গরমে পানিস্বল্পতা রোধেকরনীয়।

গরমকালে দিনের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি পায় ও সূর্য
রশ্মির তাপে শরীর থেকে প্রচুর পানি বের
হয়ে যায়। 


এ পানির ঘাটতি পূরণের জন্য অনেক
বেশি তরল পান করা প্রয়োজন। এ ঘাটতি
পূরণের জন্য ঘোল হতে পারে আদর্শ।
ঘোল বা ছানার পানি বিভিন্ন দেশে একটি
উপাদেয় পানীয় হিসেবে পরিচিত। দুধ হতে
ছানা অপরাসরণের পর অবশিষ্টাংশই ঘোল
নামে পরিচিত। এতে দুধের কেজিনপ্রোটিন
(Casein) ছাড়া আর সব উপাদানই বিদ্যমান।
এটি মূলত পনির উৎপাদনের একটি প্রধান
উপজাত। ঘোল লেবু, কাঁচা মরিচ, জিরা, খনিজ
লবণ ও পুদিনা দিয়ে তৈরি করা যায়।
শরীর গরম হয়ে গেলে নানা ধরনের সমস্যা
দেখা দিতে পারে। মুখে ব্রণ, দানা দানা
ওঠা, বমি বমি ভাব, পেটের সমস্যা থেকে শুরু
করে আরও বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে।
শরীরকে সুস্থ-সবল রাখার জন্য ঠাণ্ডা রাখা
সবচেয়ে প্রয়োজন। প্রচুর পরিমাণে পানি
খাওয়া প্রয়োজন। পানির পাশাপাশি কিছু
খাবার আছে যা আপনার শরীরকে ভেতর
থেকে ঠাণ্ডা করে দেবে।
শসা:
শসা শরীরকে ভেতর থেকে ঠাণ্ডা করে
থাকে। সালাদ হোক বা এমনি প্রতিদিন শসা
খান। এটি শরীরের তাপ কমিয়ে ভেতর থেকে
ঠাণ্ডা করে থাকে।
দুধ:
প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস দুধে কয়েক
ফোঁটা মধু মিশিয়ে খান। সারা দিন শরীর
ঠাণ্ডা ও ক্লান্তিহীন থাকবে।
বাঙ্গি:
শরীর ঠাণ্ডা করতে এ ফলটির জুড়ি নেই।
অনেকেই এ ফলটি খেতে পছন্দ করেন না, তবে
গরমে শরীর ঠিক রাখতে এ ফলটির ওপরে
ভরসা করা যায়।
পুদিনা পাতা:
এটি আপনার শরীর ভেতর থেকে ঠাণ্ডা করে দেবে।
তিল:
তিল ভেজানো পানি পান করুন।
জিরা বা মৌরি
রাতে কিছু জিরা বা মৌরি ভিজিয়ে রাখুন,
সকালে উঠে পান করুন। এটি সারা দিন শরীর ঠাণ্ডা রাখবে।
ডাবের পানি:
তপ্ত আবহাওয়ায় শরীর ঠিক রাখতে ডাব বা
নারিকেলের পানির তুলনা নেই। বাইরে
কোল্ড ড্রিংক্স বা অন্য কোনো পানি পান
না করে ডাব খান, দেখবেন শরীর ঠাণ্ডা হয়ে
গেছে।
ডালিম:
নিয়মিত ডালিমের রস খেলে শরীরে পানির
ঘাটতি হয় না এবং শরীরে ঠাণ্ডা থাকে।
টিপসঃ
* গরমে বেশি তেল ও মশলাযুক্ত খাবার
খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
* শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য
লবণ-চিনি দেয়া লেবুর শরবত, ডাবের পানি,
দইয়ের ঘোল খেতে পারেন।
* রাস্তার কাটা ফল বা ফলের রস খাওয়া
থেকে বিরত থাকুন।
* পেট পরিষ্কার রাখতে বেশি পরিমাণে
পানি ও শাকসবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন।
* গরমে রাতে হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা
করুন। সালাদ বেশি পরিমাণে খান।
* শরীরের প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে
প্রাণিজ প্রোটিন না খেয়ে উদ্ভিজ প্রোটিন
খাওয়ার চেষ্টা করুন। যদি এসিডিটি না
থাকে তাহলে পাঁচমিশালি ডাল খেতে
পারেন। ডাল রান্না করার আগে ৫ মিনিট
ভিজিয়ে রাখতে পারেন, তবে ডাল থেকে
এসিডিটি হওয়ার আশংকা কমে যায়।
সূত্র: যুগান্তর

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »