একেএম শহিদুল হক, বাংলাদেশে পুলিশ প্রধান |
বাংলাদেশে পর পর ঘটে যাওয়া জঙ্গী সহিংসতার পটভূমিতে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনিগুলো আগামিকাল শুক্রবার থেকে একটি বিশেষ অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহিদুল হক বিবিসির কাছে এই খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলছেন, প্রাথমিকভাবে এক সপ্তাহ ধরে চলা এই আভিযানে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব) পুলিশের সাথে যোগ দেবে।
সীমান্ত এলাকায় পুলিশের সাথে থাকবে বার্ডার গার্ডস বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে এই যৌথ অভিযানের বিস্তারিত চুড়ান্ত করা হয়।
পুলিশের আইজি মি. হক জানান, দেশে সম্প্রতি যেসব সহিংসতা ঘটছে তার সাথে `হোমগ্রোন` বা দেশীয় জঙ্গীরা জড়িত রয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে।
তিনি বলেন, “তাই এদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যাপকভাবে দেশব্যাপী একটি অভিযান শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
চট্টগ্রামে জঙ্গীদের হাতে নিহত স্ত্রীর জন্য বিলাপ করছেন পুলিশের এসপি বাবুল আকতার। |
পুলিশ প্রধান বলেন, দেশের প্রায় সব এলাকায় সন্ত্রাসী ও জঙ্গীদের তালিকা তারা নিয়মিতভাবে হালনাগাদ করেন। সেই তালিকা ধরেই এই অভিযান চলেবে।
তবে রমজান মাসের কারণে আপাতত এই অভিযানের মেয়াদ হবে এক সপ্তাহ। এক সপ্তাহ পর মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না তা বিবেচনা করা হবে।
জঙ্গীদের বিরুদ্ধে এতদিন রুটিন অভিযান চালানোর কথা বলে আসছিল আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনী।
এখন ঘোষণা দিয়ে ব্যাপকভাবে অভিযান চালানোর বিষয় এসেছে।
সম্প্রতি চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের স্ত্রীকে হত্যার ঘটনার পর দেখা গেছে, গত কয়েকদিনে আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সাতজন নিহত হয়েছে।
এই নিহতদের চারজনই সন্দেহভাজন জঙ্গী বলে পুলিশ বলছে।
চট্টগ্রামে পুলিশের একজন কর্মকর্তার স্ত্রীর হত্যার প্রতিক্রিয়ায় পুলিশ এই অভিযান শুরু করছে কি না, এই প্রশ্নে জবাবে শহিদুল হক জানান, একজন নির্দোষ ও ধর্মপ্রাণ নারীকে হত্যার ঐ ঘটনা ছাড়াও নাটোর, ঝিনাইদহ্ এবং ঢাকার কলাবাগানে উগ্রপন্থীদের হাতে খুনের ঘটনা ঘটেছে। তার পরই এই অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এই অভিযানে অপরাধী এবং জঙ্গীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য কমিউনিটি পুলিশেরও সাহায্য নেয়া হবে।