জরুরী নছহিত (প্রথম খণ্ড)

বিসমিল্লাহির রহমানীর রহিম

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালই আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভাল আছি। তাহলে কাজের কথায় আসি।

তাওহীদ ও রেসালাতঃ  যাবতীয় কাজের মধ্যে আল্লাহর বন্দেগী এবং রসূলে মকবুল (সঃ) পায়রবীর স্থান সর্বাগ্রে; কাজেই এ কথাটি সদাসর্বদা অন্তরে জাগরুক রাখিবে। আল্লাহ্ তা’আলা এবং রাসূলে-মকবুল (সঃ)এর বিপরীত, খেলাফ কেহ যদি কোন কাজ করিতে বলে, আদেশকারী যে কেহই হউক না কেন, কিছুতেই তাহা মানিও না। দেখ! আল্লাহ্ পাক কোরান  মজীদে মা- বাপের তাবেদারী করতে খুব বেশি তাকীদ করিয়াছেন। এমন কি হাদীছে বলা হইয়াছে, “সন্তানের বেহেস্ত মা বাপের পদতলে” এতদসত্বেও আল্লাহ্ এবং তাহার রসূলের বিরুদ্ধে যদি মা- বাপও কোন আদেশ করেন তাহাও মানিও না। আল্লাহ্ তা’আয়া স্বীয় কালামে পাকে ফরমাইয়াছেনঃ

وَإِن جَـٰهَدَاكَ عَلَىٰٓ أَن تُشْرِكَ بِى مَا لَيْسَ لَكَ بِهِۦ عِلْمٌۭ فَلَا تُطِعْهُمَا ۖ وَصَاحِبْهُمَا فِى ٱلدُّنْيَا مَعْرُوفًۭا ۖ [٣١:١٥]
“আইন জা-হাদা-কাআ”লা আন্তসরিকিবি-মা-লাইছালাকা বিহি-উল্নুন্ ফালা-তুতি ‘হুমা-অছ-হিবহু মা-ফিদ্দূনয়্যু মা’রু-ফা”
অর্থঃ-
পিতা-মাতা যদি তোমাকে আমার সাথে এমন বিষয়কে শরীক স্থির করতে পীড়াপীড়ি করে, যার জ্ঞান তোমার নেই; তবে তুমি তাদের কথা মানবে না এবং দুনিয়াতে তাদের সাথে সদ্ভাবে সহঅবস্থান করবে। যে আমার অভিমুখী হয়, তার পথ অনুসরণ করবে। অতঃপর তোমাদের প্রত্যাবর্তন আমারই দিকে এবং তোমরা যা করতে, আমি সে বিষয়ে তোমাদেরকে জ্ঞাত করবো

Share this

Related Posts

Previous
Next Post »