দুয়া ও জিকির বিষয়ক


০১. প্রশ্নঃ নিদ্রা যাওয়ার সময় কোন দুআ পাঠ করতে হবে?
উত্তরঃ নিদ্রা যাওয়ার সময় দুআঃ
আরবীঃ
بِاسْمِكَ اللهُمَّ أَمُوتُ وَأَحْيَا
উচ্চারণঃ বিসমিকা আল্লাহুম্মা আমূতু ওয়া আহইয়া।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তোমার নামে মৃত্যু বরণ করছি, তোমার নামেই।
০২.  প্রশ্নঃ নিদ্রা থেকে জাগ্রত হয়ে কোন দুআ পাঠ করতে হবে?
উত্তরঃ নিদ্রা থেকে জাগ্রত হয়ে দুআঃ
আরবীঃ
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ
উচ্চারণঃ আল হামদু লিল্লাহিল্লাযী আহইয়ানা বাদা মা আমাতানা ওয়া ইলাইহিন্নুশূর।
অর্থঃ সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর যিনি আমাদেরকে মৃত্যুর পর জীবিত করেছেন। আর তার কাছেই আমাদেরকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।
০৩.  প্রশ্নঃ আযানের শেষে পঠিতব্য দুআটি কি?
উত্তরঃ আযানের শেষে পঠিতব্য দুআঃ
আরবীঃ
اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلَاةِ الْقَائِمَةِ آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُودًا الَّذِي وَعَدْتَهُ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা রাব্বা হাজিহিদ্‌ দওয়াতিত্‌ তাম্মাহ ওয়াস্‌ সালাওয়াতিল কায়িমাহ আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতি ওয়াল ফযীলাহ ওয়াবআছহু মাকামাম্মাহমূদানিল্লাজি ওয়াআদতাহ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! এই পরিপূর্ণ আহবান এবং এই প্রতিতি নামাযের তুমিই প্রভূ। মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে দান কর সর্বোচ্চ সম্মানিত স্থান এবং সুমহান মর্যাদা। তাঁকে প্রতিষ্ঠিত কর প্রশংসিত স্থানে যার অঙ্গিকার তুমি তাঁকে দিয়েছো।
০৪. প্রশ্নঃ ওযুর শুরুতে কি পাঠ করতে হবে?
উত্তরঃ ওযুর শুরুতে পাঠ করতে হয়ঃ
আরবীঃ
بسم الله
উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহ। (ছাড়া অন্য কোন দুআ পড়া বিদআত।)
০৫. প্রশ্নঃ ওযুর শেষে কোন দুআ পাঠ করলে বেহেস্তের আটটি দরজাই খুলে দেয়া হবে?
উত্তরঃ ওযুর শেষে এই দুআ পাঠ করলে বেহেস্তের আটটি দরজাই খুলে দেয়া হয়ঃ
আরবীঃ
أشْهَدُ أنْ لإَاِلَهَ إلاَّاللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أنَّ مُحَمَّدًاعَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ
উচ্চারণঃ আশহাদুআল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লাশারীকালাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু।
০৬. প্রশ্নঃ মসজিদে প্রবেশের দুআ কি?
উত্তরঃ মসজিদে প্রবেশের দুআঃ
আরবীঃ
اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মাফতাহলী আবওয়াবা রাহমাতিকা।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমার জন্য আপনার রহমতের দরজাসমূহ উম্মুক্ত করে দাও।
০৭. প্রশ্নঃ মসজিদ থেকে বের হওয়ার দুআ কি?
উত্তরঃ মসজিদ থেকে বের হওয়ার দুআঃ
আরবীঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন ফাযলিকা।
অর্থঃ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার অনুগ্রহ প্রর্থনা করছি।
০৮. প্রশ্নঃ টয়লেটে প্রবেশের দুআ কি?
উত্তরঃ টয়লেটে প্রবেশের দুআঃ
আরবীঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ
উচ্চারণঃ আল্লাহম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল খুবুছি ওয়াল খাবায়িছ।
অর্থঃ হে আল্লাহ! তোমার নিকট আশ্রয় কামনা করি- যাবতীয় দুষ্ট জিন ও জিন্নী থেকে।
০৯. প্রশ্নঃ টয়লেট থেকে বের হওয়ার দুআ কি?
উত্তরঃ টয়লেট থেকে বের হওয়ার দুআঃ
আরবীঃ
غُفْرَانَكَ
উচ্চারণঃ গুফরানাকা
অর্থঃ তোমার ক্ষমা চাই হে প্রভু!
১০. প্রশ্নঃ রাগম্বিত হলে রাগ দূর করার দুআ কি?
উত্তরঃ রাগম্বিত হলে রাগ দূর করার দুআঃ
আরবীঃ
أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
উচ্চারণঃ আউযু বিল্লাহি মিনাশ্‌ শায়তানির রাযীম।
১১. প্রশ্নঃ লাইলাতুল ক্বদরের দুআ কি?
উত্তরঃ লাইলাতুল ক্বদরের দুআঃ
আরবীঃ
اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুওয়ুন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নী।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল। ক্ষমা করাকে আপনি পছন্দ করেন। তাই আমাকে ক্ষমা করুন।
১২. প্রশ্নঃ কেউ কোন উপকার করলে তার জন্য কি দুআ করতে হয়?
উত্তরঃ কেউ কোন উপকার করলে তার জন্য দুআঃ
আরবীঃ
جَزَاكَ اللَّهُ خَيْراً
উচ্চারণঃ যাজাকাল্লাহু খাইরান।
১৩. প্রশ্নঃ রোগী দেখার সময় পাঠ করার দুআ কি?
উত্তরঃ রোগী দেখার সময় পাঠ করার দুআঃ
আরবীঃ
لَا بَأْسَ طَهُورٌ إِنْ شَاءَ اللَّهُ
উচ্চারণঃ লা বাস তাহূর ইনশাআল্লাহ।
অর্থঃ আপনার কোন অসুবিধা না হোক! আল্লাহ চাহে তো আপনি অতি সত্বর সুস্থ হয়ে উঠবেন।
১৪. প্রশ্নঃ পানাহারের শুরুতে কি দুআ বলতে হয়?
উত্তরঃ পানাহারের শুরুতে দুআঃ
আরবীঃ
بسم الله
উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহ
১৫. প্রশ্নঃ পানাহারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে কি করবে?
উত্তরঃ পানাহারের শুরুতে বিসমিল্লাহ বলতে ভুলে গেলে তার দুআঃ
আরবীঃ
بِسْمِ اللَّهِ فِي أَوَّلِهِ وَآخِرِهِ
উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহি ফী আওয়ালিহি ওয়া আখিরিহি।
১৬. প্রশ্নঃ পানাহার শেষ করে পাঠ করার দুআ কি?
উত্তরঃ পানাহার শেষ করে পাঠ করার দুআঃ
আরবীঃ
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَطْعَمَنِي هَذَا وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلاقُوَّةٍ
উচ্চারণঃ আলহামদু লিল্লাহিল্লাযী আত্বআমানী হাযা ওয়া রাযাকানীহে মিন গাইরি হাওলিন মিন্নী ওয়ালা কুওয়াতিন।
অর্থঃ সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর যিনি আমাকে ইহা খাইয়েছেন ও রিযিক হিসেবে দান করেছেন। যাতে আমার শক্তি ও সামর্থ কিছুই ছিল না।
১৭. প্রশ্নঃ কেউ যদি খানাপিনা করায়, তবে তাকে উদ্দেশ্য করে কি দুআ বলবে?
উত্তরঃ কেউ যদি খানাপিনা করায়, তবে তাকে উদ্দেশ্য করে দুআঃ
আরবীঃ
اللَّهُمَّ أَطْعِمْ مَنْ أَطْعَمَنِي وَأَسْقِ مَنْ أَسْقَانِي
উচ্চারণঃ (আল্লাহুম্মা আত্‌য়েম্‌ মান্‌ আত্‌আমানী ওয়াস্‌ কে মান আসক্বানী)
অর্থঃ হে আল্লাহ আমাকে যে খাইয়েছে তাকে তুমি খাদ্য দান কর, যে আমাকে পান করিয়েছে তাকে তুমি পান করাও।
১৮. প্রশ্নঃ পিতা-মাতার জন্য কি দুআ পড়তে হয়?
উত্তরঃ পিতা-মাতার জন্য দুআঃ
আরবীঃ
رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا
উচ্চারণঃ রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানী সাগীরা।
অর্থঃ হে আমার প্রতিপালক! আমার পিতা-মাতার উভয়ের উপর অনুগ্রহ করুন, যেমনভাবে তারা আমাকে ছোটকালে লালন-পালন করেছিল।
১৯. প্রশ্নঃ জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য দুআ কি?
উত্তরঃ জ্ঞান বৃদ্ধির জন্য দুআঃ
আরবীঃ 
رَبِّ زِدْنِيْ عِلْماً
উচ্চারণঃ রাব্বি যিদনী ইলমা।
অর্থঃ হে আমার পালনকর্তা! আমার জ্ঞান বাড়িয়ে দাও।
২০. প্রশ্নঃ দুনিয়া-আখেরাতের কল্যাণ কামনার দুআ কি?
উত্তরঃ দুনিয়া-আখেরাতের কল্যাণ কামনার দুআঃ
আরবীঃ
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারণঃ রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতান ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতান ওয়া ক্বিনা আযাবান্নার।
অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদেরকে দুনিয়াতে কল্যাণ দান কর। আখেরাতেও কল্যাণ দান কর এবং আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর।
২১. প্রশ্নঃ আদম ও হাওয়া (আঃ) জান্নাত থেকে বের হওয়ার পর কোন্‌ দুআটি পাঠ করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন?
উত্তরঃ আদম ও হাওয়া (আঃ) জান্নাত থেকে বের হওয়ার পর এই দুআটি পাঠ করেনঃ
আরবীঃ
رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِنْ لَمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنْ الْخَاسِرِينَ
উচ্চারণঃ রাব্বানা যালামনা আনফুসানা ওয়া ইন্‌ লাম তাগফির লানা ওয়া তারহামনা লানাকূনান্না মিনাল খাসেরীন।
অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা নিজেদের উপর যুলুম করেছি। তুমি যদি আমাদেরকে ক্ষমা না কর, আমাদের প্রতি দয়া না কর, তবে আমরা ক্ষতিগ্রস্থদের অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাব।(সূরা আরাফঃ ২৩)
২২. প্রশ্নঃ বিপদ-মুছীবতে পড়লে কোন দুআ পাঠ করবে?
উত্তরঃ বিপদ-মুছীবতে পড়লে এই দুআঃ
আরবীঃ
لا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنْ الظَّالِمِينَ
উচ্চারণঃ লা-ইলাহা ইল্লা আন্‌তা সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনায্‌যালেমীন।
২৩.প্রশ্নঃ ঘর থেকে বের হওয়ার সময় কি দুআ পড়তে হয়?
উত্তরঃ ঘর থেকে বের হওয়ার সময় দুআঃ
আরবীঃ
بِسْمِ اللَّهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ
উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহি লা-হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহি।
২৪. প্রশ্নঃ সোওয়ারীতে আরোহন করার দুআ কি?
উত্তরঃ সোওয়ারীতে আরোহন করার দুআঃ
আরবীঃ
سُبْحَانَ الَّذِي سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِينَ وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُونَ
উচ্চারণঃ সুবহানাল্লাযী সাখ্‌খারা লানা হাযা ওয়ামা কুন্না লাহু মুক্বরেনীন, ওয়া ইন্না ইলা রাব্বিনা লামুনক্বালিবূন।
২৫. প্রশ্নঃ গৃহে প্রবেশ করার দুআ কি?
উত্তরঃ গৃহে প্রবেশ করার দুআঃ
আরবীঃ
بِسْمِ اللَّهِ وَلَجْنَا وَبِسْمِ اللَّهِ خَرَجْنَا وَعَلَى اللَّهِ رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا
উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহি ওয়ালাজনা, ওয়া বিসমিল্লাহি খারাজনা ওয়া আলা রাব্বিনা তাওয়াক্কালনা।
২৬. প্রশ্নঃ ইউনূস (আঃ) মাছের পেটে থাকাকালিন কোন দুআ পড়েছিলেন?
উত্তরঃ দোয়াটি নিচে দেওয়া হলোঃ
আরবীঃ
لا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنْ الظَّالِمِينَ
উচ্চারণঃ লাইলাহা ইল্লা আন্‌তা সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনায্‌যালেমীন।
২৭. প্রশ্নঃ জান্নাতের একটি গুপ্তধন কি?
উত্তরঃ জান্নাতের একটি গুপ্তধন হলোঃ
আরবীঃ
لا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللَّهِ
উচ্চারণঃ লাহাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।
২৮. প্রশ্নঃ দুটি কালেমা- মুখে উচ্চারণ করতে খুবই সহজ, পাল্লায় অনেক ভারী এবং আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয়। উহা কি?
উত্তরঃ দোয়াটি নিচে দেওয়া হলোঃ
আরবীঃ
سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ، سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ
উচ্চারণঃ সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি, সুবহানাল্লাহিল আযীম।
২৯. প্রশ্নঃ নতুন কাপড় পরিধান করার দুআ কি?
উত্তরঃ নতুন কাপড় পরিধান করার দুআঃ
আরবীঃ
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي كَسَانِي هَذَا الثَّوْبَ وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلا قُوَّةٍ.
উচ্চারণঃ আল্‌ হামদুলিল্লাহিল্লাযী কাসানী হাযাছ্‌ ছওবা ওয়া রাযাক্বানীহে মিন গায়রে হাওলীন্‌ মিন্নী ওয়ালা কুওয়াতিন্‌।
অর্থঃ সমস্ত প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য যিনি আমাকে এই পোষাক পরিয়েছেন এবং জীবিকা হিসেবে দান করেছেন, যাতে আমার শক্তি ও সামর্থ কিছুই ছিল না।
৩০. প্রশ্নঃ একটি দুআ আছে কোন মানুষ যদি উহা দিনে একশত বার পাঠ করে, তাকে দশজন ক্রীতদাস মুক্ত করার ছওয়াব দেয়া হবে, তার জন্য একশতটি নেকী লেখা হবে, একশতটি গুনাহ ক্ষমা করা হবে, সন্ধ্যা পর্যন্ত সারাদিন উহা তার জন্য রক্ষা কবচ হবে এবং তার চাইতে উত্তম আমল কেউ আর নিয়ে আসতে পারবে না- তবে ঐ ব্যক্তির কথা ভিন্ন যে এর চাইতে বেশী আমল করবে। সে দুআটি কি?
উত্তরঃ দোয়াটি নিচে দেওয়া হলোঃ
আরবীঃ
لاَ إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
উচ্চারণঃ লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুওয়া আলা কুল্লী শাইয়্যিন ক্বাদীর।
৩১. প্রশ্নঃ কোন্‌ তাসবীহটি দৈনিক একশতবার পড়লে- পাপ সমূহ সমুদ্রের ফেনারাশী পরিমাণ হলেও ক্ষমা করা হবে?
উত্তরঃ তাসবীহটি নিচে দেওয়া হলোঃ
আরবীঃ
سبحان الله وبحمده
উচ্চারণঃ সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহি।
৩২. প্রশ্নঃ সকাল-সন্ধ্যায় পঠিতব্য অনেক দুআ আছে তম্মধ্যে একটি উল্লেখ কর?
উত্তরঃ তাসবীহটি নিচে দেওয়া হলোঃ
আরবীঃ
اللهُمَّ بِكَ أصْبَحْناَ وبِكَ أمسَيْناَ وبِكَ نَحْياَ وَبِكَ نَمُوْتُ وَإلَيْكَ النُّشُوْرُ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা বিকা আস্‌বাহনা ওয়া বিকা আমসায়না ওয়া বিকা নাহইয়া ওয়া বিকা নামূতু ওয়া ইলাইকান্‌ নুশূর।
অর্থঃ হে আল্লাহ তোমার অনুগ্রহে সকাল করেছি এবং তোমার অনুগ্রহে সন্ধ্যা করেছি, তোমার করুণায় জীবন লাভ করি এবং তোমার ইচ্ছায় আমরা মৃত্যু বরণ করব, আর কিয়ামত দিবসে তোমার কাছেই পূণরুত্থিত হতে হবে।
৩৩. প্রশ্নঃ নব বিবাহিত বরের উদ্দেশ্যে কি দুআ বলবে?
উত্তরঃ দোয়াটি নিচে দেওয়া হলোঃ
আরবীঃ
بَارَكَ اللَّهُ لَكَ وَبَارَكَ عَلَيْكَ وَجَمَعَ بَيْنَكُمَا فِي خَيْرٍ
উচ্চারণঃ (বারাকাল্লাহু লাকা ওয়া বারাকা ওলাইকা ওয়া জামাআ বাইনাকুমা ফী খাইরিন্‌।)
৩৪. প্রশ্নঃ কোন দুআটি একবার পাঠ করলে আল্লাহ দশবার রহমত নাযিল করবেন?
