকে | তার আত্মা ঘুরে বেড়ায় এখানে | মাঝরাতে শোনা

যায় তার আর্ত চিৎকার | উপদ্রব বাড়ে পূর্ণিমা রাতে |

 মালচা মহল :

দিল্লিতে বুদ্ধ জয়ন্তী পার্কের পাশে আছে এই কেল্লা | বানিয়েছিলেন

ফিরোজ শাহ তুঘলক | চতুর্দশ শতকে‚ শিকার করার সময় থাকার

জায়গা হিসেবে | বহু পরে‚ ১৯৮৫ সালে এই কেল্লা দেওয়া হয়

বেগম ওয়ালায়াৎ মহলকে | তিনি ছিলেন অযোধ্যার নবাব ওয়াজেদ

আলি শাহ্-এর বংশধর | তিনি বহু তদ্বির করে ভারত সরকারের

কাছ থেকে এই সম্পত্তি পেয়েছিলেন থাকার জায়গা হিসেবে | সঙ্গে

ছিলেন যুবরাজ রিয়াজ এবং রাজকন্যা সাকিনা |

১৯৯৩ সালে বেগম হিরের গুঁড়ো খেয়ে আত্মহত্যা করেন | ১০ দিন



ধরে তাঁর দেহ পড়েছিল লেখার টেবিলের উপর | এই দশ দিন ধরে

মায়ের মৃতদেহর সঙ্গে একই ঘরে থাকত দুই সন্তান | পরে তাঁর

সমাধি খুঁড়ে দেহ পুড়িয়ে দিতে বাধ্য হয় দুই সন্তান | কারণ ওই

সমাধিতে সম্পত্তির জন্য লেগেই থাকত চোরের উপদ্রব | দেশের

ভৌতিক জায়গার মধ্যে অন্যতম এই মালচা মহল |

রামোজি ফিল্ম সিটি :

হায়দ্রাবাদের এই শ্যুটিং তথা পর্যটন কেন্দ্র নাকি তৈরি হয়েছে এক

যুদ্ধক্ষেত্রের উপর | এই স্থানে সুদূর ইতিহাসে প্রাণ হারিয়েছেন বহু

মানুষ | শোনা যায়‚ প্রায়ই ভৌতিক আধিভৌতিক অভিজ্ঞতা হয়

এখানে | এবং‚ ভূত বাবাজির টার্গেট হন মেয়েরা | ছেলেরা নন |


অগ্রসেন বা উগ্রসেন কি বাওলি:
মধ্য দিল্লির কনট প্লেসের আধুনিকতার মধ্যে ঘুমিয়ে আছে এক

টুকরো অতীত | মহাভারতের সমসাময়িক কোনও এক খ্রিস্টাব্দে

 তৈরি করেছিলেন মহারাজা অগ্রসেন বা উগ্রসেন | এটা স্টেপ

ওয়েল‚ বা ধাপ কুয়ো | ক্ষরার হাত থেকে বাঁচার উদ্যোগ | শোনা

যায়‚ কালো জলে ভর্তি এই কুয়ো নাকি মানুষকে ডাকত | জলের

 দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আত্মহত্যা করত অসংখ্য সম্মোহিত

 মানুষ | তাদের আত্মাই নাকি ঘুরে বেড়ায় এখানে‚ পি কে-র থাকার

 জায়গায় |

দুমাজ বিচ:


গুজরাতে আরবসাগরে কোলে এই বিচ ভর্তি কালো বালিতে |

 কোনও এক সময়ে এটা ছিল শ্মশান | এখনও নাকি এখানে শোনা

যায় আধিভৌতিক কান্না আর চিৎকার |


https://en.wikipedia.org/wiki/Dumas_Beach


জি পি ব্লক:

উত্তরপ্রদেশের মীরাটে এই ব্লকে দাঁড়িয়ে আছে তিন তিনটে বহুতল |
কিন্তু পরিত্যক্ত | ভৌতিক বদনাম ছড়িয়ে যাওয়ায় কেউ থাকে না

কয়েক দশক ধরে | শোনা যায়‚ মাঝে মাঝে এখানে কয়েকজন

ছায়াশরীরকে মোমবাতির আলোয় মদ্যপান করতে দেখা যায় |


১৩ নম্বর টানেল:

শিমলা শহরের ভৌতিক জায়গা | পাহাড়ের কোলে এই সুড়ঙ্গে ঘুরে


বেড়ায় কর্নেল বারোগ | ছিলেন ব্রিটিশ আমলে রেলওয়ের

ইঞ্জিনিয়ার
 
 |  তবে কর্নেল নাকি খুব ভাল মানুষ | কাউকে বড় একটা বিরক্ত


করেন না |

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »