জরুরী নছহিত (দ্বিতীয় খণ্ড)

বিসমিল্লাহির রহমানীর রহিম

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালই আছেন? আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভাল আছি। তাহলে কাজের কথায় আসি।
প্রথম খণ্ড যারা পড়েন নি, তারা এখান থেকে পড়ে নিন।
প্রথম খণ্ডের পরে।
অবশ্য পার্থিব ব্যাপারে তাহাদের সহিত সদ্ব্যবহার করিতে থাক।” (আমি যে তোমার জন্য, “চল্লিশ হাদীছ” পুস্তিকা সংকলন করিয়াছি, উহাতে এই হাদীছটিও আছে “লা-ত-আতা লি মাখ্লু-কিন্ ফি-মা” ছিয়াতিল খ-লিকি”। “যে কাজে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্ নাফরমানি প্রকাশ পায়, সেই কাজে কোন মানুষেরই হুকুম মান্য করা চলিবে না। অতএব তোমার অন্তরের অন্তস্থলে যখন একমাত্র আল্লাহর আনুগত্যের ধারণা বন্ধমূল থাকিবে তখন তুমি আপনা হইতেই আল্লাহর আদেশসমূহের পাবন্ধ থাকিবে। শরীয়াতের আদেশ এবং আল্লাহর হুকুম অনেক আছে, (যাহা তুমি অল্প বিস্তর দ্বীনি পুস্তকে বিশেষত বেহেশতী জেওরে পড়িয়াছ, এখানে সেগুলির পুনরাবৃত্তির কোন প্রয়োজন নাই) অবশ্য তন্মধ্যে যেগুলি অতিশয় গুরুত্বপূর্ণ, অতি সংক্ষেপে সেগুলি বর্ণিত হইতেছে।

নামাজঃ আল্লাহর একত্ব এবং রসূলের রেসালাতের প্রতি মনের অটল বিশ্বাস স্থাপনের পর যে বিষয় সম্বন্ধে কোরান শরীফে অতি গুরুত্ব সহকারে স্থানে স্থানে তাকীদ আসিয়াছে, তাহা হইল নামায। ইহা ইসলামের এমন সুদৃঢ স্তম্ভ এবং অপরিহার্য ফরয যে, যে কহ আকেল বালেগের জন্য উহা হইতে অব্যাহতি নাই। বাড়িতেই থাক আর সফরেই যাও, রীতিমত নামাজ আদয় করিবে। অধিকাংশ মেয়েলোক নামাজের পা-বন্ধ হওয়া সত্ত্বেও সফরে নামাজের বেশি খেয়াল লক্ষ্য রাখে না। এদিকে তুমি সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখিও।

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »