বিসমিল্লাহির রহমানীর রহিম
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালই আছেন? আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভাল আছি। তাহলে কাজের কথায় আসি।
৪র্থ খণ্ড, যারা পড়েন নি, তারা পড়ে নিন।
৪র্থ খণ্ডের পরে।
যেই রমণীর মধ্যে তিনটি গুণ বিদ্যমান থাকিবে, সেই নারীর প্রতি তাহার স্বামী কখনও অসুস্তুষ্ট হইবে না। শেখ সা’দী (রহ.) বোস্তার একটি বয়াতে গুণ তিনটি একস্থানে বর্ণনা করিয়াছেন।
“ঝনে-খু-ব অ ফর্মাঁ-বর্ অ পা-র্ছা + কুনাদমর্দে দর্বে-শরা পাদ্শা”-
অর্থাৎ “সুশ্রী, তাবেদার ও দ্বীনদার নারী,
দরিদ্র স্বামীকে করে রাজ্যের অধিকারী”।
শেষোক্তগুণ দুইটিই মানুষের আয়ত্তে। যদি কোন রমনীর মধ্যে প্রতমোক্ত গুণটি নাও থাকে, তবে শেষোক্ত গুণ দুইটি বিদ্যামান থাকিলে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক সুমধুর ও সুখময় হইবে। আর যদি প্রথমোক্ত গুণটি বিদ্যমান থাকা সত্বেও শেষোক্ত গুণ দুইটি বিদ্যমান না থাকে, তবে এমন নারী দুনিয়াতেও বদ্নামের ভাগী এবং পরকালে তাহার জন্য কঠোর আজাব রহিয়াছে। যে স্ত্রীলোক স্বামীর তাবেদার না হয়, কিংবা বদমেজাজ হয়, কথায় কথায় ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি করে, সেই নারী সম্পর্কেও শেখ সা’দী(রহ.) বলিয়াছেন-
“ঝনে-বদ্ দর্ ছারা-য়ে মর্দে নে-কু+হাম্দরি-আ-লমাস্ত দো-ঝখে-উ”।
অর্থ্যৎ, “নেক্কার স্বামী-গৃহে, নারী বদ্কার,
দোযখ দেখিবে এবং বিশ্বের মাঝার।”
বাস্তব সত্য কথা এই যে, সেই সংসারে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক সুখের না হয়, সেই সংসার জাহান্নাম সদৃশ হইয়া যায়। এতদ্ব্যতীত তাহাদের প্রতি লোকেরা হাসাহাসি করে। স্বামী-স্ত্রী উভয়ের জীবন যাত্রা দুর্বিসহ হইয়া উঠে। কোন কোন স্থানে আমি এই অবস্থা স্বচক্ষে দেখিয়াছি। আর যেই সংসারে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক সুমধুর, সেই সংসার যদিও দরিদ্র ও অভাব-অনটনের হয় তবুও উহা ধন-ভাণ্ডার ও শাহী মহল হইতে শতগুণে উত্তম বরং উহা বেহেশতের নমুনায় রূপায়িত হইয়া যায়।
দেখতে পারেন। জরুরী নছহিত (৬ খণ্ড)