আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ প্রিয় বন্ধুরা। মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে শুকরিয়া যানাচ্ছি আমাকে এই পোষ্টটি করার তৌফিক দান করার জন্য। আমার পরিচয়, আমি মুসলিম। পবিত্র আল-কোরআন এবং সহীহ হাদীস ছাড়া অন্য কোন বাণী বা বাক্যে আমি বিশ্বাসী নই। দোয়া করি সকলেই যেন পবিত্র আল-কোরআন এবং সহীহ হাদীসের আলোকে নেক আমল করে যেতে পারেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।
আসুন এখন মূল পোষ্টের আলোচনায় আসি………..
ইসলাম ধর্ম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। পবিত্র আল-কোরআনের পড়েই সহীহ্ বোখারী শরীফ এর স্থান। বর্তমান সময়ে আমরা মুসলমানরা বিভিন্ন সময় সহীহ্ বোখারী শরীফ এর হাদিস গুলো পড়ে থাকি বিভিন্ন জায়গা থেকে আবার অনেক সময় শুনে থাকি। সহীহ্ বোখারী শরীফ এর যে হাদিস গুলো আমরা অনলাইন থেকে পাই বা পাচ্ছি তার বেশির ভাগই দেখা যায় ধারাবাহিক নয় কিনবা পূর্ণ নয় কিনবা অনেক সময় দেখা যায় সঠিক নয়। আজ-কাল অনেকের মুখে প্রচলিত হাজার হাজার জাল হাদিসকে আমরা সহীহ হাদিস বলে মানা শুরু করে দিয়েছি। ঐ সকল জাল হাদিসগুলো ইসলাম সম্পর্কে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই এমন মানুষেরাই শুধু প্রচার করে যাচ্ছে তা কিন্তু নয়, কিছু মসজিদের অর্ধ শিক্ষিত ইমাম, বিভিন্ন ওয়াজ-মাহফিলে আসা কিছু অর্ধ শিক্ষিত আলেমরাও দেখবেন সেই হাদিসগুলোর সহীহ কি না তা যাচাই না করে প্রচার করে যাচ্ছেন। ইন্টারনেটে বিভিন্ন ভাবে হাদিস প্রচার হচ্ছে কিন্তু তা সহীহ কিনা তা আমরা জানি না । এই সকল কারনে সহীহ বোখারী শরীফ থেকে হাদিস গুলো সংগ্রহ করে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি এবং করবো ইনশাআল্লাহ ।
[বিঃ দ্রঃ কোন হাদিস এ যদি কোন প্রকার ভুল আপনারা পান কিনবা দেখেন। তাহলে সাথেসাথে আমাদের জানাবেন ………… অনুরোধ রইলো]
প্রথম খন্ড
ওহীর সূচনা অধ্যায়
পরিচ্ছেদ ০১ :- রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর প্রতি কিভাবে ওহী শুরু হয়েছিল – হাদিস নং ০১ থেকে হাদিস নং ০৬
হাদিস -০১ :-
হযরত আলকামা ইবনে ওয়াককাস লাইছী বলেন ,আমি শুনেছি ,ওমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) মসজিদের মিম্মারে উঠে বলেছিলেন ,আমি রাসূলুল্লাহ (ছ) কে বলতে শুনেছি ,সকাল কাজই নিয়ত অনুযায়ী হয় ।আর প্রত্যেক ব্যাক্তি যা নিয়ত করে ,তাই পেয়ে থাকে ।কাজেই যার হিজরত দুনিয়া লাভ বা কোন মহিলাকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে হয়েছে , তার হিজরত তদোদ্দেশ্যেই হয়েছে ।
হাদিস -০২ :-
হযরত উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত , হারেছ ইবনে হেশাম রাসূলুল্লাহ (ছ) কে প্রশ্ন করলেন , ইয়া রাসূলল্লাহ! আপনার নিকট ওহী কিভাবে আসে ? রাসূলুল্লাহ (ছ) ফরমান , ওহী কখনও ঘন্টার শব্দের মত আসে ।আর সেটিই আমার নিকট কষ্টদায়ক ওহী । (ফেরেশতা) যা বলে , তা শেষ হওয়ামাত্রই আমি তা আয়ত্ত করি ।আবার কখনও ফেরেশতা মানুষের আকৃতিতে এসে যে ওহী বলেন ,আমি তা তখনই আয়ত্ত করে নেই ।হযরত আয়েশা (রাং) বলেন ,আমি দারুণ শীতেও রাসূলুল্লাহ (ছ) এর উপর ওহী আসার পর তাঁর ললাট থেকে ঘাম ঝরতে দেখেছি ।
হাদিস -০৩ :-
উম্মুল মু’মিনীন হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন ,রাসূলল্লাহ (সাঃ) এর নিকট প্রথমে যে ওহী আসত ,তা ছিল নিদ্রাবস্থায় তাঁর সত্য স্বপ্ন ।তিনি যে স্বপ্নই দেখতেন , তা দিবালোকের মত প্রকাশ পেত । কিছুদিন যাওয়ার পর তাঁর নিকট নির্জন জীবন প্রিয় হয়ে উঠল ।তাই তিনি হেরা পর্বত গুহায় গিয়ে নির্জন বাস শুরু করলেন । নিজ পরিবারের নিকট না থেকে কয়েক রাত পর্যন্ত আল্লাহর ইবাদতে মগ্ন থাকতেন । এ উদ্দেশ্যে সাথে তিনি কিছু খাবার নিয়ে যেতেন । কয়েকদিন পর বিবি খাদীজার নিকট ফিরে এসে পুনরায় কয়েকদিনের জন্য কিছু খাদ্য সাথে নিয়ে যেতেন ।
এভাবে হেরা পর্বতের গুহায় আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন থাকা অবস্থায় হঠাৎ একদিন তাঁর নিকট প্রকৃত সত্য (ওহী) আগমন করল ।হযরত জিবরাঈল ফেরেশতা তাঁর নিকট আগমন করে বললেন , ‘ইক্বরা’ (পড়ুন)।নবী করীম (সাঃ) বলেন , আমি বললাম ,আমি তো পড়তে পারি না ।তিনি বলেন , তখন ঐ ফেরেশতা আমাকে এত জোরে আলিঙ্গনাবদ্ধ করলেন যে , তাতে আমার কষ্টবোধ হল ।তখন ফেরেশতা আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন ,পড়ুন ।তিনি বলেন ,আমি বললাম , আমি তো পড়তে পারি না ।তখন তিনি দ্বিতীয়বার আমাকে সজোরে আলিঙ্গনাবদ্ধ করলেন ।(তাতে) আমার খুবই কষ্টবোধ হল । পরে তিনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে (পুনরায়) বললেন , পড়ুন । আমি বললাম ,আমি তো পড়তে পারি না ।তিনি বলেন, অতপর ফেরেশতা তৃতীয়বার আমাকে ধরে(এমন) দৃঢ়ভাবে আলিঙ্গনাবদ্ধ করলেন যে, আমি ভীষণ কষ্টবোধ করলাম। তারপর তিনি আমাকে আলিঙ্গনমুক্ত করে দিয়ে পাঠ করলেন : “ইক্বরা বিসমি রব্বিকাল্লাযী খলাক্ব, খলাক্বল ইনসানা মিন আলাক্ব ইক্বরা ওয়া রব্বুকাল আকরম……..”
অর্থাৎ আপনি আপনার সেই রবের নামে পড়ুন যিনি সৃষ্টি করেছন। যিনি মানুষকে জমাট রক্ত থেকে সৃষ্টি করেছেন। পড়ুন! আর আপনার রব সর্বাধিক সম্মানিত……………।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এ আয়াতসমূহ হৃদয়ঙ্গম করে গৃহে ফিরলেন ।তার হৃদয় তখন (ভয়ে) কম্পমান ছিল।তিনি হযরত খাদিজা (রাঃ)কে বললেন,”আমাকে চাদর দিয়ে ঢেকে দাও”, ”আমাকে চাদর দিয়ে ঢেকে দাও ”, ”আমাকে চাদর দিয়ে ঢেকে দাও। তিনি তাঁকে চাদর দিয়ে ঢেকে দিলেন ।পরে কিছুটা শান্ত হয়ে তিনি সব ঘটনা হযরত খাদীজা (রাঃ) এর নিকট বিবৃত করলেন এবং বললেন , আল্লাহর কসম ! আমি আমার জীবন সম্পর্কে সংশয়বোধ করছি । খাদীজা (রাঃ) তাঁকে আশ্বস্ত করে বললেন , না , ভয়ের কোন কারণ নেই । আল্লাহর কসম ,তিনি কখনই আপনাকে অপদস্থ করবেন না । কেননা , আপনি আপনার আত্মীয়-স্বজনের সাথে সদ্ব্যবহার করেন , দুঃস্থ-দুঃখীদের সেবা করেন , বঞ্চিত ও অভাবীদেরকে আয়ের ব্যবস্থা করে দেন ,অতিথি সত্কার করেন , সত্যপথের বিপন্ন পথিকদেরকে সাহায্য করেন । অতঃপর হযরত খাদীজা (রাঃ) তাঁকে সাথে করে স্বীয় চাচাত ভাই ওরাকা ইবনে নওফলের নিকট গেলেন ।তিনি অন্ধকার যুগে খৃস্টধর্ম গ্রহণ করেছিলেন আর ইবরানী ভাষায় কিতাব লিখতেন ।আল্লাহর ইচ্ছামাফিক ইঞ্জীলের অনেকাংশ ইবরানী ভাষায় অনুবাদ করতেন ।তিনি এত অধিক বার্ধক্যে পৌঁছেছিলেন যে , প্রায় অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন । খাদীজা (রাঃ) তাকে বললেন ,চাচাত ভাই! তোমার ভাতিজার কথা শুন ।ওরাকা ইবনে নওফল তাঁকে বললেন , ভাতিজা! কি দেখেছ ? রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সব ঘটনা খুলে বললেন।ওরাকা তাঁকে বললেন ,ইনি সেই রহস্যময় জিবরাঈল ফেরেশতা যাকে আল্লাহ মূসা (আঃ) এর নিকট পাঠিয়েছিলেন ।আহা! যদি আমি সে সময় জীবিত থাকতাম যেদিন আপনি আল্লাহর বানী প্রচার করবেন ,হায়! যদি আমি সে সময় জীবিত থাকতাম , যে সময় আপনার জাতি আপনাকে দেশান্তরিত করবে ।রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন ,তারা কি আমাকে সত্যিই দেশান্তরিত করবে ?তিনি বললেন , হ্যাঁ , অতিতে যিনিই এটা নিয়ে এসেছেন , তাঁর সাথেই শত্রুতা করা হয়েছে ।আমি আপনার যুগ পেলে আপনাকে যথাসাধ্য সাহায্য করব ।তার কিছুদিন পরেই ওরাকা ইন্তেকাল করলেন এবং ওহীও কিছুদিন বন্ধ থাকল । ইবনে শেহাব যুহরী বলেন ,আবু সালামাহ ইবনে আবদুর রহমান বলেছেন ,জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) ওহী বন্ধ থাকার অবস্থা বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেন ,রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন , একদা আমি পথ চলার সময় ঊর্ধ্ব দিকে একটি শব্দ শুনলাম ।তখন আমি উর্ধ্ব দিকে দৃষ্টি দিয়ে দেখলাম ,হেরা গুহায় যিনি আমার নিকট এসেছিলো ,সেই ফেরেশতা আসমান ও যমীনের মাঝখানে এক কুরসীতে বসে আছেন ।এতে আমি ভীত হয়ে গৃহে ফিরলাম এবং বললাম আমাকে চাদর দিয়ে আবৃত কর , আমাকে চাদর দিয়ে আবৃত কর ।তখন আল্লাহ নাযিল করলেন : হে চাদরাবৃত ব্যাক্তি! উঠ , তুমি সতর্ক কর ,আর তোমার প্রভুর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষনা কর ,তোমার কাপড় পবিত্র কর , অপবিত্রতা পরিহার কর ।এরপর থেকে ওহী একের পর এক অবতীর্ণ হতে লাগল।
দেখতে পারেন সহীহ বুখারি ৪থেকে ১০ পর্যন্ত।
এভাবে হেরা পর্বতের গুহায় আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন থাকা অবস্থায় হঠাৎ একদিন তাঁর নিকট প্রকৃত সত্য (ওহী) আগমন করল ।হযরত জিবরাঈল ফেরেশতা তাঁর নিকট আগমন করে বললেন , ‘ইক্বরা’ (পড়ুন)।নবী করীম (সাঃ) বলেন , আমি বললাম ,আমি তো পড়তে পারি না ।তিনি বলেন , তখন ঐ ফেরেশতা আমাকে এত জোরে আলিঙ্গনাবদ্ধ করলেন যে , তাতে আমার কষ্টবোধ হল ।তখন ফেরেশতা আমাকে ছেড়ে দিয়ে বললেন ,পড়ুন ।তিনি বলেন ,আমি বললাম , আমি তো পড়তে পারি না ।তখন তিনি দ্বিতীয়বার আমাকে সজোরে আলিঙ্গনাবদ্ধ করলেন ।(তাতে) আমার খুবই কষ্টবোধ হল । পরে তিনি আমাকে ছেড়ে দিয়ে (পুনরায়) বললেন , পড়ুন । আমি বললাম ,আমি তো পড়তে পারি না ।তিনি বলেন, অতপর ফেরেশতা তৃতীয়বার আমাকে ধরে(এমন) দৃঢ়ভাবে আলিঙ্গনাবদ্ধ করলেন যে, আমি ভীষণ কষ্টবোধ করলাম। তারপর তিনি আমাকে আলিঙ্গনমুক্ত করে দিয়ে পাঠ করলেন : “ইক্বরা বিসমি রব্বিকাল্লাযী খলাক্ব, খলাক্বল ইনসানা মিন আলাক্ব ইক্বরা ওয়া রব্বুকাল আকরম……..”
অর্থাৎ আপনি আপনার সেই রবের নামে পড়ুন যিনি সৃষ্টি করেছন। যিনি মানুষকে জমাট রক্ত থেকে সৃষ্টি করেছেন। পড়ুন! আর আপনার রব সর্বাধিক সম্মানিত……………।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এ আয়াতসমূহ হৃদয়ঙ্গম করে গৃহে ফিরলেন ।তার হৃদয় তখন (ভয়ে) কম্পমান ছিল।তিনি হযরত খাদিজা (রাঃ)কে বললেন,”আমাকে চাদর দিয়ে ঢেকে দাও”, ”আমাকে চাদর দিয়ে ঢেকে দাও ”, ”আমাকে চাদর দিয়ে ঢেকে দাও। তিনি তাঁকে চাদর দিয়ে ঢেকে দিলেন ।পরে কিছুটা শান্ত হয়ে তিনি সব ঘটনা হযরত খাদীজা (রাঃ) এর নিকট বিবৃত করলেন এবং বললেন , আল্লাহর কসম ! আমি আমার জীবন সম্পর্কে সংশয়বোধ করছি । খাদীজা (রাঃ) তাঁকে আশ্বস্ত করে বললেন , না , ভয়ের কোন কারণ নেই । আল্লাহর কসম ,তিনি কখনই আপনাকে অপদস্থ করবেন না । কেননা , আপনি আপনার আত্মীয়-স্বজনের সাথে সদ্ব্যবহার করেন , দুঃস্থ-দুঃখীদের সেবা করেন , বঞ্চিত ও অভাবীদেরকে আয়ের ব্যবস্থা করে দেন ,অতিথি সত্কার করেন , সত্যপথের বিপন্ন পথিকদেরকে সাহায্য করেন । অতঃপর হযরত খাদীজা (রাঃ) তাঁকে সাথে করে স্বীয় চাচাত ভাই ওরাকা ইবনে নওফলের নিকট গেলেন ।তিনি অন্ধকার যুগে খৃস্টধর্ম গ্রহণ করেছিলেন আর ইবরানী ভাষায় কিতাব লিখতেন ।আল্লাহর ইচ্ছামাফিক ইঞ্জীলের অনেকাংশ ইবরানী ভাষায় অনুবাদ করতেন ।তিনি এত অধিক বার্ধক্যে পৌঁছেছিলেন যে , প্রায় অন্ধ হয়ে গিয়েছিলেন । খাদীজা (রাঃ) তাকে বললেন ,চাচাত ভাই! তোমার ভাতিজার কথা শুন ।ওরাকা ইবনে নওফল তাঁকে বললেন , ভাতিজা! কি দেখেছ ? রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সব ঘটনা খুলে বললেন।ওরাকা তাঁকে বললেন ,ইনি সেই রহস্যময় জিবরাঈল ফেরেশতা যাকে আল্লাহ মূসা (আঃ) এর নিকট পাঠিয়েছিলেন ।আহা! যদি আমি সে সময় জীবিত থাকতাম যেদিন আপনি আল্লাহর বানী প্রচার করবেন ,হায়! যদি আমি সে সময় জীবিত থাকতাম , যে সময় আপনার জাতি আপনাকে দেশান্তরিত করবে ।রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বললেন ,তারা কি আমাকে সত্যিই দেশান্তরিত করবে ?তিনি বললেন , হ্যাঁ , অতিতে যিনিই এটা নিয়ে এসেছেন , তাঁর সাথেই শত্রুতা করা হয়েছে ।আমি আপনার যুগ পেলে আপনাকে যথাসাধ্য সাহায্য করব ।তার কিছুদিন পরেই ওরাকা ইন্তেকাল করলেন এবং ওহীও কিছুদিন বন্ধ থাকল । ইবনে শেহাব যুহরী বলেন ,আবু সালামাহ ইবনে আবদুর রহমান বলেছেন ,জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) ওহী বন্ধ থাকার অবস্থা বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেন ,রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন , একদা আমি পথ চলার সময় ঊর্ধ্ব দিকে একটি শব্দ শুনলাম ।তখন আমি উর্ধ্ব দিকে দৃষ্টি দিয়ে দেখলাম ,হেরা গুহায় যিনি আমার নিকট এসেছিলো ,সেই ফেরেশতা আসমান ও যমীনের মাঝখানে এক কুরসীতে বসে আছেন ।এতে আমি ভীত হয়ে গৃহে ফিরলাম এবং বললাম আমাকে চাদর দিয়ে আবৃত কর , আমাকে চাদর দিয়ে আবৃত কর ।তখন আল্লাহ নাযিল করলেন : হে চাদরাবৃত ব্যাক্তি! উঠ , তুমি সতর্ক কর ,আর তোমার প্রভুর শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষনা কর ,তোমার কাপড় পবিত্র কর , অপবিত্রতা পরিহার কর ।এরপর থেকে ওহী একের পর এক অবতীর্ণ হতে লাগল।
দেখতে পারেন সহীহ বুখারি ৪থেকে ১০ পর্যন্ত।