সহীহ্ বোখারী শরীফ (হাদিস ৭১ থেকে ৭৯)


বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ প্রিয় বন্ধুরা। মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে শুকরিয়া যানাচ্ছি আমাকে এই পোষ্টটি করার তাওফিক দান করার জন্য।
আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো সহীহ্ বোখারী শরীফ (হাদিস ৭১ থেকে ৭৯)
গত পোষ্টটি যারা পড়েন নি তারা এখান থেকে পড়ে নিন সহীহ্ বোখারী শরীফ (হাদিস ৬১ থেকে ৭০ )
পরিচ্ছেদ ৫৫ :-আল্লাহ যার কল্যান চান, তাকে দীনের জ্ঞান দান করেন – হাদিস নং ৭১
হাদিস – ৭১
হুমাইদ ইবনে আব্দুর রহমান (র) থেকে বর্ণিত,তিনি বলেনঃআমি মুয়াবিয়া (রাঃ)কে বক্তৃতারত অবস্থায় বলতে শুনেছি,তিনি বলেন,আমি নবী করীম (সাঃ) কে বলতে শুনেছি,আল্লাহ যার কল্যাণ চান,তাকে দীনের জ্ঞান দান করেন।আমি তো কেবল বিতরণকারী,আল্লাহই দান কারী।সর্বদাই এ উম্মত কিয়ামত পর্যন্ত আল্লাহর হুকুমের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে,বিরুদ্ধবাদিরা তাদের কোন ক্ষতি করতে পারবেনা।
আমাদের পেজ এর হাদিসগুলো লাইক,শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।মনে রাখবেন আমরা যেই সওয়াব পাব আপনিও তার সমপরিমান পাবেন।তাই শেয়ার করে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন।
পরিচ্ছেদ ৫৬ :-ইলমের ক্ষেত্রে সঠিক অনুধাবন – হাদিস নং ৭২
হাদিস – ৭২
মুজাহিদ (রঃ) হতে বর্ণিত,আমি সফরে মদিনা পর্যন্ত ইবনে উমার (রাঃ) এর সাথে ছিলাম।এ সময়ে তাকে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) থেকে মাত্র একটিমাত্র হাদিস বলতে শুনেছি।তিনি বলেন,আমরা একবার নবী করীম (সাঃ) কাছে ছিলাম।তখন তার কাছে খেজুর গাছের মাথি আনা হল।তারপর তিনি বললেনঃগাছ-পালার মধ্যে এমন একটি গাছ আছে যার দৃষ্টান্ত মুসলমানের ন্যায়।তখন আমি বলতে চাইছিলাম যে,তা হল খেজুর গাছ,কিন্তু আমি ছিলাম উপস্থিত সবার চাইতে বয়সে ছোট।তাই চুপ করে রইলাম।তখন নবী (সাঃ) বললেনঃগাছটি হল খেজুর গাছ।
আমাদের পেজ এর হাদিসগুলো লাইক,শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।মনে রাখবেন আমরা যেই সওয়াব পাব আপনিও তার সমপরিমান পাবেন।তাই শেয়ার করে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন।
পরিচ্ছেদ ৫৭ :-ইলম ও হিকমতের ক্ষেত্রে সমতুল্য হওয়ার আগ্রহ – হাদিস নং ৭৩
হাদিস – ৭৩
আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হতে বর্নিত,তিনি বলেন,নবী (সাঃ) বলেছেনঃ
কেবলমাত্র দুটি ব্যাপারে ঈর্ষা করা যায়।
১-সে ব্যক্তির উপর,যাকে আল্লাহ তায়ালা সম্পদ দিয়েছেন,এরপর তাকে হক পথে অকাতরে ব্যয় করার ক্ষমতা দেন।
২-সে ব্যক্তির উপর,যাকে আল্লাহ তায়ালা হিকমত দান করেছেন,এরপর সে তার সাহায্যে বিচার করে ও তা শিক্ষা দেয়।
আমাদের পেজ এর হাদিসগুলো লাইক,শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।মনে রাখবেন আমরা যেই সওয়াব পাব আপনিও তার সমপরিমান পাবেন।তাই শেয়ার করে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন।
পরিচ্ছেদ ৫৮ :-সমুদ্রে খিযর (আঃ)- এর কাছে মূসা (আঃ)- এর যাওয়া – হাদিস নং ৭৪
হাদিস – ৭৪
ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্নিত,তিনি এবং হুর ইবনে কায়স ইবনে হিসন আল-ফাযারি মুসা (আঃ) এর সঙ্গি সম্পর্কে বাদানুবাদ করছিলেন।ইবনে আব্বাস বল্লেন,তিনি ছিলেন খিযর।ঘটনাক্রমে তখন তাদের পাশ দিয়ে উবাই ইবনে কা’ব (রাঃ) যাচ্ছিলেন।ইবনে আব্বাস (রাঃ) তাকে ডেকে বললেনঃআমি এবং আমার এ ভাই মতবিরোধ করছি মুসা (আঃ) সেই সঙ্গির ব্যাপারে যার সাথে সাক্ষাত করার জন্য মুসা (আঃ) আল্লাহর কাছে পথের সন্ধান চেয়েছিলেন।আপনি কি নবী (সাঃ)কে এর সম্পর্কে কিছু বলতে শুনেছেন?তিনি বললেন,হ্যাঁ,আমি নবী (সাঃ)কে বলতে শুনেছি,একবার মুসা (আঃ) বনি ইসরাইলের কোন এক মজলিশে হাজির হয়েছেন।তখন তার কাছে এক ব্যাক্তি এসে বলল,আপনি কাউকে আপনার চেয়ে অধিক জ্ঞানি বলে জানেন কি?মুসা (আঃ) বললেন,না।তখন আল্লাহ তায়ালা মুসা (আঃ) এর নিকট অহী পাঠালেনঃহ্যা,আমার বান্দা খিযর।অতঃপর মুসা (আঃ) তার কাছে সাক্ষাত করার রাস্তা জানতে চাইলেন।আল্লাহ তায়ালা মাছকে তার জন্য নিশানা বানিয়ে দিলেন এবং তাকে বলা হল।তুমি যখন মাছটি হারিয়ে ফেলবে তখন ফিরে আসবে।কারন কিছুক্ষণের মধ্যেই তুমি তার সাক্ষাত পাবে।তখন তিনি সমুদ্রে সে মাছের নিশানা অনুসরন করতে লাগলেন।মুসা (আঃ)কে তার সঙ্গি যুবক বললেন,
কোরআনের ভাষায়ঃ
আপনি কি লক্ষ্য করেছেন, আমরা যখন প্রস্তর খন্ডে আশ্রয় নিয়েছিলাম, তখন আমি মাছের কথা ভুলে গিয়েছিলাম। শয়তানই আমাকে একথা স্মরণ রাখতে ভুলিয়ে দিয়েছিল। মাছটি আশ্চর্য জনক ভাবে সমুদ্রে নিজের পথ করে নিয়েছে।মূসা বললেনঃ আমরা তো এ স্থানটিই খুঁজছিলাম। অতঃপর তাঁরা নিজেদের চিহ্ন ধরে ফিরে চললেন।
তারা খিযরকে পেলেন।তাদের ঘটনা তা-ই,যা আল্লাহ তায়ালা তার কিতাবে বর্ননা করেছেন।
আমাদের পেজ এর হাদিসগুলো লাইক,শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।মনে রাখবেন আমরা যেই সওয়াব পাব আপনিও তার সমপরিমান পাবেন।তাই শেয়ার করে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন।
পরিচ্ছেদ ৫৯ :-নবী (সাঃ)- এর উক্তিঃ হে আল্লাহ! আপনি তাকে কিতাব শিক্ষা দিন – হাদিস নং ৭৫
হাদিস –৭৫
ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্নিত,তিনি বলেন।রাসুলুল্লাহ (সাঃ) একবার আমাকে জড়িয়ে ধরে বললেনঃ হে আল্লাহ! আপনি তাকে কিতাব (কোরআন) শিক্ষা দিন।
আমাদের পেজ এর হাদিসগুলো লাইক,শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।মনে রাখবেন আমরা যেই সওয়াব পাব আপনিও তার সমপরিমান পাবেন।তাই শেয়ার করে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন।
পরিচ্ছেদ ৬০ :-বালকদের কোন বয়সের শোনা কথা গ্রহণীয় – হাদিস নং ৭৬ এবং ৭৭
হাদিস –৭৬
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্নিত,তিনি বলেনঃআমি বালিগ হবার নিকটবর্তি বয়সে একবার একটি মাদি গাধার উপর সওয়ার হয়ে এলাম।আর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তখন কোন দেওয়াল সামনে না রেখেই মিনায় সালাত করছিলেন।তখন আমি কোন এক কাতারের সামনে দিয়ে গেলাম এবং মাদি গাধাটিকে চরে খাওয়ার জন্য ছেড়ে দিলাম।আমি কাতারের ভিতর ঢুকে পড়লাম এতে কেউ আমাকে নিষেধ করলোনা।
আমাদের পেজ এর হাদিসগুলো লাইক,শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।মনে রাখবেন আমরা যেই সওয়াব পাব আপনিও তার সমপরিমান পাবেন।তাই শেয়ার করে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন।
হাদিস –৭৭
মাহমুদ ইবনুর রাবী (রাঃ) থেকে বর্নিত,তিনি বলেন,আমার মনে আছে,নবী (সাঃ) একবার বালতি থেকে পানি নিয়ে আমার মুখমন্ডলে কুলি করে দিয়েছিলেন,তখন আমি ছিলাম পাঁচ বছরের বালক।
আমাদের পেজ এর হাদিসগুলো লাইক,শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।মনে রাখবেন আমরা যেই সওয়াব পাব আপনিও তার সমপরিমান পাবেন।তাই শেয়ার করে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন।
পরিচ্ছেদ ৬১ :-ইলম হাসিলের জন্য বের হওয়া – হাদিস নং ৭৮
হাদিস –৭৮
ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্নিত,তিনি এবং হুর ইবনে কায়স ইবনে হিসন আল-ফাযারি মুসা (আঃ) এর সঙ্গি সম্পর্কে বাদানুবাদ করছিলেন।ইবনে আব্বাস বল্লেন,তিনি ছিলেন খিযর।ঘটনাক্রমে তখন তাদের পাশ দিয়ে উবাই ইবনে কা’ব (রাঃ) যাচ্ছিলেন।ইবনে আব্বাস (রাঃ) তাকে ডেকে বললেনঃআমি এবং আমার এ ভাই মতবিরোধ করছি মুসা (আঃ) সেই সঙ্গির ব্যাপারে যার সাথে সাক্ষাত করার জন্য মুসা (আঃ) আল্লাহর কাছে পথের সন্ধান চেয়েছিলেন।আপনি কি নবী (সাঃ)কে এর সম্পর্কে কিছু বলতে শুনেছেন?তিনি বললেন,হ্যাঁ,আমি নবী (সাঃ)কে বলতে শুনেছি,একবার মুসা (আঃ) বনি ইসরাইলের কোন এক মজলিশে হাজির হয়েছেন।তখন তার কাছে এক ব্যাক্তি এসে বলল,আপনি কাউকে আপনার চেয়ে অধিক জ্ঞানি বলে জানেন কি?মুসা (আঃ) বললেন,না।তখন আল্লাহ তায়ালা মুসা (আঃ) এর নিকট অহী পাঠালেনঃহ্যা,আমার বান্দা খিযর।অতঃপর মুসা (আঃ) তার কাছে সাক্ষাত করার রাস্তা জানতে চাইলেন।আল্লাহ তায়ালা মাছকে তার জন্য নিশানা বানিয়ে দিলেন এবং তাকে বলা হল।তুমি যখন মাছটি হারিয়ে ফেলবে তখন ফিরে আসবে।কারন কিছুক্ষণের মধ্যেই তুমি তার সাক্ষাত পাবে।তখন তিনি সমুদ্রে সে মাছের নিশানা অনুসরন করতে লাগলেন।মুসা (আঃ)কে তার সঙ্গি যুবক বললেন,
কোরআনের ভাষায়ঃ
আপনি কি লক্ষ্য করেছেন, আমরা যখন প্রস্তর খন্ডে আশ্রয় নিয়েছিলাম, তখন আমি মাছের কথা ভুলে গিয়েছিলাম। শয়তানই আমাকে একথা স্মরণ রাখতে ভুলিয়ে দিয়েছিল। মাছটি আশ্চর্য জনক ভাবে সমুদ্রে নিজের পথ করে নিয়েছে।মূসা বললেনঃ আমরা তো এ স্থানটিই খুঁজছিলাম। অতঃপর তাঁরা নিজেদের চিহ্ন ধরে ফিরে চললেন।
তারা খিযরকে পেলেন।তাদের ঘটনা তা-ই,যা আল্লাহ তায়ালা তার কিতাবে বর্ননা করেছেন।
আমাদের পেজ এর হাদিসগুলো লাইক,শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।মনে রাখবেন আমরা যেই সওয়াব পাব আপনিও তার সমপরিমান পাবেন।তাই শেয়ার করে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন।
পরিচ্ছেদ ৬২ :-ইলম শিক্ষার্থী ও শিক্ষাদাতার ফযীলত – হাদিস নং ৭৯
হাদিস –৭৯
আবু মুসা (রাঃ) থেকে বর্নিত,নবী বলেছেনঃআল্লাহ তায়ালা আমাকে যে হেদায়েত ও ইলম দিয়ে পাঠিয়েছেন তার দৃষ্টান্ত হল যমিনের উপর পতিত প্রবল বৃষ্টির ন্যায়।কোন কোন ভুমি থাকে উর্বর যা সে পানি চুষে নিয়ে প্রচুর পরিমাপে ঘাসপাতা এবং সবুজ তরুলতা উৎপাদন করে।আর কোন কোন ভুমি থাকে কঠিন যা পানি আটকে রাখে।পরে আল্লাহ তায়ালা তা দিয়ে মানুষের উপকার করেন;তারা নিজেরা পান করে ও (পশু-পাখিকে)পান করায় এবং তার দ্বারা চাষাবাদ করে।আবার কোন কোন জমি আছে যা একিবারে মসৃণ ও সমতল;তা না পানি আটকে রাখে,আর না কোন ঘাসপাতা উৎপাদন করে।এই হল সেই ব্যাক্তির দৃষ্টান্ত যে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং আল্লাহ তায়ালা আমাকে যা দিয়ে প্রেরণ করেছেন তাতে সে উপকৃত হয়।ফলে সে নিজে শিক্ষা করে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়।আর সে ব্যাক্তিরও দৃষ্টান্ত-যে সেদিকে মাথা তুলে তাকায়ই না এবং আল্লাহর যে হিদায়াত নিয়ে আমি প্রেরিত হয়েছি তা গ্রহণও করেনা।
আমাদের পেজ এর হাদিসগুলো লাইক,শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।মনে রাখবেন আমরা যেই সওয়াব পাব আপনিও তার সমপরিমান পাবেন।তাই শেয়ার করে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন।
দেখতে পারেন সহীহ বুখারী হাদীস ৮০ থেকে ৯২

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »