পবিত্রতা ও সালাত



০১.  প্রশ্নঃ নামায বিশুদ্ধ হওয়ার পূর্বশর্ত কি?
উত্তরঃ পবিত্রতা।
০২। . প্রশ্নঃ ওযুর ফরয কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ ওযুর ফরয ৬টি।
ক) সমস্ত মুখমন্ডল ধৌত করা।
খ) কুনুই পর্যন্ত দুহাত ধৌত করা।
গ) সম্পূর্ণ মাথা মাসেহ করা।
ঘ) টাখনুসহ দুপা ধৌত করা।
ঙ) তারতীব (ধারাবাহিকতা) রক্ষা করা।
ছ) পরষ্পর করা। (এক অঙ্গ না শুকাতে অন্য অঙ্গ ধৌত করা)
০৩. প্রশ্নঃ ওযুর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কি তিনবার করে ধৌত করা ওয়াজিব?
উত্তরঃ না, বরং সুন্নাত।
০৪. প্রশ্নঃ ওযুর শুরুতে কি বলতে হয়?
উত্তরঃ বিসমিল্লাহ।
০৫.প্রশ্নঃ রাসূল (স.) বলেন, “ক্বিয়ামত দিবসে আমার উম্মতের পরিচয় হচ্ছে, তাদের কপাল ও পদযুগল শুভ্র আলোকময় হবে।” কি কারণে তা হবে?
উত্তরঃ ওযুর কারণে
০৬. প্রশ্নঃ কোন সময় দুহাত কব্জি পর্যন্ত ধৌত করা ওয়াজিব?
উত্তরঃ নিদ্রা থেকে উঠে পানির পাত্রে হাত প্রবেশ করানোর আগে।
০৭.প্রশ্নঃ টয়লেটে প্রবেশ ও সেখান থেকে বের হওয়ার আদব কি?
উত্তরঃ প্রথমে বাম পা তারপর ডান দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। বের হওয়ার সময় প্রথমে ডান পা তারপর বাম দিয়ে বের হবে।
০৮. প্রশ্নঃ ওযু নামায বা যে কোন ইবাদতের শুরুতে নাওয়াইতু.. বলে মুখে নিয়ত উচ্চারণ করার হুকুম কি?
উত্তরঃ নাজায়েয- বিদআত। (হাদীসে এর কোন প্রমাণ নেই)
০৯. প্রশ্নঃ কোনো পাত্রে কুকুরে মুখ দিলে কি করতে হবে?
উত্তরঃ পাত্রের বস্তু ফেলে দিয়ে উহা সাতবার ধৌত করতে হবে একবার মাটি দিয়ে।
১০. প্রশ্নঃ পেশাব-পায়খান করার সময় কিবলার দিকে মুখ করে বসার বিধান কি?
উত্তরঃ ফাঁকা মাঠে পেশাব-পায়খানা করলে কিবলা সামনে বা পিছনে রাখা জায়েয নয়।
১১. প্রশ্নঃ কোন দুটি কাজে মানুষের লানত পেতে হয়?
উত্তরঃ রাস্তা এবং ছায়াদ্বার বা ফলদ্বার বৃক্ষের নীচে পেশাব-পায়খানা করলে।
১২. প্রশ্নঃ পেশাব করার পর কুলুখ ধরে চল্লিশ কদম হাঁটার বিধান কি?
উত্তরঃ বিদআত। (হাদীসে এর কোন প্রমাণ নেই)
১৩. প্রশ্নঃ পবিত্রতার জন্য পানি ব্যবহার করার পূর্বে কি অবশ্যই কলুখ ব্যবহার করতে হবে?
উত্তরঃ আবশ্যক নয়। এটা বাড়াবাড়ি।
১৪. প্রশ্নঃ যদি সন্দেহ হয় যে পেশাব শেষ করার পরও যেন কিছু বের হচ্ছে। তখন কি করতে হবে?
উত্তরঃ সন্দেহের দিকে ভ্রুক্ষেপ করবে না। ওযু শেষ করে লজ্জাস্থানের সামনে পানির ছিটা দিবে।
১৫. প্রশ্নঃ কোন্‌ কোন্‌ বস্তু দ্বারা কলুখ নেয়া জায়েয নয়?
উত্তরঃ হাড়, গোবর, খাদ্য জাতীয় এবং প্রত্যেক সম্মানিত বস্তু।
১৬ প্রশ্নঃ ওযুতে তারতীব রক্ষা করার অর্থ কি?
উত্তরঃ এর অর্থ হচ্ছে, ধারাবাহিকতা রক্ষা করা অর্থাৎ- ওযুর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেটা আগে ধোয়ার নিয়ম সেটার আগে অন্যটা না ধোয়া।
১৭ প্রশ্নঃ পরস্পর ওযু করার অর্থ কি?
উত্তরঃ এক অঙ্গ ধোয়ার পর পরবর্তী অঙ্গ ধৌত করতে এতটুকু দেরী না করা যাতে আগের অঙ্গ শুকিয়ে যায়।
১৮. প্রশ্নঃ ওযুতে ঘাড় মাসেহ করার বিধান কি?
উত্তরঃ বিদআত, কেননা এক্ষেত্রে কোন সহীহ হাদীস নেই।
১৯. প্রশ্নঃ কোন্‌ কোন্‌ কাজের জন্য ওযু আবশ্যক?
উত্তরঃ নামায, কাবা ঘরের তওয়াফ ও কুরআন স্পর্শ করার জন্য।
২০. প্রশ্নঃ মেসওয়াক ব্যবহার করার হুকুম কি?
উত্তরঃ সুন্নাত।
২১. প্রশ্নঃ মেসওয়াক ব্যবহার করার উপকারিতা কি?
উত্তরঃ মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং এতে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন।
২২. প্রশ্নঃ বিশেষভাবে কখন মেসওয়াক করা সুন্নাত?
উত্তরঃ ওযুর পূর্বে, নামাযের পূর্বে, কুরআন পাঠের পূর্বে, নিদ্রা থেকে উঠার পর।
২৩. প্রশ্নঃ রোযাদার কি মেসওয়াক করতে পারে?
উত্তরঃ রোযাদারের মেসওয়াক করা সুন্নাত।
২৪. প্রশ্নঃ নাক থেকে রক্ত বের হলে কি ওযু নষ্ট হবে?
উত্তরঃ না, ওযু নষ্ট হবে না।
২৫. প্রশ্নঃ শরীরের কোন স্থান কেটে অল্প/বেশী রক্ত বের হলে ওযু থাকবে কি?
উত্তরঃ হ্যাঁ, এতে ওযু নষ্ট হয় না। কোন কোন ইমামের মতে অধিক রক্ত বের হলে ওযু নষ্ট হয়ে যায়।
২৬. প্রশ্নঃ ওযু ভঙ্গের কারণ কি?
উত্তরঃ পেশাব-পায়খানার রাস্তা দিয়ে কোন কিছু বের হওয়া, নিদ্রা প্রভৃতির মাধ্যমে অজ্ঞান হওয়া, কোন আড়াল ছাড়া লজ্জাস্থান স্পর্শ করা, উটের মাংশ খাওয়া।
২৭.প্রশ্নঃ কি খেলে ওযু নষ্ট হয়?
উত্তরঃ উটের মাংশ খেলে ওযু নষ্ট হয়।
২৮. প্রশ্নঃ বসে বসে নিদ্রা গেলে কি ওযু নষ্ট হয়?
উত্তরঃ না, বসে বসে কোন কিছুতে হেলান না দিয়ে নিদ্রা গেলে ওযু নষ্ট হয় না।
২৯. প্রশ্নঃ ওযুর প্রারম্ভে দুহাত কব্জি পর্যন্ত ধৌত করা ওয়াজিব না সুন্নাত?
উত্তরঃ সুন্নাত।
৩০. প্রশ্নঃ পবিত্রাবস্থায় মোজা পরিধান করলে কি তার উপর মাসেহ করা যাবে?
উত্তরঃ হ্যাঁ কোন অসুবিধা নেই।
৩১. প্রশ্নঃ কোন্‌ ধরনের পবিত্রতায় মোজার উপর মাসেহ চলবে?
উত্তরঃ ছোট নাপাকী থেকে পবিত্রতা অর্জনের ক্ষেত্রে।
৩২. প্রশ্নঃ মুক্বীম কতক্ষণ মোজার উপর মাসেহ করতে পারবে?
উত্তরঃ একদিন এক রাত বা ২৪ ঘন্টা।
৩৩. প্রশ্নঃ মুসাফির কতদিন মোজার উপর মাসেহ করতে পারবে?
উত্তরঃ তিনদিন তিন রাত বা ৭২ ঘন্টা।
৩৪. প্রশ্নঃ মোজার কোন্‌ স্থানে মাসেহ করতে হয়?
উত্তরঃ পায়ের উপর অংশ।
৩৫. প্রশ্নঃ মোজার উপর মাসেহ কখন বাতিল হয়?
উত্তরঃ (১) গোসল ফরয হওয়ার কারণ ঘটলে এবং (২) নির্দিষ্ট সময় শেষ হলে।
৩৬. প্রশ্নঃ গোসল ফরয হওয়ার দুটি কারণ বল?
উত্তরঃ বীর্যপাত হওয়া, স্ত্রী সহবাস করা।
৩৭. প্রশ্নঃ ফরয গোসল বিশুদ্ধ হওয়ার পূর্বশর্ত কি নিয়ত করা?
উত্তরঃ হ্যাঁ, যেহেতু ফরয গোসল একটি ইবাদত।
৩৮. প্রশ্নঃ ফরয গোসলের ক্ষেত্রে কোন বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্বারোপ করতে হবে?
উত্তরঃ সমস্ত শরীর ভিজানো- কোন কিছু যেন শুকনা না থাকে।
৩৯ প্রশ্নঃ জুমআর দিন গোসল করা সুন্নাত না ওয়াজিব?
উত্তরঃ সুন্নাত।
৪০. প্রশ্নঃ ইহরামের পূর্বে গোসল করা ওয়াজিব। সত্য না মিথ্যা?
উত্তরঃ মিথ্যা, বরং সুন্নাত।
৪১. প্রশ্নঃ নাপাক ব্যক্তির উপর কোন কাজটি করা হারাম? নামায 5 খানাপিনা 5?
উত্তরঃ নামায
৪২. প্রশ্নঃ হায়েয-নেফাস শেষ হলে গোসল করা সুন্নাত। সত্য না মিথ্যা?
উত্তরঃ মিথ্যা, বরং তখন গোসল করা ফরয।
৪৩. প্রশ্নঃস্ত্রীসহবাস করার পর যদি বীর্যপাত না হয়, তবে করার বিধান কি?
উত্তরঃ গোসল করা ওয়াজিব।
৪৪. প্রশ্নঃ নাপাক ব্যক্তির উপর কি কি হারাম?
উত্তরঃ নামায, তওয়াফ, কুরআন স্পর্শ ও পাঠ করা, মসজিদে অবস্থান করা।
৪৫. প্রশ্নঃ কোন ধরণের শুকনো বস্তু দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা যায়?
উত্তরঃ মাটি দ্বারা তায়াম্মুমের মাধ্যমে।
৪৬. প্রশ্নঃ তায়াম্মুম করে নামায পড়ার পর সময় পার হওয়ার আগেই যদি পানি পাওয়া যায়, তবে নামায কি ফিরিয়ে পড়তে হবে?
উত্তরঃ না, নামায ফিরিয়ে পড়তে হবে না।
৪৭.প্রশ্নঃ কোন ধরণের অসুস্থতায় তায়াম্মুম করতে পারবে?
উত্তরঃ পানি ব্যবহার করলে যদি অসুখ বেড়ে যায়, বা ভাল হতে দেরী হয়, তবে তায়ম্মুম করতে পারবে।
৪৮. প্রশ্নঃ কোন ধরণের নাপাকীতে তায়াম্মুম করতে পারবে?
উত্তরঃ ছোট-বড় সব ধরণের নাপাকীতে।
৪৯. প্রশ্নঃ সংক্ষেপে তায়াম্মুমের পদ্ধতি উল্লেখ কর?
উত্তরঃ দুহাতে পবিত্র মাটি নিয়ে, তাতে ফুঁ দিয়ে মুখমন্ডল ও দুহাতের কব্জি পর্যন্ত মাসেহ করবে।
৫০. প্রশ্নঃ তায়াম্মুমের জন্য কয়বার মাটি নিতে হবে?
উত্তরঃ একবার।
৫১. প্রশ্নঃ ঋতুবতী নারীর জন্য কি কি করা হারাম?
উত্তরঃ সহবাস, নামায, রোযা, তওয়াফ, কুরআন স্পর্শ করা, মসজিদে অবস্থান করা।
৫২. প্রশ্নঃ ঋতুবতী ছালাতের কাযা আদায় করবে না, কিন্তু রোযার কাযা আদায় করবে। সত্য না মিথ্যা?
উত্তরঃ সত্য।
৫৩. প্রশ্নঃ ছালাত শব্দের আভিধানিক অর্থ কি?
উত্তরঃ দুআ।
৫৪. প্রশ্নঃ মুসলমানদের উপর ছালাত কখন ফরয হয়?
উত্তরঃ মেরাজের রাতে।
৫৫. প্রশ্নঃ ছালাত ইসলামের কয় b¤^i স্তম্ভ?
উত্তরঃ দ্বিতীয় স্তম্ভ।
৫৬. প্রশ্নঃ ঈমানের পর মুসলমানদের উপর সর্বপ্রথম কোন্‌ ইবাদত ফরয করা হয়?
উত্তরঃ সালাত।
৫৭. প্রশ্নঃ নবী (স.) মৃত্যুর পূর্বে সর্বশেষ কোন বিষয়ে নসীহত করেন?
উত্তরঃ সালাত এবং দাস-দাসী চাকর-চাকরানীদের সাথে সদ্ববহারের।
৫৮. প্রশ্নঃ মানুষ ক্বিয়ামতের মাঠে সর্বপ্রথম কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে?
উত্তরঃ ছালাত সম্পর্কে।
৫৯. প্রশ্নঃ মেরাজে প্রথমে কত ওয়াক্ত নামায ফরয করা হয়? অতঃপর কত ওয়াক্তে তা স্থির হয়?
উত্তরঃ প্রথমে ৫০ ওয়াক্ত। পরে পাঁচ ওয়াক্তে স্থির হয়েছে।
৬০. প্রশ্নঃ সন্তানের বয়স কত হলে তাকে নামাযের আদেশ দিতে হবে?
উত্তরঃ ৭ বছর হলে।
৬১. প্রশ্নঃ কোন্‌ ইবাদত পরিত্যাগ করলে কুফরী হয়?
উত্তরঃ ছালাত।
৬২. প্রশ্নঃ সর্বপ্রথম কখন আযান প্রচলিত হয়?
উত্তরঃ প্রথম হিজরীতে।
৬৩. প্রশ্নঃ ক্বিয়ামতের দিন কোন ব্যক্তি সর্বোচ্চ কাঁধ বিশিষ্ট হবে?
উত্তরঃ মুআয্‌যিন।
৬৪. প্রশ্নঃ যে ব্যক্তি বার বছর আযান দিবে তাকে কি পুরস্কার দেয়া হবে?
উত্তরঃ তাকে জান্নাতে দেয়া হবে।
৬৫. প্রশ্নঃ একজন মানুষ অজ্ঞতা বশতঃ কাপড়ে নাপাকী নিয়ে নামায আদায় করেছে। তাকে কি করতে হবে?
উত্তরঃ নামায ফিরিয়ে পড়তে হবে না।
৬৬.প্রশ্নঃ কোন কোন স্থানে নামায আদায় করা জায়েয নয়?
উত্তরঃ গোরস্থান, শৌচাগার, উট বাঁধার স্থান, ময়লাযুক্ত স্থান এবং রাস্তার মধ্যে।
৬৭. প্রশ্নঃ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের নিয়ত কিভাবে করতে হবে?
উত্তরঃ প্রত্যেক নামাযের জন্য আলাদাভাবে অন্তরে নিয়ত করতে হবে। মুখে নিয়ত উচ্চারণ করা বিদআত।
৬৮ প্রশ্নঃ কোন্‌ ধরণের নামাযের জন্য ক্বিবলামুখী হওয়া শর্ত?
উত্তরঃ শুধুমাত্র ফরয নামাযের জন্য।
৬৯. প্রশ্নঃ কোন্‌ ধরণের নামায বিনা শর্তে আরোহীর উপর পড়া জায়েয?
উত্তরঃ সুন্নাত, নফল, বিতর ইত্যাদি।
৭০. প্রশ্নঃ কোন্‌ ধরণের নামায আরোহীর উপর ক্বিবলামুখী না হয়েও পড়া জায়েয?
উত্তরঃ সুন্নাত, নফল, বিতর ইত্যাদি।
৭১. প্রশ্নঃ ক্বিবলা অনুসন্ধান করে ব্যর্থ হয়ে অনুমান করে নামায আদায় করেছে। পরে জানতে পারল যে, ক্বিবলার দিকে সে নামায পড়েনি। তাকে কি করতে হবে?
উত্তরঃ নামায হয়ে যাবে, উহা ফিরিয়ে পড়তে হবে না।
৭২. প্রশ্নঃ নামাযে মহিলাদের সতর কতটুকু?
উত্তরঃ মুখমন্ডল এবং কব্জি পর্যন্ত দুহাত ব্যতীত সমস্ত শরীর আবৃত করা ফরয।
৭৩. প্রশ্নঃ নামায অবস্থায় কারো ওযু ভঙ্গ হয়ে গেলে কিভাবে বের হয়ে আসবে?
উত্তরঃ নিজের নাক ধরে বের হয়ে আসবে।
৭৪. প্রশ্নঃ রাসূল (স.) বলেন, “তার পানি পবিত্র এবং উহার মৃতপ্রাণী হালাল।” কোন্‌ পানি সম্পর্কে তিনি একথা বলেছেন?
উত্তরঃ সমুদ্রের পানি।
৭৫. প্রশ্নঃ কাফেরদের ব্যবহৃত পাত্র ব্যবহার করার হুকুম কি?
উত্তরঃ অন্য পাত্র না পেলে ভালভাবে ধুয়ে ব্যবহার করা যাবে।
৭৬. প্রশ্নঃ রাসূল (স.) বলেন, “কোন পান পাত্রে মাছি পড়লে, তাকে ডুবিয়ে দিবে, তারপর মাছিটি ফেলে দিয়ে উক্ত পানীয় ব্যবহার করবে।” কেন তাকে ডুবাতে হবে?
উত্তরঃ কেননা মাছির এক ডানায় থাকে জীবানু আর অন্য ডানায় থাকে তার ঔষুধ।
৭৭. প্রশ্নঃ কোন কারণে সর্বাধিক কবরের আযাব হয়ে থাকে?
উত্তরঃ শরীরে পেশাবের ছিটা লাগার কারণে।
৭৮. প্রশ্নঃ নামায আদায়ের সর্বোত্তম সময় কোনটি?
উত্তরঃ প্রথম ওয়াক্ত। (সময় হওয়ার সাথে সাথে আদায় করা উত্তম।)
৭৯. প্রশ্নঃ কোন্‌ নামায আদায় করলে মানুষ আল্লাহর যিম্মাদারীর মধ্যে এসে যায়?
উত্তরঃ ফজরের নামায।
৮০. প্রশ্নঃ কোন নামায জামাতের সাথে আদায় করলে অর্ধেক রাত্রি নফল নামায পড়ার ছোয়াব পাওয়া যায়?
উত্তরঃ এশা নামায।
৮১. প্রশ্নঃ কোন নামায জামাতের সাথে আদায় করলে পূর্ণ রাত্রি নফল নামায পড়ার ছোয়াব পাওয়া যায়?
উত্তরঃ ফজর নামায।
৮২. প্রশ্নঃ কোন দুরাকাত নামাযে একটি মাকবূল হজ্জ ও একটি মাকবূল উমরার ছোয়াব পাওয়া যায়?
উত্তরঃ ফজরের নামায পড়েস্বীয় মুসল্লায় বসে থেকে সূর্য উঠার পর দুরাকাত নামায পড়লে।
৮৩. প্রশ্নঃ কোন নামায ছুটে গেলে মানুষ পরিবার-পরিজন ও ধন সম্পদ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়?
উত্তরঃ আসরের নামায।
৮৪. প্রশ্নঃ রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “মানুষ যদি জানতো এই দুনামাযে কি পুরস্কার রয়েছে, তবে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে উপস্থিত হত।” নামায দুটি কি কি?
উত্তরঃ এশা ও ফজর নামায।
৮৫. প্রশ্নঃ কোন দুটি নামায মুনাফেক্বদের উপর সবচেয়ে ভারী ও কষ্টকর?
উত্তরঃ এশা ও ফজর নামায।
৮৬. প্রশ্নঃ ফরয নামাযের পর সর্বোত্তম নামায কোনটি?
উত্তরঃ রাতের নফল (তাহাজ্জুদ) নামায।
৮৭.প্রশ্নঃ যে ব্যক্তি দিনে-রাতে ১২ রাকাত সুুন্নাত নামায নিয়োমিত আদায় করবে, তাকে কি পুরস্কার দেয়া হবে?
উত্তরঃ তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর তৈরী করা হবে।
৮৮. প্রশ্নঃ জামাতের সাথে নামায পড়লে কতগুণ বেশী ছওয়াব পাওয়া যায়?
উত্তরঃ ২৫ গুণ বা ২৭ গুণ।
৮৯. প্রশ্নঃ সিজদার সময় কয়টি অঙ্গ মাটিতে রাখা আবশ্যক এবং তা কি কি?
উত্তরঃ ৭টি, (দুপা, দুহাঁটু, দুহাত এবং মুখমন্ডল তথা নাক ও কপাল)
৯০. প্রশ্নঃ সফর অবস্থায় কোন কোন নামায একত্রিত করা যায়?
উত্তরঃ যোহর-আছর একসাথে ও মাগরিব-এশা একসাথে।
৯১. প্রশ্নঃ ক্বিবলা পরিবর্তন হওয়ার পর মুসলমানগণ সর্বপ্রথম কোন নামায কাবার দিকে আদায় করেন?
উত্তরঃ আছরের নামায।
৯২. প্রশ্নঃ কোন নামাযে আযান নেই রুকূ নেই সিজদা নেই?
উত্তরঃ জানাযার নামায।
৯৩. প্রশ্নঃ কোন দুরাকাত সুন্নাত নামায সম্পর্কে নবী (স.) বলেন, “উহা দুনিয়া এবং উহার মধ্যস্থিত সকল বস্তু চাইতে উত্তম।”?
উত্তরঃ ফজরের দুরাকাত সুন্নাত।
৯৪. প্রশ্নঃ কোন নামাযে আযান নেই- আগে পরে কোন সুন্নাত নামায নেই?
উত্তরঃ দুঈদের নামায।
৯৫. প্রশ্নঃ ঈদের নামায কয় তাকবীরে আদায় করা সুন্নাত?
উত্তরঃ ১২ (বার) তাকবীরে।
৯৬. প্রশ্নঃ নামাযে কোথায় হাত বাঁধা সুন্নাত?
উত্তরঃ বুকের উপর।
৯৭. প্রশ্নঃ নামাযে কখন কখন রফউল ইয়াদায়ন (দুহাত উত্তোলন) করা সুন্নাত?
উত্তরঃ (১) তাকবীরে তাহরিমা বলার সময় (২) রুকূ করার সময় (৩) রুকূ থেকে উঠার সময় এবং (৪) দুরাকাত শেষ করে তৃতীয় রাকাতের জন্য উঠার সময়।
৯৮. প্রশ্নঃ যে লোক তাড়াহুড়া করে নামায পড়ে- ঠিক মত রুকূ করে না- রুকূ থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ায় না- ঠিক মত সিজদা করে না- তাকে হাদীসে কি বলা হয়েছে?
উত্তরঃ নামায চোর।
৯৯.প্রশ্নঃ নামাযে তাওয়ার্‌রুক করা কাকে বলে? উহার হুকুম কি?
উত্তরঃ তিন বা চার রাকাত নামাযের শেষ তাশাহুদে বসার সময় ডান পায়ের নীচ দিয়ে বাম পা বের করে দিয়ে নিতম্ব মাটিতে রেখে বসাকে তাওয়াররুক করা বলে। এরূপ করা সুন্নাত।
১০০. প্রশ্নঃ জায়নামায পাক করার জন্য ইন্নী ওয়াজ্জাহতু… দুআ পাঠ করার হুকুম কি?
উত্তরঃ বিদআত। (হাদীসে এর কোন প্রমাণ নেই)
১০১. প্রশ্নঃ ফরয নামায শেষে দলবদ্ধভাবে মুনাজাত করার নিয়ম কি?
উত্তরঃ এরূপ করা বিদআত।
১০২. প্রশ্নঃ ঈদের নামায কোথায় পড়া সুন্নাত? বড় জামে মসজিদে 5 মাঠে 5 বাড়ীতে 5 ?
উত্তরঃ মাঠে।
১০৩.প্রশ্নঃ মেয়েরা যদি জামাত করে ফরয নামায পড়ে, তবে তাদের ইমাম কোথায় দাঁড়াবে?
উত্তরঃ কাতারের মধ্যবর্তী স্থানে।
১০৪.প্রশ্নঃ পুরুষ ইমামের সাথে যদি একজন নারী জামাতে নামায পড়ে তবে সে কোথায় দাঁড়াবে?
উত্তরঃ একাকী তার পিছনে।
১০৫. প্রশ্নঃ জানাযার নামায (ফরযেকেফায়াহ? সুন্নাত ? নাকি ফরযে ?)
উত্তরঃ ফরযে কেফায়া।
১০৬. প্রশ্নঃ কোন কাজটি নামাযের রুকন (সূরা ফাতিহা /ছানা পাঠ/হাত বাঁধা)?
উত্তরঃ সূরা ফাতিহা পাঠ।
১০৭. প্রশ্নঃ জানাযার তাকবীর কয়টি? (৩/৪/৬)?
উত্তরঃ ৪টি।
১০৮.প্রশ্নঃ কোন মানুষ যদি নামায পড়তে ভুলে যায় তবে উহা কখন আদায় করবে? (পরবর্তী দিন/স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে/পরবর্তী ফরয নামাযের সময়)?
উত্তরঃ স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে।
১০৯. প্রশ্নঃ কোন্‌ মুক্তাদী যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ইমামের পূর্বে রুকূ করে, তবে তার (নামায বিশুদ্ধ/, নামায বাতিল/, নামায বিশুদ্ধ কিন্তু এরূপ করা মাকরূহ)?
উত্তরঃ নামায বাতিল।
১১০.প্রশ্নঃ মসজিদে প্রবেশ করার সময় কিভাবে প্রবশে করবে?
উত্তরঃ ডান পা আগে রাখবে এবং বের হওয়ার সময় বাম পা আগে বের করবে।
১১১. প্রশ্নঃ নারীদের নামায আদায় করার সর্বোত্তম স্থান কোথায়?
উত্তরঃ নিজের গৃহের মধ্যে।
১১২.প্রশ্নঃ নারীদের মসজিদে গিয়ে জামাতের সাথে নামায পড়া (ওয়াজিব/সুন্নাত/জায়েয)?
উত্তরঃ জায়েয।
১১৩. প্রশ্নঃ পুরুষদের মসজিদে গিয়ে জামাতের সাথে নামায পড়ার হুকুম কি?
উত্তরঃ ওয়াজিব।
১১৪. প্রশ্নঃ কোন্‌ স্থানে নামায পড়া নিষেধ? (গৃহে/কবরস্থানে বা মাজারে/ফাঁকা মাঠে)?
উত্তরঃ কবরস্থানে বা মাজারে।
১১৫.প্রশ্নঃ সর্বপ্রথম কোন্‌ মসজিদটি নির্মাণ করা হয়? (মসজিদে আক্বসা/মসজিদে হারাম/মসজিদে নববী)
উত্তরঃ মসজিদে হরাম (মক্কা)।
১১৬. প্রশ্নঃ মসজিদে হারামে নামায আদায় করার ছওয়াব কত?
উত্তরঃ অন্যান্য মসজিদের তুলনায় একলক্ষ গুণ বেশী।
১১৭.প্রশ্নঃ মসজিদে নববীতে নামায আদায় করার ছওয়াব কত?
উত্তরঃ এক হাজার গুণ।
১১৮. প্রশ্নঃ কোন মসজিদে দুরাকাত নামায পড়লে একটি ওমরার ছওয়াব পাওয়া যায়?
উত্তরঃ মদীনার মসজিদে কুবায়।
১১৯. প্রশ্নঃ নামাযের এক্বামত হয়ে গেছে এবং পেশাব বা পায়খানার চাপ পড়েছে। এসময় কোন কাজটি আগে করতে হবে?
উত্তরঃ পেশাব বা পায়খানা আগে সারতে হবে।
১২০. প্রশ্নঃ কোন্‌ ধরণের লোকদের বাড়ী-ঘর নবী (স.) আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিতে চেয়েছেন?
উত্তরঃ বিনা ওযরে যারা জামাতের নামাযে অনুপস্থিত থাকে।
১২১. প্রশ্নঃ নামাযে জোরে আমীন বলা কি? (ওয়াজিব/সুন্নাত/হারাম)?
উত্তরঃ সুন্নাত।
১২২.প্রশ্নঃ রাসূলুল্লাহ (স.) বলেন, “চার রাকাত নামাযের জন্য আসমানের দরজা খুলে দেয়া হয়।” কোন সেই চার রাকাত নামায?
উত্তরঃ যোহরের পূর্বে চার রাকাত সুন্নাত।
১২৩. প্রশ্নঃ রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “যে ব্যক্তি বার রাকাত নামায যথারীতি আদায় করবে, তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মাণ করা হবে।” উক্ত বার রাকাত নামায কি?
উত্তরঃ পাঁচ ওয়াক্তের সাথে সংশ্লিষ্ট ১২ রাকাত সুন্নাত।
১২৪. প্রশ্নঃ কোন্‌ ধরণের নামায গৃহে আদায় করলে বেশী ছওয়াব পাওয়া যায়?
উত্তরঃ ফরয ছাড়া যাবতীয় সুন্নাত-নফল নামায।
১২৫. প্রশ্নঃ বিতর নামাযের হুকুম কি: ওয়াজিব/ ফরজ/ সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ?
উত্তরঃ সুন্নাতে মুআক্কাদা।
১২৬. প্রশ্নঃ বিতর নামায আদায় করার সর্বোত্তম সময় কোনটি?
উত্তরঃ শেষ রাতে ফজরের পূর্বে।
১২৭. প্রশ্নঃ বিতর নামাযের সর্ব নিম্ন রাকাত সংখ্যা কত?
উত্তরঃ ১ রাকাত।
১২৮.প্রশ্নঃ বিতর নামাযে দুআ ক্বনূত পাঠ করাঃ ওয়াজিব/ফরয/মুস্তাহাব?
উত্তরঃ মুস্তাহাব।
১২৯. প্রশ্নঃ ইমামের খুতবা চলা অবস্থায় কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে কি করবে?
উত্তরঃ ২ রাকাত নামায পড়ে বসবে।
১৩০.প্রশ্নঃ ইমামের খুতবা চলাবস্থায় পরস্পর কথা বলার হুকুম কি?
উত্তরঃ যারা কথা বলবে তারা জুমআর ছওয়াব থেকে বঞ্ছিত হবে।
১৩১. প্রশ্নঃ বিশেষভাবে সপ্তাহের কোন্‌ দিন নবী (স.) এর প্রতি বেশী বেশী দরূদ পাঠ করা মুস্তাহাব?
উত্তরঃ শুক্রবার।
১৩২.প্রশ্নঃ সপ্তাহের সর্বশ্রে দিন কোনটি?
উত্তরঃ শুক্রবার।
১৩৩. প্রশ্নঃ পাঁচটি বিষয় একজন মুসলমানের পক্ষ থেকে আরেক জনের উপর ওয়াজিব। বিষয়গুলো কি কি?
উত্তরঃ ১) সালামের জবাব ২) হাঁচির জবাব ৩) দাওয়াত গ্রহণ ৪) অসুস্থের সুশ্রসা ৫) জানাযায় উপস্থিত হওয়া।
১৩৪. প্রশ্নঃ কোন্‌ নামাযে এক ক্বিরাত (বড় একটি পাহাড়) পরিমাণ ছওয়াব পাওয়া যায়?
উত্তরঃ জানাযার নামাযে।

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »