এবার ঘরে বসেই মাত্র ৪০ মিনিটে পাসপোর্ট করুন!


এবার ঘরে বসেই মাত্র ৪০ মিনিটে পাসপোর্ট করুন!
নতুন নিয়মে বাসায় বসে অনলাইনের মাধ্যমে পাসপোর্টের ফর্ম পূরণ করে পাসপোর্ট অফিসে জমা দিয়ে ৪০ মিনিটে সব কাজ শেষ করা যায়। তাও বিনা ঘুষে। আসুন আমরা জেনে নেই কিভাবে অনলাইনে পাসপোর্ট করে সহজে জমা দেওয়া যায়।


প্রথমে অনলাইনে ফর্ম পূরণ:
আপনি অনলাইনে ফরম পূরণের জন্য প্রথমেই যাবেন পাসপোর্ট অফিসের এই সাইটে – http://passport.gov.bd
সতর্কতার সাথে একাউন্ট করুন। আপনার নাম ও ব্যক্তিগত তথ্যাদি ( যেমন নামের বানান, পিতা-মাতার নাম ) যেন শিক্ষাগত সার্টিফিকেটের মতই হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। টাকা জমা দেয়ার তারিখ এবং রিসিট নাম্বার উল্লেখ করুন। সবশেষে আপনি যেদিন ছবি তোলা ও হাতের ছাপ দেয়ার জন্য বায়োমেট্রিক টেস্ট দিতে যেতে চান, সুবিধামত সেই দিনটা নির্বাচন করে সাবমিট করুন। অর্থ্যাৎ আপনি নিজের পছন্দসই সময়েই যেতে পারবেন। পুনরায় চেক করার পর সবশেষে সাবমিট করুন। সফলভাবে সাবমিশন শেষ হলে পূরণকৃত ফর্মের একটি পিডিএফ কপি আপনার মেইলে চলে আসবে।
তারপর যা করতে হবে:
আপনি জমা দেয়ার আগে ফর্মের প্রিন্ট এবং সত্যায়ন আপনার পূরণকৃত ফর্মের যেই পিডিএফ কপিটা পেয়েছেন, সেটার ২ কপি কালার প্রিন্টকরে ফেলুন। যেসব জায়গা হাতে পূরণ করতে হবে সেগুলো করে ফেলুন। আপনার সাইন দিন। এবার নিজের ৪ কপি ছবি, জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং পাসপোর্ট ফর্ম নিয়ে পরিচিত কোন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার কাছ থেকে সত্যায়িত করে নিন।
পরিচিত কাউকে দিয়ে সসত্যায়ন করানো দরকার এই কারণে যে, ঐ কর্মকর্তার নাম, যোগাযোগ, ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার ও ফোন নাম্বার ফর্মে লিখতে হয়। সত্যায়ন শেষে পুরো ফর্মটি আবারও চেক করুন। সত্যায়িত ছবি এবং সাথে জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপিটি নিন। আপনার ফর্ম জমা দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।
পাসপোর্ট অফিসের পাশে সোনালী ব্যঙ্কে জরুরী পাসপোর্ট করতে চাইলে ৬০০০ টাকা আর সাধারণ ভাবেকরতে চাইলে ৩০০০ টাকা জমা দিন। রশিদটি আঠা দিয়ে ফর্মের উপর সংযোজন করে নেন। ছবি তোলা এবং অনান্য কাজের জন্য আপনার নির্বাচন করা তারিখে পাসপোর্ট অফিসে আসতে হবে। এক্ষেত্রে সকাল ৯ টার মধ্যে আসলে ভাল হবে। তাহলে কোন লাইনে দাঁড়াতে হবে না আপনাকে। সরাসরি মেইন গেইট দিয়ে মূল অফিসে যান। সেখানে দায়িত্বরত সেনাসদস্যকে জিজ্ঞেস করুন কোন রুমে যাবেন ।
প্রথমে আপনাকে আট তলায় যেয়ে ফর্ম দেখিয়ে আনতে হবে। খুবই অল্প সময়ের কাজ। ৮০৩ নাম্বার রুম। এবার ৮ তলা থেকে আসততে হবে ৩ তলায়। সেখানে এসেই আসল কাজ। প্রথমে আপনার ফর্মটি চেক করবে এবং সাইন করে দেবে। সাইন শেষে আপনাকে জানিয়ে দেয়া হবে ছবি তোলার জন্য কোন রুমে যাবে। ঐ রুমগুলো ঠিক পাশেই। সিরিয়াল আসলে ছবি তুলুন, ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিন। আপনার কাজ শেষ!
এবার আপনাকে পাসপোর্ট রিসিভের একটা রিসিট দেবে। সেটা যত্নসহকারে রাখুন। পুলিশ ভেরিফিকেশন সাপেক্ষে রিসিট পাওয়ার একমাস বা ১৫দিনের মধ্যেই আপনি পাসপোর্ট পেয়ে যাবেন।
পুলিশ ভেরিফিকেশান:
পুলিশ ভেরিফিকেশানের ক্ষেত্রে যদি আপনার স্থায়ী আর বর্তমান ঠিকানা আলাদা হয়, তবে দুই জায়গাতেই আপনার ভেরিফিকেশান করবে। পুলিশের এস বি (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) এই কাজটা করে থাকে। ভেরিফিকেশান করতে পুলিশ বখশিশ চাইলে দিবেন না। তবে বাসায় আসলে যতটুকু সন্মান করতে পারেন। ভেরিফিকেশন শেষ হলে আপনার মোবাইলে এস এম এস আসবে।
যেদিন এস এম এস আসবে তারপরেই আপনি পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে পারবেন। রিসিট নিয়ে পাসর্পোট আফিসে যান। রিসিট জমা দিন। আপনার নাম ডাকলে সাইন করে বুঝে নিন আপনার পাসপোর্ট। প্রসঙ্গত, দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাসপোর্ট অফিস আছে। সেখানে আপনি পাসপোর্ট করতে পারেন। তবে আপনার বর্তমান ঠিকানা যদি ঢাকা হয়, তাহলে এখান থেকেই পাসপোর্ট করতে পারেন।
আলাদা করে দেশের বাড়ির জেলা অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »