১০ বছর আয়ু বাড়িয়ে দেবে এমন এক ওষুধ আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা ! বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করার চেষ্টায় এই সাফল্যে বিজ্ঞান আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক দাবি করে বলেছেন, নতুন একটি ওষুধ মানুষের আয়ু প্রায় ১০ বছর বাড়িয়ে দিতে সক্ষম। বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করার চেষ্টায় এই সাফল্যে বিজ্ঞান আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো।
গবেষণায় দেখা যায় যে, জিএসকে-থ্রি নামে এক প্রোটিনের অণুগুলো মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে সংক্ষিপ্ত করে দেয়। এতে করে সেগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে পারলেই জীবনকাল বাড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলের মাছির শরীরেও নাকি জিএসকে-থ্রি প্রোটিন থাকে। এদের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা যায় যে, লিথিয়াম প্রয়োগের মাধ্যমে ওই প্রোটিনের কার্যক্রম ব্যাহত করা সম্ভব। এতে করে ওই প্রাণীটির আয়ু ১৬ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন (ইউসিএল), ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউট ফর বায়োলজি অব অ্যাজিং ও ইউরোপিয়ান মলিকিউলার বায়োলজি ল্যাবরেটরির যৌথ এই গবেষণার সূত্র ধরে বিজ্ঞানীরা আশা করছেন যে, লিথিয়াম কিংবা সমজাতীয় অন্য কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তুলনামূলকভাবে কম হলে সেগুলো মানুষের আয়ু বাড়ানোর কাজে ব্যবহার করা যাবে। সেইসঙ্গে ওই প্রোটিন অণু সম্পর্কে আরও বিশদ ধারণা অর্জন করতে পারলে প্রবীণদের বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ (যেমন আলঝেইমার বা স্মৃতিভ্রংশ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ইত্যাদি) নিরাময়ের চেষ্টায়ও সাফল্যের সুযোগ থাকবে।
এ-সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদনটি সেল রিপোর্টস সাময়িকীতে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।
এ-সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদনটি সেল রিপোর্টস সাময়িকীতে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।
ওই রিপোর্টের প্রধান লেখক জর্জ ইভান ক্যাস্টিলো-কুয়ান বলেন, জিএসকে-থ্রি নিয়ে তাঁরা অনেক আশাবাদী। মধ্যবয়সে এটি নিয়ন্ত্রণের কার্যকর চিকিৎসা শুরু করা গেলে প্রবীণদের অনেক রোগের চিকিৎসার সঙ্গে সঙ্গে জীবনকে দীর্ঘ করার সম্ভাবনা ঢেড় রয়েছে। যদিও জীবনকাল বৃদ্ধি নিয়ে প্রচুর বিতর্ক রয়েছে দীর্ঘদিন যাবত। তবে সুস্থভাবে বাঁচতে না পারলে জীবনকে দীর্ঘায়িত করার সুফল কখনও মিলবে না। লিথিয়ামজাতীয় ওষুধ প্রয়োগ করে আলঝেইমার রোগটি শুরু হওয়ার বয়স ৭৫ হতে ৯০ বছরে নেওয়া সম্ভব হলে অবশ্যই সেটি খুব ভালো হবে বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকরা।