হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ ফরমাইয়াছেন, অনেক রোযাদার ব্যক্তি এমন আছে, যাহাদের রোযার বিনিময়ে অনাহারে থাকা ব্যতীত আর কিছুই লাভ হয় না। আবার অনেক রাত্রি জাগরণকারী এমন আছে, যাহাদের রাত্রি জাগরণের কষ্ট ছাড়া আর কিছুই লাভ হয় না। (ইবনে মাজাহ, নাসাঈ, ইবনে খুযাইমাহ, হাকিম)
ফায়দাঃ এই হাদীসের ব্যাখ্যা সম্বন্ধে ওলামায়ে কেরামের কয়েকটি অভিমত আছে।
একঃ ইহা দ্বারা ঐ ব্যক্তিকে বুঝানো হইয়াছে, যে সারাদিন রোযা রাখিয়া হারাম মাল দ্বারা ইফতার করে; রোযা রাখার দ্বারা যে পরিমাণ সওয়াব হইয়াছিল হারাম মাল খাওয়ায় গোনাহ উহা হইতে বেশি হইয়া গেল। সুতরাং দিনভর শুধু অনাহরে থাকা ছাড়া তাহার আর কোন লাভ হইল না।
দ্বিতীয় অভিমত হইল, ঐ ব্যক্তিকে বুঝানো হইয়াছে, যে রোযা রাখে; কিন্তু গীবত-শেকায়েত অর্থাৎ অন্যের দোষ-চর্চায় লিপ্ত থাকে। ইহার বিরবণ পরে আসিতেছে।
তৃতীয় অভিমত হইল, ঐ ব্যক্তিকে বুঝানো হইয়াছে, যে রোযা রাখিয়াও গোনাহ ইত্যাদি হইতে বাঁচিয়া থাকে না। হুযূর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এরশাদ ও বাণীসমূহ খুবই ব্যাপক ও বহুল অর্থবিশিষ্ট হয়; এইসব অভিমত এবং আরও অন্যান্য অভিমতও এই হাদীসের অন্তর্ভূক্ত রহিয়াছে।
এমনিভাবে রাত্রি জাগরণের অবস্থা। সারা রাত্র জাগিয়া কাটাইল; কিন্তু আমোদ-ফুর্তির জন্য একটু গীবত করিল কিংবা অন্য কোন আহাম্মকী কাজ করিল, যাহাতে তাহার সমস্ত রাত্রি-জাগরণ বেকার হইয়া গেল। যেমন ফজরের নামাযই কাজা করিয়া দিল অথবা শুদু মানুষকে দেখানোর জন্য বা সুনাম অর্জনের জন্য রাত্রি-জাগরণ করিল ফলে উহা বেকার হইল।
ভাল লাগলে কমেন্টে জানাতে ভুলবে না…
ভুলে ভরা জীবনে ভুল হওয়াটা অসম্ভব কিছু নয়,যদি আমার লেখার মাঝে কোন ভুলত্রুটি থাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ সবাই ভাল থাকবেন।