আগামী ৪ জুন ষষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন শান্তি পূর্ণভাবে শেষ হবে কিনা তা নিয়ে খোদ সরকারী দলেই শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে জেএসএস সমর্থন পুষ্ট সন্ত্রাসীদের হামলায় ৪ ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা কর্মী গুরুতর আহত হয়েছে। অনেক নেতা কর্মীকে প্রাণ নাশের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
অরণ্য বেষ্টিত রাইখালী ইউনিয়নের অনেক জায়গায় নৌকার পক্ষে প্রচারণা পর্যন্ত চালানো যাচ্ছে না। ফলে রাইখালী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প বসানোর দাবী করেছে আ’লীগ দলীয় প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মংক্য মারমা। তিনি আরও জানান, গত ১৭ মে নৌকার পক্ষে প্রচারণা চালানোর সময় ভালুক্যা এলাকায় জেএসএস সমর্থন পুষ্ট সন্ত্রাসীরা রাইখালী ইউনিয়ন যুবলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক রবিন তনচংগ্যা, রাইখালী ছাত্রলীগের সাংগনিক সম্পাদক সুকান্ত তনচংগ্যা, ছাত্রলীগ নেতা সন্তোষ বড়–য়া, যুবলীগ নেতা সুকান্ত বড়–য়াকে বেদম প্রহার করে। এরপর দীর্ঘক্ষণ তাদের আটকে রাখার পর নৌকার পক্ষে কাজ না করার শর্তে ওই দিন রাতেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৯ মে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্দ্যোগে রাইখালী-বান্দারবান এবং রাইখালী-রাজস্থলী সড়ক অবরোধ করা হয়। অবরোধ শেষে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অংসুইছাইন চৌধুরী এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, নির্বাচনের আগেই অস্ত্র উদ্ধারসহ সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে হবে। এছাড়া ইউনিয়নের তিনছড়ি ও ভালুক্যা এলাকায় অস্থায়ী সেনা ক্যাম্প স্থাপনের দাবী জানানো হয় ওই সভা থেকে। সেনা ক্যাম্প বসানো না হলে আওয়ামীলীগের বিজয় জেএসএস কর্তৃক ছিনিয়ে নেওয়ার আশংকা করছে দলীয় নেতা কর্মীরা।
প্রসঙ্গত, গত ২৩ এপ্রিল কাপ্তাইসহ রাঙ্গামাটি জেলার ৪৯টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তফসিল ঘোষনা করা হয়েছিল। কিন্তু জেলার ১৯টি ইউনিয়নে জেএসএস এর অস্ত্র ধারীদের হুমকির মুখে আওয়ামীলীগ সহ অন্যান্য দলের কোন প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করতে পারেনি। এ বিষয়ে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রধান নির্বাচন কমিশনে পাঠানো প্রতিবেদনের কারণে তখন পুরো জেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এবং পরবর্তীতে ৪ জুন রাঙ্গামাটি জেলাধীন ইউনিয়ন পরিষদ গুলোর নির্বাচন অনুষ্ঠানের নতুন তফসিল ঘোষনা করা হয়।
সুত্রঃ নিউজ চিটাগাং ২৪