হালকা কুসুম গরম পানি পানের ১০টি উপকারিতা

আমরা সবাই জানি পানির অপর নাম জীবন। তবে ঠান্ডা পানি পান করার চাইতে হালকা কুসুম গরম পানি পান করার উপকারিতা অনেক বেশি। হালকা গরম পানি শরীরের জন্য অনেক দিক দিয়ে উপকার করে। গরম পানির এমন ১০টি উপকারিতা নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন।
১. ওজন কমবে –
গরম পানি শরীরের বিপাক ক্রিয়া খুব ভালভাবে সম্পন্ন করে। যার ফলে বাড়তি মেদ কমবে। তবে আরো বেশি কাজ দিবে যদি সকালে খালি পেটে গরম পানির সাথে লেবু মিশ্রিত করে পান করেন। এটা বডি ফ্যাট ভাঙতে সাহায্য করবে।
২. গলা ও নাসারন্দ্রের মধ্যে সমন্বয় সাধন করবে –
ঠাণ্ডা লাগা, কফ জমে যাওয়া এবং গলা ব্যাথায় গরম পানি খুব কার্যকর ভূমিকা রাখে। এটা কফ তরল করে বের করে দেয়। গলা ব্যথা কমায়। এছাড়া নাসারন্দ্রের পথ পরিষ্কার রাখে।
৩. মাসিক বাধা দূর করে –
গরম পানি মেয়েদের মাসিকের সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখে। এটা পেটের পেশীকে শান্ত ও কোমল করে। যার ফলে মাসিকের সমস্যা দূর হয়।
৪. শরীরের বর্জ্য বের করে দেয় –
গরম পানি ( warm water ) পান করলে শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে ঘাম ঝরবে। ঘামের সাথেই শরীরের অনেক ধরনের বর্জ্য বের হয়ে যাবে। এতে শরীর সুস্থ্য থাকবে।
৫. অকালে বয়সের ছাপ দূর করবে –
শরীরের বর্জ্য বের হতে না পারলে ত্বকের কোষ নষ্ট হয়। ফলে অকালে বয়সের ছাপ পড়ে। গরম পানি এই নষ্ট কোষগুলোকে ঠিক করে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায়। ফলে ত্বক কোমল হয় এবং বয়সের ছাপ দূর হয়।
৬. ব্রণ ও ফুস্কুড়ি দূর করে –
গরম পানি বর্জ্য পদার্থ শরীর থেকে বের করে দিয়ে ত্বক পরিষ্কার রাখে। এতে ব্রণ ও ফুস্কুড়ি হওয়ার সম্ভাবনা কমে। তাই যারা ব্রণের সমস্যায় কাতর, তাদের উচিত গরম পানি পান করা।
৭. চুলের স্বাস্থ্য এবং জীবনীশক্তি –
গরম পানি চুলের গোড়ায় থাকা স্নায়ু কার্যকর করে চুল শক্ত করে। ফলে চুল নরম ও উজ্জ্বল থাকে। এটি ফিরে পায় স্বাভাবিক জীবনীশক্তি।
৮. চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে –
চুলের গোড়ার স্নায়ু সক্রিয় থাকায় চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হয়। গরম পানি প্রতিদিনকার কার্যক্রম চালু রেখে চুল লম্বা হতে সাহায্য করে।
৯. রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রেখে নার্ভতন্ত্র সক্রিয় রাখে –
গরম পানি পানের আরেকটি উপকারিতা হল এটা রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। ফলে পেশী ও স্নায়ু সক্রিয় থাকে। পাশাপাশি বাড়তি চর্বি ভেঙ্গে ফেলায় এগুলো যথেষ্ট উন্নত হয়।
১০. হজম ভাল হয় –
খাদ্য গ্রহণের পর ঠাণ্ডা পানি পান করলে খাদ্যের সাথে থাকা চর্বিগুলো জমিয়ে ফেলে। এতে পাকস্থলীর গাত্রে চর্বির স্তর জমতে থাকে। যা শেষ পর্যন্ত ক্যান্সারে রূপান্তরিত হয়। কিন্তু গরম পানি তার উল্টোটা করে। এটা চর্বি ভেঙ্গে তা হজম বা নিঃসরণে সহায়তা করে। ফলে হজম প্রক্রিয়া ভাল হয়।
ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন। www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »