কম্পিউটারকে তিনটি সাধারণ উপায়ে ভাইরাসমুক্ত রাখুন

আপনার কম্পিউটারে ভাইরাস আসে শক্ত ভীত গড়ার জন্য। কম্পিউটার ভাইরাস কোনো মেশিনে প্রবেশের পর থেকেই তার শক্তি সঞ্চয় করা শুরু করে। প্রাণীর দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ হলে যেমন তা ক্ষতিসাধন করতে থাকে, কম্পিউটারে ভাইরাসও ঠিক তাই করে। তাই এর আক্রমণ হওয়ামাত্র তাকে বিতাড়িত করা জরুরি কাজ। ওয়ার্মস, ট্রোজানস, স্পাইওয়্যার ইত্যাদি নামে বহু রকমের ভাইরাস রয়েছে। এগুলোকে এক কথায় ম্যালওয়্যার বলে। এগুলোকে তাড়াতে বিভিন্ন নিরাপত্তা সফটওয়্যার বাজারে বের হয়েছে। এ ছাড়া মাইক্রোসফট এসব ম্যালওয়্যার দূর করতে তাদের উইন্ডোজেই কিছু মৌলিক উপায় দিয়ে রাখে। এ দুইয়ের সমন্বয় ঘটিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারবেন ভাইরাস দমনে।
কম্পিউটারে ভাইরাস এসেছে কিনা এবং আসলেও তাকে কীভাবে তাড়াতে হবে তা বুঝতে তিনটি ছোট কিন্তু কার্যকর টিপস নিন।

১. প্রতিদিন অ্যান্টি-ভাইরাসের মাধ্যমে কুইক স্ক্যান করুন। আর প্রতি সপ্তাহে ভাইরাস খুঁজতে বড় আকারের স্ক্যান করুন। এই স্ক্যান যখন ইচ্ছে তখন করতে পারবেন। আবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্ক্যানের জন্য সময়ও ঠিক করে নেওয়া যাবে।
২. আপনি যে ই-মেইল ব্যবহার করেন তা হয়তো একটি ছবি বা মেইল ডাইনলোডের আগে তা ম্যালওয়্যার কিনা তা সাবধান করে দেয়। এমন সাবধানতার সংকেত দিলে হয় তা স্ক্যান করে দেখুন অথবা এ ধরনের ছবি বা মেইল আসা বন্ধ করে দিন।
৩. যদি ই-মেইলের প্রেরককে না চিনতে পারেন এবং তাতে কোনো লিঙ্ক দেওয়া থাকে, তবে ওই লিঙ্কে কখনো ক্লিক করবেন না। যদি তা দেখতেই হয় তাহলে লিঙ্কটি ওয়েব অ্যাড্রেস বারে কপি করে ওয়েবসাইটটি দেখে নিন। আবার প্রেরককে মোটামুটি পরিচিত মনে হলেও নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। সাইবার ক্রিমিনালরা পরিচিত কোনো ওয়েবসাইটের মতো দেখতে পেজের লিঙ্ক পাঠিয়ে দেবে।
এই ছোট তিনটি উপায়ে আপনি প্রতিনিয়ত ভাইরাস থেকে দূরে থাকতে পারেন। আর কোনো ভাইরাস যদি পেয়েই যান, তাহলে তাকে শায়েস্তা করার দায়িত্ব ছেড়ে দিন অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারের ওপর। বাজারে অনেক ভালো মানের এসব সফটওয়্যার রয়েছে যা ভাইরাস চিহ্নিত করে দূর করতে পারে।
সূত্র : হাফিংটন

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »