অনলাইনে কোর্ট ফি দেওয়ার বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ‘কোর্ট ফিস (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০১৬’ পাস হয়েছে।
১৮৭০ সালের এ সংক্রান্ত একটি আইন সংশোধনের জন্য বিলটি বৃহস্পতিবার পাসের প্রস্তাব করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিলটি সংসদে তুলেছিলেন আইনমন্ত্রী। পরে সেটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিদ্যমান আইনে বলা আছে, কোর্ট ফি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে, যদি না পাওয়া যায় তা নগদে পরিশোধ করতে হবে।
পাস হওয়া বিলে ইলেকট্রনিক ও ডিজিটাইজ ট্রান্সজেকশনের বিধান রাখা হয়েছে।
তফসিলী ব্যাংক, মোবাইল অপারেটর, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কোর্ট ফি নেওয়া এবং রিফান্ড করার বিধান রাখা হয়েছে।
বিলে বলা হয়েছে, কোনো ধরনের স্ট্যাম্প বিক্রিতে অনুমোদিত কোনো ব্যক্তি আইনের বিধি ভাঙলে এবং অননুমোদিত কোনো ব্যক্তি স্ট্যাম্প বিক্রি করলে তার ছয় মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে।
বর্তমানে ৫০০ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে আইনমন্ত্রী বলেন, “নামজারি, জমির পর্চা ইত্যাদি সেবাসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষকে কোর্ট ফি জমা দিতে হয়। কিন্তু সহজলভ্য না হওয়ায় কোর্ট ফি প্রদানের সময় সাধারণ জনগণকে অনেক ক্ষেত্রে হয়রানির শিকার হয়।
“জনগণের হয়রানি রোধকল্পে সহজেই এবং দ্রুততার সাথে জনসেবা পৌঁছে দেওয়ার স্বার্থে ই-পেমেন্টের মাধ্যেমে/ অনলাইনে কোর্ট ফি জমার সুযোগ সৃষ্টি করতে বিদ্যমান আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা অত্যন্ত প্রয়োজন। সংশোধনী আনা গেলে কোর্ট ফি ছাপানো, সংরক্ষণ ও পরিবহনের বিশাল ব্যয় হ্রাসসহ জালিয়াতি রোধ করা সম্ভব হবে। একই সাথে তা দেশের সকল শ্রেণির মানুষকে বিভিন্ন প্রয়োজনে কোর্ট ফি জমা দিতে অহেতুক ভোগান্তি থেকে রক্ষা করবে।”
সুত্রঃ বিডিনিউজ২৪
সুত্রঃ বিডিনিউজ২৪