উত্তরঃ দরূদ শরীফ।
আরবীঃ
"اَللَّهُمَّ صَلِّ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ، كَمَا صَلَيْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ، إِنَّكَ حَمِيدٌ مَجِيدٌ، وَ بَارِكْ عَلَى مُحَمَّدٍ وَعَلَى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلَى إِبْرَاهِيمَ وَعَلَى آلِ إِبْرَاهِيمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيْدٌ"
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিও ওয়ালা আলি মুহাম্মাদিন কামা সাল্লাইতা আলা ইব্‌রাহীমা ওয়ালা আলি ইব্‌রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ, ওয়া বারিক আলা মুহাম্মাদিওঁ ওয়ালা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারাক্‌তা আলা ইব্‌রাহীমা ওয়ালা আলি ইব্‌রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ"।
অর্থঃ " হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মদ ও তার বংশধরদের উপর রহমত বর্ষণ করুন, যেরূপভাবে আপনি ইব্‌রাহীম আলাইহিস সালাম ও তার বংশধরদের উপর রহমত বর্ষণ করেছিলেন। নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত সম্মানিত।"
আপনি মুহাম্মাদ ও তার বংশধরদের উপর বরকত বর্ষণ করুন, যেরূপভাবে আপনি ইব্‌রাহীম ও তার বংশধরদের উপর বরকত বর্ষণ করেছিলেন। নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত, সম্মানিত"।
৩৫. প্রশ্নঃ বিপদ-মুসীবতে পড়লে কোন দুআ পাঠ করবে?
উত্তরঃ দোয়াটি নিচে দেওয়া হলোঃ
আরবীঃ
إناَّ للهِ وإناَّ إلَيْهِ راَجِعُوْنَ، اللهمَّ أجُرْنِيْ فِيْ مُصِيبَتِيْ واَخْلُفْ لِيْ خَيْراً مِنْهاَ
উচ্চারণঃ (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেঊন, আল্লাহুম্মাজুরনী ফী মুছীবাতী ওয়াখ্‌লুফলী খায়রান্‌ মিনহা)
অর্থঃআমরা আল্লাহরজন্য এবংআমরা আল্লাহর কাছেই প্রত্যাবর্তন করব।হেআল্লাহ আমার বিপদে আমাকে প্রতিদান দাও এবং আমাকে এর বিপরীতে উত্তম বিষয় দান কর।
৩৬. প্রশ্নঃ হজ্জের মাঠে (আরাফাতের দিবসের) শ্রেষ্ঠ দুআ কি?
উত্তরঃ দোয়াটি নিচে দেওয়া হলোঃ
আরবীঃ
لاَ إِلَهَ إِلا اللَّهُ وَحْدَهُ لا شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
উচ্চারণঃ লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুওয়া আলা কুল্লী শাইয়্যিন ক্বাদীর।
৩৭. প্রশ্নঃ শরীরের কোন স্থানে জখম বা ফোঁড়া হলে কি দুআ পড়বে?
উত্তরঃ তর্জনী আঙ্গুলে থুথু লাগাবে তারপর তা দ্বারা মাটি স্পর্শ করবে এবং সেই মাটি জখম বা ফোঁড়ার স্থানে লাগাবে ও সে সময় এই দুআ পাঠ করবে: 
আরবীঃ
بِسْمِ الله، تُرْبَةُ أرْضِناَ بِرِيْقَةِ بَعْضِناَ، يُشْفَى سَقِيْمُناَ بإذْنِ رَبِّناَ
উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহ, তুরবানতু আরযেনা বেরীক্বাতে বা’যেনা ইউশ্‌ফা সাক্বীমুনা বিইযনে রাব্বিনা
অর্থঃ আল্লাহর নামে, আমাদের যমীনের কিছু মাটি, আমাদের একজনের থুথুর দ্বারা আমাদের রবের অনুমতিতে আমাদের রুগীর আরোগ্য হবে।
৩৮. প্রশ্নঃ বিষধর প্রাণী বা সাপে কাটলে কোন দুআ পড়ে পড়ে রুগীকে ঝাড়-ফুঁক করবে?
উত্তরঃ সূরা ফাতিহা

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »