শ্রীলঙ্কায় ভূমিধসে নিহত ৩৫, নিখোঁজ দেড়শতাধিক


শ্রীলঙ্কায় গত তিনদিন ধরে ভারি বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রায় দুই লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

মঙ্গলবার শেষ বিকালে সেন্ট্রাল কেগাল্লে জেলার আরানায়াকে শহরে বড় ধরনের ভূমিধস হয়।
শহরের সিরিপুরা, পাল্লেবাগে ও এলাজিপিটিয়া এলাকা তিনটি কাদা, পাথর ও উপড়ে পড়া গাছের নিচে পুরোপুরি চাপা পড়েছে।
বুধবার পর্যন্ত সেখান থেকে অন্তত ৩২টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শ্রীলঙ্কা রেড ক্রসের পরিচালক নেভিল্লে নানায়াক্কারা।
রয়টার্সকে তিনি বলেন, “আরানায়াকায় ভূমিধসে প্রায় তিনশ থেকে চারশ মানুষ চাপা পড়েছে বলে আমরা ধারণা করছি।”
“সেখান থেকে প্রায় ১৫০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আরও প্রায় ১৫০ জনের ভাগ্য নিয়ে আমরা আশঙ্কায় আছি।”
সেখানে প্রায় ৬০টির বেশি বাড়ি মাটির নিচে চাপা পড়েছে বলে জানান জেলা কর্মকর্তারা। ওই এলাকায় সরকারের পক্ষ থেকে চারটি আশ্রয় শিবির স্থাপণ করা হয়েছে।
সেখানে এক হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলে বিবিসি’কে জানান আরানায়াকে উদ্ধার অভিযান পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মেজর জেনারেল সুদান্থা রানাসিংহে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন সাংবাদিকদের বলেন, “আমি বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার মত বিকট আওয়াজ শুনতে পাই।”
“আমি দরজা খুলে নিজের চোখে অবিশ্বাস্য দৃশ্য দেখলাম। আমি দেখলাম, বড় আগুনের গোলকের মত দেখতে একটি জিনিস পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়ছে।”
অন্যদিকে, পার্শ্ববর্তী বুলাতকোহুপিতিয়া গ্রামে ভূমিধসের পরে অন্তত তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এখনও ১৬ জন নিখোঁজ রয়েছে।
ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য এলাকার কর্মকর্তারা সরকারের কাছে পানি, শুকনা খাবার ও স্যানিটারি পণ্য পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছে।
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলেও ভারি বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিশেষ করে চেন্নাই, তামিল নাড়ুর কিছু অংশ ও পন্ডিচেরিতে।
মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারগুলোকে সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »