আওয়ামী লীগের ভিতরেই গুম-খুনের রহস্য আছে: খালেদা জিয়া

পুলিশ অফিসারের স্ত্রীসহ দেশে চলমান গুম-খুনের সঙ্গে ‘আওয়ামী লীগ’ ও তার ‘দোসররা’ জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, ‘এদেরকে ধরলেই এসব গুম-খুনের রহস্য উদঘাটন হবে।’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোট আইনজীবী সমিতি ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম এর আয়োজন করে।
এক দেশে দু’আইন চলতে পারে না-এমন মন্তব্য করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘নাইকোর মামলার সাথে আমি নয়, শেখ হাসিনা জড়িত। তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে।’
বেগম জিয়া বলেন, ‘আমরা আগে বাকশালীতে পড়েছিলাম, আবার সেদিকে ধাবিত হচ্ছি। জনগণ বিশ্বাস করেনা বিচার ও বিচার বিভাগ স্বাধীন। দেশে এখন দুই ধরনের আইন আছে। একটি আইনে বিরোধী দলের বিচার দ্রুত করা হচ্ছে, অন্য আইনে সরকারি দলের লোকদের কোনো বিচার করা হচ্ছে না।’
চিফ জাস্টিস, জজ এবং আইনজীবীদের উদ্দেশ্য বিএনপি প্রধান বলেন, ‘বিচার যদি করতে হয় তাহলে হাসিনারও বিচার করতে হবে। বঙ্গবন্ধু ট্রাস্টের মামলার চেক কে কোথায় নিয়েছে, কী করেছে, তা আমাদের রেকর্ড আছে। সকল আইনজীবী বিচারকদের কাছে আমরা ন্যায়বিচার চাই। এর বেশি কিছু আমাদের চাওয়ার নেই।’
এর আগে বরাবরের মতো আজ বিকেলেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ‘জঙ্গি তোষণে’ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা প্রকাশ্যে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করত, তারাই এখন পদ্ধতি বদল করে গুপ্তহত্যা শুরু করেছে। তবে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বসে নেই। এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে।’
সাম্প্রতিক গুপ্তহত্যায় বিএনপি-জামায়াত জড়িত বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘একটা কথা ভুলে গেলে চলবে না। আমি হেড অব দ্য গভর্নমেন্ট (সরকারপ্রধান)। আমার কাছে নিশ্চয়ই তথ্য আছে। তদন্তের স্বার্থে হয়ত সব কথা, সব তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। কিন্তু সূত্রটা জানা যায়। আর সেই সূত্র ধরেই আমরা কথা বলি।’
প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে আজ বৃহস্পতিবার বিএনপির মহাসচিব সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘গুপ্তহত্যার সঙ্গে বিএনপি জড়িত তার (প্রধানমন্ত্রীর) এই বক্তব্য অসৎ, বানোয়াট, ভিত্তিহীন উস্কানিমূলক, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তার বক্তব্যে
জঙ্গিবাদ উৎসাহিত হয়ে আরও বেশি সংগঠিত হয়ে তৎপর হবে।’
প্রসঙ্গত, গত রোববার চট্টগ্রাম শহরের জিইসি মোড়ে সদ্য পুলিশ সুপার (এসপি) পদে পদোন্নতি পাওয়া বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানমকে (৩২) গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
কেবল এই হত্যাকাণ্ডই নয়, এ দিনেই কুপিয়ে হত্যা করা হয় নাটোরের বড়াইগ্রামে সুনীল গোমেজ নামের এক খ্রিস্টান ব্যবসায়ী কে। আর গত মঙ্গলবার ঝিনাইদহে মন্দিরে পূজা দিতে যাওয়ার সময় আনন্দ গোপাল গাঙ্গুলি নামের এক পুরোহিতকে
গলাকেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
পরে সুনীল ও গোপাল হত্যাকাণ্ডের
দায় স্বীকার করে ইসলামিক স্টেট(আইএস)। আইএসের কথিত ‘সংবাদ সংস্থা’ আমাকের বরাত দিয়ে এ সংবাদ দেয় সাইট ইন্টিলিজেন্স।
সুত্রঃ প্রিয়।
ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,শেয়ার ও কমেন্ট করে পাশে থাকুন। ঘুরে আসতে পারেন।
www.facebook.fom/sobkichu24 www.free.facebook.com/sobkichu24

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »