রমজান হচ্ছে মুসলমানদের জন্য পুণ্য অর্জনের মাস। যদি শোনা যায় আগামী দিন মোবাইলে যে যত টাকা রিফিল করবে তার অ্যাকাউন্টে ইনস্ট্যান্ট বোনাস হিসেবে দ্বিগুণ টাকা জমা হবে; তাহলে পরদিন সবাই ফ্লেক্সিলোডের দোকানে নিশ্চিত ভিড় জমাবে। কিন্তু মাহে রমজান মাসে প্রতিটি ইবাদত ৭০ গুণ বৃদ্ধি করার ঘোষণা পেয়েও আমরা সেদিকে পূর্ণভাবে দাখিল হচ্ছি না কেন? প্রকৃতপক্ষে এ মাসে ইবাদত করে আমরা বেহেশতে যাওয়ার পথ প্রশস্ত করতে পারি। হাদিসে আছে, যে ব্যক্তি রমজান মাস পেয়েও পাপ মোচন করতে পারল না, তার চেয়ে হতভাগা আর কেউ নেই। সিয়ামের আসল উদ্দেশ্য তাকওয়া অর্জন। এ ব্যাপারে আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআন শরিফে বলেন- হে বিশ্ববাসীগণ, তোমাদের জন্য সিয়ামের বিধান দেয়া হল। যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীদের দেয়া হয়েছিল। যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার। (সূরা বাকারা : আয়াত ১৮৩)। আর তাকওয়া বা পরহেজগারি হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ। যারা তাকওয়া অর্জনের মাধ্যমে সিয়াম পালন করে, তারা আল্লাহর প্রিয় বান্দায় পরিণত হয়। আল্লাহ বলেন, সিয়াম শুধু আমার জন্য, আমি তার প্রতিদান দেব। আমার জন্যই সে পানাহার ত্যাগ করে থাকে।
মাহে রমজানে বেশি করে কোরআন তিলাওয়াত করা যেতে পারে। রোজার আরেক নাম সংযম। কোনো কোনো বিষয়ে আমরা সংযম পালন করলেও খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে আমরা সংযত নই। এ অতিরিক্ত খাওয়ার অপর নাম মুটিয়ে যাওয়া। তাছাড়া এতে খাদ্যের অপচয়ও হয়। রমজানের শেষের দিকে কাপড়ের মার্কেটগুলোতে মহিলাদের ভিড় পরিলক্ষিত হয়। কেউ কেউ মার্কেটে যাওয়ার আগে পার্লার থেকেও সেজে যান। এমতাবস্থায় তাদের পর্দা রক্ষা করা কঠিন। যদিও পর্দা করা মুসলিম নারীদের জন্য ফরজ করা হয়েছে। পর্দার ব্যাপারে সূরা আন নূরের ৩১নং আয়াতে বলা হয়েছে- ঈমানদার নারীকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাজত করে। বিশেষভাবে সজ্জিত নারীদের দিকে পুরুষরা দৃষ্টি দিলে তাদের রোজায় ত্র“টি দেখা দেবে। কেননা পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে- মুমিনদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং যৌনাঙ্গের হেফাজত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে।
রমজান মাসকে কেন্দ্র করে দুঃখজনকভাবে কিছু পেশাজীবীর অপতৎপরতা বেড়ে যায়। পরিবহন ব্যবসায়ীরা পুরাতন যানবাহনগুলো মেরামত করে রাস্তায় নামিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে, পুলিশের চাঁদাবাজির পরিমাণ বেড়ে যায়, ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যের মজুদ গড়ে তোলে এবং দাম বৃদ্ধি করে, যা মোটেও রমজানের আকিদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। হিন্দুদের দুর্গাপূজার সময় এবং খ্রিস্টানদের বড়দিনে এমনটি দেখা যায় না। রোজার সময় পেট খালি থাকায় আমরা অনেকেই কাজকর্মে মন বসাতে পারি না। তাই বন্ধু-বান্ধব নিয়ে গল্প-গুজব করে সময় কাটাই। এছাড়া এ সময় রোজাদাররা দাবা, লুডু, ক্যারম, তাসসহ বিভিন্ন ধরনের খেলায় মত্ত থাকে। আমরা অনেক সময় গল্পের ছলে মিথ্যা বলি অথবা জেনে না জেনে ইচ্ছা-অনিচ্ছায় গীবত বা অন্যের দোষ-ত্রুটি উপস্থাপন করি। হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন- সিয়াম ঢাল স্বরূপ। যতক্ষণ না তাকে মিথ্যা কিংবা পরনিন্দা দ্বারা ভেঙে ফেলা হয়। (তোবরানি, আওসাত, জামে সগীর-২য় খণ্ড-৫১ পৃষ্ঠা)। অনেকেই রোগের অজুহাতে রোজা থাকা থেকে নিজেদের বিরত রাখে, যা আদৌ উচিত নয়।
মাহে রমজানে বেশি করে কোরআন তিলাওয়াত করা যেতে পারে। রোজার আরেক নাম সংযম। কোনো কোনো বিষয়ে আমরা সংযম পালন করলেও খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে আমরা সংযত নই। এ অতিরিক্ত খাওয়ার অপর নাম মুটিয়ে যাওয়া। তাছাড়া এতে খাদ্যের অপচয়ও হয়। রমজানের শেষের দিকে কাপড়ের মার্কেটগুলোতে মহিলাদের ভিড় পরিলক্ষিত হয়। কেউ কেউ মার্কেটে যাওয়ার আগে পার্লার থেকেও সেজে যান। এমতাবস্থায় তাদের পর্দা রক্ষা করা কঠিন। যদিও পর্দা করা মুসলিম নারীদের জন্য ফরজ করা হয়েছে। পর্দার ব্যাপারে সূরা আন নূরের ৩১নং আয়াতে বলা হয়েছে- ঈমানদার নারীকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাজত করে। বিশেষভাবে সজ্জিত নারীদের দিকে পুরুষরা দৃষ্টি দিলে তাদের রোজায় ত্র“টি দেখা দেবে। কেননা পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে- মুমিনদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং যৌনাঙ্গের হেফাজত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে।
রমজান মাসকে কেন্দ্র করে দুঃখজনকভাবে কিছু পেশাজীবীর অপতৎপরতা বেড়ে যায়। পরিবহন ব্যবসায়ীরা পুরাতন যানবাহনগুলো মেরামত করে রাস্তায় নামিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে, পুলিশের চাঁদাবাজির পরিমাণ বেড়ে যায়, ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যের মজুদ গড়ে তোলে এবং দাম বৃদ্ধি করে, যা মোটেও রমজানের আকিদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। হিন্দুদের দুর্গাপূজার সময় এবং খ্রিস্টানদের বড়দিনে এমনটি দেখা যায় না। রোজার সময় পেট খালি থাকায় আমরা অনেকেই কাজকর্মে মন বসাতে পারি না। তাই বন্ধু-বান্ধব নিয়ে গল্প-গুজব করে সময় কাটাই। এছাড়া এ সময় রোজাদাররা দাবা, লুডু, ক্যারম, তাসসহ বিভিন্ন ধরনের খেলায় মত্ত থাকে। আমরা অনেক সময় গল্পের ছলে মিথ্যা বলি অথবা জেনে না জেনে ইচ্ছা-অনিচ্ছায় গীবত বা অন্যের দোষ-ত্রুটি উপস্থাপন করি। হজরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন- সিয়াম ঢাল স্বরূপ। যতক্ষণ না তাকে মিথ্যা কিংবা পরনিন্দা দ্বারা ভেঙে ফেলা হয়। (তোবরানি, আওসাত, জামে সগীর-২য় খণ্ড-৫১ পৃষ্ঠা)। অনেকেই রোগের অজুহাতে রোজা থাকা থেকে নিজেদের বিরত রাখে, যা আদৌ উচিত নয়।