ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মধুসুধন রায় জানান, মারধরের পর শিক্ষক সুমন্ত অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তারা তাকে সে রাতেই হাসপাতালে ভর্তি করেন। তার অভিযোগ, ‘আমাদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। বাজারে গেলে নাকি শেষ করে দেওয়া হবে।’ নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা হাসানুর রহমান জানান, ভর্তি হওয়ার সময় শিক্ষক সুমন্তের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম ছিলো।
তিনি বলেন, ‘অবস্থার উন্নতি হয়েছে, তবে মানসিকভাবে অস্থিরতা তৈরি হওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছেন তিনি। রিলিজ দেওয়ার সময় প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হবে তাকে।’ পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের অভিযোগ, ‘গেল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শিক্ষক সুমন্ত আমার পক্ষে নৌকা প্রতীকের হয়ে কাজ করেছিলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক তাকে আক্রমণ করে থাকতে পারেন।’ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে পঞ্চপুকুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা।
প্রধান শিক্ষক বাবুল হোসেন বলেন, ‘শিক্ষকরা যেভাবে নির্যাতন হতে শুরু করেছে, এভাবে চলতে থাকলে সমাজে আমরা মুখ দেখাতে পারব না। আমরা কোথায় যাব? জড়িতদের বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় তাহলে সংগঠিত হয়ে আমরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।’ এদিকে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ প্রশাসক এ্যাডভোকেট মমতাজুল হক জানান,ঘটনার সত্যতা যাচাই করে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কয়েক দফায় যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। -
সুত্রঃ পিচি নিউজ