বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনর্নিবন্ধনের গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে আঙুলের ছাপ না মেলায় দুর্ভোগে পড়েছে নাগরিকরা। এর জন্য সিম পুনর্নিবন্ধনের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে আঙুলের ছাপের সমস্যা সমাধানে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অর্থাৎ যাদের আঙুলের ছাপে সমস্যা আছে তাদের জন্য ঢাকার জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ ছাড়াও উপজেলা ও জেলা নির্বাচন অফিসে হালনাগাদের বিশেষ ব্যবস্থা চালু করেছে ইসি।
আগামী ৩০ এপ্রিল শনিবার বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনর্নিবন্ধনের সর্বশেষ সময় বেঁধে দেয়ায় হয়েছে।
বুধবার মাঠ পর্যায়ের নির্বাচন অফিসগুলোতে এ সংক্রান্ত সেবা দ্রুত দেয়ার জরুরি নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে ইসির কর্মকর্তারা জানান।
তারা জানান, মাঠপর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ব্যস্ততা থাকলেও আদালতের বাধ্যবাধকতার কারণে আঙুলের ছাপ হালনাগাদের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে হালনাগাদ করতে হবে। এ জন্য প্রতিটি জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসে একটি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। যাদের আঙুলের ছাপে সমস্যা আছে তারা সংশ্লিষ্ট অফিসে গিয়ে হালনাগাদ করে সিম পুনঃনিবন্ধন করতে পারবেন।
এদিকে, সিম নিবন্ধন কাজে সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, গত সপ্তাহ পর্যন্ত ৬ কোটি ৩৫ লাখেরও বেশি গ্রাহকের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনর্নিবন্ধন করেছে। এর বাইরে ৬২ লাখেরও বেশি গ্রাহকের আঙুলের ছাপ জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে মিলেনি। যাদের আঙুলের ছাপ মিলেনি তাদের নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
আঙুলের ছাপ নিয়ে নাগরিকদের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক সৈয়দ মুহাম্মদ মূসা বলেন, ‘কিছু কিছু মানুষের আঙুলের ছাপের সমস্যা হচ্ছে। আমরা তাদের আঙুলের ছাপ হালনাগাদের জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বায়েমেট্রিক সিম পুনর্নিবন্ধনের কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই আঙুলের ছাপ হালনাগাদের সুযোগ দেয়া হয়েছে।’
এক এলাকার ভোটার অন্য এলাকায় গিয়ে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন অফিসে আঙুলের ছাপ দিয়ে আসতে পারবে, তা বাস্তবায়নের নির্দেশনাও আছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, গত ১০ এপ্রিল ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানান, গত বছর ডিসেম্বরে শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত পাঁচ কোটি ৪৫ লাখ সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনর্নিবন্ধিত হয়েছে। যা মোট সিমের ৪২ শতাংশের মতো। অবশ্য মোট সিমের মধ্যে আট কোটি বর্তমানে সক্রিয় বলে অপারেটরদের ধারণা।
প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ‘আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনর্নিবন্ধন শেষ করব। এর মধ্যে যেগুলোর নিবন্ধন হবে না- সেগুলোর গ্রাহককে নিবন্ধনে বাধ্য করতে কয়েক ঘণ্টা করে সিম বন্ধ ও এসএমএস দিয়ে সতর্ক করা হবে।’
সুত্রঃ বাংলামেইল২৪ড