মানুষের মাথা গরম হওয়ার কারণ কী?

মানুষের মাথা যখন-তখন হুটহাট করে বেশি গরম হয়ে যাচ্ছে। অকারণে মেজাজ হারিয়ে সহিংস হয়ে উঠছে মানুষ। গবেষকরা বলেছেন, এর কারণ হতে পারে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি।
এ বিষয়ে নেদারল্যান্ডসের গবেষকরা বলছেন, দীর্ঘ সময় ধরে তাপমাত্রা বেড়ে চলার কারণে মানুষ এখন বেশি সহিংস হয়ে উঠছে। উচ্চ তাপমাত্রা ও ঋতুগত বৈচিত্র্যের অভাব মানুষের মধ্যকার এই সহিংসতাকে ক্রমেই বাড়িয়ে তুলছে। যে কারণে মানুষ ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কম ভাবছে। আর তাই সহজে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছে না মানুষ।
গবেষকরা আরও বলেছেন, উচ্চ তাপমাত্রা এবং ঋতুবৈচিত্র্যের অভাবে মানুষ দ্রুততর জীবন যাপন করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। যে কারণে অধিক আগ্রাসন ও সহিংসতাও বাড়ছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা এভাবে বাড়তে থাকলে অবস্থা আরও ভয়ানক হবে।
গবেষকরা তাঁদের এই তত্ত্বের নাম দিয়েছেন ‘ক্লাশ মডেল’। ক্লাশের সিএল অর্থ ক্লাইমেট, এ-এগ্রেসন, এস-সেলফ কন্ট্রোল এবং এইচ-হিউম্যান।
রিজ ইউনিভার্সিটি আমস্টারডামের গবেষকরা উচ্চ তাপমাত্রার সহিংসতা বাড়ার বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা চালিয়ে আসছেন।
গবেষক পল ভ্যান ল্যাং বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে মানুষ কীভাবে বাস করবে, তা নির্ধারণ করে জলবায়ু। এটা মূলত মানুষের সংস্কৃতির ওপর প্রভাব পড়ে। নতুন এই তত্ত্বটি বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে জলবায়ুর পরিবর্তন সহিংসতা বৃদ্ধির ওপর কীভাবে প্রভাব পড়ে, সেটি বুঝতে সাহায্য করবে।’

পড়া মনে রাখার রহস্য: ঠিক ৪ ঘণ্টা পর ব্যায়াম

বিজ্ঞানীরা বলছেন, কোনো কিছু শেখার ঠিক চার ঘণ্টা পর যদি শরীর চর্চা বা ব্যায়াম করা হয় তাহলে সেটা বেশ ভালোভাবে মনে রাখা যায়।
কোনো কিছু মনে রাখার ব্যাপারে এই কৌশলের কথা বলছেন ডাচ বিজ্ঞানীরা।
৭২ জন মানুষের স্মৃতিশক্তির ওপর গবেষণা চালিয়ে তারা একথা বলছেন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, শরীর চর্চা বা ব্যায়াম করার সময় শরীর থেকে প্রোটিন নির্গত হয়।
মস্তিষ্কের যে অংশটি স্মৃতি রক্ষায় কাজ করে প্রোটিন সেই অংশটিকে আরো বেশি চাঙা করে তুলে।
তবে এই গবেষণায় বলা হচ্ছে, কোনো কিছু মনে রাখার ক্ষেত্রে কতোক্ষণ পর এই শরীর থেকে প্রোটিন নির্গত হচ্ছে তার ওপরেও অনেক কিছু নির্ভর করছে।
তারা বলছেন, লেখাপড়া করার সাথে সাথে বা পরে পরেই নয়, বরং যদি চার ঘণ্টা পরে ব্যায়াম করা হয় তাহলে সেটা ওই পড়া মনে রাখতে সবচে বেশি সাহায্য করে। পরীক্ষাটি কিভাবে চালানো হয়েছিলো:

প্রথমে এই গবেষণার জন্যে ৭২ জনকে সংগ্রহ করা হয়। তারা প্রথমে ৪০ মিনিট পড়াশোনা করেন।
তারপর এদেরকে তিনটি গ্রুপে ভাগ করা হয়।
একটি গ্রুপের সদস্যরা পড়ালেখার পরপরই ব্যায়াম করতে শুরু করেন। দ্বিতীয় গ্রুপটি শরীর চর্চা করেন পড়াশোনা করার চার ঘণ্টা পর। আর তৃতীয় গ্রুপটি কোনো ধরনের ব্যায়ামই করেনি।
প্রথম দুটো গ্রুপের সদস্যরা সাইকেল চালিয়ে ৩৫ মিনিটের মতো ব্যায়াম করেন।
এর দু’দিন পর এই তিনটি গ্রুপের সবাইকে পরীক্ষা করে দেখা হয় যে তাদের কে কতোটুকু মনে রাখতে পেরেছে।
ফলাফল:
দেখা গেছে দ্বিতীয় গ্রুপটি, অর্থাৎ যারা পড়াশোনার চার ঘণ্টা পরে ব্যায়াম করেছিলো, তারাই সবচে ভালোভাবে পড়া মনে রাখতে পেরেছে।
এম.আর.আই-এর সাহায্যে প্রত্যেকের মস্তিষ্কের ছবি তুলে দেখা গেছে মস্তিষ্কের যে অংশটি – হিপোক্যাম্পাস - যা কোনো কিছু মনে রাখার জন্যে কাজ করে, দ্বিতীয় গ্রুপের সদস্যদের মস্তিষ্কে সেটা সবচে বেশি তীক্ষ্ণ ও সতেজ।
ধারণা করা হচ্ছে, শরীর চর্চার ফলে শরীরে যেসব রাসায়নিক উৎপন্ন হয় – যেমন ডোপামিন, নোরেপাইনফ্রাইন, এসব স্মৃতিশক্তিকে জোরালো করতে সাহায্য করতে পারে।
এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন নেদারল্যান্ডসের ডন্ডার্স ইন্সটিটিউট ফর ব্রেইন, কগনিশন এন্ড বিহেভিওরের বিজ্ঞানী গুইলেন ফার্নান্দেজ।
তিনি বলেছেন, তাদের পরীক্ষার ফলাফল থেকে বোঝা যাচ্ছে যে সময় মেপে শরীর চর্চা করলে দীর্ঘমেয়াদে স্মৃতিশক্তির উন্নতি হতে পারে।
যেসব স্মৃতি দুর্বল হয়ে গেছে সেগুলোকেও সম্ভব জোরালো করা।
তবে কয়েক ঘণ্টা পরে ব্যায়াম করলে সেটা কেনো স্মৃতিশক্তির জন্যে ভালো হয়, সেই রহস্যটা এখনও পরিষ্কার নয়।

অল্প সময়েই ক্যান্সার সারাবে যে ফল!

 দূরারোগ্য ক্যান্সার প্রতিরোধে ওষুধ বের করার জন্য প্রাণান্তর চেষ্টা করছেন গবেষকরা। তবে এবার খুব সহজেরই এক ফলের সন্ধান পাওয়া গেছে যেটি খুব অল্প সময়ে ক্যান্সার সারাবে!
ক্যান্সারকে আমরা দূরারোগ্য ও ভয়ংকর রোগ হিসেবে জানি। কারণ এমন এক সময় ছিল যখন এই ক্যান্সার মানেই অবধারিত মৃত্যু ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার পরিবর্তন ঘটছে। এখন এর চিকিৎসাও হচ্ছে। চিকিৎসা করে অনেক ক্যান্সার রোগি মোটামুটিভাবে সুস্থ্য জীবন-যাপন করছেন। এসব কিছুই হয়েছে বিজ্ঞানের দৌলতে। তাই বলা যায় এখন সেই খারাপ সময় কেটে গেছে। তবুও ক্যান্সার নিয়ে মানুষের এখনও রয়েছে ভয়ের অনেক কারণ।
সাম্প্রতিক সময়ে ক্যান্সারের প্রতিষেধক আবিস্কার হয়েছে। সঠিক সময় চিকিৎসা করে করে ক্যান্সারের হাত থেকেও বেঁচে ফিরেছেন অনেক মানুষ।
দিনকে দিন বিজ্ঞান আরও উন্নত হচ্ছে। নানা গবেষণা করে উদ্ভাবন করা হচ্ছে কঠিন রোগের ওষুধ। ইতিমধ্যে একদল বিজ্ঞানী শোনালেন আরও এক চমকপ্রদ তথ্য। তারা দাবি করেছেন, তারা এমন একটি ফল আবিস্কার করেছেন, যা ক্যান্সার সারিয়ে দিতে সক্ষম!
ব্রিসবেনের মেডিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পক্ষ হতে বলা হয়, এক ধরণের ফল ‘রেইন ফরেস্ট বেরি’ মাথা ও গলার টিউমার সারিয়ে দিতে পারে। শুধু তাই নয়, সেইসঙ্গে মাত্র কয়েক মিনিটে মেলানোমাও সারিয়ে দিতে পারে এই আজব ফল।
গবেষকরা বলেছেন, এটি শুধু ধারণা নয়, পরীক্ষার মাধ্যমেও প্রমাণিত হয়েছে। পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এই ফলের বীজ বিড়াল, কুকুর, ঘোড়ার শরীরে হওয়া টিউমার সারিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো, একটি কুকুরের শরীরে হওয়া টিউমারের ওপর এই ফল হতে তৈরি ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করার ৫ মিনিটের মধ্যে সেটি কাজ করতে শুরু করে দেয়। এরপর মাত্র একদিনের মধ্যে কুকুরটি সুস্থ্য হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, ক্যান্সার সারানোর আশ্চর্যজনক এই ফলটি পাওয়া যায় একমাত্র উত্তর কুইন্সল্যান্ডে।

সিগারেটের থেকেও বেশি ক্ষতিকারক ডিমের কুসুম!

আমরা ডিম সিদ্ধ হোক আর পোসই হোক খাওয়ার সময় ডিমের কুসুমটি আগে খেয়ে থাকি। কারণ কুসুমই সবচেয়ে বেশি মজা। কিন্তু গবেষকরা বলেছেন, সিগারেটের থেকেও বেশি ক্ষতিকারক ডিমের কুসুম!
আমরা সকালে ব্রেকফাস্ট টেবিলে সেদ্ধ ডিম কিংবা ডিম পোস খেয়ে অভ্যস্ত। বিশেষ করে ডিমের কুসুম আমরা চেটেপুটে খেয়ে থাকি। কিন্তু এবার কানাডার ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে যে, ধূমপান করার থেকেও বেশি ক্ষতিকারক ডিম খাওয়া, আরও বেশি ক্ষতিকারক ডিমের কুসুম।
আনন্দবাজার পত্রিকার এ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী সম্প্রতি ১২০০ জন নারী-পুরুষকে নিয়ে সমীক্ষা করেন। ওই সমীক্ষায় দেখা যায়, অতিরিক্ত সেদ্ধ ডিম খাওয়াতে তাদের শরীরে ‘ক্যারোটিড আর্টারি স্টেনোসিস’ তৈরি হয়েছে। এতে করে ব্রেন স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি থাকে।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোশিয়েসনের কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক জর্ডন তোমাসেলি বলেছেন, অতিরিক্ত ডিম খাওয়ার পর ক্যারোটিড প্লেক যতোটা তৈরি হয় ধূমপান করলেও ঠিক সেই পরিমাণ প্লেক তৈরি হয় ধমনীতে। এতে রক্তচাপ প্রচুর বাড়ে। এমনকি ফুসফুসে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকাংশে বেড়ে যায়।
এতোকিছু শোনার পরও অনেকেরেই ব্রেকফাস্ট টেবিলে সেদ্ধ ডিম চাই। তাহলে কীভাবে খাবেন সেদ্ধ ডিম? সঙ্গে সঙ্গে তার সমাধান বাতলে দিয়েছেন চিকিৎসক জর্ডন তোমাসেলি।
তিনি বলেছেন, আমাদের শরীরে প্রতিদিন ৩০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল প্রয়োজন পড়ে। সেখানে একটি সেদ্ধ ডিমে কুসুমে কোলেস্টেরল থাকে ১৮৫ মিলিগ্রাম। শুধুসেদ্ধ ডিমই নয়, সারাদিন আমরা কোলেস্টেরল, প্রোটিন জাতীয় অনেক খাদ্য খেয়ে থাকি। এতে করে প্রতিদিন ৩০০ মিলিগ্রামের অনেক বেশি কোলেস্টেরল আমাদের শরীরে জমা হয়।
গবেষক জর্ডনের পরামর্শ, ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে যদি সাদা অংশ খাওয়া যায়, তাহলে শরীরে পরিমাণ মতো কোলেস্টেরল, ভিটামিন ই পৌঁছাবে। এক কথায় বললে, অতিরিক্ত ডিমের কুসুম খাওয়ার কারণে শরীরে কোলেস্টেরল মাত্রাতিরিক্ত বাড়তে পারে। তাই হিসেব করে ডিম খেতে হবে। তা না হলে ভালোর থেকে খারাপই বেশি হবে।

ইন্টারনেট আর থাকছেনা!

ইন্টারনেট বলে কোনো কিছুর অস্তিত্ব থাকবে না এক সময়। ইন্টারনেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে সম্প্রতি এমনই মন্তব্য করলেন গুগলের নির্বাহী চেয়ারম্যান এরিক স্মিড। সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক প্যানেলে তাঁকে ওয়েব নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করতে বললে তিনি বলেন, ‘আমি খুব সাধারণভাবে বলব, ইন্টারনেট হারিয়ে যাবে।’
এরিক স্মিড বলেন, ‘এত বেশি আইপি (ইন্টারনেট প্রোটোকল) ঠিকানা থাকবে…এত বেশি যন্ত্র, সেন্সর ও পরিধেয় পণ্য থাকবে যার সঙ্গে মানুষ যোগাযোগ করবে যে ইন্টারনেটের প্রয়োজনবোধই হবে না।’
স্মিড ব্যাখ্যা করেন, ‘সব সময় মানুষের উপস্থিতির বিষয়টিকেই অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। ধরা যাক, একটি ঘরের মধ্যে প্রবেশ করা হলো যে ঘরটিই হলো বুদ্ধিমান। আমার অনুমতি সাপেক্ষে ঘরে ঢোকামাত্রই আমার ঘরের সব যন্ত্রপাতি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে যার যা কাজ তা শুরু করে দিল।’ স্মিড বলেন, ‘অত্যন্ত ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য, অত্যন্ত যুগোপযোগী যোগাযোগে সক্ষম ও দারুণ মজাদার বিশ্ব আমাদের সামনে উঠে আসবে।
এই প্যানেলে আলোচনার সময় এরিক স্মিড সার্চের বাজারে গুগলের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চলমান বিতর্ক নিয়েও কথা বলেন। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন গুগলের এই বাজার আধিপত্যকে খর্ব করতে মামলা লড়ছে। গত বছরে গুগলের অন্যান্য ব্যবসাকে সার্চ ইঞ্জিন ব্যবসা থেকে পৃথক করার জন্য ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে আলোচনা হয়।
শেরিল স্যান্ডবার্গ‘দ্য ফিউচার অব দ্য ডিজিটাল ইকোনমি’ নামের এই প্যানেলে উপস্থিত ছিলেন ফেসবুকের প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা শেরিল স্যান্ডবার্গ।
শেরিল স্যান্ডবার্গ বলেন, ‘প্রযুক্তি বিশ্ব এখন দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। বর্তমান বিশ্বে সবাই চাকরি নিয়ে চিন্তিত। কিন্তু প্রযুক্তি শুধু এই শিল্পেই চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করছে না; বরং এর বাইরেও কর্মক্ষেত্র বাড়াচ্ছে।’
প্রযুক্তির কারণে চাকরির সুযোগ নষ্ট হচ্ছে কি না—সে বিষয়টি নিয়ে স্মিড বলেন, ‘এই বিতর্ক শত শত বছর ধরেই চলছে। যখন ট্রাক্টর এল তখন অনেকেই হালচাষ ছেড়ে দিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যার সমাধান এনে দিতে পেরেছিল। বৈশ্বিক সমস্যার সমাধান মানেই সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি হওয়া। ’
এছাড়া আলোচনার উপস্তিত মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলা বলেন, ‘প্রযুক্তির সব রকম সুবিধা কী সবার মধ্যে ছড়ানো গেছে? সবার কাছে প্রযুক্তি সুবিধার বিষয়টি আগে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।’
ভিডিও দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

কণ্ঠের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণ হবে গাড়ি

গাড়ি নিয়ন্ত্রণে অ্যান্ড্রয়েড ওয়্যার অ্যাপ আনছে হুন্দাই। নতুন অ্যাপটির নাম দেয়া হয়েছে ব্লু লিংক। ২০১২তে প্রতিষ্ঠানটি এ ধরনের আরেকটি অ্যাপ আনলেও ব্লু লিংক আগেরটির উন্নত সংস্করণ বলে দক্ষিণ কোরীয় গাড়ি নির্মাতা হুন্দাইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
নতুন অ্যাপ দিয়ে কণ্ঠের মাধ্যমেই গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন ব্যবহারকারী। ‘লক মাই কার’, ‘স্টার্ট মাই কার’-এর মতো কমান্ড দিলেই গাড়ির লক হওয়া বা স্টার্ট নেয়ার মতো কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন হবে। কোনো কারণে গাড়ি হারিয়ে গেলে ‘ফাইন্ড মাই কার’ বললেই এর অবস্থান জানাতে সাহায্য করবে অ্যাপটি।
এ সেবা ব্যবহার করতে হলে গ্রাহকের একটি স্মার্টফোন ও একটি অ্যান্ড্রয়েড ওয়্যারের (অ্যান্ড্রয়েডচালিত স্মার্টঘড়ি) প্রয়োজন হবে। স্মার্টঘড়িটি ব্লুটুথের মাধ্যমে স্মার্টফোনের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। স্মার্টঘড়িতে কমান্ড দিলেই তা স্মার্টফোনের মাধ্যমেই গাড়িতে চলে যাবে। তবে এ সেবা ব্যবহারের জন্য অবশ্যই ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন হবে। সিইএসে হুন্দাইয়ের অ্যাপটি স্যামসাং, মটোরোলা, সনি ও এলজির স্মার্টফোনগুলোয় চালিয়ে দেখানো হবে। এছাড়া অন্য কোনো কোম্পানির স্মার্টফোনের মাধ্যমে অ্যাপটি ব্যবহার করা যাবে কিনা, তা এখনো জানা যায়নি।
হুন্দাই তাদের বেশকিছু সংস্করণের গাড়িতে ব্লু লিংক সেবা যুক্ত করেছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ২০১২ সোনাটা, ২০১৫ জেনেসিস, সোনাটা ও আজেরা। বিশ্লেষকদের মতে, অ্যাপের নতুন সংস্করণটি হুন্দাইয়ের গুটিকয়েক গাড়ির জন্য সীমাবদ্ধ করার কারণে এখনই সেবাটির সুবিধা বৃহত্ পরিসরে পাবেন না গ্রাহকরা। তবে শিগগিরই হুন্দাই তাদের প্রায় সব সংস্করণের গাড়িতে অ্যাপটির সেবা চালু করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া দূর নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার মাধ্যমে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে গাড়ি সম্পর্কে চালক ও মালিকের দুশ্চিন্তা অনেকাংশে কমে আসবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

আপনাকে ঘুম থেকে তুলবে আপনার আজব বিছানা!

সকাল বেলায় সঠিক সময় উঠার জন্য আপনি ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে রাখেন। কিন্তু এখন থেকে আর তার প্রয়োজন হবে না। এখন বিছানায় আপনাকে জাগিয়ে দেবে।
অ্যালার্ম বাজার পরও অনেক সময় সকালে ঘুম থেকে ওঠা আপনার জন্য দুষ্কর হয়ে পড়ে। কারণ অ্যালার্ম বাজার পর আপনি অনেক সময় অ্যালার্ম বন্ধ করে আবার ঘুমিয়ে পড়েন। যখন ওঠেন তখন সময় অনেক গড়িয়ে গেছে। অফিস বা নির্দিষ্ট কাজের বারোটা আপনার বেজে গেছে সে সময়ে!
এরকমটা রোজই কারও না কারও হয়ে থাকে। তবে েএবার আর তেমনটি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ আপনাকে ঘুম থেকে তোলার দায়িত্ব এখন থেকে আর আপনার অ্যালার্ম দেওয়া ঘড়িটার থাকছে না, সে দায়িত্ব পাচ্ছে আপনার বিছানার!
এমন কথা শুনে অবাক হয়তো হচ্ছে? আরও অবাক হবেন যদি আপনি শোনেন এই বিছানা কিভাবে আপনার ঘুম ভাঙাবে তাহলে।
প্রকৌশলী কলিন ফুর্জে বানিয়েছেন এমন এক অভিনব ‘হাই ভোল্টেজ ইজেক্টর বেড’। রাত শেষ হয়ে ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই বিছানা আপনাকে ছূড়ে ফেলে দেবে নীচে! অ্যালার্মের মতো এখানে ‘স্নুজ’ করার কোনও সুযোগই আপনি পাবেন না। যে কারণে ঘুম ভেঙে উঠতে বাধ্য হবেন আপনি!

মশা তাড়াতে আজব এক গাছ আবিষ্কার!


মশার কামড়ে অস্থির হয়ে পড়ি আমরা সবাই। মশা তাড়াতে কয়েল বা এরোসল স্প্রে করার প্রয়োজন পড়ে। তবে এবার মশা তাড়াতে আজব এক গাছ আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা।
মশার জ্বালায় অস্থির হয়ে উঠা যাতে না লাগে সেজন্য আবিষ্কৃত এই গাছটি আপনি মশা তাড়াতে ব্যবহার করতে পারবেন। কারণ হলো মশার কামড়টাই শুধু বিরক্তিকর তা নয়, তারউপর মশার কামড়ে ভয়ঙ্কর সব রোগ-বালাই হতে পারে। ম্যালেরিয়া, জিকা ভাইরাসসহ নানা রকম ভয়ংকর রোগ ছড়াচ্ছে এই মশা।
আমরা মশা তাড়াতে কোনও গাছের কথা কখনও শুনিনি। তবে এবার সত্যিই এক আজব গাছ আবিস্কার করেছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। এই গাছটির নাম সাইট্রনেলা খুব সহজেই গাছটি বাড়ির বারান্দায় অথবা ব্যালকনিতে টবের মধ্যেও লাগাতে পারেন। খুব বেশি পানি কিম্বা সারেরও দরকার পড়ে না। এই গাছ বেঁচেও থাকে অনেক বছর ধরে।
আবিষ্কৃত এই গাছটি হতে একধরণের সুগন্ধি বের হয় যা মশাদের একেবারেই অপছন্দ। এই গন্ধ পেলেই মশারা এই গাছের ত্রিসীমানায় ঘেষতে চায় না- পালিয়ে বাঁচে। গাছটি খরা প্রতিরোধেও কাজে আসে বলে জানা গেছে।
এই ধরনের মাত্র ৬/৭ টি গাছ, এক একর জায়গাকে মশা মুক্ত রাখতে সক্ষম। সুতরাং মশার জ্বালায় যারা অতিষ্ঠ হয়ে রয়েছেন তারা দু’তিনটি সাইট্রনেলা গাছ বাড়ীর চারদিকে কিম্বা ফ্ল্যাটের ব্যালকনিতে লাগিয়ে রাখতে পারেন। তবে, মুশকিলও রয়েছে। এই গাছ আমাদের দেশেও পাওয়া যাচ্ছে। আপনার আশে-পাশের নার্সারিতে খোঁজ নিলে হয়তো পেয়ে যাবেন।

মানুষের ‘রক্ত’ সম্পর্কে অজানা ও আজব কিছু তথ্য!

রক্ত মানেই হলো গাঢ় লাল তরল পদার্থ। যা আমরা চোখে দেখলে চমকে উঠি। সেই রক্ত সম্পর্কে আমাদের অনেক কিছুই অজানা। আজ রয়েছে মানুষের ‘রক্ত’ সম্পর্কে আজব কিছু তথ্য।
আমরা জানি রক্ত আমাদের শরীরে অক্সিজেন বহন করে। এর চেয়ে বেশি কিছু আমরা অনেকেই জানি না বা জানার প্রয়োজনীয়তাও দেখি না। অথচ এই রক্ত সম্পর্কে অদ্ভুত কিছু তথ্য রয়েছে যা শুনলে আপনিও অবাক হবেন।
জেনে নিন রক্ত সম্পর্কিত কিছু অদ্ভুত তথ্য:
# ব্রাজিলের ‘বোরোরো’ সম্প্রদায়ের সকলের রক্তই নাকি ‘ও’ গ্রুপের।
# চোখের ‘কর্নিয়া’ অক্সিজেন নেয় বাতাস হতে, অর্থাৎ রক্ত থেকে নয়।
# একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ এক বছরে যে পরিমাণ মাংস খায়, তা একটি সোডা ক্যানের সমান!
# জাপানে বলা হয়ে থাকে, রক্তের গ্রুপ ‘ব্যক্তি চরিত্র’-এর একটি অদ্ভুত চিহ্ন। সে দেশে মানুষের ফেসবুক প্রোফাইলেও তার প্রভাব নাকি লক্ষণীয় হয়।
# সদ্যোজাত একটি শিশুর শরীরে নাকি মাত্র এক কাপ রক্ত থাকে!
# একটি রক্তকোষ, মাত্র ৩০ সেকেণ্ডে পুরো শরীর প্রদক্ষিণ করতে পারে।
# অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ২০ সপ্তাহের মধ্যে একজন মহিলার শরীরে নাকি প্রায় ৫০% রক্ত বৃদ্ধি পায়।
# ‘ও’ গ্রুপের রক্ত মশাদের কাছে সবচেয়ে পছন্দের।
# স্ত্রী মশাই শুধুই রক্ত খায়।

সূর্যালোক ব্যবহারে বিশুদ্ধ হবে পানি

একটি নতুন জাপানি প্রযুক্তির সাহায্যে সূর্যালোক এবং ফটোক্যাটালিস্টস ব্যবহার করে দূষিত পানি বিশুদ্ধিকরণ পরীক্ষা চালু হচ্ছে ভারতে।
‘ফটোক্যাটালাইটিক ওয়াটার পিউরিফিকেশন টেকনোলজি’ নামক নতুন সিস্টেমের রয়েছে টাইটানিয়াম ডাইঅক্সাইড(TiO2) আবদ্ধ করার ক্ষমতা এবং ফটোক্যাটালিস্ট অতিবেগুনি রশ্মির অধীন ক্ষীণভাবে প্রতিক্রিয়া করে। টাইটানিয়াম ডাইঅক্সাইডের অসুবিধা হল যে এটি একবার জলে মিশে গেলে সংগ্রহ করা কঠিন হয়।
এই সমস্যা সমাধানে এই প্রযুক্তির নির্মাতা জাপানি কোম্পানি প্যানাসনিক ফটোক্যাটালিস্টের উভয় দিকে সক্রিয় সাইট বজায় রাখার জন্য একটি উপায় খুঁজে পেয়েছে টাইটানিয়াম ডাইঅক্সাইডকে অন্য একটি কণা জিওলাইটের সাথে মিশ্রনের মধ্য দিয়ে।
যেহেতু দুটি কণা ইলেকট্রস্ট্যাটিক বল দ্বারা একসঙ্গে আবদ্ধ করা হয় তাই এই পদ্ধতিতে কোন দপ্তরী রাসায়নিকতার প্রয়োজন হয়না। যখনই ফটোক্যাটালাইটিক কণা নাড়া হয় তখন টাইটানিয়াম ডাইঅক্সাইড জিওলাইট থেকে মুক্ত এবং জলে বিচ্ছুরিত হয়, যা টাইটানিয়াম ডাইঅক্সাইড সমস্যা সমাধানের জন্য অন্যান্য পদ্ধতির চেয়ে অনেক দ্রুত গতির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।
প্যানাসনিক জানায় স্বল্প খরচে নির্মিত এই প্রযুক্তির উদ্দেশ্য হল ভারত ও এশিয়ার অন্যান্য দরিদ্র দেশগুলোতে পানি দূষণে মৃত্যুর হার হ্রাস করা।

অন্ধকারেও দেখা যাবে কৃত্রিম চোখ দিয়ে

রাতের অন্ধকারে চোখে দেওয়া বড়ই দুষ্কর। লাইটের আলো ছাড়া কোনো কিছু দেখা যায় না। তবে এবার এমন এক কৃত্রিম চোখ আবিষ্কার করা হয়েছে যেটি দিয়ে রাতের অন্ধকারেও দেখা যাবে!
আমরা জানি রাতের ঘুটঘুটে অন্ধকারে কিছু দেখা যায় না। আলো হলে তবেই রাতের অন্ধকারে কোনো কিছু দেখা সম্ভব। তবে এবার আর আলোর প্রয়োজন হবে না। কৃত্রিম চোখ লাগানো থাকলে অন্ধকারেও আপনি সবকিছু পরিষ্কার দেখতে পাবেন। গলদা চিংড়ি এবং আফ্রিকান এক জাতের মাছের চোখের সেরা বৈশিষ্ট্যগুলো কাজে লাগিয়ে কৃত্রিম এই চোখ তৈরি করেছেন মার্কিন গবেষকরা।
গবেষকরা দাবি করে বলেছেন, এই কৃত্রিম চোখ মূলত চিকিৎসা, দুর্যোগে অনুসন্ধান এবং উদ্ধার, মহাকাশে গ্রহ অনুসন্ধানী টেলিস্কোপে ব্যবহার করা সম্ভব হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক দাবি করেছেন, সেন্সর যন্ত্রাংশের পরিবর্তে লেন্সের ভেতর ইমেজিং সিস্টেমের সংবেদনশীলতার ক্ষেত্রে বেশ উন্নতি করেছেন তারা। অন্ধকারে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী রোবট, অস্ত্রোপচার এবং টেলিস্কোপে এই কৃত্রিম চোখ কাজে লাগানো যাবে।

ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই হ্যাক!

এতদিন সবাই জানতো ইন্টারনেটে যুক্ত থাকলে অর্থাৎ অনলাইনে থাকলেই কেবল হ্যাকের শিকার হবে ব্যবহারকারী। কিন্তু সম্প্রতি একদল গবেষক এই ধারণা সম্পুর্ন বদলে দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির একদল গবেষকের তথ্য অনুযায়ী, ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলেই কম্পিউটার বা ফোন নিরাপদ হয়না। অফলাইনেও থাকলেও হ্যাকিং হতে পারে। কম্পিউটার থেকে বের হওয়া লো পাওয়ার ইলেকট্রনিক সিগনালের মাধ্যমে হ্যাকাররা কম্পিউটারে অনুপ্রবেশ করতে পারে।
গবেষকরা সিগনালটির নামকরণ করেছে ‘সাইড চ্যানেল সিগনাল’। কম্পিউটার ভিন্নতায় এই সিগনাল নির্গমনের মাত্রা ও সম্ভাবনা বিভিন্ন রকমের। এই চৌম্বকীয় সিগনাল কয়েক ফুট দূরে রাখা অ্যান্টেনা দিয়ে ধারণ করা সম্ভব। এই অ্যান্টেনা আকারে এতোই ছোট হতে পারে যে ব্রিফকেসের মধ্যেও লুকিয়ে রাখা সম্ভব।
গবেষকদের মতে, সাইড চ্যানেল সিগনাল ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়। তবে নির্গত তথ্যকে দুর্বল করে ঝুঁকি কমানো যেতে পারে। সিগনাল দুর্বল হলে হ্যাকাররা সহজে কম্পিউটার হ্যাক করতে পারবে না।

১০ বছর আয়ু বাড়িয়ে দেবে এমন এক ওষুধ আবিষ্কার!

১০ বছর আয়ু বাড়িয়ে দেবে এমন এক ওষুধ আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা ! বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করার চেষ্টায় এই সাফল্যে বিজ্ঞান আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের একদল গবেষক দাবি করে বলেছেন, নতুন একটি ওষুধ মানুষের আয়ু প্রায় ১০ বছর বাড়িয়ে দিতে সক্ষম। বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ করার চেষ্টায় এই সাফল্যে বিজ্ঞান আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো।
গবেষণায় দেখা যায় যে, জিএসকে-থ্রি নামে এক প্রোটিনের অণুগুলো মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে সংক্ষিপ্ত করে দেয়। এতে করে সেগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে পারলেই জীবনকাল বাড়ানোর সুযোগ সৃষ্টি হবে। ফলের মাছির শরীরেও নাকি জিএসকে-থ্রি প্রোটিন থাকে। এদের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা যায় যে, লিথিয়াম প্রয়োগের মাধ্যমে ওই প্রোটিনের কার্যক্রম ব্যাহত করা সম্ভব। এতে করে ওই প্রাণীটির আয়ু ১৬ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন (ইউসিএল), ম্যাক্স প্ল্যাংক ইনস্টিটিউট ফর বায়োলজি অব অ্যাজিং ও ইউরোপিয়ান মলিকিউলার বায়োলজি ল্যাবরেটরির যৌথ এই গবেষণার সূত্র ধরে বিজ্ঞানীরা আশা করছেন যে, লিথিয়াম কিংবা সমজাতীয় অন্য কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তুলনামূলকভাবে কম হলে সেগুলো মানুষের আয়ু বাড়ানোর কাজে ব্যবহার করা যাবে। সেইসঙ্গে ওই প্রোটিন অণু সম্পর্কে আরও বিশদ ধারণা অর্জন করতে পারলে প্রবীণদের বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ (যেমন আলঝেইমার বা স্মৃতিভ্রংশ, ডায়াবেটিস, ক্যান্সার ইত্যাদি) নিরাময়ের চেষ্টায়ও সাফল্যের সুযোগ থাকবে।
এ-সংক্রান্ত গবেষণা প্রতিবেদনটি সেল রিপোর্টস সাময়িকীতে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।
ওই রিপোর্টের প্রধান লেখক জর্জ ইভান ক্যাস্টিলো-কুয়ান বলেন, জিএসকে-থ্রি নিয়ে তাঁরা অনেক আশাবাদী। মধ্যবয়সে এটি নিয়ন্ত্রণের কার্যকর চিকিৎসা শুরু করা গেলে প্রবীণদের অনেক রোগের চিকিৎসার সঙ্গে সঙ্গে জীবনকে দীর্ঘ করার সম্ভাবনা ঢেড় রয়েছে। যদিও জীবনকাল বৃদ্ধি নিয়ে প্রচুর বিতর্ক রয়েছে দীর্ঘদিন যাবত। তবে সুস্থভাবে বাঁচতে না পারলে জীবনকে দীর্ঘায়িত করার সুফল কখনও মিলবে না। লিথিয়ামজাতীয় ওষুধ প্রয়োগ করে আলঝেইমার রোগটি শুরু হওয়ার বয়স ৭৫ হতে ৯০ বছরে নেওয়া সম্ভব হলে অবশ্যই সেটি খুব ভালো হবে বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্ট গবেষকরা।

অদৃশ্য ট্রেন আনছে জাপান!

এবার ‘অদৃশ্য’ ট্রেন আনছে জাপান! ব্যাপারটি আসলে এমন তা হলো, আপনার সামনে দিয়ে চলে যাবে ট্রেন, কানে শব্দও আসবে অথচ আপনি দেখতে পাবেন না সেই ট্রেনটি।
ঘটনাটি আসলে এমন যে আপনি যতোই মনোযোগ গিয়ে তাকিয়ে থাকুন না কেনো, দেখতে পাবেন না সেই ট্রেনটি! এমন একটি অদৃশ্য ট্রেনই তৈরি করতে যাচ্ছে জাপান। এই ট্রেনটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অদৃশ্য’ ট্রেন।
ওই ট্রেনটির প্রাথমিক নকশাও তৈরি করা হয়ে গেছে। আর এটি করেছেন জাপানী প্রকৌশলী কাজুও সেজিমা। অনেকটা অর্ধ-স্বচ্ছ ও এর উপরের দিকটা আয়নার মতো দেখতে।
ট্রেনটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বলেছে, এর বগিগুলো এমনভাবে তৈরি করা হবে যাতে তা দেখতে একটি বসবাসের ঘরের মতো মনে হয় ও যাত্রীরা এই ট্রেনটিতে ভ্রমণে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।
নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আশা করছে, ২০১৮ সালে যাত্রা শুরু করবে জাপানের এই অদৃশ্য ট্রেন। এটিতে সর্বাধুনিক সকল রকম প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। বলা হয়েছে, বিশ্বের সেরা ও দ্রুতগামী ট্রেনের মধ্যে এটি হবে অন্যতম একটি ট্রেন।

পেনড্রাইভ থেকে সহজেই সেটআপ করে নিন কম্পিউটার

পেনড্রাইভ দিয়েই খুব সহজে যে কোনো ডিভাইসে উইন্ডোজ এক্সপি থেকে শুরু করে ৭ এবং ৮ এর মতো ওসগুলো সেটআপ দিতে পারবেন। এছাড়া আরো যেসব ওস সেটআপ দেয়া যাবে সেগুলোর পূর্ণাঙ্গ তালিকা নিচে দেয়া রয়েছে। এর প্রথমেই পেনড্রাইভকে বুটেবল করতে হবে।
যেভাবে বুটেবল করবেনউইন্ডোজ এক্সপির জন্য চার এবং উইন্ডোজ ৭ ও ৮ এর জন্য কমপক্ষে আট গিগাবাইটের পেনড্রাইভ লাগবে। যে অপারেটিং সিস্টেমটি সেটআপ দেবেন তার আইএসও ফাইলও লাগবে। অপারেটিং সিস্টেমের ডিভিডি ও সিডি ছাড়াও নেট থেকেও আইএসও ফাইল ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
সব কিছু রেডি হয়ে গেলে রুফাস নামের এই সফটওয়্যারটিডাউনলোড করে নিতে হবে। মাত্র ৬১৫ কিলোবাইটের এই সফটওয়্যারটি আপনার পেনড্রাইভকে বুটেবল করবে। এবার মূল কাজে আসা যাক। বেশ কয়েকটি ধাপে পেনড্রাইভকে বুটেবল করার পর সেই পেনড্রাইভ থেকেই আপনার পিসিতে উইন্ডোজ সেটআপ দিতে পারবেন।
১) প্রথমেই রুফাস চালু করুন। তারপর সব উপরে ডিভাইসের জায়গায় আপনার পেনড্রাইভ সিলেক্ট করুন।
২) রুফাসে ডিভাইস অপশনের পরই ‘Partition Scheme and target system type’ নামে একটি অপশন পাবেন। এখানে কোনো পরিবর্তন করার দরকার নেই।
৩) তৃতীয় অপশনে এসে আপনাকে ফাইল সিস্টেম সিলেক্ট করতে হবে। রুফাসে ডিফল্ট হিসেবে Fat ৩২ দেয়া থাকবে। এক্ষেত্রে আপনাকে তা NTFS করে নিতে হবে।
৪) Cluster Size যা আছে সেটাই রেখে দিতে হবে। এর পরেই রয়েছে বুটেবল পেনড্রাইভের নাম রাখার অপশন। ইচ্ছামত একটি নাম দিয়ে দিন।
৫) ফরমেট অপশনের প্রথম ধাপটি আনচেক রেখে দিয়ে কুইক ফরমেট সিলেক্ট করতে হবে।
৬) এবার Create a bootable disk using  চেক করে। ডানপাশে আইএসও ইমেজ সিলেক্ট করতে হবে।
৭) এরপর নিচের Creat extend label and icon files সিলেক্ট করতে হবে।
৮) উপরের ধাপগুলো ঠিক মতো অনুসরণ করা শেষ হলে এবার স্টার্ট বাটনে ক্লিক করলে বুটেবল পেনড্রাইভ তৈরি শুরু হবে।
যেভাবে সেটআপ দেবেনপেনড্রাইভ বুটেবল করা শেষ হলে সেটআপ দেয়ার জন্য প্রথমে কম্পিউটার রিস্টার্ট দিতে হবে। এরপর বুট অপশনে ঢুকে প্রাইমারি বুট হিসেবে ইউএসবি ডিভাইস সিলেক্ট করতে হবে। এরপর বাকি কাজ আগের ওস সেটআপের মতই।
যেসব ওস সেটা আপ দিতে পারবেন এ পদ্ধতিতে:
Arch Linux, Archbang, BartPE/pebuilder, CentOS, Damn Small Linux, Fedora, FreeDOS, Gentoo, GParted, gNewSense, Hiren’s Boot CD, noppix, KolibriOS, Kubuntu , Linux Mint, OpenSUSE , ReactOS, rEFInd, Slackware, Tails, Trinity Rescue Kit, Ubuntu, Ultimate Boot CD, Windows XP (SP2, SP3), Windows Server 2003 R2, Windows Vista, Windows 7, Windows 8, Windows 8.1

ফায়ারফক্স ও,এস সম্পর্কেজেনে নিন।

ফায়ারফক্স বললেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠে ফায়ারফক্স ব্রাউজারের সেই চিরচেনা আইকনটি। আর  ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা প্রায় সবাই জানে এবং চিনে ফায়ারফক্সকে একটি ব্রাউজার হিসাবে। কিন্তু এর বাইরে ফায়ারফক্স ওএস(অপারেটিং সিস্টেম) সম্পর্কে কম লোকেই জানে। আজকে আপনাদের ফায়ারফক্স ওএস সম্পর্কে  কিছু তথ্য দিয়ে বোঝানো চেষ্টা করবো ফায়ারফক্স ওএসটা আসলে কি? ইনশাল্লাহ আশা করি পোষ্টের সাথেই থাকবেন।
ফায়ারফক্স ওএস মূলত কি ?

আমার যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করি তাদের কাছে সম্পূর্ণ ভাবে পরিচিত ফায়ার ফক্স। মূলত আমরা সবাই ফায়ারফক্সকে একটি ব্রাউজার হিসাবেই বেশি চিনি। কিন্তু এর বাইরেও ফায়ারফক্স আরেকটি অনেক বড় পরিচয় আছে আর তা হল Firefox OS বা ফায়ারফক্স অপারেটিং সিস্টেম।
ফায়ারফক্স অপারেটিং সিস্টেম বা ওএস হচ্ছে কোডনেম ( Boot to Gecko সংক্ষেপে B2G) এর Linux kernel বেস Mozilla’s Gecko টেকনোলজির উন্মুক্ত একটি অপারেটিং সিস্টেম। যা স্মার্টফোন, ট্যাবলেট কম্পিউটার ও স্মার্ট টিভিতে ব্যবহার করা হয়। এবং এই ওএসটি সম্পূর্ণ ডেভোলাপ করেছে Mozila Foundation । যা একটি সম্পূর্ণ অলাভজনক সংস্থা।
শুরু হয় যেভাবেঃ

জুলাই ২৫, ২০১১ সালে মোজিলা কর্পোরেশন এর রিচার্স ডিরেক্টরAndreas Gal ফায়ারফক্স ওএস এর কথা ঘোষনা করেন। mozilla.dev.platform মেইলিং লিস্টে “Boot to Gecko” সংক্ষেপে (B2G) প্রজেক্টের আয়তায় এটি তৈরি করা হয়।
এই অপারেটিং সিস্টেমটা তৈরির প্রথম লক্ষ্য থাকে, এমন একটি  মোবাইল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা যাতে, অনেক ডেভেলপার থাকবে, সবাই সহজেই ওএসটির এপ্লিকেশন তৈরি করতে পারবে এবং ওএস নিয়ে গবেষণা, বিভিন্ন সোর্স কোড পরিবর্তন, সংশোধণ করতে পারবে ফলে বিষয়টি অনেক ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং সবার আছে আকর্ষনীয় হয়ে উঠবে। একটি অনেকে মনে করে iPhones অথবা অ্যান্ড্রয়েড এর প্রতিযোগিতার জন্য ফায়ারফক্স ওএস এর উদ্ভব। আসলে তা নয় ইউজাররা যাতে কম খরচে এবং নিজেদের মতো একটি স্মার্টফোনে পায় এটিই প্রধান উদ্দেশ্য।
 যেভাবে কাজ করে ফায়ারফক্স ওএস!

ফায়ারফক্স ওএস Mozila Foundation এর উন্মুক্ত আপরেটিং সিস্টেম বা ফ্রিওয়্যার। এটিতে যে কেও এপ্লিকেশন তৈরি এবং ওএস এ অবদান রাখতে পারেন।এই অপারেটিং সিস্টেমটি সর্ম্পূণ এইচটিএমএল৫, সিএসএস৩ ও জাভাস্ক্রিপ্ট ভিত্তিক।তাই অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেম এর মতন এর এপ্লিকেশন ডেভোলাপ করতে C+, C# বা Python ইত্যাদি জানার দরকার নেই। যে কেও এইচটিএমএল৫, সিএসএস৩ ও জাভাস্ক্রিপ্ট জানা থাকলেই আপনি নিজেই একজন এপ্লিকেশন ডেভোলাপার হয়ে যেতে পারেন। এবং এই ওএসটির সকল কিছুই এইচটিএমএল৫, সিএসএস৩ ও জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে করা।
ফায়ারফক্স ওএস টি মূলত একটি ওয়েব টেকনোলজির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা। সহজ ভাবে বলতে গেলে ফায়ারফক্স ওএস চালিত ফোনটি একটি ব্রাউজারের মতো কিন্তু এটি দিয়ে আপনি মোবাইলের সকল সুবিধা পাবেন। যেহেতু এটি একটি ওয়েব টেকনোলজি বেসের মাধ্যমে তৈরি করা তাই এটি কম হার্ডওয়্যারে অনেক ভাল পার্ফমেন্স করতে সক্ষম।ঠিক সেই জন্য অন্যান্য স্মাটফোনের তুলনায় ফায়ারফক্স ওএস চালিত স্মার্টফোনের দাম অনেক কম।
        এপ্লিকেশন

আগেই বলা হইছে ফায়ারফক্স ওএস এপ্লিকেশন ডেভোলাপ করতে C+, C# বা Python ইত্যাদি জানার দরকার নেই। এইচটিএমএল৫, সিএসএস৩ ও জাভাস্ক্রিপ্ট জানা থাকলেই এপ্লিকেশন তৈরি করতে পারবেন।
ফায়ারফক্স ওএস এর এপ্লিকেশন গুলোকে দুইটি ফর্মে ভাগ করা যায়ঃ Hosted Apps এবং Packaged Apps।

Hosted Apps: হোস্টেড অ্যাপস গুলো সাধারণত মোজিলা সার্ভারে হোস্টেড করা থাকে। আপনি চাইলে ডাউনলোড করে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। তবে হোস্টেড অ্যাপ গুলো ইন্টারনেট কানেশন ছাড়া চলতে পারে না। এক মাত্র ডাটা কানেকশন থাকলেই এগুলো রান হবে, না হলে হবে না।
Packaged Apps: প্যাকেজ অ্যাপস গুলো আপনি একবার ডাউনলোড করলেই হবে। এর কমপ্রেস সোর্স কোডগুলোর সাহায্য আপনি বারবার ডাউনলোডকৃত অ্যাপ এর এক্সেস পাবেন কোন ডাটা কানেকশন ছাড়াই। আর এই অ্যাপস গুলোর সাইজ কম, দ্রুত অপেন হবে।
             পাবলিশ ভাসর্ন
প্রথম ভার্সন ১.০ যা ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তে প্রকাশ করা হয়। কোডনেম TEFদ্বিতীয় ভার্সন ১.০.১ যা ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তে প্রকাশ করা হয়। কোডনেম Shiraতৃতীয় ভার্সন ১.১.০ যা ০৯ অক্টোবর ২০১৩ তে প্রকাশ করা হয়। কোডনেম Leoচতুর্থ ভার্সন ১.১.১ যা তৃতীয় ভার্সন এর মতই শুধু একটু উন্নত করা হয়েছে। কোডনেম HDপঞ্চম ভার্সন ১.২.০ যা ০৯ ডিসেম্বর ২০১৩ তে প্রকাশ করা হয়। কোডনেম Koiষষ্ট ভাসর্ন ১.৩.০ যা ১৭ মার্চ ২০১৪ তে প্রকাশ করা হয়।সপ্তম ভার্সন ১.৪.০ যা ০৯ জুন ২০১৪ তে প্রকাশ করা হয়।অষ্টম ভার্সন ২.০.০ যা ০১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তে প্রকাশ হয়।নবম বর্তমান ভার্সন ২.১.০ যা ২১ নভেম্বর ২০১৪ তে প্রকাশ হয়।
 ফায়ারফক্স ওএস ইউজার ইন্টারফেস (User Interface [UI])


ফায়ারফক্স ওএস এর ইউজার ইন্টারফেস অনেকটা অ্যান্ডোয়েড এর মত । এখানে আপনি অ্যান্ড্রয়েড এর মত হোমস্কিন, লকস্কিন, নোটিফিকেশন বার ইত্যাদি পাবেন।তারপরও এই ওএস থেকে অ্যান্ড্রয়েড ওএসটি একটু হলেও ভিন্ন। এর হোম স্কিনে ব্যাকগ্রাউন্ড ইমেইজ, ক্লাসিকেল ঘড়ি আছে কিন্তু এখানে এখন পযন্ত কোন উইজেট সার্পোটেড হয় নাই।ফায়ারফক্স ওএস আইফোন অথবা উইন্ডোজ ফোন থেকে অনেক ইউজার ফ্রেন্ডলি এবং স্মুথ একটি ওএস।
ফায়ারফক্স ওএস ডাটা কম খরচ করে

অ্যান্ডোয়েড স্মাটফোন ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে প্রায়ই শোনা যায়, যেকোন ভাবেই স্মাটফোনটি বেশি নেট ডাটা খরচ করছে। ফায়ারফক্স ওএস এর ক্ষেত্রে ডাটা সাশ্রয় এর সবচেয়ে বড় সুবিধা পাওয়া যায়। এই ওএস চালিত স্মাটফোনটি অন্যান্য ওএস চালিত স্মাটফোনের ব্রাউজিং থেকে তুলনামুলক ভাবে অনেক কম ডাটা খরচ করে। এর প্রধান কারণ ফায়ারফক্স ওএস এর ওয়েব কমপ্রেশন টেকনিক ফিচার যার জন্য ব্যবহারকারী অতিরিক্ত নেট ডাটার ব্যবহার কমিয়ে দিতে পারে।
 ফায়ারফক্স ওএস এর সিকিউরিটি

ফায়ারফক্স ওএসটিতে অন্যান্য ওএস এর মত উন্নত সিকিউরিটি ব্যবস্থা আছে।বলা যায় ফায়ারফক্স ওএস এর সিকিউরিটি বৈশিষ্ঠ্য গুলো অনেকটা অ্যান্ডোয়েড এর মত।
আপনি আপনার ফায়ারফক্স চালিত ওএসটি পিন এর সাহায্য স্কিনলক বা সিম লক করে রাখতে পারবেন।
অ্যান্ডোয়েড এর মত এখানে প্রতিটি এপস ইনিষ্টল করার সময় পার্মিশন চাওয়া হয়। Low-risk থাকে ওয়েব বা হোস্টেড এপস এর ক্ষেত্রে আর high-risk থাকে লোকাল বা সোর্স অ্যাপস এর ক্ষেত্রে। সেক্ষেত্রে প্রথমেই আপনার কাছ থেকে কনফ্রাম করা হবে অ্যাপস সম্পর্কে। আপনি চাইলে অ্যাপস ইনিষ্টল এর ক্ষেত্রে পারমিশন ম্যানুয়েল করে রাখতে পারেন।
Do not track : এটি ফায়ারফক্স ওএসর আরেকটি উল্লেখযোগ্য সিকিউরিটি বৈশিষ্ট্য। বিভিন্ন ওয়েবসাইট ভিজিটরদের ট্র্যাক বা অনুসরণ করে এবং তার ব্রাউজিং তথ্য অন্য প্রতিষ্ঠানের কাছে অনুমতি ছাড়াই প্রদান করে বা বিক্রি করে। ফায়ারফক্স ওএস এর এই বৈশিষ্ঠ্যটির মাধ্যমে উক্ত ট্র্যাকিং ওয়েবসাইটকে জানায় যে আপনি চান না ব্রাউজিং অনুসরণ করা হোক।তবে এই নির্দেশ মানা অনেকটাই উক্ত ওয়েবসাইটটির ইচ্ছাধীন — প্রত্যেক ওয়েবসাইট Do not track নির্দেশ মানবেই এমন কোন কথা নেই। যে ওয়েবসাইট গুলো এই নিদের্শটাকে বা ভিজিটরকে সম্মান করে তারা আপনাকে অনুসরণ করবে না।
 ফায়ারফক্স মার্কেটপ্লেস


অ্যান্ডোয়েড অ্যাপসস্টোর এর মত ফায়ারফক্স ওএস এর জন্যও রয়েছে Firefox Marketplace যেখানে বর্তমানে হাজারো অ্যাপস এর এক বিশাল সম্ভার রয়েছে। বাংলাদেশে তৈরি বিভিন্ন লোকাল অ্যাপ্লিকেশন ছাড়াও আপনার প্রয়োজনীয় প্রায় সকল অ্যাপস পাবেন মার্কেটপ্লেসটিতে। তবে ফায়ারফক্স ওএস নিতান্তই নতুন হওয়াতে হয়তো অনেক অ্যাপস এখনো পাবলিশ নাও হতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে আপনার কাছে তো সেরা ওয়েব ব্রাউজিং অভিজ্ঞতা তো থাকছেই।তাই অ্যাপস এর দিক দিয়ে একটু ছাড় তো দিতেই হবে। আর নতুন নতুন অ্যাপস এড করার জন্য মোজিলিয়ানরা কাজ করে যাচ্ছে।
 সম্পূণ শুদ্ধ বাংলা

ফায়ারফক্স ওএসটি সবার কাছে সহজে বোধগম্য করতে এতে রয়েছে সম্পূণ শুদ্ধ বাংলা ভাষা। ফায়ারফক্স ওএস এর মাধ্যমে সবার কাছে বাংলা ভাষা পৌঁছে দিতে মোজিলিয়ানদের একটি বড় অবদান এর প্রতিটি অংশ বাংলা ভাষার ব্যবহার করা। সেই জন্য নিবেদিত মোজিলিয়ানরা কাজ করে যাচ্ছে। যেকোন রোবটিক বাংলা ভাষার বাইরে এটি সহজবোধ্য ও শুদ্ধ। বাংলা ভাষার ভাল ব্যবহারের জন্য যেকোন শ্রেনীর, যেকোন পেশাজীবিদের জন্য অনেক সহজ হবে স্মাটফোনটি চালাতে।
 বাংলাদেশে ফায়ারফক্স ওএস

বাংলাদেশে দক্ষিন এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ হিসাবে মজিলার তৈরি স্মাটফোন অপারেটিং সিস্টেম ফায়ারফক্স ওএস বাজারে আনে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে রাজধানীর দি ওয়েস্টিনে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গ্রামীনফোন ফায়ারফক্স ওএস সার্পোটেড ফোন GoFox F15 আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করে।
GoPro F15 স্পেসিফিকেশন

বাংলাদেশে ফায়ারফক্স ওএস সম্বলিত ফোন Symphony GoFox F15 টিতে রয়েছে ফায়ারফক্স এর ওএস ভার্সন Firefox OS 1.4।
ফোনটির ডিসপ্লে ৩.৬” এবং হার্ডওয়্যার স্পেক এ রয়েছে ১গিগাহায সিঙ্গেল কোর প্রসেসর, ৫১২ র‌্য্যম ও ৫১২ মেগাইট রম। সবচেয়ে ভাল ব্যাপার এটিও ফায়ারফক্স ওএস চালিত একমাত্র ৩জি ফোন যাতে ভিডিও কলিং এর ফিচার রয়েছে। আপনি ডুয়েল সিম ব্যবহার করতে পারবেন ফোনটিতে। ফোনটিতে আরো আছে
৩.২ মেগাপিক্সেল ব্যাক এবং ০.৩ ফ্রন্ট ক্যামেরা।ওয়াইফাই, ব্লুটুথ রয়েছে কিন্তু জিপিএস নেই, তবে মজিলার MLS সার্ভিস দ্বারা নেভিগেশন এর কাজ করতে পারবেন জিপিএস ছাড়াই। তাছাড়া ফোনটিতে সেন্সর হিসাবে Gsensor এবং Accelerometer সেন্সর রয়েছে।গ্রামীনফোন অতিরিক্ত সুবিধার জন্য রেখেছে “WowBox” ফিচার যার মাধ্যমে দৈনিক ২০ এমবির মত ইন্টারনেট পেতে পারেন।
 Symphony GoFox F15 টি প্রি-বুকিং শুরু হয় ১৭ সেপ্টেম্বর।প্রি-অর্ডার শুরু হওয়ার মাত্র ৩৬ ঘন্টার মধ্যেই ফোনের স্টক শেষ হয়ে যায়।এতেই বোঝা যায় ফায়ারফক্স ওএস এর জনপ্রিয়তা। বাংলাদেশে ফোনটির দাম ৪,৬৫০ টাকা (প্রায় ৫৮ ডলার) ধরা হয়েছে।

৫৮ ডলার মূল্য ধরায় প্রখমেই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। কারণ ভারতে ২৫ ডলার মূল্য এই স্মাটফোনটি বিক্রি হলেও এখানে তা প্রায় ৫৮ ডলার! যার কারণে বাংলাদেশের মোজিলিয়ানরা এর উত্তর দিয়েছেন।
 ফায়ারফক্স ওএস ফোনটির আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ফিচারঃ
ভিডিও কল সুবিধা

Symphony GoFox F15 ফায়ারফক্স ওএস স্মার্টফোনটিতে ডিফল্ট ভাবেই ভিডিও কল সুবিধা সম্বলিত, ৩জি থাকাতে এটি আরো সহজ হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ফায়ারফক্স মার্কেটপ্লেসে থার্ডপার্টি বিভিন্ন ভিডিও কলিং মেসেঞ্জার যেমনঃ স্কাইপি না থাকার কারণে হয়তো একটু সমস্যা হতে পারে। কিন্তু আশা করা যায় ব্যবহারকারী ও ডেভোলাপার বাড়ার সাথে সাথে স্কাইপিও অচিরেই চলে আসবে মাকের্টপ্লেসে।
অ্যাডাপ্টিভ অ্যাপস সার্চ

ফায়ারফক্স ওএস এর একটি গুরুত্বপূর্ণ আর আকর্ষনীয় বিষয় হচ্ছে অ্যাডাপ্টিভ সার্চ। যার মাধ্যমে আপনি যে অ্যাপ চাচ্ছেন তা সার্চ করবেন অত্যন্ত কম সময়েরে মধ্যে আপনাকে সার্চ এর রেজাল্ট দেখাবে। শুধু তাই নয় প্রতিবার সার্চ এ ব্যাকগ্রাউন্ড পিক পরিবর্তন হবে এবং যদি এমন থাকে, কোন অ্যাপ আগে থেকে ইনিষ্টল তবে তা বাদ দিয়ে রেজাল্ট শো করবে। আরে সুন্দর ভাবে দেখার জন্যফায়ারফক্স ওএস অফিসিয়ালে পেজে যেতে পারেন।
 Moments That Entertain (এন্টারটেইন)





এতকিছু যে স্মার্টফোনে আছে তাতে আর মিউজিক থাকবে না তা কি হয়। আসলেই তাই ফায়ারফক্স ওএস এ আছে স্মার্ট “মোমেন্টস দ্যাট এন্টারটেইন” MP3 প্লেয়ারে MP3 ছাড়াও AAC, WAV সাপোর্টেড। আছে উন্নত Radio অ্যাপ আপনি রেডিও অন করার সাথে সাথে রেডিও চ্যানেল খোজঁ শুরু হয়ে যাবে। এবং যে FM চ্যানেল গুলো পাওয়া যাবে তা আপনার সামনে শো করাবে। ফেভারেট বা গ্রুপ করে চ্যানেল রাখার সুবিধা রয়েছে। Video তে আপনি সব ধরণের MP4 ফরমেটের ভিডিও গুলো চালাতে পারেন। তাছাড়া 3GP এবং FLV সাপোর্টেড।
ফটো এডিটর অ্যাপস

ফায়ারফক্স ওএস এ বিল্টইন ভাবেই ফটো এডিটর রয়েছে। অন্যান্য স্মাটফোনের মতো এখানেও আপনি ছবিতে বিভিন্ন ইফেক্ট, ক্রপ, টেক্সট এড, ব্রাইটনেস বাড়ানো বা কমাতে পারবেন।
 শেষ কথা
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ফায়ারফক্স ওএস একদমই নতুন। বর্তমানে অনেকেই অ্যান্ডোয়েড ওএস এর যথাযথ ব্যবহার করতে জানে না। কিন্তু নিতান্তই সহজ ইন্টারফেস, বাংলা সাপোর্ট, ওয়েব ব্রাউজিং এর দারুন অভিজ্ঞতার জন্য বলা যায় খুব তাড়াতাড়িই জনপ্রিয় হয়ে উঠবে সবার আছে ফায়ারফক্স ওএস এর স্মার্টফোন। এই বিষয়টাকে আরো পরিষ্কার করে গ্রামীনফোনের স্মার্টফোনটি প্রি-অর্ডার এর স্টক শেষ হওয়ার মাধ্যমে।
আশা করা যায় বাংলাদেশের প্রতিটি পেশাজীবি মানুষের কাছে কম মূল্যর কিন্তু ভাল ফিচার সমৃদ্ধ এই স্মার্টফোনটি পৌছেঁ যাবে।
আর উদ্দেশ্য পূরর্ণ হবে মোজিলা ফাউন্ডেশনের সবার কাছে সাশ্রয়ী মূল্যর স্মার্টফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চত করা।

নিয়ে নিন সেরা ৯ টি অ্যান্টিভাইরাস এর Activator, Keygen & Trial Resetter!

সেরা ৯ টি অ্যান্টিভাইরাস এর Activator, Keygen & Trial Resetter ডাউনলোড লিঙ্
১. Avast (Premier, Pro, Free, Internet Security)

Keys ডাউনলোড : এখানে ক্লিক করুন অথবা Mirrors
Crack ডাউনলোড : এখানে ক্লিক করুন অথবা Mirrors
Trial Resetter ডাউনলোড : এখানে ক্লিক করুন অথবা Mirrors
Key : W1208070R9900D1199-T549MYK0
২. Avira (Antivirus, Family Protection, Internet Security, Ultimate Protection)

Keys ডাউনলোড : এখানে ক্লিক করুন অথবা Mirrors
৩. Kaspersky (Antivirus, Crystal, Internet Security, OpenSpace,Pure)

2013
Keys ডাউনলোড : এখানে ক্লিক করুন অথবা Mirrors
2014
Crack & Trial Restter ডাউনলোড : এখানে ক্লিক করুন অথবা Mirrors
৪. AVG All Products

৫. ESET NOD32 & Smart Security

NOD32:
Keys ডাউনলোড : এখানে ক্লিক করুন অথবা Mirrors
Crack ডাউনলোড : Mirrors
Smart Security:
Crack ডাউনলোড : Mirrors
৬. Bitdefender All Products

৭. Norton All Products

2014:
Trial Resetter ডাউনলোড : এখানে ক্লিক করুন
2013:
Trial Resetter ডাউনলোড : এখানে ক্লিক করুন Password : onhax
৮. Malwarebytes

৯. IObit Malware Fighter 2

ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা উদ্ভাবন করলেন ‘লিপ রিডিং’ প্রযুক্তি!

ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা এবার উদ্ভাবন করলেন ‘লিপ রিডিং’ প্রযুক্তি! এই প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের ঠোঁট নড়া দেখে সে কি বলছে তা জানা যাবে!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা গেছে, ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা এমন এক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন, যাতে মানুষের ঠোঁট নড়া দেখে সে কি বলছে তা জানা যাবে।
ব্রিটিশ ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট অ্যাংলিয়ার গবেষকরা বলেছেন, তাদের এই ‘লিপ রিডিং’ প্রযুক্তি অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় খুবই সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
মানুষের কথা বলার দৃশ্য যদি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে, তখন সেই ফুটেজ বিশ্লেষণ করেই এই প্রযুক্তি বের করে ফেলতে পারবে, তারা আসলে কি বলছিল।
গবেষকরা মনে করছেন, কেবল অপরাধ দমনে নয়, এই প্রযুক্তি সাংবাদিকদেরও বিরাট কাজে আসবে। যারা ‘সেলিব্রেটিদের’ খবরের পেছনে ঘুরে, তাদের জন্য এটা হতে পারে এক বিরাট হাতিয়ার!
সংবাদ মাধ্যমের খবরে আরও বলা হয়েছে, ‘লিপ রিডিং’ বিশেষজ্ঞরা বর্তমানে ‘পি’ এবং ‘বি’ এর মতো ধ্বনির মধ্যে তফাৎ করতে পারেন না। তবে নতুন এই প্রযুক্তিটি নাকি ‘ঠোঁট নড়া’ দেখেই সঠিকভাবে বলতে পারবে মানুষ কখন ‘পি’ বা ‘বি’ বলছে সেটি। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স উদ্ভাবনেও এই প্রযুক্তিটি এক সহায়ক হবে- এমনটিই বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন।

নতুন প্রযুক্তি: এক পলকেই অদৃশ্য হবে মানুষ!

আমরা এতোদিন সিনেমাতে যা দেখেছি এখন বাস্তবেই তা দেখা যাবে। এমনই এক নতুন প্রযুক্তি আসছে, যার মাধ্যমে এক পলকেই অদৃশ্য হতে পারবেন মানুষ!
অনেক সিনেমার মধ্যে বিশেষ করে হ্যারি পটারের সেই ‘ইনভিজিবিলিটি ক্লোক’-এর কথা মনে রয়েছে? গায়ে চাপিয়েই যেখানে-সেখানে অদৃশ্য হয়ে যাওয়া যায়। আবার বিটিভিতেও অনেক আগেই আমরা এমন কতোগুলো সিরিজ দেখেছি যেগুলোতে দেখা যায় মানুষ একটি ঘড়িতে টিপ দিলেই অদৃশ্য হয়ে যায়। তবে সেইসব রাউলিংয়ের কল্পনা এবার বাস্তবে পরিণত করতে চলেছে।
এমন একটা চাদর আবিষ্কার করা হয়েছে যা গায়ে জড়িয়ে নিলেই, ব্যস্! আর কেও দেখতে পাবে না তাকে! অন্যের চোখের সামনে অদৃশ্য হয়ে যাবে সেই জলজ্যান্ত মানুষটি। একেবারে হ্যারি পটারের সেই ‘ইনভিজিবিলিটি ক্লোক’-এর মতোই!
শুধু কল্পনা নয়, এটি একটি নতুন প্রযুক্তি যে প্রযুক্তিটি এখন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর হাতের মুঠোয়। ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক আবিষ্কার করে ফেলেছেন এমনই এক বিশেষ ধরনের ফেব্রিক, যা আসলে অনেকটা কাজ করে ‘ক্যামোফ্লাজ’-এর মতোই।
এমনটি দেখা যায় প্রাণীজগতের মধ্যে। প্রকৃতিজগতের বহু প্রাণীই শরীরের রং বদলে ফেলতে পারে। দেখা যায় কখনও কখনও গাছের গুঁড়ি, পাতা কিংবা মাটির সঙ্গে মিশে থেকে বিপদের হাত হতে নিজেদের রক্ষা করে। নতুন আবিষ্কৃত এই ফেব্রিকটি যে পরিবেশে রয়েছে, তার রং ‘সেন্স’ করতে সক্ষম। কারণ এতে রয়েছে ছোট ছোট লাইট সেন্সিং সেল।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, রং চিহ্নিত করার পরে একটি ইলেকট্রিক সিগন্যালিং সঞ্চারিত হয় ওই ফেব্রিকটিতে। ফেব্রিকের একবারে উপরের স্তরটি হিট-সেনসিটিভ ডাই-প্রযুক্তিতে রং বদলে আশপাশের পরিবেশের রং ধারণ করে।
তাই যদি ও এই ফেব্রিকের চাদর গায়ে জড়িয়ে কোথাও স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে তাহলে একটু সময় পরেই সেখানকার পরিবেশ অনুযায়ী রং বদলে ফেলবে চাদরটি। তাই বেশ খানিকটা দূরত্ব থেকেও কারও পক্ষে বোঝার উপায় নেই যে সেখানে কেও রয়েছে।
ব্রিটিশ বাহিনী ইতিমধ্যেই এই ‘ইনভিজিবিলিটি ক্লোক’ নিয়ে প্রাথমিক পরীক্ষা করেছে। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই যুদ্ধক্ষেত্রেও এই অদৃশ্য চাদর ব্যবহার করা হবে বলে আশা করছেন তারা।

স্বার্থপর মানুষও হয়ে যাবেন পরোপকারী!

এমন কথা শুনে যে কেও ভাবতে পারেন স্বার্থপর মানুষ আবার কীভাবে পরোপকারী হতে পারে? কিন্তু বিজ্ঞানের বদৌলতে এবার তাই হতে চলেছে। স্বার্থপর মানুষও হয়ে যাবেন রাতারাতি পরোপকারী!
আপনার খুব কাছের কাওকে মনে হতে পারে খুব স্বার্থপর? সে শুধুই নিজের কথা ভাবে, অন্যকাওকে নিয়ে কখনও কোনো চিন্তা-ভাবনা করে না। আপনি হয়তো এমন কথা ভাবেন যদি কোনো ওষুধ খাওয়ানো যেতো তাহলে আপনার সেই স্বার্থপর আপনজন হয়তো পরোপকারী হয়ে যাবে। তবে আপনি যেমনটি চাইছেন, এবার ঠিক তেমনভাবেই বদলে নিতে পারবেন আপনার স্বার্থপর নিকটজনকে! এমন একটি অসাধ্যকে সাধন করতে যাচ্ছেন নিউরো-সায়েন্সের সাম্প্রতিক গবেষণার ফলাফল।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, আমরা যেসব কাজ করি, তার লক্ষ্য কিংবা উদ্দেশ্যগুলোকে (মোটিভ) নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আমাদের মস্তিষ্কে পৃথক পৃথক এলাকা কিংবা ‘রিজিওন’ রয়েছে। আর কৃত্রিমভাবে সেই এলাকাগুলোর ওপর আমরা খবরদারিও করতে পারি। আমরা চাইলে, সেই এলাকাগুলো দিয়ে আমাদের ইচ্ছেমতো কাজ করিয়ে নিতে পারি। যার প্রকৃত অর্থ হলো, কেওই জীবনভর ‘স্বার্থপর’ কিংবা ‘নিঃস্বার্থ পরোপকারী’ হয়ে থাকতে পারেন না।
আপনি কী জানেন? আমার-আপনার এমন আচার-আচরণ কিংবা স্বভাবগুলোকে, চাইলেই কৃত্রিমভাবে পুরোপুরি বদলে দেওয়া যায়? যাতে একজন চরম ‘স্বার্থপর’ মানুষ অন্যের জন্য হয়ে ওঠতে পারেন দারুণ পরোপকারী! আবার উল্টোটাও সম্ভব!
‘দ্য ব্রেনস’ ফাংশনাল নেটওয়ার্ক আর্কিটেকচার রিভিলস্‌ হিউম্যান মোটিভস্‌’ শীর্ষক ওই গবেষণাপত্রটি ছাপা হয়েছে বিজ্ঞান-জার্নাল ‘সায়েন্স’-এর সাম্প্রতিক একটি সংখ্যায়। গবেষক দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরো-সায়েন্টিস্ট এবং মনস্তত্ত্ববিদ গ্রিট হেন, আর্নেস্ট ফের ও ইওসুকে মোরিশিমা।
গবেষণাটির অভিনবত্ব সম্পর্কে সহযোগী গবেষক নেদারল্যান্ডসের রাবাউন্ড ইউনিভার্সিটি নিমেজেনের নিউরো-সায়েন্স বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ঊর্মিমালা মিশ্র বলেছেন, ‘দিনভর, মাসভর, বছরভর কিংবা জীবনভর আমরা যেসব কাজকর্ম করে থাকি, সে সবের ‘মোটিভ’গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্কের কোন এলাকা, তা কীভাবে করে, তা জানা গেলো, এই প্রথমবার। মাথায় রাখবেন, আমরা বেশির ভাগ কাজকর্মই করি আমাদের অজান্তেই। আমরা নিজেরাই আসলে জানি না, বা বুঝি না কাজটা কেনো করছি কিংবা কেনো করবো বলে ঠিক করেছি। যদিও শিশুরা এটা বেশি করে থাকে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রবণতা কিছুটা কমে যায়। বৃদ্ধাবস্থায় সেই প্রবণতা আবার বেড়ে যায়। ডায়নামিক কজাল মডেলিং (ডিসিএম) পদ্ধতিতে আমরা মস্তিষ্কের বিভিন্ন এলাকার কাজকর্মের পৃথক পৃথক ধরণ দেখতে পেয়েছি।’
আমরা আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্মের পিছনে যেসব ‘মোটিভ’গুলো থাকে, তাদের নিয়ন্ত্রণ করার এলাকাগুলোকে খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা তাতে দেখেছি, আমাদের ‘স্বার্থপরতা’ কিংবা ‘নিঃস্বার্থ পরোপকারে’র মতো প্রবণতাগুলো প্রকৃতপক্ষে একেবারেই আপেক্ষিক। কেও যেমন জীবনভর স্বার্থপর থাকেন না, ঠিক তেমনই কেও আবার সারাটা জীবন নিঃস্বার্থে পরোপকার করেন না। দেখা যায় তারা সময় সময় বদলে যান, নিজের অজান্তেই সেই পরিবর্তনটা আরও দ্রুত করে তোলা যায়। শুধু তাই নয়, সেই পরিবর্তনটাকে আরও ঘন ঘন করানো যায়।’ আর তাই কেও যদি আপনাকে ‘চরম স্বার্থপর’ বলে তাহলে এবার প্রতিবাদ করুন! অপরদিকে আমার-আপনার চারপাশে যেসব ‘নিঃস্বার্থ’ মানুষটার গুণগান গাওয়া চলছে, তা পুরোপুরি ঠিক হচ্ছে কি না, এবার একটু ভেবে দেখুন!
কোনো কোনো ‘বোধ’ কাজ করে, এক সহযোগী গবেষক, জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরো-সায়েন্টিস্ট মেঘনা শ্রীবাস্তব ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘আমরা দেখেছি, আমাদের মস্তিষ্কের দু’টি এলাকা আমাদের কাজকর্মের দু’টি অন্যতম বা প্রধান ‘মোটিভ’কে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। আমরা অন্যের জন্য কাজ করি হয় সংবেদনশীলতা কিংবা ‘এমপ্যাথি’ হতে, না হলে তা করি ‘রেসিপ্রোসিটি’ হতে। ‘রেসিপ্রোসিটি’ খুব অদ্ভুত একটা জিনিস। এটি প্রকৃতপক্ষে দু’রকমের হয়। আমি আপনার উপকার করবো তবে তার বদলে আমি কী পাবো? এই যে হিসেব কষে কখনও কখনও আমরা কারও উপকার করে থাকি, সেটি এক রকমের ‘রেসিপ্রোসিটি’। এর আরেকটা ধরন রয়েছে। আর তা হলো, ‘উনি আমাকে ওই ভয়ঙ্কর বিপদের সময় এক কথায় অনেকগুলো টাকা কর্য দিয়ে খুব উপকার করেছিলেন। আজ তার ছেলের চাকরির জন্য আমার একটা সুপারিশ করা দরকার। এমনটি ভেবে উপকারটা করে বসলে, সেটাও হয়ে দাঁড়ায় ‘রেসিপ্রোসিটি’।

কম্পিউটারের গতি বাড়ানোর সাতটি কার্যকর উপায়

অনেকেই কম্পিউটারের গতি কমে গেলে বিভ্রান্ত হয়ে যান। কম্পিউটার যদি ধীরগতিতে কাজ করে তাহলে কার না বিরক্ত লাগে! কিন্তু সামান্য কিছু কাজ করলে কম্পিউটারের গতি কিছুটা বাড়িয়ে নেওয়া যায়। এ ধরনের কয়েকটি উপায় প্রকাশিত হলো এ লেখায়।
১. জায়গা খালি করুন
অনেক কম্পিউটারেরই হার্ড ডিস্কের জায়গা ভর্তি হয়ে যাওয়ায় সেগুলো ধীর হয়ে যায়। আর হার্ড ডিস্কের জায়গা খালি না করলে কোনোভাবেই সেগুলোর গতি ফেরানো সম্ভব হয় না। প্রত্যেক হার্ড ডিস্কেরই কমপক্ষে পাঁচ ভাগ স্থান খালি রাখা প্রয়োজন। তাই গতি বাড়ানোর জন্য প্রথমেই আপনাকে হার্ড ডিস্কের কিছু জায়গা খালি করতে হবে। অনেক কম্পিউটারেই বহু প্রোগ্রাম ইনস্টল করা থাকে, যেগুলোর কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। এসব অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম ও ফাইল মুছে ফেলাই হতে পারে গতি বাড়ানোর অন্যতম উপায়।
২. কম্পিউটার ঠাণ্ডা রাখুন
কম্পিউটারের ভেতরের যন্ত্রগুলো অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলে তার গতি কমে যেতে পারে কিংবা বন্ধও হয়ে যেতে পারে। এ সমস্যা দেখা দিলে প্রথমেই কম্পিউটারের বাতাস চলাচলের পথগুলো উন্মুক্ত রাখতে হবে। ভেতরে ময়লা জমলে তা ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। ল্যাপটপে এমনটা হলে বাড়তি ফ্যানসহ কুলিং প্যাড ব্যবহার করতে পারেন। আর ডেস্কটপ কম্পিউটার বেশি গরম হলে বাড়তি ফ্যান লাগানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. টেম্পোরারি ফাইল ডিলিট করুন
আপনার ইন্টারনেটের ফাইলগুলো কি কখনো ডিলিট করেছেন? যেকোনো ওয়েবসাইট ভিজিট করলেই এসব ফাইল কম্পিউটার সেভ করে রাখে। আর এ প্রক্রিয়ায় কম্পিউটার ক্রমে ধীরগতির হয়ে যায়। এ ঝামেলা দূর করার জন্য আপনার নিয়মিত টেম্পোরারি ফাইল ডিলিট করা উচিত। এ ছাড়া কম্পিউটারেরও কিছু টেম্পোরারি ফাইল থাকে। এগুলো ডিলিট করার ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি আছে। আপনি যে ব্রাউজার ব্যবহার করেন সেটার এবং কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম অনুযায়ী খবর নিয়ে টেম্পোরারি ফাইলগুলো ডিলিট করে নিন।
৪. একসঙ্গে বেশি প্রোগ্রাম চালাবেন না
কম্পিউটারে যদি আপনার একসঙ্গে অনেকগুলো প্রোগ্রাম কিংবা ওয়েবসাইট চালানোর অভ্যাস থাকে তাহলে সেটা বাদ দিন। এ কারণে কম্পিউটারের ব্যবহারযোগ্য মেমোরি কমে যায় এবং কম্পিউটারের গতিও কমে পাল্লা দিয়ে।
৫. কম্পিউটার চালু
কম্পিউটার চালুর সময় একাধিক প্রোগ্রাম চলতে শুরু করলে তা আপনার কম্পিউটারের গতি অনেকাংশে কমিয়ে দেবে (যেমন মেসেঞ্জার, একাধিক ভাইরাস গার্ড, স্কাইপ)। এ সমস্যা মোকাবিলায় প্রোগ্রামগুলো যেন শুধু প্রয়োজনের সময়েই চলে এবং অন্য সময় না চলে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
৬. মেমোরি সমস্যা মোকাবিলা
কম্পিউটার যদি হয় পুরনো মডেলের তাহলে নতুন সফটওয়্যার চালাতে তা সমস্যায় পড়তে পারে। এ সমস্যা মোকাবিলায় সবার আগে দেখতে হবে কম্পিউটারে অতিরিক্ত র‌্যাম লাগানোর উপায় আছে কি না। যদি পর্যাপ্ত র‌্যাম লাগানো যায়, তাহলে কম্পিউটারের গতি আগের তুলনায় অনেক বাড়বে।
৭. রক্ষণাবেক্ষণ
কম্পিউটারের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা প্রয়োজন। এর মধ্যে রয়েছে আপডেটেড ভাইরাস গার্ড দিয়ে নিয়মিত কম্পিউটার স্ক্যান করা। এ ছাড়া খুঁজে দেখতে হবে স্পাইওয়্যারও। অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার আনইনস্টল করাও গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। আপনার কম্পিউটার যদি অস্বাভাবিকভাবে ধীর হয়ে যায় তাহলে আপডেটেড অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে ভালোভাবে স্ক্যান করে নেওয়া প্রয়োজন।

কম্পিউটারকে তিনটি সাধারণ উপায়ে ভাইরাসমুক্ত রাখুন

আপনার কম্পিউটারে ভাইরাস আসে শক্ত ভীত গড়ার জন্য। কম্পিউটার ভাইরাস কোনো মেশিনে প্রবেশের পর থেকেই তার শক্তি সঞ্চয় করা শুরু করে। প্রাণীর দেহে ভাইরাসের সংক্রমণ হলে যেমন তা ক্ষতিসাধন করতে থাকে, কম্পিউটারে ভাইরাসও ঠিক তাই করে। তাই এর আক্রমণ হওয়ামাত্র তাকে বিতাড়িত করা জরুরি কাজ। ওয়ার্মস, ট্রোজানস, স্পাইওয়্যার ইত্যাদি নামে বহু রকমের ভাইরাস রয়েছে। এগুলোকে এক কথায় ম্যালওয়্যার বলে। এগুলোকে তাড়াতে বিভিন্ন নিরাপত্তা সফটওয়্যার বাজারে বের হয়েছে। এ ছাড়া মাইক্রোসফট এসব ম্যালওয়্যার দূর করতে তাদের উইন্ডোজেই কিছু মৌলিক উপায় দিয়ে রাখে। এ দুইয়ের সমন্বয় ঘটিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারবেন ভাইরাস দমনে।
কম্পিউটারে ভাইরাস এসেছে কিনা এবং আসলেও তাকে কীভাবে তাড়াতে হবে তা বুঝতে তিনটি ছোট কিন্তু কার্যকর টিপস নিন।

১. প্রতিদিন অ্যান্টি-ভাইরাসের মাধ্যমে কুইক স্ক্যান করুন। আর প্রতি সপ্তাহে ভাইরাস খুঁজতে বড় আকারের স্ক্যান করুন। এই স্ক্যান যখন ইচ্ছে তখন করতে পারবেন। আবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্ক্যানের জন্য সময়ও ঠিক করে নেওয়া যাবে।
২. আপনি যে ই-মেইল ব্যবহার করেন তা হয়তো একটি ছবি বা মেইল ডাইনলোডের আগে তা ম্যালওয়্যার কিনা তা সাবধান করে দেয়। এমন সাবধানতার সংকেত দিলে হয় তা স্ক্যান করে দেখুন অথবা এ ধরনের ছবি বা মেইল আসা বন্ধ করে দিন।
৩. যদি ই-মেইলের প্রেরককে না চিনতে পারেন এবং তাতে কোনো লিঙ্ক দেওয়া থাকে, তবে ওই লিঙ্কে কখনো ক্লিক করবেন না। যদি তা দেখতেই হয় তাহলে লিঙ্কটি ওয়েব অ্যাড্রেস বারে কপি করে ওয়েবসাইটটি দেখে নিন। আবার প্রেরককে মোটামুটি পরিচিত মনে হলেও নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে। সাইবার ক্রিমিনালরা পরিচিত কোনো ওয়েবসাইটের মতো দেখতে পেজের লিঙ্ক পাঠিয়ে দেবে।
এই ছোট তিনটি উপায়ে আপনি প্রতিনিয়ত ভাইরাস থেকে দূরে থাকতে পারেন। আর কোনো ভাইরাস যদি পেয়েই যান, তাহলে তাকে শায়েস্তা করার দায়িত্ব ছেড়ে দিন অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারের ওপর। বাজারে অনেক ভালো মানের এসব সফটওয়্যার রয়েছে যা ভাইরাস চিহ্নিত করে দূর করতে পারে।
সূত্র : হাফিংটন

রাত জেগে থাকার অভ্যাস ত্যাগ করবেন কিভাবে?

বর্তমানে বিনা কারণে রাত জেগে থাকা (staying up all night)অনেকের কাছে একটি স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। অনেকেই আছেন যারা রাত জেগে থাকেন এবং ভোর বেলা বা সকালে ঘুমান।
রাত জাগা অত্যন্ত বাজে অভ্যাস। কোন কাজ যা করা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ এবং আগামীকাল কাল করা সম্ভব নয় এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছাড়া রাত জাগা অত্যন্ত বাজে অভ্যাস। শুধু রাতেই করা যায় এবং দিনে করা অসম্ভব এমন কাজ নিশ্চয়ই প্রতিদিন আমাদের থাকেনা।
আপনি কেন রাতে ঘুমাবেন? (proper sleep at night)
আমাদের শরীর এবং মনের সঠিকভাবে কাজ করার জন্য রাতের ঘুম প্রয়োজন। ফেসবুক ব্যবহার করা, ইন্টারনেট ব্রাউজ করা, মুভি দেখা কিংবা যেকোনো কাজ যা রাতে না করে দিনেও করা যায় ইত্যাদি কাজের জন্য যদি আপনি রাত জেগে থাকেন তবে আপনার রাত জাগার কুফল সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
নিয়মিত রাত জেগে শরীর ও মনের ক্ষতি করার ফলাফল খুবই খারাপ কারণ দিনে ঘুমিয়ে রাতের ঘুম পূরণ করা কঠিন কাজ। গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে যে ঘুমের অভাবের কারণে বিষণ্ণতা, মনোযোগ দেয়ার ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া, দিনের বেলা ঘুম আসা এবং সহজেই ক্লান্ত হয়ে যাওয়া,সহজে রেগে যাওয়া এমনকি আত্মহত্যার ইচ্ছা জাগার মতো সমস্যা ইত্যাদি দেখা যেতে পারে। মনে রাখুন প্রথমে আপনার শরীর তারপর আপনার কাজ।
কিভাবে রাত জাগার অভ্যাস ত্যাগ করবেন?
তারিখ নির্বাচন করুন- কবে থেকে আপনি রাত জাগার অভ্যাস পরিবরতন করতে চান তা নির্ধারণ করুন এবং সম্ভব হলে আপনার আশপাশের মানুষদেরকেও জানিয়ে রাখুন।প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং ঘুম থেকে উঠুন - প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে গেলে এবং ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস করলে আপনার জন্য রাতে ঘুমাতে যাওয়া সহজ হয়ে যাবে।ঘুমানোর আগে যা যা করবেন- ঘুমানোর কমপক্ষে এক ঘণ্টা আগে পিসি ও ইন্টারনেট ব্যবহার করা বন্ধ করুন এবং টিভি বন্ধ করে দিন। ঘুমানোর আগে নিজেকে মনে করিয়ে দিন যে রাতের গুরুত্ব কত বেশি। বিকালের পর কোন ধরনের চা বা কফি খাবেন না। ঘুমানোর আধা ঘণ্টা পূর্বে সম্ভব হলে এক গ্লাস মৃদু উষ্ণ দুধ পান করুন। ঘুমানোর আগে অতিরিক্ত পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন।
যদি ঘুম না আসে তাহলে কি করবো?
গভীর নিঃশ্বাস নিন- ঘুমানোর জন্য শোবার পর চোখ বন্ধ করুন এবার নাক দিয়ে গভীর ভাবে আস্তে আস্তে নিঃশ্বাস নিন এরপর ২-৩ সেকেন্ড নিঃশ্বাস আটকে রাখুন এবার মুখ দিয়ে আস্তে আস্তে ছেড়েদিন এবং আবার প্রথম থেকে শুরু করুন। এভাবে কমপক্ষে ৫-১০ মিনিট করুন অথবা ঘুম আসার পূর্ব পর্যন্ত করতে থাকুন।ধারাবাহিক ভাবে পেশী শিথিল করুন- শুয়ে থাকা অবস্থায় পা থেকে মুখের পেশী পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবে প্রত্যেকটি পেশীকে টান টান করে সামান্য কিছুক্ষণ ধরে রাখুন এবং ছেড়ে দিয়ে পেশীকে সম্পূর্ণ শিথিল হয়ে যেতে দিন।পুরো প্রক্রিয়া একবার শেষ করে আবার প্রথম থেকে শুরু করুন। এভাবে করতে থাকুন ঘুম আসার পূর্ব পর্যন্ত।তবে পেশি শিথিল করার সময় তাড়াহুড়া করবেন না।গণনা পদ্ধতি- ২০০ থেকে ০ শুণ্য পর্যন্ত গননা করুন। প্রত্যেক গণনার মাঝে ২-৩ সেকেন্ড বিরতি রাখুন এবং বিরতির মাঝে মনে মনে ধীরে ধীরে নিজেকে বলুন “আরাম আরাম” অথবা “ঘুম ঘুম”। পেশীগুলোকে ছেড়ে দিন এবং শিথিল হতে দিন।পুরো প্রক্রিয়া প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত করে আবার শুরু করুন ঘুম না আসা পর্যন্ত।
এই পদ্ধতিগুলো একটির পর একটি করা যেতে পারে অথবা যেকোনো একটি করা যেতে পারে। তবে কোন পদ্ধতি টি প্রয়োগ করে আপনি ভালো ফলাফল পান তা জানার জন্য সব গুলো পদ্ধতি একবার হলেও প্রয়োগ করে দেখুন।
এই লিখাটি আপনাদের ভালো লেগেছে তা আমি জানতে পারলে আশা করছি ঘুমানোর সমস্যা সমাধানের জন্য বিস্তারিত একটি লিখা পরবর্তীতে লিখবো। আপনারা সবসময় ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন এই কামনা করছি।