মায়ের অতিরিক্ত বাধ্য ছেলে আপনার সঙ্গী ? পরিস্থিতি সামলাতে জেনে নিন যা করতে পারেন

বিয়ের পর একজন নারী নতুন একটি সংসারে তার পুরো জীবনই মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। নিজের পরিবার পরিজন ছেড়ে অন্য আরেকটি সংসারে এসে থাকা কতোটা যন্ত্রণার তা নারীরাই বুঝতে পারবেন। এই যন্ত্রণা আরও অনেক বেশি হয়ে দাঁড়ায় যদি স্বামী পুরুষটির সহযোগী মনোভাব এবং সাপোর্ট একেবারেই না থাকে স্ত্রীর সাথে। অনেক ক্ষেত্রেই স্বামী অতিরিক্ত মা ভক্ত হওয়ার কারণে ন্যায় অন্যায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন, যার প্রভাব পড়ে স্ত্রীর উপরেই। মায়ের সম্মান অনেক উপরে তা নিঃসন্দেহে বলা চলে, কিন্তু নিজের বিবেক বিবেচনার উপরেও তো একটু আস্থা রাখা উচিত। একেবারে অন্ধের মতো চলা সঠিক কাজ নয় বিশেষ করে সম্পর্কের মতো স্থানে। কিন্তু এই সহজ কথাটিই অতিরিক্ত মা ভক্ত ছেলেরা বুঝতে পারেন না বা বুঝতে চান-ই না। তাই নারীটিকেই কম্প্রোমাইজ করে নিতে হয়। যদি আপনার স্বামী অতিরিক্ত মায়ের বাধ্য সন্তান হয়ে থাকেন তাহলে একটু বিরক্ত হওয়ারই কথা। কিন্তু বিরক্ত হয়ে এমন কিছু করবেন না যা আপনার সম্পর্কের জন্য হানিকারক। বরং পরিস্থিতি সামলে নিতে শিখুন। চলুন জেনে নেয়া যাক এমন অবস্থায় কি কি করতে পারেন।
১) শাশুড়ির সাথেই ভালো সম্পর্ক করে ফেলুন
নারীদের একটু হলেও কৌশলী হতে হয়। যদি স্বামী একেবারেই মা ঘেঁষা হয়ে থাকে তাহলে মা’কেই হাত করে ফেলুন না। শাশুড়ির সাথে সুসম্পর্ক বজায় থাকলেই স্বামী পুরুষটির সাথেও অনেকটা মানিয়ে নিতে পারবেন এবং সংসারে ঝামেলাও হবে না।
২) অভিযোগ করবেন না শাশুড়ির নামে
অনেকেই এই ভুল কাজটি করেন। কিন্তু সত্যিই যদি সম্পর্কের ভালো চান তাহলে ভুলেও মা ভক্ত স্বামীর কাছে শাশুড়ির নামে অভিযোগ করবেন না। যদি নিতান্তই কিছু বলতে হয় তাহলে এমনভাবে বলুন যেন, বিষয়টি অভিযোগ না শোনায়।
৩) কথা বলুন সঙ্গীর সাথে
কিছু ব্যাপারে স্বামীকে পরিষ্কার ভাবে বুঝিয়ে বলুন যেন তিনি আপনার সাথে মায়ের কাজের কোনো তুলনা করতে না যান। আপনিই বরং বলুন তার মা অনেক বেশি উপরে, তার সাথে তুলনা করে আপনাকে যেনো লজ্জিত না করেন। এতে অন্তত স্বামীর মনে আপনার জন্যেও সহযোগিতার মনোভাব আসবে।
৪) শান্ত থাকুন ও ধৈর্য ধরুন
অনেক সময় দেখা যায় শাশুড়ি মহিলাটি নিজের সন্তান বউয়ের না হয়ে যায় সে কারণে অনেক কৌশল খাটান। এমন পরিস্থিতিতে রাগ উঠারই কথা, কিন্তু রাগ না করে ঠাণ্ডা থাকুন এবং ধৈর্য ধরুন। কারণ সঠিক সময়ে ঠিকই সব ঠিক হয়ে যাবে। আপনার ধৈর্য ধারণই অনেক সময়ে সামনের ব্যক্তিটিকে সুবুদ্ধি দান করে।
৫) স্বামীকে কখনোই দুজনের মধ্যকার সমস্যা সমাধানের জন্য বলবেন না
বউ-শাশুড়ির সমস্যার মধ্যে কখনোই স্বামীকে টেনে আনবেন না। সমস্যা নিজেরা সমাধান করুন, বিশেষ করে যখন স্বামীটি অতিরিক্ত মা ঘেঁষা হবেন। কারণ তখন স্বামীর রায় মায়ের দিকেই যাবে যা আপনার কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এর চাইতে নিজেই কথা বলে শাশুড়ির সাথে সমস্যা ঠিক করার চেষ্টা চালিয়ে যান।
ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »