ঘরোয়া উপায়ে ডিম দিয়ে শ্যাম্পু তৈরির ২টি পদ্ধতি

প্রত্যেক নারীরই আশা-আকাঙ্ক্ষা থাকে মসৃণ, উজ্জল ও চকচকে চুলের। তাই আপনি চাইলেই সেটা পেতে পারেন এমনকি আপনার বাজেট যদি কমও থাকে তারপরও। কারণ এর জন্য আপনাকে খুব বেশি টাকা খরচ করে চুলের জন্য আলাদা ধরনের শ্যাম্পু, কন্ডিশনার বা স্প্রে কোন কিছুই কিনতে হবে না। নিজেই তৈরি করতে পারবেন সেই শ্যাম্পু।
ঘরোয়া উপায়ে ডিম দিয়ে শ্যাম্পু তৈরির ২টি পদ্ধতি
এখানে ডিম দিয়ে শ্যাম্পু তৈরির দুটি প্রস্তুত প্রক্রিয়া দেয়া হলো। দুইটির মাঝে যেকোনো একটি অনুসরণ করলেই হবে।
পদ্ধতি ১
ডিম- ১টি, অলিভ অয়েল- ১ চা চামচ, লেবুর রস- ১ চা চামচ, মাইল্ড শ্যাম্পু- ১ টেবিল চামচ (বেবি শ্যাম্পু), পানি- আধা কাপ।
সবগুলো উপকরণ একসাথে মিশিয়ে নিয়ে মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করতে হবে। তারপর চুলে যেভাবে শ্যাম্পু করা হয় ঠিক সেভাবেই এটি ব্যবহার করতে হবে। এখানে যতটুকু পরিমাণ দেয়া হল তা মিডিয়াম লম্বা চুলে একবার ব্যবহারের জন্য প্রযোজ্য। যদি আপনার চুল খুব বেশি লম্বা হয় তবে সবগুলো উপাদানই কিছু পরিমান বেশি নিয়ে বানাতে হবে। আর যদি তৈরি করা এই শ্যাম্পু বাড়তি থেকে যায় তবে তা ফ্রীজে রেখে ৩৬ ঘণ্টার মাঝে ব্যবহার করলেই হবে। এই শ্যাম্পু যাদের চুল ক্ষতিগ্রস্ত ও রুক্ষ চুল বিশেষ করে যাদের চুল বেশি সূর্যের আলোর দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত তাদের জন্য প্রযোজ্য।
পদ্ধতি ২
ডিম- ১ টি, মাইল্ড শ্যাম্পু- ৩ টেবিল চামচ (বেবি শ্যাম্পু)।
একটি বাটিতে ডিম নিয়ে বিট করে নরম ফোমের মতো বানাতে হবে। তারপর শ্যাম্পুর সাথে মিশিয়ে খুব ভালো করে ব্লেন্ড করতে হবে। এবার চুল কুসুম গরম পানিয়ে ভিজিয়ে নিয়ে তৈরি করা শ্যাম্পুর অর্ধেক নিয়ে মাথার তালুতে এবং চুলে ম্যাসেজ করতে হবে। এই শ্যাম্পুটির ফেনা খুব বেশি হবে না কিন্তু তাতে চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। এবার খুব ভালো করে চুল ধুয়ে বাকি অর্ধেকটা শ্যাম্পু একইভাবে আবার দিয়ে কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে কিন্তু এবার তা ৬০ সেকেন্ডের বেশি সময় রাখার প্রয়োজন নেই।
কিছু টিপস –
১/ যদি মনে করেন যে ডিমের গন্ধ খুব বেশি হচ্ছে তাহলে শ্যাম্পুতে কোন এসেন্সিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে পারেন এক্ষেত্রে লেভেন্ডার অয়েল বা ভ্যানিলা এসেন্স খুব ভালো কাজ করে।
২/ এই শ্যাম্পু ব্যবহারের সময় কোন ভাবেই গরম পানিতে চুল ধোয়া যাবে না, কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে হবে তা নাহলে ডিমের গন্ধ আর বেড়ে যাবে। প্রথমে কুসুম গরম পানিতে চুল ধুয়ে তারপর ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করতে হবে।
৩/ যদি চুল খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্থ থাকে তাহলে এই শ্যাম্পু ব্যবহারের পর ডিমের কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন। চুলের জন্য ডিমের তৈরি যেকোনো প্রাকৃতিক মাস্ক বা কন্ডিশনার ব্যবহার করতে পারেন।
এই প্রাকৃতিক শ্যাম্পু ব্যবহারের মাধ্যমে পেতে পারেন তাৎক্ষণিক ভাবে মসৃণ ও চকচকে চুল। ভালো থাকুন সুন্দর থাকুন সবসময়।
ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »