নতুন প্রযুক্তি: এক পলকেই অদৃশ্য হবে মানুষ!

আমরা এতোদিন সিনেমাতে যা দেখেছি এখন বাস্তবেই তা দেখা যাবে। এমনই এক নতুন প্রযুক্তি আসছে, যার মাধ্যমে এক পলকেই অদৃশ্য হতে পারবেন মানুষ!
অনেক সিনেমার মধ্যে বিশেষ করে হ্যারি পটারের সেই ‘ইনভিজিবিলিটি ক্লোক’-এর কথা মনে রয়েছে? গায়ে চাপিয়েই যেখানে-সেখানে অদৃশ্য হয়ে যাওয়া যায়। আবার বিটিভিতেও অনেক আগেই আমরা এমন কতোগুলো সিরিজ দেখেছি যেগুলোতে দেখা যায় মানুষ একটি ঘড়িতে টিপ দিলেই অদৃশ্য হয়ে যায়। তবে সেইসব রাউলিংয়ের কল্পনা এবার বাস্তবে পরিণত করতে চলেছে।
এমন একটা চাদর আবিষ্কার করা হয়েছে যা গায়ে জড়িয়ে নিলেই, ব্যস্! আর কেও দেখতে পাবে না তাকে! অন্যের চোখের সামনে অদৃশ্য হয়ে যাবে সেই জলজ্যান্ত মানুষটি। একেবারে হ্যারি পটারের সেই ‘ইনভিজিবিলিটি ক্লোক’-এর মতোই!
শুধু কল্পনা নয়, এটি একটি নতুন প্রযুক্তি যে প্রযুক্তিটি এখন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর হাতের মুঠোয়। ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক আবিষ্কার করে ফেলেছেন এমনই এক বিশেষ ধরনের ফেব্রিক, যা আসলে অনেকটা কাজ করে ‘ক্যামোফ্লাজ’-এর মতোই।
এমনটি দেখা যায় প্রাণীজগতের মধ্যে। প্রকৃতিজগতের বহু প্রাণীই শরীরের রং বদলে ফেলতে পারে। দেখা যায় কখনও কখনও গাছের গুঁড়ি, পাতা কিংবা মাটির সঙ্গে মিশে থেকে বিপদের হাত হতে নিজেদের রক্ষা করে। নতুন আবিষ্কৃত এই ফেব্রিকটি যে পরিবেশে রয়েছে, তার রং ‘সেন্স’ করতে সক্ষম। কারণ এতে রয়েছে ছোট ছোট লাইট সেন্সিং সেল।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, রং চিহ্নিত করার পরে একটি ইলেকট্রিক সিগন্যালিং সঞ্চারিত হয় ওই ফেব্রিকটিতে। ফেব্রিকের একবারে উপরের স্তরটি হিট-সেনসিটিভ ডাই-প্রযুক্তিতে রং বদলে আশপাশের পরিবেশের রং ধারণ করে।
তাই যদি ও এই ফেব্রিকের চাদর গায়ে জড়িয়ে কোথাও স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে তাহলে একটু সময় পরেই সেখানকার পরিবেশ অনুযায়ী রং বদলে ফেলবে চাদরটি। তাই বেশ খানিকটা দূরত্ব থেকেও কারও পক্ষে বোঝার উপায় নেই যে সেখানে কেও রয়েছে।
ব্রিটিশ বাহিনী ইতিমধ্যেই এই ‘ইনভিজিবিলিটি ক্লোক’ নিয়ে প্রাথমিক পরীক্ষা করেছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই যুদ্ধক্ষেত্রেও এই অদৃশ্য চাদর ব্যবহার করা হবে বলে আশা করছেন তারা।

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »